ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ৩ বৈশাখ ১৪৩২

বিনিয়োগ সম্মেলন ॥ প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি

খালিদ ইবনে আমিন

প্রকাশিত: ২১:০০, ১৫ এপ্রিল ২০২৫

বিনিয়োগ সম্মেলন ॥ প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি

.

বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতাসীন হয়ে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী চীনের বিরুদ্ধে শুল্কযুদ্ধ ঘোষণার পর, দুনিয়াজুড়ে হৈচৈ, অস্থরিতা বিরাজমান। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিমসটেক সম্মেলন পরবর্তী বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ঢাকায় আয়োজন করেছে চারদিনব্যাপী (৭-১০ এপ্রিল) আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সম্মেলন। এ সম্মেলনে স্বাগতিক দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ১২০০ কোটি টাকার একটি বিশেষ তহবিল গঠনের ঘোষণা দিয়েছে, যা দিয়ে দেশের নতুন উদ্যোক্তাদের অর্থায়ন করা হবে। পিছিয়ে নেই দেশীয় শিল্পগোষ্ঠীও। ইনসেপ্টা গ্রুপ স্টার্টআপ খাতে গতি সঞ্চারের জন্য ১০ লাখ ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে। যা আগামীর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগের পাশাপাশি দেশীয় বিনিয়োগকেও ব্যাপক উৎসাহ জোগাবে।
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে মোট পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই করে হাছান মোহিন চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস। এর মধ্যে রয়েছে একটি ত্রিপক্ষীয় ও চারটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তি। অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো হলোÑ ইউনিভার্সাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, বীকন ফার্মাসিউটিক্যালস, দ্য এন্টারপ্রিনিউর গ্রুপ, জেপিজি ইনভেস্টমেন্ট ও হাছান মোহিন চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস। এই পাঁচটি সমঝোতা স্মারক দেশের স্বাস্থ্য, আর্থিক ও প্রযুক্তি খাতে নতুন বিনিয়োগ সম্ভাবনার দিক উন্মোচন করবে। ব্যক্তি খাতভিত্তিক চারটি সমঝোতা চুক্তি দেশের অর্থনীতিতে বেসরকারি বিনিয়োগে ইতিবাচক প্রবাহ সৃষ্টি করবে। সম্মেলনের শেষ দিনে বিডা ও যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান কোয়েস্ট ওয়াটার গ্লোবাল ইনক-এর মধ্যেও একটি গুরুত্বপূর্ণ সমঝোতা স্মারক সই হয়। এই চুক্তির আওতায় প্রতিষ্ঠানটি ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শহরে সুপেয় পানির শোধনাগার নির্মাণে কাজ করবে। এর ফলে দেশের জনগণ নিরাপদ ও বিশুদ্ধ পানি পাবে।
সদ্যসমাপ্ত বিনিয়োগ সম্মেলনে দক্ষিণ কোরিয়ার ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল এ দেশে সবচেয়ে বড় বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সুইডিশ কোম্পানি নির্লন বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে (বিএসইজেড) ১৩ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে। ব্রিকস গঠিত নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এনডিবি) চলতি বছর বাংলাদেশে এক বিলিয়ন বা ১০০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করতে চেয়েছে। কানাডার কোয়েস্ট ওয়াটার গ্লোবাল বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ব্যবসা সম্প্রসারণের কথা জানিয়েছে স্পেনের সিমেন্ট কোম্পানি লাফার্জহোলসি, খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান ইন্ডিটেক্স এবং চীনের অ্যাপারেল কোম্পানি হান্ডা ইন্ডাস্ট্রিজ। চীনের খ্যাতনামা পোশাক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হান্ডা ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড বাংলাদেশে ১৫ কোটি ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। যার ফলে দুই-এক বছরের মধ্যে দেশে ১৫ হাজার লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। মোট বিনিয়োগের ১০ কোটি ডলার অর্থনৈতিক অঞ্চলের আওতায় টেক্সটাইল ও ডাইং খাতে এবং পাঁচ কোটি ডলার রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে গার্মেন্টস শিল্পে বিনিয়োগ করবে। চীনের বাণিজ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগ সম্ভাবনা দেখতে আগামী মে মাসে ২০০ বিনিয়োগকারী সফরে আসবেন। কয়েকটি চীনা কোম্পানি ইলেকট্রনিক ভেহিক্যাল ট্রানজিশন, লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি উৎপাদন, উইন্ড টারবাইনের মতো নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস