ছবি: সংগৃহীত।
স্বাধীনতার পর থেকেই আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে জানিয়ে নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রবিবার (৬ আগস্ট) সকালে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের ‘বিশেষ বর্ধিত সভা’য় এ কথা বলেন তিনি।
২০০১ সালের নির্বাচনে ষড়যন্ত্রের কারণে আওয়ামী লীগ হেরেছে বলে মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, গ্যাস বিক্রি করতে রাজি না হওয়ায় এবং দেশি-বিদেশি নানা চক্রান্তের কারণে ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসতে পারেনি আওয়ামী লীগ। স্বাধীনতার পর থেকেই আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে জানিয়ে তিনি নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
বর্ধিত সভায় ওয়ান-ইলেভেন প্রসঙ্গ এনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপির দুর্নীতি ও দুঃশাসনের কারণেই ওয়ান ইলেভেন হয়েছিল। খালেদা জিয়া ভোটচোর হিসেবে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয়েছিল।
শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া নির্বাচনের নামে প্রহসন করেছিলেন। ৩-৪ শতাংশও ভোট পড়েনি। কিন্তু তিনি ভোট চুরি করে দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। তবে বাংলাদেশের মানুষ এই ভোটচুরি মেনে নেয়নি। বাংলাদেশের মানুষ ভোট চুরি করলে মেনে নেয় না। কাজেই ৩০ মার্চ খালেদা জিয়া ভোটচোর হিসেবে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়। এরপর ১২ জুন যেই নির্বাচন হয়, সেটিতে আমরা জয়ী হয়ে সরকার গঠন করি। ২০০১ সালে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বপ্রথম শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছিল আওয়ামী লীগ।
তিনি বলেন, পচাত্তর পরবর্তী সময়ে আমাকে দেশে আসতে বাধা দেয়া হয়েছিল। আমি জোর করে দেশে ফিরে এসেছিলাম। আমার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল। খালেদা জিয়া দিয়েছিলেন ১২টি আর জরুরি সরকার দিয়েছিল ৬টি মামলা। আমি বলেছিলাম, প্রতিটি মামলার তদন্ত করে আমাকে জানাতে হবে। আমি দুর্নীতি করতে এখানে আসিনি। আমি মানুষের ভাগ্য গড়তে এসেছি, নিজের ভাগ্য না। আমি ত্যাগ করতে এসেছি, ভোগ করতে না।
তিনি আরও বলেন, আজকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এটাকে আমাদের ধরে রাখতে হবে। মাথাপিছু আয় যেখানে খালেদা জিয়ার আমলে ৩৪৩ ডলারের মতো ছিল, আমরা সেটি দুই হাজার ৭৩৯ ডলারে উন্নীত করেছি। এই যেই ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি ও মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন- এগুলো আওয়ামী লীগ সরকার করেছে। আর কারও দ্বারা এগুলো হয়নি, কোনো সরকার এগুলো করেন।
এদিন সকাল সাড়ে ১০টায় গণভবনে ‘শত সংগ্রামে অজস্র গৌরবে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়’ নিয়ে আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভা শুরু হয়। এতে দলটির তৃণমূলের প্রায় তিন হাজার নেতা যোগ দেন।
এমএম