ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১২ বৈশাখ ১৪৩২

শেয়ারবাজারে প্রাণ ফিরুক

ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী

প্রকাশিত: ২০:৫৯, ২৫ এপ্রিল ২০২৫

শেয়ারবাজারে প্রাণ ফিরুক

গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনায় এটি সুস্পষ্ট যে, টানা দরপতনের বৃত্তে আটকে আছে দেশের পুঁজিবাজার। বিগত সরকারের আমলে তারল্য সংকট, কারসাজি ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার কদর্য হস্তক্ষেপসহ নানা কারণে পুঁজিবাজারে অতি নাজুক পরিস্থিতি নির্মিত হয়। দুর্নীতি-অনিয়ম-অদক্ষতা ও বিচারহীনতা পুঁজিবাজারকে ভীষণভাবে সংকুচিত এবং পঙ্গু করে রেখেছিল। এটিকে কতিপয় প্রভাবশালী ব্যবসায়ী-রাজনীতিকদের মূলধন লুণ্ঠনের বাজারে পরিণত করে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার কর্তৃক গঠিত জাতীয় শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রতিবেদন মতে, বিগত সরকারের আমলে ১৫ বছরে নামে-বেনামে প্রতারণা, প্লেসমেন্ট-বাণিজ্য এবং শেয়ার কারসাজির মাধ্যমে ১ লাখ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, অপকর্মের সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ার পরও চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে কঠোর কোনো আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার পরিবর্তে ক্ষেত্রবিশেষে অনেককেই দায়মুক্তি দেওয়ার নিকৃষ্ট উদাহরণ রচিত হয়।
জুলাই ২৪ ছাত্র-জনতার সফল অভ্যুত্থানে সরকার পরিবর্তনে বিনিয়োগকারী ও অংশীজনদের হৃদয়ে নতুন আশার সঞ্চার হলেও; শেয়ারবাজারের অস্থিরতার তেমন কোনো উন্নতি দৃশ্যমান নয়। এশিয়ার উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে প্রায় সব সূচকেই বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের অবস্থান সবার নিচে। বাজারসংশ্লিষ্টদের মতে, সরকার বদলের পর পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার (বিএসইসি) নেতৃত্বের বদল হলেও বাজারে কোনো আশার আলো দেখা যায়নি। বিদ্যমান সংকটেরও যেন কোনো সমাধান নেই। যে কারণে বাজার কেবলই দরপতনে ঘুরপাক খাচ্ছে। ফলে, সর্বমহলে হতাশার চিত্র পরিলক্ষিত। গত ২০ এপ্রিল  গণমাধ্যমের তথ্যানুসারে, উল্লেখ্য তারিখের পূর্ব সপ্তাহের মোট চার কার্যদিবসে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০৮ পয়েন্ট বা ২ শতাংশের বেশি। বাজার মূলধন কমেছে ১ হাজার ১০৮ কোটি টাকা। দৈনিক গড় লেনদেন ১৮ শতাংশের বেশি কমে ৪০০ কোটি টাকার নিচে নেমেছে। তাছাড়া লেনদেন হওয়া ৩৯৬ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের মধ্যে দাম কমেছে ২৯৯টির, বেড়েছে ৭৭টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ২০টির দাম।    