এবং অফশোর ফটোভোলটাইক সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনে বিনিয়োগের আগ্রহ দেখিয়েছে। চীনের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা চট্টগ্রামে চীনা অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং মোংলায় পরিকল্পিত চীনা অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এদিকে ডিপি ওয়ার্ল্ড গ্রুপ মাতারবাড়ীতে মুক্তবাণিজ্য জোন তৈরিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। চীনা বিনিয়োগকারীরা নানা সমস্যার কথাও বলেছেন- তোমাদের নীতি ভালো, তোমাদের দেশের নীতিনির্ধারকদের বড় বড় কথা শুনতেও ভালো লাগে, কিন্তু তোমাদের মাঠ পর্যায়ে গেলে আমরা অনেক জটিলতা দেখতে পাই।
সংযুক্ত আরব আমিরাতভিত্তিক দুটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে ক্যান্সার হাসপাতাল নির্মাণসহ স্বাস্থ্য খাতে শত মিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে পৃথক দুটি সমঝোতা স্মারক সই করেছে। স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগে অগ্রহ দেখিয়েছে যুক্তরাজ্যের বাণিজ্য দূত ব্যারোনেস রোজি উইন্টারটন। তিনি বাংলাদেশের শিক্ষা খাতে প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তি বিনিময় ও দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারিত্বের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন। টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির জন্য বাণিজ্য ও বিনিয়োগ উন্নয়নের লক্ষ্যে বিডা, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এবং জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) একটি অভিপত্রসইসহ বিভিন্ন চুক্তি হয়েছে। বিনিয়োগ সম্মেলনে চীন, জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, ভারতসহ বিভিন্ন দেশের ৩৬ বিনিয়োগকারী ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে অবস্থিত বিএসইজেড বা জাপানি অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করে সন্তোষ প্রকাশ করেন। প্রথমে তাদের অর্থনৈতিক অঞ্চলের অবকাঠামো ও অন্যান্য সুবিধা সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়। তারা সিঙ্গারের কারখানাও ঘুরে দেখেন। এ সময় বিএসইজেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারো কাওয়াচি বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে কী ধরনের আধুনিক কারখানা স্থাপন করা সম্ভব, তার ভালো উদাহরণ হতে পারে বিএসইজেডে স্থাপিত সিঙ্গারের কারখানা। মাত্র ২০ মাস সময়ের মধ্যে সম্পূর্ণ নির্মাণ কাজ শেষ করেছে সিঙ্গার। সে জন্য তারা বিনিয়োগ করেছে ৭৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বর্তমানে এই কারখানায় প্রতি মাসে ৫০ হাজার পিস (ইউনিট) ফ্রিজ ও ১০ হাজার পিস (ইউনিট) টেলিভিশন তৈরি হচ্ছে।
চারদিনের সম্মেলনে তরুণ প্রজন্মকে সামনে রেখে ২০৩৫ সালের রূপরেখা তুলে ধরে বাংলাদেশে বিনিয়োগের অমিত সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন আয়োজকরা। সম্মেলনে দেশ-বিদেশের ৪৫০-এর মতো বিনিয়োগকারী অংশ নেয়। সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে বিশ্বব্যাংক গ্রুপের আয়োজনে বাংলাদেশ কান্ট্রি প্রাইভেট সেক্টর ডায়াগনস্টিক শিরোনামের সেমিনারে ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশন জানিয়েছে, বাংলাদেশের ব্যবসায় বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বড় পাঁচটি সমস্যা রয়েছে। জরিপের তথ্য উল্লেখ করে সংস্থাটি জানায়, ব্যবসায়ীদের ২১ শতাংশ বিদ্যুতের সমস্যা, ১৭ দশমিক ২ শতাংশ ঋণ পেতে জটিলতা, ১৩ শতাংশ দুর্নীতি, ৯ দশমিক ৭ শতাংশ ব্যবসায়ী অপ্রাতিষ্ঠানিক ব্যবসার কারণে এবং ৮ দশমিক ৭ শতাংশ ব্যবসায়ী কর হারের কারণে ব্যবসা করতে পারছেন না। প্রধানত ৫টি কারণে (সম্পদের প্রাপ্তি, নীতির ধারাবাহিকতা, দুর্নীতি-আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, ঋণ জটিলতা, বিদ্যুতের সমস্যা) বিদেশী ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রায় হারিয়ে ফেলেন। সেমিনারে বিশ্বব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান আইএফসিও বাংলাদেশে ব্যবসায় পাঁচ ধরনের বড় সমস্যার কথা বলেছে। 
