
প্রতিবাদের নামে ভাঙচুর, হামলা ,লুটপাট কখনো কি সুফল বয়ে আনে। ব্যবসায় ক্ষতি, অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে বাধা, কোন ধরনের আন্দোলন আসলেই কি প্রতিবাদের ভাষা নাকি হিংসার কারণে এই ধরনের কর্মকাণ্ডের সৃষ্টি। আজ এখানে ভাঙচুর কাল ওখানে লুটপাট, এই জিনিসগুলো কি আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কাজে লাগে না।দিন শেষে ক্ষতিগ্রস্থ হয় কারা? দেশে আইন প্রয়োগের ব্যবস্থা বহাল থাকা সত্বেও এই ধরনের কর্মকাণ্ডের সৃষ্টি কারা করছে, কেন করছে এগুলোর সুষ্ঠু প্রতিবেদন প্রকাশ করা জরুরি। একটা ব্যবসার মাধ্যমে সেই পরিবারের ভরণপোষণ কিংবা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত লোকদের কর্মসংস্থানের আস্থা। তাদের পরিবারের সদস্যদের বেঁচে থাকার অবলম্বন। এক মিনিটে তা ধ্বংস, কারো কাছে কি এর ফলাফল ভালো হতে পারে। দেশপ্রেমিক কখনো দেশের সম্পদ নষ্ট করে না। মানুষ রূপে কিছু অমানুষের কর্মকাণ্ডে আমাদের লজ্জিত হতে হয়। আমাদের আগামী প্রজন্ম এগুলো থেকে কি শিক্ষা নিবে, ভেবে দেখেছেন কি? উন্নয়নের পথে বাধা কখনো উন্নয়নের পথে এগিয়ে যেতে পারে না। দেশের উন্নয়নে সবচেয়ে বেশি লাভবান হয় কারা। এই আমরাই তো। দেশের সম্পদ, দেশের ধ্বংস কখনো কারো কাম্য হওয়া উচিত না। জনগণকে নিয়েই দেশ পরিচালিত হয়। দেশের বিপদে দেশের জনগণই আগে এগিয়ে আসবে। তাই নিজের দেশের মধ্যে শত্রু বাড়িয়ে আমরা কি কখনো উন্নয়নের পথে এগিয়ে যেতে পারবো। বিশ্বের অন্যান্য দেশের সাথে তুলনা করলে পার্থক্যটা নিজেরাই অনুধাবন করতে পারবো। ওদের দেশেও সমস্যা হয়, তাই বলে ওরা দেশের সম্পদ নষ্ট করে প্রতিবাদের পথে এগিয়ে যায় না। কথায় বলে পাগলও নাকি নিজের ভালো বুঝে। আসলে আমরা বাঙালি, পরের সুখে নিজের গায়ে আগুন জ্বলে। তাই কিছু করতে পারি আর না পারি, পরের সুখে আগুন জ্বালাতে আর আগুনে ঘি ঢালতে বড়ই ওস্তাদ। তাই তো আমাদের মাঝে তৃতীয় পক্ষ এসে ফায়দা লুটে নেয়। আমরা হলাম বোকা জাতি। যে সম্পদ নষ্ট করি, তা কি কেউ নতুন করে গড়ে দেয়, দেয় না তো। এই আমাদের টাকা দিয়েই আবার তৈরি হয়। আমরা সহজে কোন জিনিসের মর্ম বুঝি না। নেড়ে চেড়ে ঘোলাটে করে খাই। ব্যক্তিগত রেশের বশবর্তী আর নয়, এই দেশ আপনার আমার সবার। আমাদের নিজেদের কর্মকাণ্ডের জন্যই অন্য দেশের লোকেরা আমাদের সাথে বৈরী আচরণ করে। প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, ব্যক্তি স্বার্থের ঘেরাকলে থেকে বেরিয়ে আসুন, জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করুন। আপনাদের সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপেই পারে এই ধরনের কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে। দেশের সম্পদ দেশের জনগণকে রক্ষা করতে হবে। নতুবা আপনাদের উপর জনগণের আস্থা নষ্ট হতে বেশি দিন লাগবে না। আমরা আইন নিজের হাতে তুলে নিতে চাই না। কারণ আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা আমাদের কর্তব্য। সামাজিক সুস্থতা, সামাজিক নিরাপত্তা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ন্যস্ত। দেশকে ভালোবেসে দেশের দেবায় নিয়োজিত থাকুন।
উত্তরা, ঢাকা থেকে