
সমাজে শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য ভাঙচুর, লুটপাট ও হামলার মতো সহিংস কার্যকলাপ প্রতিরোধ করা অত্যন্ত জরুরি। এসব ঘটনা শুধু ব্যক্তিগত ক্ষতির সীমায় আবদ্ধ থাকে না, বরং পুরো সমাজের স্থিতিশীলতা ও আইনশৃঙ্খলার ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। তাই এই সমস্যার স্থায়ী সমাধানে চাই সম্মিলিত উদ্যোগ, কার্যকর ব্যবস্থা এবং সচেতনতা। প্রথমত, শক্তিশালী ও ন্যায়ভিত্তিক আইন প্রয়োগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা অপরিহার্য। অপরাধ করে কেউ পার পেয়ে গেলে, সেটাই অন্যদের জন্য উৎসাহ হয়ে দাঁড়ায়। তাই সুষ্ঠু তদন্ত ও দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে হবে। বিশেষ করে রাজনৈতিক বা গোষ্ঠীগত সহিংসতার ক্ষেত্রেও আইন সবার জন্য সমানভাবে কার্যকর হতে হবে। দ্বিতীয়ত, সামাজিক সচেতনতা বাড়াতে হবে। স্কুল, কলেজ ও গণমাধ্যমের মাধ্যমে মানুষকে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের গুরুত্ব বোঝানো প্রয়োজন। সহিংসতা কোনো সমস্যার সমাধান নয়, এই বার্তাটি বারবার পৌঁছে দিতে হবে জনমানুষের কাছে। তৃতীয়ত, নেতৃত্বে থাকা ব্যক্তিদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করা জরুরি। রাজনৈতিক নেতা, ধর্মীয় নেতা বা সামাজিক প্রভাবশালী ব্যক্তিরা যদি সহিংসতার বিরুদ্ধে স্পষ্ট অবস্থান নেন, তাহলে সাধারণ মানুষও সহিংসতা থেকে দূরে থাকবে। চতুর্থত, স্থানীয়ভাবে সংকট সমাধানের ব্যবস্থা রাখতে হবে। এলাকার কোনো সমস্যা যেন সহিংসতায় রূপ না নেয়, সেজন্য স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও সুশীল সমাজের মধ্যে সমন্বয় থাকা দরকার। দ্রুত হস্তক্ষেপ ও শান্তিপূর্ণ সংলাপের মাধ্যমে অনেক সংঘর্ষ এড়ানো সম্ভব।সবচেয়ে বড় কথা, আমাদের প্রত্যেককে ব্যক্তিগতভাবে সচেতন হতে হবে। ঘৃণা ছড়ানো, গুজব ছড়ানো কিংবা উসকানিমূলক আচরণ থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ শান্তি রক্ষা শুধু রাষ্ট্র বা পুলিশের দায়িত্ব নয়Ñ এটা আমাদের সবার দায়িত্ব।
সরকারি ব্রজমোহন কলেজ, বরিশাল থেকে