
ছবি : সংগৃহীত
চিকিৎসকরা সাধারণত তাজা খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন, কারণ রান্না করা খাবার ফ্রিজে রেখে বা বারবার গরম করলে এর পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায় এবং স্বাদও কমে যায়। তবে কিছু খাবার আছে যেগুলো বাসি হলেও পুষ্টিগুণ ধরে রাখে এবং শরীরের জন্য উপকারী প্রমাণিত হয়। নিচে এমন কিছু বাসি খাবারের কথা উল্লেখ করা হলো:
১. বাসি রুটি
পরদিন সকালে চায়ের সঙ্গে বাসি রুটি খাওয়া অনেকেই পছন্দ করেন। এই রুটি গরম করে খাওয়া হলে তা হজমের জন্য ভালো। কারণ বাসি রুটিতে *গাজন প্রক্রিয়া* (Fermentation) শুরু হয়, যা অন্ত্রের স্বাস্থ্য উন্নত করে ও সামগ্রিক হজমশক্তি বাড়ায়। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও এটি একটি ভালো বিকল্প।
২. পান্তা ভাত (বাসি পানিভাত)
রাতের রান্না করা ভাত সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রাখলে তা পরদিন সকালে পান্তা ভাত হিসেবে খাওয়া হয়। এতে আয়রন, সোডিয়াম, পটাশিয়াম ও ক্যালসিয়াম প্রচুর পরিমাণে থাকে। এটি পেটের জন্য উপকারী এবং হজমে সহায়ক।
৩. বাসি ক্ষীর
খাবারের শেষে মিষ্টি হিসেবে ক্ষীর খাওয়ার একটি প্রচলন আছে। আগের রাতের ঠান্ডা বাসি ক্ষীরও শরীরের জন্য উপকারী। ফ্রিজে সংরক্ষিত এই ক্ষীর পরদিন খেলে তা অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং স্বাদেও অনন্য।
৪. বাসি দই
এক বা দুইদিন পুরনো দইয়ে গাজন প্রক্রিয়া দ্রুত হয়, ফলে ভালো ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি পায়। এই দই অন্ত্রের স্বাস্থ্য উন্নত করে, হজমশক্তি বাড়ায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এমনকি যারা সাধারণ দুধ বা দই হজম করতে পারেন না, তাদের জন্য বাসি দই একটি ভালো বিকল্প হতে পারে। বাসি হওয়ার পর এতে ভিটামিনের পরিমাণও বেড়ে যায়।
৫. কলা:
বেশি পাকা কলায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এর মাত্রা বৃদ্ধি পায়, যা শরীরের ক্ষতিকারক টক্সিন দূর করতে সহায়তা করে।
৬. আচার:
দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা আচারে গাঁজন প্রক্রিয়া (Fermentation) হয়, যা এতে প্রো-বায়োটিক ও ভিটামিনের পরিমাণ বাড়ায় এবং হজমের জন্য উপকারী করে তোলে।
সতর্কতা:
সব বাসি খাবার স্বাস্থ্যকর নয়। খাবার যদি নষ্ট হয়ে যায় বা দুর্গন্ধ ছড়ায়, তবে তা এড়িয়ে চলাই ভালো। এছাড়া সংরক্ষণ পদ্ধতি সঠিক না হলে বাসি খাবারে ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে পারে, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
আঁখি