
ছবি : সংগৃহীত
দেশে সোনার দাম কমেছে। এ দফায় প্রতি ভরির সর্বোচ্চ দাম কমেছে ১ হাজার ২৪৮ টাকা। এতে ভালো মানের ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম দাঁড়াবে ১ লাখ ৫৬ হাজার ৬২৪ টাকা।যা ফিউচার ট্রেডে একটি বড় পতন হিসেবে ধরা হচ্ছে।
এই পতনের পেছনে যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য যুদ্ধের সম্ভাব্য অবসান এবং মার্কিন ডলারের শক্তিশালী অবস্থানকে কারণ হিসেবে ধরা হচ্ছে। কাজাখস্তানের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্বর্ণ খননকারী প্রতিষ্ঠান সলিডকোর রিসোর্সেস পিএলসি -এর প্রধান নির্বাহী ভিটালি নেসিস রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান, আগামী ১২ মাসে স্বর্ণের দামে বড় পতনের সম্ভাবনা রয়েছে। তার মতে, স্বর্ণের দাম $১৮০০ থেকে $১৯০০ স্তরে আর ফিরে যাবে না, তবে বর্তমানে বাজারে যা হচ্ছে তা একধরনের অতিপ্রতিক্রিয়া।
সলিডকোর রিসোর্সেস পিএলসি কাজাখস্তানে অবস্থিত একটি স্বর্ণ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, যা Astana International Exchange-এ তালিকাভুক্ত। প্রতিষ্ঠানটির দুটি উৎপাদনশীল স্বর্ণ খনি রয়েছে এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্প্রসারণ প্রকল্পও চলছে। সম্প্রতি, মাল্টি কমোডিটি এক্সচেঞ্জে জুন মাসের স্বর্ণ ডেলিভারির চুক্তিতে দাম ১ হাজার ২৪৮ টাকা বা ০.৮৭ শতাংশ হ্রাস পেয়ে লট ব্যবসায় নেমে এসেছে।
স্বর্ণ ঐতিহ্যগতভাবে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার বিরুদ্ধে একটি নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে বিবেচিত হয়। চলতি বছরে এখন পর্যন্ত স্বর্ণের দাম প্রায় ২৬ শতাংশ বেড়েছে, মূলত মার্কিন শুল্কের কারণে সৃষ্ট মন্দার আশঙ্কায়। তবে, এই মাসে স্বর্ণের দাম $৩,৫০০.০৫ রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছায়।
চীনের পক্ষ থেকে সম্প্রতি কিছু মার্কিন পণ্যের ওপর আরোপিত ১২৫ শতাংশ শুল্ক থেকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে এবং ইতিমধ্যেই কিছু পণ্য চিহ্নিত করার জন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে আবেদন করা হয়েছে। এটি বাণিজ্য যুদ্ধের অর্থনৈতিক প্রভাব নিয়ে বেইজিংয়ের উদ্বেগের সবচেয়ে বড় ইঙ্গিত বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও সরাসরি আলোচনার কথা জানিয়ে বাণিজ্য উত্তেজনা প্রশমনের ইঙ্গিত দিয়েছেন।
এদিকে, ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনার কারণে বিনিয়োগকারীরা আবারও স্বর্ণের দিকে ঝুঁকতে পারেন। এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF)-এর আসন্ন বৈঠকের দিকেও নজর রয়েছে, যেখানে বৈশ্বিক নীতিনির্ধারণে আরও শিথিলতার ইঙ্গিত পাওয়া গেলে স্বর্ণের প্রতি বিনিয়োগের আগ্রহ আবারও বাড়তে পারে।
আঁখি