ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১

aiub
aiub

বিশ্ব চোরদের মুখপাত্র হচ্ছেন মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত: ১৮:১৩, ২৮ অক্টোবর ২০২২; আপডেট: ২১:০৯, ২৮ অক্টোবর ২০২২

বিশ্ব চোরদের মুখপাত্র হচ্ছেন মির্জা ফখরুল

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ

‘দুর্নীতিতে পাঁচবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়ে বিশ্বচোর উপাধি পাওয়া বিএনপির এখন বড় গলা’ বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) রাজধানীর মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বিএনপি মহাসচিবের বৃহস্পতিবারের বক্তব্য ‘সরকার রিজার্ভ গিলে খেয়েছে’ প্রসঙ্গে তিনি ওই মন্তব্য করেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চোরের মায়ের বড় গলা’ প্রবাদের মতো এখন বিশ্বচোরদের বড় গলা। বিএনপি দেশকে চারবার একক ও একবার যৌথভাবে দুর্নীতিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন বানিয়ে বিশ্বচোর উপাধি পেয়েছিল। শুনতে খারাপ লাগলেও বাস্তবতা, এখন বিশ্বচোরদের মুখপাত্র হচ্ছেন তাদের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব। ’

তিনি বলেন, তারা হাওয়া ভবন বানিয়েছিলেন। হাওয়া ভবন তো আসলে একটা ‘খাওয়া ভবন’ ছিল। কারণ জনগণের টাকা ওখানে খাওয়া হতো। হাওয়া ভবনে বসে জনগণের সব ব্যবসা, প্রকল্পের ওপর টোল বসিয়েছিল এবং জনগণের টাকাটাই গিলে খেতো তারা। যারা জনগণের টাকা আগে গিলে খেয়েছে, তারা শুধু খাওয়ার কথাই চিন্তা করে বলে মির্জা ফখরুল সাহেব বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) এমন বক্তব্য দিয়েছেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির শেষ সময় ২০০৬ সালে রিজার্ভ ছিল ৩.৪৬ বিলিয়ন ডলার অর্থাৎ সাড়ে তিন বিলিয়নেরও কম। আমাদের নেত্রী, আমাদের সরকার সেটি ৪৪ বিলিয়নে উন্নীত করেছেন। এখন বিশ্ব পরিস্থিতির কারণে, দেশে নানা ধরনের ইনভেস্টমেন্ট বা বিনিয়োগের কারণে এবং রিজার্ভ থেকে টাকা নিয়ে বিশেষ তহবিল গঠনের কারণে সেটি ৩৭ বিলিয়নে গেছে। এরপরও বিএনপির সময়ের তুলনায় ১২গুণ বেশি আছে। মির্জা ফখরুল সাহেবরা সবসময় খাওয়ার কথা চিন্তা করেন তো, সে জন্যই এসব কথা বলছেন।

খুলনার পর বিএনপির রংপুর ও বরিশালের সমাবেশের আগেও পরিবহন ধর্মঘট নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপিকে তো পরিবহন মালিক-শ্রমিক সবাই চেনে। কারণ ২০১৩-১৪-১৫ সালে বিএনপি পরিবহনের ওপর অগ্নিবোমা নিক্ষেপ করে, আগুন জ্বালিয়ে দিয়ে মানুষ হত্যা করেছিল। 

তারা শত শত গাড়ি পুড়িয়ে দিয়ে শত শত মানুষকে হত্যা করেছে। এজন্য এখন পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা শঙ্কিত। ফলে বিএনপি যেখানেই সমাবেশ ডাকে, সেখানেই তারা ধর্মঘট ডাকছে। ধর্মঘট ডাকা মালিকদের মধ্যে বিএনপির সদস্যরাও আছেন ৷ পরিবহন মালিক নেতা এবং সমিতির সদস্যদের মধ্যে বিএনপি, আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, জাসদসহ বিভিন্ন দলেরই মানুষ আছে। 

শিমুল বিশ্বাস তো পরিবহন নেতা, তিনি তো বিএনপি করেন। উনারাই তো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ধর্মঘট ডাকার। সুতরাং বিএনপি ঘরানার পরিবহন মালিকরাও শঙ্কিত এবং তারা কেউই যাতে বিএনপির অপরাজনীতির শিকার না হন, সে জন্য সবাই মিলেই ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

এমএস

×