বক্তব্য রাখছেন মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেছেন, রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে বিএনপি বিভিন্ন জায়গায় সন্ত্রাসী এবং চিহ্নিত অপরাধীদের সমাবেশ ঘটাচ্ছে। আওয়ামী লীগ আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ১৯৭১ সালে একটি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ বাঙালি জাতিকে উপহার দিয়েছে। তারা আন্দোলন-সংগ্রামকে ভয় পায় না। বিএনপি একটি খুনী, সন্ত্রাসী ও চিহ্নিত অপরাধীদের রাজনৈতিক দল।
শনিবার (২২ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত শহীদ শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, ডিসেম্বর মাস মুক্তিযোদ্ধাদের মাস। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি বিএনপির সমস্ত সন্ত্রাসী কার্যক্রমকে প্রতিহত করবে। বিএনপি কাগজের বাঘ। এই দলটি ষড়যন্ত্র ও হত্যার মধ্যদিয়ে ক্যান্টনমেন্টের ভেতর থেকে যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে বিএনপি গঠিত হয়েছিল। আওয়ামী লীগকে হুমকি দিয়ে কোনো লাভ নেই।
বিজয়ের মাস ডিসেম্বর সামনে রেখে বিএনপি'র হুঁশিয়ারির প্রতিক্রিয়ায় মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, ডিসেম্বর মাসের এক তারিখ থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা রাজপথে থেকে বিএনপি জামাতের সকল ষড়যন্ত্র ও অপতৎপরতা প্রতিরোধ করবে।
বিএনপি-জামায়াতসহ স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির রাজনীতি বন্ধ করার দাবি জানিয়ে অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, ডিসেম্বরে বিএনপিকে খুঁজে পাওয়া যাবে না কারণ বিএনপি হল মাজা ভাঙা দল। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের নিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে এই রাজনৈতিক দলটি গঠিত হয়েছিল। তাদের আমলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা রাজপথে কখনও মিছিল, মিটিং করতে পারে নাই। আওয়ামী লীগের অফিস কার্যালয়ের সামনে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে রেখেছিল। জননেত্রী শেখ হাসিনা তাদের অবাধে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের সুযোগ করে দিয়েছে। এই বিএনপি জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ও আওয়ামী লীগকে হত্যা করার জন্য ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করেছিল। আল্লাহর রহমতে জননেত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা প্রাণে বেঁচে যান।
তিনি বলেন, তারেক জিয়া মুচলেকা দিয়ে এদেশ থেকে পালিয়ে গিয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলা আছে। তিনি সাজাপ্রাপ্ত আসামি। এখনও বিদেশের মাটিতে বসে ৭১’র পরাজিত সৈনিক, ৭৫’র ঘাতকদের সহযোগিদের নিয়ে একের পর এক ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। বাংলার মাটিতে কখনও আর তারেক জিয়া আসতে পারবে না। একজন রাজনৈতিক নেতা মামলার ভয়ে যে পলাতক তাকে সে কি করে এদেশের রাজনীতি করবে। দেশের সমস্ত টাকা লুটপাট করে বিদেশের মাটিতে তিনি অবস্থান করছেন। তাই মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সকল শক্তিকে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বাধীনতাবিরোধী বিএনপি জামায়াতকে প্রতিহত করার আহ্বান জানিয়েছেন।
একুশে পদকপ্রাপ্ত খ্যাতিমান চলচ্চিত্রকার ও বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সহ-সভাপতি ডাক্তার অরূপ রতন চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল এমপি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সহ-সভাপতি অভিনেত্রী অরুনা বিশ্বাস, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তারিন জাহান, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজন হালদার, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক লায়ন মীযানুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক জয়দেব রায় এবং রাজ সরকারসহ বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
এমএইচ