
জনপ্রিয় লেখক এক্টিভিস্ট ফাহাম আব্দুস সালাম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইজেবুকে বলেন,সবার আগে বুঝতে হবে যে এইটা (আওয়ামী লীগ) কোনো পলিটিক্যাল পার্টি না। এইটা একটা পেট্রন-ক্লায়েন্ট সিস্টেম যেইটা টাকা ছাড়া চলবে না। আপনাকে "শুধুমাত্র" নিশ্চিত করতে হবে আওয়ামী অর্থনীতি যেন নতুন সম্পদ জেনারেট করতে না পারে। এইভাবে ১০-১৫ বছর চালাতে পারলে আর ইলেকশনে পার্টিসিপেট করতে না পারলে সব অ্যাভেইলেবল ফান্ড নিঃশেষ হবে এবং আওয়ামী লীগ পুরাপুরি শেষ হয়ে যাবে।
তবে আওয়ামী সমর্থন কোনোদিন শেষ হবে না। কিছু লোক শেখ মুজিবের জন্মদিনে জাঙ্গিয়ার ভেতরে মুজিব কোট ঢুকিয়ে - লুকিয়ে লুকিয়ে বারে বা ক্লাবে যাবে। সেখানে সমমনা অনেকে যাবে। প্রাইভেট রুমে গিয়ে জাঙ্গিয়ার থেকে বের করে মুজিব কোট পরে চাপা স্মরে জয় -ই- বাংলা, জয়-ই-বঙ্গবন্ধু বলবে। তারপর চারদিকে তাকাবে - কেউ শুনে ফেললো নাকি। আরেকজন দেখবে রুমটা লক আছে নাকি। একজন সন্দেহ করবে দারুর বিল দেবে কে? আর আরেকজন সন্দেহ করবে সিসিটিভি কেউ লীক করবে না তো (যারা সিডনীতে বা নীয়র্কে থাকবেন তারা অবশ্য এই ভয়টা পাবেন না। তারা ভয় পাবেন বিল কে দেবে)। রাত দশটার দিকে সবাই সমবেত কণ্ঠে গাইবে, আগে কী সুন্দর দিন কাটাইতাম? আগে কী সুন্দর দিন কাটাইতাম।
আওয়ামীরা এখনও মনে করছে যে তারা আবার ফিরে আসবে। একটা স্টাডিতে দেখা গেছে নদী ভাঙ্গনে যাদের সব কিছু চলে যায় - তারা আরেকটু দূরে গিয়ে থিতু হয় এই আশায় যে শীঘ্রই চর জেগে উঠবে ধারে কাছে। তারা আশায় বুক বাঁধে। কিন্তু আবার তাদের সব চলে যায় দরিয়া-শিকিস্তিতে। তারা দূরে আরেকটা জেলায় চলে যায় না। আশার মায়া বড় ডেঞ্জারাস জিনিস। কবি বলেছেন, "আশার চোদনে ভুলি কী ফল লভিনু, হায়, তাই ভাবি মনে?
অমি পিয়াল টাইপ বোনাফাইড লুজাররা কোনোদিন বুঝতে পারবে না যে বাঁশটা দিনে দিনে লম্বা ও মোটা হবে কিন্তু শৈরশার তেল দিনে দিনে কমবে। ফলে অনেক ব্যথা হবে। অন্তত আরো দুই বছর এতিমরা - এই আইলো, ঐ আইলো করবে। ছাগলগুলা বুঝতেই পারে না যে তারা একটা দল হারায় নাই। দুইটা নতুন জেনারেশনের সাপোর্ট হারিয়েছে। এইটা ব্যাক করানোর উপায় নাই।
সাজিদ