ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৮ মাঘ ১৪৩১

সরকারকে মির্জা ফখরুল

এখনও সময় আছে নিরাপদে চলে যান

প্রকাশিত: ১৮:২৪, ১০ অক্টোবর ২০২২; আপডেট: ১৯:৫৮, ১০ অক্টোবর ২০২২

এখনও সময় আছে নিরাপদে চলে যান

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

সরকারকে নিরাপদে চলে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আপনাদের এখনও সময় আছে, বোধ উদয় করেন। সেফ এক্সিট করেন। চলে যান। ক্ষমতা ছাড়েন। নিরেপক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা দেন। সংসদ বিলুপ্ত করেন। সেই সঙ্গে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে, নতুন পার্লামেন্টের ঘোষণা দেন। তারা আবার নতুন করে সরকার গঠন করবে। তারা নতুন একটা সরকার ব্যবস্থা চালু করবে। তা না হলে পালাবার পথটাও খুঁজে পাবেন না।’

সোমবার (১০ অক্টোবর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ হলে ৯০ এর স্বৈরাচারবিরোধী ছাত্র অভ্যুত্থানে নিহত নাজির উদ্দিন জেহাদের ৩২তম মত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এক স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন। শহীদ জেহাদ স্মৃতি পরিষদ এই সভার আয়োজন করে।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আরও বলেন, বিএনপির ঢাকা উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের এক ধমকেই বিএনপির নিন্দুকদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে । তিনি আরও বলেন, ‘ভয়ের কোনও কারণ নাই। আমরা দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চাই।’

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘কিছুদিন আগেও আমাদের যারা ক্রিটিকস, যারা নিন্দুক, তারা বলেছে আরে বিএনপি নাই। বিএনপি ফিল্ডেই নাই। রাস্তায় বিএনপি নাই। হাটুভাঙ্গা এসব অনেক কথাই বলেছে। এখন কী বলছে? এখন বলছে, বাবা তোমরা আর ধমক দিও না। এই যে আমান উল্লাহ আমান একটা ধমক দিয়েছে, ওদের মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে। এখন টেলিভিশনের ওদের যত লোক আছে তারা ওইটা নিয়ে লেগে পড়েছে।’

তিনি বলেন, ‘ভয়ের কোনও কারণ নাই। আমরা দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চাই। আমরা দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে চাই। আমরা মানুষের অধিকারকে ফিরিয়ে আনতে চাই। এর জন্য আমাদের সাত জন প্রাণ দিয়েছে। আমরা হাজারও প্রাণ দেবো। গণতন্ত্রকে অবশ্যই আমরা ফিরিয়ে আনবো।’
স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে নিহত ছাত্রনেতা নাজির উদ্দিন জেহাদের ত্যাগের সঠিক মূল্যায়ন করতে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে, তাদের পরাজিত করে আমরা একটা স্বাধীন ভূখণ্ড বাংলাদেশ তৈরি করেছিলাম কেন? কোনও ব্যক্তিকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য নয়। কোনও পরিবারকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য নয়। এখানে জনগণের একটা রাষ্ট্র তৈরি করার জন্য আমরা লড়াই করেছিলাম।’

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘আমাদের মানুষের ওপর, জনগণের ওপর আস্থা আছে। আমরা বিশ্বাস করি এদেশের মানুষ কোনও অন্যায়কে মেনে নেয়নি। কোনোদিন গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে তারা কাউকে দাঁড়াতে দেয়নি। আজ থেকে নয়, দীর্ঘকাল থেকে। সেদেশের মানুষ জেগে উঠেছে।’
শহীদ জেহাদ স্মৃতি পরিষদের সভাপতি ও বিএনপি ঢাকা উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুসহ ৯০এর স্বৈরাচারবিরোধী ছাত্র গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্বদানকারী সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের নেতারা।

কাওসার রহমান

সম্পর্কিত বিষয়:

×