
বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির যুগে সোশ্যাল মিডিয়া মানবজীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ
বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির যুগে সোশ্যাল মিডিয়া মানবজীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। দৈনন্দিন অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক, ব্যক্তিগত ও পেশাগত কাজে আমরা ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টিকটক, টুইটার, ইউটিউবসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করছি। বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এমন এক বাস্তবতা, যা ছাড়া আধুনিক জীবন প্রায় অকল্পনীয়।
এটি একদিকে যেমন মানবজীবনের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে, অন্যদিকে এর অসচেতন, অতিরিক্ত ও ভুল ব্যবহার নানা সমস্যার সৃষ্টি করছে। এক সময় বাংলাদেশে সাধারণ মানুষের জন্য দূরবর্তী আত্মীয়স্বজন বা প্রিয়জনের সঙ্গে যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম ছিল চিঠিপত্র। ডাক ব্যবস্থার ওপর নির্ভর করে খবর আদান-প্রদান হতো, যা কখনো কখনো কয়েকদিন বা সপ্তাহ লেগে যেত পৌঁছাতে। মোবাইল ফোন তখন সাধারণ মানুষের জন্য ছিল বিলাসিতা। কল রেট ছিল আকাশছোঁয়া। ফলে, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ফোন করত না।
তা ছাড়া মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যাও ছিল সীমিত। বিনোদনের মাধ্যম ছিল মূলত খেলাধুলা, আড্ডা এবং টেলিভিশনের স্বল্পসংখ্যক নাটক, অনুষ্ঠান ও চলচ্চিত্র। প্রচলিত কিছু ব্যবসার বাইরে নতুন উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন কম মানুষই দেখতেন। কারণ, নতুন ব্যবসার ধারণা সম্পর্কে জানার সুযোগ ছিল কম। এ ছাড়া জাগতিক ও ধর্মীয় শিক্ষায় কুসংস্কারের প্রভাব ছিল প্রবল, যা আধুনিক শিক্ষার বিকাশে বাধা সৃষ্টি করত এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে বহির্বিশ্ব সম্পর্কে জানার সুযোগ ছিল কম।
পরবর্তীতে প্রযুক্তি ও সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে বাংলাদেশে এক নতুন যুগের সূচনা হয়। যার কল্যাণে (অডিও-ভিডিও কল, মেসেজিং, কমেন্ট, রিঅ্যাকশন) মানুষ স্বল্প খরচে সহজেই দূরবর্তী আত্মীয়স্বজন বা প্রিয়জনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। বিনোদনের জন্য উপভোগ করেন সোশ্যাল মিডিয়ার অফুরন্ত রিল, শর্ট ক্লিপ, নাটক, গান, সিনেমা, কনটেন্ট, লাইভ স্ট্রিমিং, গেম ও অন্যান্য অনুষ্ঠান।
বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ খবর, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও জরুরি ঘটনা পৃথিবীর যে কোনো প্রান্ত থেকেই মানুষ মুহূর্তেই জানতে পারেন। তা ছাড়া সোশ্যাল মিডিয়ার ক্যারিয়ার পরামর্শ, চাকরির তথ্য, নেটওয়ার্কিং, টিউটোরিয়াল ও গ্রুপ স্টাডির মাধ্যমে অনেকে তাদের শিক্ষা ও পেশাগত উন্নয়নের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করছেন। ফেসবুক মার্কেটপ্লেস ও ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে ব্যবসায়ের পরিধিও বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে।
এ ছাড়া সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টিতে সোশ্যাল মিডিয়া অতুলনীয় ভূমিকা রাখছে। উদাহরণ হিসেবেÑ ‘#গবঞড়ড়’ আন্দোলন, ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার, ফিলিস্তিন সংহতি আন্দোলন ও ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনের কথা বলা যেতে পারে।
তবে এত সম্ভাবনার পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ার অতিরিক্ত, অপ্রয়োজনীয় ও ভুল ব্যবহার মানবজীবনে নানা সমস্যার সৃষ্টি করছে। গুজব, সময়ের অপচয়, পারিবারিক কলহ, বিবাহবিচ্ছেদ, সাইবার অপরাধ ও মোবাইল আসক্তিÑ এর নেতিবাচক দিকগুলোর মধ্যে অন্যতম। বর্তমান সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন অনেক সংবাদ ভাইরাল হচ্ছে, যা পরবর্তীতে মিথ্যা প্রমাণিত হচ্ছে। এসব মিথ্যা খবর সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার পাশাপাশি সমাজে ও রাষ্ট্রে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করছে।
