
গাজার মৃত্যুকূপে প্রতিনিয়তই নারী আর শিশু হত্যাযজ্ঞের শিকার হচ্ছে। বাড়ি-ঘর হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে খাবার, পানি, বিদ্যুৎ থেকে বঞ্চিত হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। তাতে যেন মুসলিম বিশ্বের নেতাদের কোনো ভাবান্তর নেই। এ হত্যাযজ্ঞের পেছনে আবার বিশ্বমোড়লরা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তাদের দুষ্টুচক্রে পড়ে ইসরাইল তার শকুনি থাবা গাজার ওপর বিস্তার করেই চলেছে। ইতোমধ্যেই তারা ৫০ হাজারের বেশি নারী ও শিশুদের হত্যা করেছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কোনো শিশু যেন বড় হয়ে মাথাচাড়া দিতে না পারে তার জন্য নির্বিচারে চলছে শিশু হত্যা। শিশুদের নিধন করতে পারলেই ভবিষ্যতে ইসরাইলিদের পথ পরিষ্কার হবে। গাজায় যুদ্ধবিরতি হলেও তা যেন ফাঁকাবুলি এবং পৈশাচিক ইসরাইলিদের একটা কৌশল মাত্র। গাজাবাসী মানবতার ভয়াবহ বিপর্যয়ের শিকার হলেও এক প্রকার নির্বিকারই রয়েছে জাতিসংঘ। কিন্তু সবচেয়ে অবাকের বিষয় হলো- আরব মুসলিমদের ন্যক্কারজনক ভূমিকা নিয়ে। তাদের ক্ষমতালোভের কাছে হেরে যাচ্ছে নিরীহ গাজাবাসীর চিৎকার ও আত্মনাদ। সামনের দিকগুলোতে ইরানকে ভয়াবহ চাপে ফেলতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভূমিকা হবে আরও আগ্রাসী। তাই ইরানের পাশে যদি এখনই আরব বিশ্ব না দাঁড়ায়, তাহলে একে একে মধ্যপ্রাচ্যের মসনদের সবই ডোনাল্ড ট্রাম্প যে আগুন জ্বালিয়ে দেবেন, তা নিশ্চিত করেই বলা যায়। তাই এখনই গর্জে উঠতে হবে আরব বিশ্বকে। ইরানকে সমানে রেখে প্রতিরোধে গর্জে উঠতে হবে। বাড়াতে হবে আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র এবং প্রতিরোধমূলক সরঞ্জাম। ইহুদিরা সুযোগ এবং সময় পেলেই মুসলিম নিধনে মেতে উঠবে তাতে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্যে শক্ত ঘাঁটি তৈরি করে হরমুজ প্রণালির নিয়ন্ত্রণ এবং তেল সম্পদ লুটপাট করতেই গাজায় ঘাঁটি তৈরি করতে চাচ্ছে। কেউ মাথাচাড়া দিয়ে উঠলে তার মাথাই কেটে ফেলার নীলনকশা চূড়ান্ত আয়োজন করে ফেলেছে হায়েনারা। এ সত্য যত তাড়াতাড়ি মুসলিম নেতারা বুঝতে পারবেন, ততই তাদের মুক্তি মিলবে পৈশাচিকদের কবল থেকে।
হাজী মো. রাসেল ভূইয়া
সিপাহীপাড়া, মুন্সীগঞ্জ