ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ৩১ মার্চ ২০২৫, ১৭ চৈত্র ১৪৩১

ঈদে নিরাপত্তা জরুরী

প্রকাশিত: ২০:০২, ২৮ মার্চ ২০২৫

ঈদে নিরাপত্তা জরুরী

অনেকে দৈনন্দিন প্রয়োজনে, আবার কেউ  শখ পূরণের জন্য বাইক ক্রয় করেন। তবে সাম্প্রতিক সময়ে বাইক ব্যবহারকারীদের জন্য বড় উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বাইক চুরি। প্রায়শই দেখা যায়, কেউ নির্দিষ্ট স্থানে বাইক পার্কিং করে তার কাজে ব্যস্ত হয়ে পরেন। কিন্তু ফিরে এসে দেখেন, তার প্রিয় বাহনটি আর নেই। অল্প সময়ের মধ্যেই চোরেরা অত্যন্ত চতুরতার সঙ্গে বাইক নিয়ে উধাও হয়ে যায়, যা মালিকের জন্য চরম হতাশার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি। বাইক চুরির ঘটনা প্রতিরোধে পুলিশের নজরদারি বাড়াতে হবে এবং চোর শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি, বাইক নির্মাতা কোম্পানিগুলোরও উন্নত প্রযুক্তির লকিং সিস্টেম চালু করা উচিত, যাতে বাইক চুরি করা কঠিন হয়ে ওঠে। বাইকের নিরাপত্তা আরও জোরদার করতে জিপিএস ট্রাকিং প্রযুক্তি অত্যন্ত কার্যকর হতে পারে। বাইকে জিপিএস লাগানোর মাধ্যমে মালিকরা যেকোনো সময় তাদের বাইকের অবস্থান শনাক্ত করতে পারবেন। চুরি হয়ে গেলেও সহজেই বাইকের সঠিক লোকেশন বের করা সম্ভব হবে, যা বাইক উদ্ধারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
তবে শুধুমাত্র আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও বাইক প্রস্তুতকারকদের ওপর দায়িত্ব ছেড়ে দিলে চলবে না। বরং আমাদের প্রত্যেককে সচেতন হতে হবে। বাইক পার্কিংয়ের সময় নির্দিষ্ট ও নিরাপদ স্থানে লক করা, সিসিটিভির আওতাভুক্ত স্থানে রাখার মতো সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। বাইকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টাই একমাত্র সমাধান। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর পদক্ষেপ, উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার, জিপিএস ট্র্যাকিং এবং ব্যক্তিগত সচেতনতা—এই চারটি দিক একসঙ্গে কাজ করলেই বাইক চুরির প্রবণতা রোধ করা সম্ভব হবে।
আবু হুসাইন  
ঢাকা

×