ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ৩১ মার্চ ২০২৫, ১৭ চৈত্র ১৪৩১

গাছ কাটা বন্ধ করতে হবে

প্রকাশিত: ২০:১২, ২৮ মার্চ ২০২৫

গাছ কাটা বন্ধ করতে হবে

বাংলাদেশের প্রাকৃতিক ঐতিহ্য ও পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষার জন্য সুন্দরবন অন্যতম। কিন্তু সময়ের সঙ্গে পৃথিবীর বৃহত্তম ব-দ্বীপ এলাকা সুন্দরবনের পরিবেশের পরিবর্তন দেখা দিচ্ছে। সুন্দরবন এলাকায় লবণাক্ত জলভাগ বাড়ার সঙ্গে কমছে স্থলভাগ। একই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কমছে সবুজ। সুন্দরবনে বহু দিন ধরেই চলছে অবাধ বৃক্ষচ্ছেদন। যেমনÑ ধুধুল, পশুর, গরান, হেঁতাল, শাল, সেগুন। নিয়মিতভাবে এসব গাছ কাটার ফলে পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ অরণ্য আজ বিপন্ন। এভাবে চলতে থাকলে অচিরেই হয়তো এটি ধ্বংসের পথে এগিয়ে যাবে। সুন্দরবনের আমূল বনসম্পদ পরির্বতনের কারণে ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। ফলে আছড়ে পড়ছে একের পর এক ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়। আবহাওয়ার পরিবর্তন জলোচ্ছ্বাস বাড়ছে।
বন আইন, সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে কাঠ পাচারকারীরা বেপরোয়া হয়ে উঠলেও বন সংরক্ষণের দায়িত্বে থাকা বনবিভাগ রহস্যজনক কারণে কাঠ পাচার রোধে রয়েছে উদাসীন। এতে করে সরকার বঞ্চিত হয় রাজস্ব থেকে, অন্যদিকে ধ্বংস হচ্ছে সুন্দরবন। গাছ কাটা বাড়ার ফলে বনের প্রাণিকুল বিপন্ন হয়ে পড়ছে। রয়েল বেঙ্গল টাইগার, চিতল হরিণসহ অনেক বিরল প্রাণীর জীবন আজ হুমকির মুখে। অযাচিত গাছ কাটা বন্ধ করতে সরকার ও সাধারণ জনগণকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। কঠোর আইন প্রয়োগ, বনরক্ষীদের কার্যকরী ভূমিকা এবং স্থানীয় জনগণের সচেতনতা বাড়ানো জরুরি। পর্যটন শিল্পের সঠিক ব্যবস্থাপনা এবং বিকল্প আয়ের সুযোগ সৃষ্টি করে গাছ কাটা রোধ করা সম্ভব। বন বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ, সুন্দরবনে অযাচিত গাছ কাটা বন্ধ করতে কঠোর আইনি পদক্ষেপ ও জনসচেতনতাসহ যথাযথ কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হোক।

রিতিকা
ঢাকা

×