ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২

বাড়ছে মশার প্রকোপ

প্রকাশিত: ২০:০৩, ১১ এপ্রিল ২০২৫

বাড়ছে মশার প্রকোপ

বসন্তের বাতাস বইতে  শুরু  করেছে, শীত বিদায় নিচ্ছে সঙ্গে মশার প্রকোপ বাড়ছে। সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে মশার উৎপাত বেড়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে, রাজধানী ঢাকায় মশার উপদ্রব ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বিল্ডিংগুলোর ছয়-সাততলা পর্যন্ত মশার উপদ্রব দেখা যাচ্ছে। সরকার এবং সিটি করপোরেশনগুলো নানা উদ্যোগ আর অভিযানের পরও মশার কাছে যেন হার মানছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন। বছরে শত কোটি টাকা খরচ করেও নগরবাসীকে মশার যন্ত্রণা ও ডেঙ্গু আতংক থেকে রক্ষা করতে পারছে না। মশার উপদ্রব থেকে রক্ষা পেতে নিয়মিত ফগার মেশিনে মশার ওষুধ ছিটানো হচ্ছে ঢাকা দুই সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধানে। কিন্তু এতে উচ্চ শব্দ আর প্রচুর ধোঁয়া হলেও কমছে না মশার প্রকোপ। শীত বিদায়ের সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা বাড়ছে। গ্রীষ্মকালে গরম ও আর্দ্র আবহাওয়ায় দ্রুত বংশবৃদ্ধি করে। কারণ মশার জীবনচক্রের জন্য উষ্ণ ও ভেজা পরিবেশ অনুকূল।
নগর কর্তৃপক্ষ ও পৌরসভাগুলোকে এ বছর মশানিধন অভিযান কঠোরভাবে পরিচালনা করতে হবে। শহরের ঘনবসতি, দুর্বল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, নর্দমা এবং জলাবদ্ধতা পরিষ্কার রাখার নিয়মিত কর্মসূচি রাখতে হবে। মশার লার্ভা ধ্বংসের জন্য কীটনাশক স্প্রে করতে হবে। জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য টেলিভিশন ও অন্যান্য মাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রচার করতে হবে। প্রশাসনের এসব উদ্যোগের পাশাপাশি জনসচেতনতা জরুরি। প্রতিদিন নিজ বাড়ি-ঘর এবং চারপাশ পরিষ্কার রাখা, মশারি এবং মশা তাড়ানো স্প্রে ব্যবহার করা। এছাড়াও ঘরোয়া প্রাকৃতিক উপায়ে যেমন- শুকনো নিমপাতা, তেজপাতা এবং কর্পূরে আগুন দিয়ে বের হওয়া ধোঁয়া পুরো বাড়িতে ছড়ানো, রসুনের রস পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা, পানি ও ভিনেগার মিশিয়ে স্প্রে করার মাধ্যমে মশার প্রকোপ কমানো যেতে পারে। কারণ, মশা প্রাকৃতিক গন্ধ পছন্দ করে না। তাই মশানিধনে সরকার ও জনগণ সমানভাবে সচেতন থাকতে হবে এবং সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। তবেই মশার প্রকোপ কমানো এবং মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধ সম্ভব।

জেসিয়া তাবাসসুম জাহিন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা

×