কক্সবাজারের রামুতে বৌদ্ধ মন্দিরে হামলা, পদ্মা সেতুতে মানুষের মাথা লাগার গুজব, করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে গুজব, ফেসবুকে পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) নামে ভুয়া বিজ্ঞপ্তি, শনিবার স্কুল-কলেজ খোলা রাখা, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ‘ব্যর্থ অভ্যুত্থান’ সম্পর্কে মিথ্যা খবর এক্ষেত্রে উদাহরণস্বরূপ উল্লেখ করা যেতে পারে। একই সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক অপ্রাসঙ্গিক বা অর্থহীন খবর, রিল, ভিডিও ও অন্যান্য কনটেন্ট দ্রুত ভাইরাল হচ্ছে, যা ব্যক্তিগত, সামাজিক ও জাতীয় মর্যাদার জন্য লজ্জাজনক এবং বিব্রতকর।
বর্তমানে মানুষের সময়, মেধা ও মনোযোগ নষ্ট করার অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই সোশ্যাল মিডিয়া। কেউ সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রবেশ করলে তার মস্তিষ্কে ডোপামিন নিঃসৃত হয়, যার কারণে সে স্ক্রলিংয়ের আসক্ত হয়ে পড়ে এবং দীর্ঘসময় ধরে মনের অজান্তেই নিউজফিড স্ক্রল করতে থাকেন। শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী ও সাধারণ জনগণ- সবাই এই ফাঁদে প্রতিনিয়ত পড়ছেন। শিক্ষার্থীদের ক্ষতির পরিমাণ এক্ষেত্রে অপূরণীয়।
কারণ, সোশ্যাল মিডিয়া তাদের মনোযোগের সঙ্গে পড়ার অভ্যাস নষ্ট করে দিচ্ছে,। যার কারণে তাদের একাডেমিক ফল খারাপ হচ্ছে। অধিকন্তু, সোশ্যাল মিডিয়ার কারণে শিক্ষার্থীরা বই পড়ার আগ্রহও দিন দিন হারিয়ে ফেলছেন। কিন্তু জীবনের সাফল্য অনেকাংশে নির্ভর করে মনোযোগের সঙ্গে কাজ করা ও বই পড়ার অভ্যাসের ওপর। তাছাড়া সোশ্যাল মিডিয়ার বিভ্রান্তিকর ও গুজবের তথ্য তাদের মধ্যে ভুল ধারণা তৈরি করে থাকে।
এ ছাড়া অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম ঘুমকে নষ্ট করে এবং মেধাকে বিকশিত করতে বাধা প্রদান করে। ইউনিসেফের এক জরিপে উঠে এসেছে, তরুণদের মানসিক চাপে ফেলার কারণ হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুল তথ্য ও বুলিং। এ ছাড়া তাদের হতাশা এবং আত্মবিশ্বাসহীনতার পেছনে রয়েছে অন্যদের সঙ্গে তুলনা করার প্রবণতা।
আবার অনেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যক্তিগত তথ্যের অতি প্রকাশের কারণে হ্যাকিং, ফিশিং, ব্ল্যাকমেইলিং ও অন্যান্য অনলাইন অপরাধের শিকার হচ্ছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় আমরা অনেকেই নিজেদের ব্যক্তিগত ছবি হরহামেশাই কোনো উদ্দেশ্য ছাড়া শেয়ার করে থাকি। যার ফলে হ্যাকাররা সেই ছবি ব্যবহার করে ভবিষ্যতে আমাদের বিপদে ফেলতে পারে (ইন্টারনেট সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাওয়ারনেস সংস্থা)।
ফেসবুকের নিজস্ব নিরাপত্তা পলিসিতে উল্লেখ রয়েছে, ‘আপনি যখন ছবি পোস্ট করেন, তখন তা পাবলিক হতে পারে, যা আপনার নিরাপত্তা এবং গোপনীয়তার ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।’ কিন্তু আমরা অধিকাংশ মানুষই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবিসহ অনেক ব্যক্তিগত বিষয়গুলো শেয়ার করি যা আমাদের ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে, বদনজর থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এগুলো না করাই শ্রেয়। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন ‘বদনজর সত্য (অর্থাৎ এর বাস্তবতা আছে)। যদি কিছু তাকদিরকে ছাড়িয়ে যেতে পারত, তবে সেটা হতো বদনজর।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ২১৮৮)
গবেষণা আরও বলছে, মানুষের বিষণœতা ও হতাশা বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়ার অতিরিক্ত ব্যবহার দায়ী (সূত্র : চবি জবংবধৎপয ঈবহঃবৎ, ২০২১)। সোশ্যাল মিডিয়ায় অন্যদের অলিক সুন্দর জীবন দেখে নিজের বাস্তবের সুন্দর সাজানো জীবনকে তুচ্ছ মনে হতে পারে। এক গবেষণা বলছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যেভাবে নিজেকে উপস্থাপন করার সংখ্যাটি কম নয়। কারণ, মানুষ নিজেদের অন্যদের কাছে সবসময় আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করতে চায়।
অনেকে আবার তাদের বাস্তব জীবন থেকে ভার্চুয়াল জীবনকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন, যা তাদের ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনের জন্য ক্ষতি বয়ে আনে। ২০১৪ সালে Computers in Human Behavior জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে, দাম্পত্য সম্পর্কের অবনতি এবং বিবাহবিচ্ছেদের সম্ভাবনায় সোশ্যাল মিডিয়া অতিরিক্ত ব্যবহারের সম্পর্ক পাওয়া গেছে। তা ছাড়া সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু অপরাধী চক্র সহজ-সরল মেয়ে ও গৃহবধূদের টার্গেট করে সম্পর্ক গড়ে তুলে।
