ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২

কর্মসংস্থানে আউটসোর্সিং

প্রকাশিত: ১৯:২৫, ১৮ এপ্রিল ২০২৫; আপডেট: ১৯:২৬, ১৮ এপ্রিল ২০২৫

কর্মসংস্থানে আউটসোর্সিং

আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে কাজের সুযোগ পাবেন দেশের ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সী কর্মক্ষম  নাগরিকগণ। এই লক্ষ্যে ‘সেবা গ্রহণ নীতিমালা-২০২৫’ জারি করেছে সরকার। যারা জন্মসূত্রে বাংলাদেশের নাগরিক,  কেবল তারা দৈনিক ভিত্তিতে জরুরি কাজ সম্পাদনে সাময়িকভাবে নিয়োগের সুযোগ পাবেন। নীতিমালায় সর্বনিম্ন বেতন ১৬ হাজার ৬৭৩ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৪২ হাজার ৯৭৮ টাকা ধার্য করা হয়েছে। মাসিক বেতন সরাসরি কর্মীর নিজস্ব ব্যাংক হিসাব অথবা মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস)-এর মাধ্যমে দেওয়া হবে। ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের হিসাব বিবরণী নিয়োগ দেওয়া কর্তৃপক্ষকে পরবর্তী মাসের বিলের সঙ্গে হিসাবরক্ষণ অফিসে আবশ্যিকভাবে দাখিল ও সমন্বয় করতে হবে। শ্রমিক নিয়োগ দেওয়া কর্তৃপক্ষ শ্রমিকের জন্য নিরাপদ ও শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করবে। শ্রমিক নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের কর্মকালে পরিবেশের ওপর যেন কোনো বিরূপ প্রভাব না পড়ে সেই বিষয়টি নিশ্চিত করবে।
বেতন পরিশোধ করা হবে কর্মকালীন মাসের পরবর্তী মাসের প্রথম সপ্তাহেই। বছরে দুটি ঈদ বোনাস, এক মাসের সেবামূল্যের অর্ধেক হারে উৎসব প্রণোদনা পাবেন কর্মীগণ। বাংলা নববর্ষে বৈশাখী প্রণোদনা পাবেন মাসিক সেবামূল্যের এক-পঞ্চমাংশ হারে। আউটসোর্সিং কর্মীরা বছরে ১৫ দিনের ছুটি পাবেন। নারী কর্মীরা পাবেন ৪৫ দিনের মাতৃত্বকালীন ছুটি এবং নারীবান্ধব কাজে তাদের অগ্রাধিকার দেওয়ার নির্দেশনা রয়েছে নীতিমালায়। একজন মাসে সর্বোচ্চ ২২ দিন কাজের সুযোগ পাবেন। নারী, পুরুষ ও তৃতীয় লিঙ্গের মধ্যে কোনো বৈষম্য করা যাবে না। খুবই চমৎকার, জনবান্ধব ও লিঙ্গ বৈষম্যহীন  উদ্যোগ। বয়স প্রমাণে জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা জন্মনিবন্ধন সনদ থাকতে হবে। কর্মীদের বেতন  দেওয়া হবে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস অথবা ব্যাংক হিসাবে। প্রতিটি শ্রমিকের জন্য নিরাপদ ও নারীবান্ধব কর্মপরিবেশ নিশ্চিয়তার কথা বলা হয়েছে প্রদত্ত নীতিমালায়। কর্মীদের অর্থনৈতিক নিরাপত্তার বিষয়টিও গুরুত্ব পেয়েছে নীতিমালায়। তাদের জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের অধীনে পরিচালিত সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সুযোগ থাকবে। প্রতিটি কর্মীকে প্রতি অর্থবছরে দুটি করে ইউনিফর্ম সরবরাহ করা হবে এবং দায়িত্ব পালনের সময় তা পরিধান বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
সরকার আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে দক্ষ, স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক এবং মানসম্পন্ন সেবা নিশ্চিত করতে চায়। সেবাকর্মীদের উৎসাহ দান, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং দেশের মানুষকে গণসেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে আউটসোর্সিং একটি সময়োচিত উদ্যোগ। সরকারের এ উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই।

প্যানেল

×