দক্ষিণ কোরিয়ার বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ইয়ংওন করপোরেশনের চেয়ারম্যান কিহাক সুংয়ের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। যেখানে কোরিয়ান প্রতিনিধি দলে এলজির কর্মকর্তাদের পাশাপাশি টেক্সটাইল, ফ্যাশন, স্পিনিং, লজিস্টিকস, স্বাস্থ্যসেবা, বিদ্যুৎসহ নানা খাতের কোম্পানির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। ইয়ংওন করপোরেশনের চেয়ারম্যান কিহাক সুং জানান, তার কোম্পানি আগামী কয়েক মাসের মধ্যে চট্টগ্রামে একটি টেক্সটাইল এবং ফ্যাশন কলেজ প্রতিষ্ঠা করবে, যাতে একটি ট্যালেন্টপুল তৈরি করা যায়। যা বাংলাদেশকে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় টেক্সটাইল হাবে রূপান্তর করতে সহায়তা করতে পারে। এ সময় দক্ষিণ কোরিয়ার ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করতে তাদের নানা প্রতিশ্রুতির কথা তুলে ধরেন। এর আগে কোরিয়ান বিনিয়োগকারী দল চট্টগ্রামে কোরিয়ান এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোন (কেইপিজেড) পরিদর্শন কালে কয়েকজন বিনিয়োগকারী ইয়ংওন করপোরেশনের মালিকানাধীন এবং পরিচালিত শিল্প পার্কে অবিলম্বে বিনিয়োগের জন্য প্রতিশ্রুতি দেন। কোরিয়ান প্রতিনিধি দল জানান, বাংলাদেশের ওষুধ শিল্প দ্রুত বর্ধনশীল এবং দেশটির বিকশিত বৈশ্বিক বাণিজ্য ল্যান্ডস্কেপে ওষুধের একটি নেতৃস্থানীয় রপ্তানিকারক দেশ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। একজন বিনিয়োগকারী বাংলাদেশে একটি এপিআই (অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রেডিয়েন্ট) প্লান্ট স্থাপনে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। 
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (বিস) গবেষণা পরিচালক ও অর্থনীতিবিদ ড. মাহফুজ কবির  নিজেও বিনিয়োগ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। তার কথা, এবার এই সম্মেলনের আয়োজনটি ছিল স্মার্ট ও ব্যতিক্রমী।  বিভিন্ন পেজেন্টেশন এবং আলোচনার মধ্য দিয়ে বিদেশীদের কাছে বাংলাদেশের আকর্ষণ তুলে ধরা গেছে। বিনিয়োগ বোর্ডের নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী স্মার্ট উপস্থাপনায় সুপরিকল্পিতভাবে সব তুলে ধরেছেন। এতে বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিং ভালো হয়েছে। এখানে কোরিয়া ও চীনসহ ইউরোপ-আমেরিকার বিনিয়োকারীরা এসেছেন। বাংলাদেশে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আমরা যদি সুষ্ঠু পরিবেশ দিতে পারি, তাহলে এখানে বিনিয়োগকারীরা আসবেন। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের যে বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু হয়েছে, তাতে মনে করি ১০০ কেন এক হাজার চীনা কোম্পানি এখানে আসবে। 
সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (নাসা) আর্টেমিস অ্যাকর্ডের সঙ্গে যুক্ত হয় বাংলাদেশ। এ চুক্তির মধ্য দিয়ে ৫৪তম দেশ হিসেবে নাসার সঙ্গে যুক্ত হলো বাংলাদেশ। এ সময় নাসার ভারপ্রাপ্ত প্রশাসক জ্যানেট পেট্রো (ভার্চুয়ালি), ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান স্টিফেন ইবেলি ও অ্যাক্টিং ইকোনমিক ইউনিট চিফ জেমস-এস গারডিনার ও বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) চেয়ারম্যান উপস্থিত ছিলেন।  
বিডা জানিয়েছে, এবারের বিনিয়োগ সম্মেলনের মাধ্যমে বিদেশী বিনিয়োগের একটি পাইপলাইন তৈরি হয়েছে। 
সামনের দিনগুলোতে বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার মাধ্যমে বিনিয়োগ ত্বরান্বিত করার প্রচেষ্টা চালানো হবে। এরই মধ্যে যেসব প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগের প্রস্তাব কিংবা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তাদের সঙ্গে ধারাবাহিক যোগাযোগ করা হবে। বিদেশী বিনিয়োগকারীরা সাধারণত ১৮-২৪ মাস সময় নেন বিনিয়োগ করতে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ধরে ধরে আমরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করব। বহু বছরের জটলা পাকানো বাণিজ্যনীতি, আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে আঞ্চলিক কিংবা উপ-আঞ্চলিক সম্পর্ক উন্নয়নে বাংলাদেশ খুব একটা সুবিধাজনক অবস্থানে ছিল না এতদিন। বাংলাদেশে  রাজনৈতিক পটপরিবর্তন উত্তর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, শান্তিতে নোবেল লরিয়েট অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে নতুন বৈশ্বিক বাণিজ্য যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি আয়োজিত অন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সম্মেলন একটি দূরদর্শী ও বিজ্ঞোচিত পদক্ষেপ। দেশবাসী অত্যন্ত আশাবাদী, আগামীর বাংলাদেশ হবে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগবান্ধব বাংলাদেশ। বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে ঘুরে দাঁড়ানোর বাংলাদেশ।
    লেখক : সাংবাদিক

প্যানেল

×