দেশের মেধাবীরা যাতে নীতিমালা প্রণয়নে ভূমিকা রাখতে পারেন সেজন্যই বিএনপি সংসদে উচ্চ কক্ষের প্রস্তাব দিয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। শনিবার রাজধানীর মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারে ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক মুভমেন্ট (এনডিএম) আয়োজিত ‘বাংলাদেশ ২.০ সংস্কার প্রস্তাব’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
মেধাবীরা রাজনীতিতে যে স্ট্যান্ডার্ড তৈরি করতে পারবে সেটা সাধারণ রাজনীতিকরা পারবে না। তিনি বলেন, পার্লামেন্টের উচ্চ কক্ষে রাজনৈতিক দলগুলো যেন তাদের ব্যক্তিগত ঘনিষ্ঠ বা নিজ সুবিধার জন্য পরিবারের সদস্যদের পাঠাতে না পারে সেজন্যও দিক নির্দেশনা দেওয়া আছে। নির্বাচনের আগেই দলগুলোকে তাদের প্রতিনিধিদের তালিকা দিতে হবে যাদের তারা পার্লামেন্টের উচ্চ কক্ষে পাঠাবে। তাহলে জনগণ ভোট দেওয়ার সময় চিন্তা করবে এই দল উচ্চ কক্ষে এদের পাঠাচ্ছে।
খসরু বলেন, যে দেশে জুডিসিয়ারি প্রটেকশন থাকবে না, ইকোনমিকাল সমান অধিকার থাকবে না সেদেশে কোনো বিদেশী বিনিয়োগ আসবে না। তিনি বলেন, পুরোপুরি সংস্কার সম্ভব না হলেও একটা দিক নির্দেশনা থাকতে হবে হাসিনা পরবর্তী কেমন বাংলাদেশ আমরা দেখতে চাই। মোট কথা এখানে জাতির যে মূল্যবোধ, তাতে কোনো পার্থক্য থাকা যাবে না। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের মাধ্যমে প্রতিটি নাগরিকের রাজনীতি ও অর্থনীতিতে সমান অ্যাক্সেস থাকতে হবে। যার মধ্যে যে সৃজনশীলতা, তা যেন সবাই করতে পারে এমন ব্যবস্থা থাকতে হবে। স্বাধীন দেশে সবাই যেন সব কিছু করতে পারে, ভোট দেওয়া থেকে শুরু করে সরকারকে জবাবদিহিতার মধ্যে আনতে পারে।
খসরু বলেন, রিফর্মের প্রথম ধাপ রাষ্ট্রের তিনটি যে প্রধান অঙ্গ আছে, তার মধ্যে প্রথমে নিশ্চিত করতে হবে ইন্ডিপেন্ডেন্ট জুডিসিয়ারি। পাশাপাশি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে পারছি কিনা-সংস্কারের মাধ্যমে তা দেখার। সংস্কারের মাধ্যমে প্রতিটা নাগরিকের রাজনীতিতে, অর্থনীতিতে সমান অংশগ্রহণের ব্যবস্থা করতে পারছি কি না। মানুষ যেন প্রথম অধিকার ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে একটি জবাবদিহিমূলক সরকার গঠন করতে পারে।