ম্যাপে বরিশাল
বিএনপির বিভাগীয় মহাসমাবেশের দিন ৫ নভেম্বর ও তার আগেরদিন পুরো দক্ষিণাঞ্চলজুড়ে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন মালিক ও শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দরা। প্রকাশ্যে মহাসড়কে তিন চাকার যানবাহন চলাচল বন্ধের দাবিতে দুইদিন ধর্মঘটের ডাক দেয়া হলেও নেপথ্যে রয়েছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
স্থানীয় বিএনপির নেতৃবৃন্দরা অভিযোগ করে বলেন, সরকার প্রভাব খাটিয়ে যানবাহন চলাচলে দুইদিন ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করছে। তবে বিএনপির এ অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করে বুধবার সকালে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বরিশাল বাস মালিক গ্রুপের দায়িত্বশীল এক নেতা বলেন, মূলত বিএনপি ও জামায়াত জোটের অতীত আন্দোলনের সময় পেট্রোলবোমায় বাস পুড়িয়ে ধ্বংস এবং শ্রমিক হত্যার ঘটনায় মালিক-শ্রমিকরা আতঙ্কিত হয়ে দুইদিন ধর্মঘটের ঘোষণা দিতে বাধ্য হয়েছেন।
একইসময় পাল্টা ধর্মঘটের ঘোষণা দিয়েছেন বরিশাল জেলা থ্রি-হুইলার শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দরা। অপরদিকে যেকোন সময় ধর্মঘটের ঘোষণা আসতে পারে ঢাকা-বরিশাল নৌরুটসহ দক্ষিণাঞ্চলের সকল অভ্যন্তরীন রুটের নৌ-চলাচলে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সড়কপথে পরিবহন, ছোটযানবাহনসহ নৌ-যানের মালিক এবং শ্রমিকরা সবাই বিএনপি ও জামায়াতের অতীত আন্দোলনের সময় পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে যানবাহন পুড়িয়ে ধ্বংসসহ মানুষ হত্যার লোমহর্ষক ঘটনা আজও ভুলতে পারেননি। তাই এবার বরিশালে বিভাগীয় গণসমাবেশের নামে বিএনপি তার আগের রূপে ফেরার আশঙ্কায় মালিক ও শ্রমিকরা দুইদিন ধর্মঘটের ঘোষণা দিয়েছেন।
তবে এসব অভিযোগ পুরোপুরি ভিত্তিহীন দাবি করে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব এ্যাডভোকেট মজিবর রহমান সরোয়ার বলেন, আমরা তো নিশ্চিত করে বলছি বাস বা থ্রি-হুইলার ধর্মঘটের পেছনে সরকারের ইনডাইরেক্টলি হাত রয়েছে। কারণ সরকার দলীয় লোকজন পরিবহন সংগঠনগুলোর নেতৃত্বে থাকায় তারা আমাদের সমাবেশ বানচাল করার চেষ্টা করছে।
ধর্মঘটের সাথে আওয়ামী লীগের কোনো সম্পৃক্তা নেই দাবি করে বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএম জাহাঙ্গীর হোসাইন বলেন, বাস মালিক সমিতিতে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ সবদলের নেতারা রয়েছেন। তারা তাদের দাবি আদায়ের জন্য ধর্মঘট ডেকেছেন।
টিএস