সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ বিএনপি’র কঠোর সমালোচনা করে বলেছেন, রাষ্ট্রের স্বাধীনতা বিরোধী সকল চক্রের একমাত্র প্ল্যাটফর্ম বিএনপি। তিনি বলেন, জামাতে ইসলামী, মুসলিম লীগ, একাত্তরের খুনী, নিজামী, মুজাহিদসহ সকল কসাই এর জায়গা বিএনপিতে।
তিনি ২২ অক্টোবর শনিবার দুপুরে শেরপুর শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে সাহিত্য মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দিন বদলেছে, সমাজ বদলেছে। কিন্তু বদলায়নি শুধু বিএনপি মন্তব্য করে সাংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, একটি পরিবারের সকলের হাতে রক্ত । জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে নির্মম ও নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করেছিলেন। একইভাবে ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন বেগম জিয়ার হাতে ন্যস্ত প্রশাসন এবং তার ছেলে তারেক রহমান।
বিএনপি মহাসচিবের ‘পাকিস্তানই ভাল ছিল’ এমন মন্তব্যকে তাদের মনের সুপ্ত কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানের ভুত মুখ ফসকে বেরিয়ে গেছে সুপ্ত কথা। তার মন্তব্য- স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তির বাইরে যদি কারো হাতে ক্ষমতা যায় তাহলে কল্পনাও করতে পারবেন না কি হবে। এখানে যতজন মানুষ আছেন সকলকে নিঘৃহিত হতে হবে। কাউকে জীবন দিতে হবে। কাউকে বাড়ীঘর ছাড়তে হবে। কাউকে জেলে যেতে হবে। শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করে দেবে।
মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, মৌলবাদীদের কারণে ইতোমধ্যে দেশের হাজার বছরের সাহিত্য, সংস্কৃতি ও কৃষ্টি অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সাহিত্য, সংস্কৃতি ও কৃষ্টিকে বাঁচিয়ে রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে দেশের ৬৪ জেলায় সাহিত্য মেলা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক মুহাম্মদ নূরুল হুদা প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন। মেলার উদ্বোধন করেন সংসদের হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিউর রহমান আতিক। জেলা প্রশাসক সাহেলা আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সাবেক সিনিয়র সচিব কবি মোঃ আব্দুস সামাদ ফারুক, পুলিশ সুপার মোঃ কামরুজ্জামান (বিপিএম), জেলা আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক অ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পাল, পৌর মেয়র গোলাম কিবরিয়া লিটন, বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরল ইসলাম হিরো প্রমূখ।
বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক কবি নূরুল হুদা তার বক্তব্যে বলেন ‘বঙ্গবন্ধু ১৯৭৪ সালে প্রথম আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলনে বলেছিলেন’ জাতি, রাষ্ট্র বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠিত করতে হলে বাংলা ভাষাকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। সাহিত্যের ভেতর যে জাতিসত্ত্বার কথা বলা আছে তা জানতে হবে। তারই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের বস্তুগত উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি মানবিক উন্নয়ন করতে হবে। এ জন্য সারাদেশে সাহিত্য মেলা ছড়িয়ে দিতে হবে। সে নির্দেশনার আলোকে সারাদেশে সাহিত্য মেলা শুরু হয়েছে। সদাচার, মানবিক ও সৃষ্টিশীলতার উন্নয়নের জন্য এ মেলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আলোচনা পর্ব শেষে বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে জেলা শিল্পকলা একাডেমীর শিল্পীরা সঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশন করেন। পরে লেখকদের হাতে ক্রেষ্ট তুলে দেন অতিথিরা।
এমএস