এটি প্রতিষ্ঠিত সত্যÑ যে কোনো ক্রান্তিকালে পর্যুদস্ত অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে দেশকে নানামুখী প্রয়াসে গতিশীল করতে হয়। এ ক্ষেত্রে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান প্রণিধানযোগ্য উপজীব্য। পুঁজিবাজারের প্রকৃষ্ট সঞ্চারণে ও ব্যবসা-বাণিজ্যের ধারাবাহিক চলমানতা অক্ষুণ্ন রাখার জন্য শেয়ারবাজার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অর্থনীতিতে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের উৎস হিসেবে শেয়ারবাজারের অবদান অনস্বীকার্য। শিল্পায়ন ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে একটি শক্তিশালী, নিরপেক্ষ, সুসংগঠিত ও স্বচ্ছ শেয়ারবাজার অপরিহার্য। শেয়ারবাজারকে অর্থনৈতিক অগ্রগতির অন্যতম সূচক বা জাতীয় অর্থনীতির প্রতিবিম্ব হিসেবেও গণ্য করা হয়। প্রতিটি উন্নত-উন্নয়নশীল-অনুন্নত দেশের অর্থনীতিতে শেয়ারবাজারের অবস্থান অত্যন্ত ইতিবাচক নির্ধারক। সাধারণত শেয়ার হলো কোনো কোম্পানির মূল মালিকানার অংশ এবং শেয়ারবাজার হচ্ছে এমন একটি ক্ষেত্র, যেখানে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি শেয়ার, স্টক, ঋণপত্র, সিকিউরিটিজ ইত্যাদি ক্রয়-বিক্রয় করা হয়।
মূলত প্রত্যেকটি কোম্পানি বা ব্যবসার জন্য প্রয়োজনীয় মূলধন বৃদ্ধি বা মুনাফা অর্জন করার জন্য প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি দুই পদ্ধতিতে শেয়ার বিক্রি করে থাকে। স্টক এক্সচেঞ্জে রেজিস্টারের মাধ্যমে কোম্পানি বা ব্যবসার শেয়ার বিক্রি করা হয়। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন আইন, ১৯৯৩ জারির মাধ্যমে শেয়ার বা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সংরক্ষণ-বাজারের উন্নয়ন এবং এতদসংক্রান্ত বিষয়াবলি বা প্রয়োজনীয় বিধান প্রণয়নের লক্ষ্যে ১৯৯৩ সালের ৮ জুন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা হিসেবে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) প্রতিষ্ঠিত হয়। দেশের বৃহত্তম ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেড (ডিএসই) ১৯৫৪ সালে ২৮ এপ্রিল প্রতিষ্ঠিত হলেও এর বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হয় ১৯৫৬ সালে এবং দ্বিতীয় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেড (সিএসই) প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৯৫ সালে। শেয়ার ক্রয়-বিক্রয়ের মাধ্যমে মালিকানা পরিবর্তন, রক্ষণাবেক্ষণ কাজে নিয়োজিত সেন্ট্রাল ডিপোজিটারি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল) ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। দেশে ঢাকা ও চট্টগ্রাম এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে শেয়ার বেচাকেনার কর্ম সম্পাদিত হয়।
আমাদের সবার জানা যে, ১৬০২ সালে ডাচ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মাধ্যমে বিশ্বের প্রথম আনুষ্ঠানিক স্টক এক্সচেঞ্জ আমস্টারডাম স্টক এক্সচেঞ্জের যাত্রা হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে কয়েক শতকে বিশ্বব্যাপী স্টক এক্সচেঞ্জের ব্যাপক প্রসার ঘটেছে। স্টক এক্সচেঞ্জ পুঁজিপতিদের কারবার হওয়ার কারণে বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতির দেশগুলোর স্টক এক্সচেঞ্জগুলো শীর্ষস্থানে রয়েছে। ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন অব এক্সচেঞ্জেসের (ডব্লিউএফই) সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে, বাজার মূলধনের আকার বিবেচনায় আমেরিকার নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জ এবং নাসডাক স্টক এক্সচেঞ্জ হলো বিশ্বের বৃহত্তম স্টক এক্সচেঞ্জ। বর্তমানে তাদের বাজারপুঁজি বেড়েছে ৫৪ ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশি। