ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৯ মার্চ ২০২৫, ১৫ চৈত্র ১৪৩১

ঈদ সবার উৎসব

তিথি দাস

প্রকাশিত: ২০:২৭, ২৬ মার্চ ২০২৫

ঈদ সবার উৎসব

“ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ”Ñ ঈদ মুসলমানদের জন্য একটি বিশেষ উৎসব, যাকে সারাবিশ্বে ধর্মীয় ও সামাজিক আনন্দের প্রতীক হিসেবে পালন করা হয়। ঈদুল ফিতর রোজার শেষে সবাইকে একত্রিত করে। এই সময়ে, মানুষ নতুন কাপড় পরে নামাজে যায়, একে অপরের সঙ্গে হাসি-খুশি বিনিময় করে এবং একে অপরকে ঈদ মোবারক বলার জন্য প্রস্তুত হয়। ঈদ শুধু একটি ধর্মীয় উৎসবই নয়, এটি একটি আনন্দ ভাগাভাগির সময়। প্রাচ্যের সমাজে পরিবার ও বন্ধু-বান্ধবদের সংগঠিত করে ঈদ উৎসব পালন করার একটি বিশেষ রীতি রয়েছে। পরিবারের পুরনো সদস্যরা একত্রিত হয়ে ছোটদের জন্য উপহার নিয়ে আসে এবং একসঙ্গে খাবারের টেবিলে বসে আনন্দ ভাগাভাগি করে। এই মিলনমেলায় সবাইকে নিয়ে আনন্দিত হতে দেখা যায়, যা একটি অসাধারণ মুহূর্ত।
ঈদে দানের ব্যাপারটি উল্লেখযোগ্য। এটা শুধু অতীতের অভ্যাসই নয়, বরং আমাদের আত্মসমবেদনা ও সহানুভূতির সংঘটন। গরিবদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করার জন্য ঈদের আগে এবং পরেও খাদ্য বিতরণ করে, সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষদের সাহায্য করা হয়। এভাবে ঈদ যেমন আমাদের আনন্দিত করে, তেমনি আমাদের মানবতার প্রতি দায়িত্বশীল হতে উৎসাহিত করে।
এছাড়া ঈদ উপলক্ষে বিভিন্ন অঞ্চলে বিশেষ খাদ্যের প্রস্তুতি হয়। যেমন সেমাই, জিলাপি, কাবাব ও বিভিন্ন সুস্বাদু খাবারÑ যা ঈদের আনন্দকে অনেকাংশে বাড়িয়ে তোলে। এসব খাবার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বসে খাওয়া হয়, যা একেকটি মুহূর্তকে আরও আপনার করে তোলে। তরুণ প্রজন্মও ঈদের আনন্দ ভাগাভাগির এই স্রোতে যুক্ত হচ্ছে। সামাজিক মিডিয়ার মাধ্যমে তারা আনন্দের ছবি ও ভিডিও শেয়ার করছে, বন্ধুদের সঙ্গে কৈশোরের আনন্দ ভাগাভাগি করছে এবং দিনটি স্মরণীয় করে রাখছে।
চূড়ান্তভাবে ঈদের এই আনন্দ ভাগাভাগি আমাদের মধ্যে নতুন ভালোবাসা ও বন্ধুত্বের সঞ্চার করে। এই উৎসবটি একদিকে যেমন আমাদের ধর্মীয় দায়িত্ব মনে করিয়ে দেয়, অন্যদিকে মানবিক মূল্যবোধকে আরও শক্তিশালী করে। ঈদের আনন্দ সত্যিই ভাগাভাগির একটি বিশেষ সময়, যা আমাদের একত্রিত করে, আমাদের হৃদয়ে সুখের সঞ্চার করে।
সরকারি ব্রজমোহন কলেজ, বরিশাল থেকে

×