পরবর্তীতে তাদের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইল করে থাকে, যা একটি সাজানো গোছানো সংসারকে নিমিষেই শেষ করে দিচ্ছে। তাছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কারণে অনেক অপ্রাপ্তবয়স্ক ছেলেমেয়ে ভুল সঙ্গ ও অলীক জীবনদর্শন গ্রহণ করছে, যা তাদের ব্যক্তিগত, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
তাই ব্যক্তি থেকে রাষ্ট্র-সকল পর্যায়ে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। ব্যক্তিগত বিষয়গুলো প্রয়োজন ছাড়া সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা থেকে বিরত থাকলে অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে বলে বিশ্বাস করি। তাছাড়া অনেক সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় ভালো থাকা দেখানোর প্রবণতা আসলে একটা আত্মপ্রতারণা হয়ে দাঁড়ায়। মানুষ নিজের জীবনকে যতটা সুখী দেখায়, বাস্তবে হয়তো ততটা সুখী নয়।
কারণ, আপনি সত্যিকারের সুখ ও মানসিকভাবে শান্তিতে থাকলে তা অন্যকে দেখানোর প্রয়োজন মনে করবেন না (স্টোয়িক দর্শন এবং মিনিমালিজম দর্শন)। কারণ এতে আপনার ও অন্যদের ক্ষতি ছাড়া ভালো হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই নেই। এ ছাড়া গোপনীয়তা সেটিংস সম্পর্কে সম্যক ধারণা রেখে সোশ্যাল মিডিয়ার পরিচালনা করতে হবে।
গোপনীয়তা সেটিংস অধিকতর শক্তিশালী করার লক্ষ্যে ‘Two-factor authentication (2FA)’ ব্যাবহার করা যেতে পারে এবং কোনো ধরনের অপরিচিত লিঙ্কে ক্লিক করা থেকে বিরত থাকতে হবে। একইভাবে অপরিচিত ব্যক্তির ফেক ছবি ও ফেক পরিচিতি দেখে বন্ধু বানানো এবং পরবর্তীতে তাদের সঙ্গে কোনোকিছু শেয়ার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রী ও অন্যান্য অপ্রাপ্ত বয়স্কদের মোবাইল ব্যবহারে পারিবারিক পর্যায় থেকে নজরদারিতে আনা গেলে তাদের বিপথে ও বিপদে পড়ার সম্ভাবনা অনেকাংশে কমে যাবে। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ার খারাপ দিকগুলো নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করতে হবে। তা ছাড়া রাতে একটি নির্দিষ্ট সময়ের পরে সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যাপ বন্ধ করে দেওয়া যেতে পারে। স্কুল ও কলেজে সাইবার নিরাপত্তা সংক্রান্ত শিক্ষা কার্যক্রম চালু করে ছাত্রছাত্রীদের সোশ্যাল মিডিয়ার বিশদ ধারণা দিতে হবে, যাতে তারা নিজেদের নিরাপদ রাখতে পারে।
রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকে অনলাইন অপরাধ রুখতে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স ও চীনের মতো কঠোর আইন প্রণয়ন ও প্রয়োগ করা যেতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের কিছু স্কুলে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ব্রাজিলের স্কুলগুলোতে জরুরি প্রয়োজন, প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী ও শিক্ষামূলক উদ্দেশ্য ছাড়া স্মার্টফোন ব্যবহার করা যায় না। ২০২৪ সালে অস্ট্রেলিয়া ১৬ বছরের কম বয়সী শিশুরা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করতে না পারার আইন পাস করেছে। তাছাড়া চীন ও ফ্রান্সে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে সরকারি নিয়ন্ত্রণ ও নজরদারি অনেক বেশি। চীন বিশ্বে অন্যতম কঠোর ইন্টারনেট সেন্সরশিপ নীতি অনুসরণ করে, যা ‘গ্রেট ফায়ারওয়াল’ নামে পরিচিত।
সর্বোপরি, সোশ্যাল মিডিয়ার যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে আমাদের প্রয়োজন একটি সমন্বিত উদ্যোগ, যেখানে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি একটি টেকসই প্রক্রিয়া হতে হবে, যেখানে শিক্ষা, সচেতনতা এবং আইনের প্রয়োগের মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়ার সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। এই তিনটি স্তম্ভ- শিক্ষা, সচেতনতা এবং আইন যদি একত্রিত ও কার্যকরভাবে প্রয়োগ করা যায়, তবে এটি শুধু সোশ্যাল মিডিয়ার সঠিক ব্যবহারই নিশ্চিত করবে না, বরং ব্যক্তি, সমাজ এবং রাষ্ট্রীয় জীবনেরও কল্যাণ বয়ে আনবে।
লেখক : সহযোগী অধ্যাপক, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়
masudjkkniu@gmail.com