
মা শব্দের মধ্যে লুকায়িত রয়েছে জীবনের অবিচরিত এক নাম। জীবনযুদ্ধে বারবার লড়াই করে যেতে হয় মায়েদের। সন্তানের ভালো-মন্দ সব যেন এক মায়েরই খেয়াল রাখতে হয়। সন্তান জন্ম দিয়েও বিপাকে পড়তে হয় অনেক মায়েদের। কর্মজীবী মায়েদের যেন বেশি বিপাকে পড়তে হয়। মায়ের দুগ্ধপান সন্তানের জন্য যেন পরম উপকার। ছয় মাস বয়স অবধি মায়ের দুগ্ধপান সন্তানের জন্য অতীব জরুরি। এটাই সন্তানের রোগ প্রতিরোধী ক্ষমতা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে সন্তানকে। কিন্তু এই নিয়েও যেন ভোগান্তির শেষ নেই। একজন কর্মজীবী মায়েরা সময় দিতে পারে না নবজাত সন্তানকে। তারপরও যদি শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী মায়ের দুধ সেটাও যদি বাচ্চা না পায় তাহলে তো সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হবে না। আড়াল করে সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ানোর জন্য কোনো ব্যবস্থা নেই। উন্নত সব দেশেও এই সুব্যবস্থা থাকলেও নেই আমাদের দেশে। বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানোর জন্য কোনো ব্যবস্থা নেই যেন, জনসম্মুখে লোক চক্ষুর সম্মুখীন হতে হয়। নানা রকম মানুষের নজর থাকে, কখনো কখনো তো বাজে নজরেও তাকাই। একটা শিশুর জন্য মায়েদের অনেক হীনম্মন্যতার শিকার হতে হয়। কর্মস্থলে হাজার মানুষ সেই মানুষের ভিড়ে হয়ে উঠে না বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানো। একটা ব্যবস্থা থাকলে মায়েদের অনেক উপকার হতো। অনেক দেশে ডে কেয়ার নামক সেন্টার আছে যেখানে মায়েরা কোনো রকম দ্বিধা ছাড়াই বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়াতে পারেন। বাইরের দেশের মতো এই দেশেও যদি ডে কেয়ার সেন্টার অথবা সরকারি কোনো ব্যবস্থা থাকত তাহলে মায়েরা একটু স্বস্তি পেত।
সরকারি বিএল কলেজ, খুলনা থেকে
প্যানেল