ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২

সবজি ও ফ্রুট প্রসেসিং সেন্টারের দাবি

প্রকাশিত: ১৯:৫১, ১৮ এপ্রিল ২০২৫

সবজি ও ফ্রুট প্রসেসিং সেন্টারের দাবি

এ বছর সারা শীতে বাজারে সবজির দাম খুবই কম ছিল। ফুলকপি, বাঁধাকপি, বেগুন, শিম, মুলা, পেঁয়াজকলি, এমনকি মটরশুঁটিও অন্যবারের চেয়ে বেশ কম দামে পাওয়া গেছে। সবচেয়ে কম দাম ছিল টমেটোর। এতে সাধারণ মানুষ বেজায় খুশি। মানুষ কম টাকায় ব্যাগ ভর্তি বাজার এনে মহানন্দে খেয়েছেন। কিন্তু যে চাষি উদয়াস্ত পরিশ্রম করে সেই ফসল উৎপন্ন করেছেন, তিনি কী দাম পেলেন, সে কথা আমরা ক’জন ভেবেছি। পাইকারি বাজারে কৃষক প্রতি কেজি টমেটোয় পেয়েছেন মাত্র দু’টাকা। এদিকে দেশের বিভিন্ন হাটবাজারে ৫ কেজি টমেটো বিক্রি হয়েছে মাত্র দশ টাকায়। সেই কৃষকের কত ক্ষতি হল, তা কি আমরা একবারও ভেবে দেখেছি? আজ থেকে ৩০ বছর আগে গ্রামে থাকা আমার এক ফুফাতো ভাই জানিয়েছিল যে, তার এক কৃষক বন্ধু কোনো এক শীতের দিনে এক রিক্সা-ভ্যান টমেটো নিয়ে বাড়ি থেকে প্রায় ২ মাইল দূরের হাটে গেলে সেখানে দাম চায় মোট দুই টাকা। হ্যাঁ, ২ টাকা! সেই কৃষক রাগ করে টমেটো হাটে বিক্রি না করে বাড়িতে এনে গরুকে খাইয়ে দিয়েছিল। দেখা যাচ্ছে, তিরিশ বছর পরও কৃষকের সেই অবস্থার পরিবর্তন ঘটেনি। এ সমস্যার একমাত্র সমাধান গ্রামে অধিক সংখ্যায় কোল্ড স্টোরেজ ও ফুড প্রসেসিং সেন্টার স্থাপন। যাতে গ্রামাঞ্চলের কৃষকরাও তাঁদের তৈরি উদ্বৃত্ত ফসল সেখানে রাখতে পারেন। পরে দাম বাড়লে তা বের করা যেতে পারে। বা সেই ফসল থেকে অন্য কোনও খাদ্য তৈরি করা যায়। যেমনÑ টমেটো থেকে টমেটো সস তৈরি হতেই পারে, যা বিদেশেও রপ্তানি করা যায়। আলু সংরক্ষণের জন্য অনেক কোল্ড স্টোরেজ থাকলেও অন্যান্য ফসল সংরক্ষণের জন্য তেমন পর্যাপ্ত ব্যবস্থা আছে বলে জানা নেই। আমরা মনে করি, অবিলম্বে দেশের সর্বত্র প্রতিটি সবজি  ও ফ্রুট প্রসেসিং সেন্টার স্থাপন জরুরি।
লিয়াকত হোসেন খোকন
রূপনগর, ঢাকা

প্যানেল

×