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে এর পরিমাণ ছিল ৫০ দশমিক ৬৮ ট্রিলিয়ন ডলার। দ্বিতীয় বৃহত্তম এক্সচেঞ্জ হলো চীনের সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জ। এর বাজার পুঁজি ১০ দশমিক ০৮ ট্রিলিয়ন ডলার। ৬ দশমিক ২৩ ট্রিলিয়ন ডলারের পুঁজিবাজার নিয়ে তালিকায় তৃতীয় স্থানে আছে জাপানের টোকিও স্টক এক্সচেঞ্জ। চতুর্থ স্থানে রয়েছে ভারতীয় স্টক এক্সচেঞ্জ, যার আকার ৫ দশমিক ৫৪ ট্রিলিয়ন ডলার। এছাড়া ৫ম থেকে ১০ম স্থানে অধিষ্ঠিত দেশগুলো হচ্ছে যথাক্রমে হংকং, ফ্রান্স, কানাডা, সৌদি আরব, ব্রিটেন ও জার্মানি। গ্লোবাল ইকোনমি ডটকমের পরিসংখ্যান অনুসারে বাজার মূলধনের দিক দিয়ে ২০১৮ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৩৮তম।  
দুঃখজনক হলেও সত্য, বিগত কয়েক বছর ধরে শেয়ারবাজারে বিবিধ কূটকৌশলে প্রায় সময় বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এমনকি বাজারের প্রতি তাদের আস্থার সংকট সৃষ্টি হয়। ফলে, হারিয়ে যায় তাদের কষ্টার্জিত মূলধন। গত ৯ জানুয়ারি  গণমাধ্যমে প্রকাশিত সূত্রমতে, বিগত ৮ বছরে পুঁজিবাজার থেকে ১২ লাখ বিনিয়োগকারী মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। ২০১৬ সাল থেকে লগ্নিকারীদের বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) অ্যাকাউন্ট ক্রমান্বয়ে কমতে কমতে বর্তমানে সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের হিসাব অনুযায়ী, ২০১৬ সালে ঢাকার পুঁজিবাজারে মোট বিও অ্যাকাউন্ট ছিল ২৯ লাখ ২৯ হাজার ১৮৯টি। ২০২৪ সালে কমে হয়েছে ১৬ লাখ ৬৪ হাজার ৯৫২টি। উল্লেখ্য হিসাব মতে, আট বছরে পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী হারিয়েছে ১২ লাখ ৬৪ হাজার ২৩৭ জন। ২০২৩ সালের ১৭ লাখ ৫৬ হাজার ১০৪ বিও হিসাবের তুলনায় এক বছরে বিনিয়োগকারী কমেছে ৯০ হাজারের বেশি। বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ, পুঁজিবাজার অস্থিতিশীল হওয়ার কারণে তারা বাজারে বিনিয়োগে আস্থা হারাচ্ছেন। অনেকে মার্জির ঋণের খপ্পরে ফোর্স সেলের শিকার হয়ে সর্বস্বান্ত হয়ে বাজার ছেড়েছেন। প্রতিনিয়ত বিনিয়োগকারীরা টাকা হারাচ্ছেন।
অতিসম্প্রতি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) আয়োজিত ‘পুঁজিবাজার বর্তমান পরিস্থিতি ও করণীয়’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে ডিএসই নেতারা জানান, দেশের পুঁজিবাজার ভীষণভাবে সংকুচিত বিধায় অর্থনীতিতে এ খাত ভূমিকা পালনে ব্যর্থ হয়েছে। ওই সম্মেলনে তারা ১০ বছরে সংঘটিত অনিয়ম শনাক্ত করতে একটি নিরপেক্ষ ‘ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং’ কমিটি গঠনের প্রস্তাব পেশ করেন। অনুষ্ঠানে প্রদত্ত বক্তব্যে ডিএসইর চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম বলেন, ‘অতীতে অনেকটাই রেগুলেটরের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। এটি করতে গিয়ে অনেক অনিয়ম হয়েছে। অনেক সময় বাজারে হস্তক্ষেপ করা হয়েছে। আমরা বাজারে হস্তক্ষেপ করছি না। আগামী দিনেও করব না। বাজার বাজারের