
ছবি : সংগৃহীত
অনেকেই পেঁপে খেতে পছন্দ করেন, কিন্তু এর বীজ ফেলে দেন। পেঁপের বীজে রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণ ও ঔষধি গুণাবলী যা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। জেনে নিন পেপের বীজ খাওয়ার ৯টি আশ্চর্যজনক উপকারিতা-
১. লিভার ডিটক্সিফিকেশন
পেপের বীজে থাকা এনজাইম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট লিভার থেকে টক্সিন দূর করে এবং ফ্যাটি লিভারের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।
২. পাচনতন্ত্রের উন্নতি
পেপের বীজে প্যাপাইন নামক এনজাইম থাকে, যা প্রোটিন হজমে সাহায্য করে, গ্যাস, অ্যাসিডিটি ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
৩. কিডনি সুরক্ষা
এতে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান কিডনি স্টোন ও ইনফেকশন প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে।
৪. পরজীবী নাশক
পেপের বীজে কার্পাইন নামক যৌগ রয়েছে, যা অন্ত্রের কৃমি ও পরজীবী ধ্বংস করে। এক চা চামচ বীজ গুঁড়ো করে গরম পানির সাথে খেলে উপকার মিলবে।
৫. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ
পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ পেপের বীজ উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সহায়ক।
৬. ইমিউনিটি বুস্টার
ভিটামিন সি, ফ্ল্যাভোনয়েড ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
৭. ওজন কমাতে সাহায্য
ফাইবার ও কম ক্যালোরিযুক্ত পেপের বীজ মেটাবলিজম বাড়ায় এবং অতিরিক্ত ফ্যাট জমতে বাধা দেয়।
৮. ত্বক ও চুলের যত্ন
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের ব্রণ ও বলিরেখা কমায়, চুলের গোড়া শক্ত করে। বীজ গুঁড়ো করে মধুর সাথে ম্যাসাজ করলে ভালো ফল মেলে।
৯. ক্যান্সার প্রতিরোধে ভূমিকা
লাইকোপিন ও আইসোথায়োসায়ানেট ক্যান্সার সেল বৃদ্ধি রোধে সাহায্য করে, বিশেষ করে প্রোস্টেট ও ব্রেস্ট ক্যান্সারে।
কিভাবে খাবেন?
- কাঁচা বীজ সরাসরি চিবিয়ে খেতে পারেন।
- শুকিয়ে গুঁড়ো করে সালাদ, স্মুদি বা দইয়ে মিশিয়ে নিন।
- প্রতিদিন ১ চা চামচের বেশি না খাওয়াই ভালো, কারণ অতিরিক্ত খেলে পেটে অস্বস্তি হতে পারে।
সতর্কতা: গর্ভবতী নারী ও যাদের পেপেতে অ্যালার্জি আছে, তাদের এড়িয়ে চলা উচিত।
পুষ্টিগুণে ভরপুর পেপের বীজ ফেলে না দিয়ে আজই ডায়েটে যোগ করুন এবং সুস্থ থাকুন!
আঁখি