মতো চলবে। বিনিয়োগকারীদের আচরণের সঙ্গে বাজার চলবে। গত দেড় দশকে পুঁজিবাজারে সুশাসনের অবনতি সর্বনিম্ন স্তরে গিয়েছে। বাজারের বেসিক অবস্থা নষ্ট হয়ে গেছে। এত পরিমাণ অনিয়ম হয়েছে, সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে সময় লাগবে। দ্রুত সমস্যার সমাধান করব, এত সক্ষমতা এখন আমাদের নেই। আশাকরি ফেব্রুয়ারি-মার্চের মধ্যে ডিএসইর পরিকল্পনার অগ্রগতি সম্পর্কে একটি সম্যক ধারণা দেওয়া যাবে।’
পুঁজিবাজার বিশ্লেষকদের দাবি, বাজারের মূল সমস্যা হচ্ছে স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতা ও বিনিয়োগযোগ্য সিকিউরিটিজ এর অভাব। এখানে ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করলে ১০-২০টির বেশি সিকিউরিটিজ পাওয়া যাচ্ছে না। আর একটা বিষয় হচ্ছে, প্রয়োজনের বেশি বাজার মধ্যস্থতাকারী। গত ১৫ বছর স্টক এক্সচেঞ্জকে অকার্যকর করা হয়েছে। যার হাতিয়ার হিসেবে ছিল ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন স্কিম ও  ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন অ্যাক্ট। যখন এটা করা হয় তখন বলা হয়েছিল ৫ বছর পর এটা রিভিউ করা হবে। কিন্তু এখন ১০ বছরের ওপরে হয়ে গেছে এই আইনের কোনো রিভিউ করা হয়নি। তারা বিশেষভাবে অনুরোধ করেছেন এই আইনটা রিভিউ করার জন্য। তারা বিএসইসিকে একটা উচ্চ পর্যায়ের পলিসি মেকার হিসেবে দেখতে চায়। তারা আরও জানান যে, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে গত ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বাজারপুঁজি হয়েছে সাপ্লাই চেনের কারণে। দেশটি বিভিন্ন মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলোকে তাদের স্টক এক্সচেঞ্জগুলোতে তালিকাভুক্ত করতে পেরেছে। বর্তমানে আমাদের দেশের মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলোকে তালিকাভুক্ত করার একটা সুযোগ রয়েছে, যা কোনো রাজনৈতিক সরকার দ্বারা আদায় করা প্রায় অসম্ভব। তাই মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিসহ সরকারের কাছে যে শেয়ারগুলো রয়েছে, তা পুঁজিবাজারে আনার এখনই উপযুক্ত সময়, যা বিদেশী বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।     
আশাজাগানিয়ার বিষয় হচ্ছে, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার শেয়ারবাজারকে শক্তিশালী করার জন্য কিছু সংস্কার কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। ভালো ভালো কোম্পানিকে বাজারে অন্তর্ভুক্তির মধ্য দিয়ে বাজারের গভীরতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেজন্য করের সুবিধাসহ সরকারি যেসব নীতি-সহায়তার প্রয়োজন, সেসব বিষয় সরকারের বিবেচনাধীন। তাছাড়া কিছু কিছু সরকারি কোম্পানিকেও বাজারে আনার চেষ্টা চলছে। সামগ্রিক বিবেচনায় এটুকু প্রত্যাশিত যে, বিগত সরকারের সময়ে চিহ্নিত শেয়ারবাজার কারসাজিতে জড়িত প্রতিষ্ঠানকে অচিরেই আইনের আওতায় আনতে হবে। সব প্রকার অপকৌশল অবলম্বনে সিদ্ধ কথিত বিনিয়োগকারীদের যথাযথ পন্থায় অশুভ উদ্যোগ গ্রহণ থেকে বিরত রাখতে হবে। কলুষমুক্ত শেয়ারবাজার প্রতিষ্ঠায় সরকার-ব্যবসায়ী সংগঠন-ব্যবসায়ীসহ সমগ্র জনগণের বিবেকপ্রসূত সমর্থন অপরিহার্য।
লেখক : শিক্ষাবিদ

প্যানেল

×