
রমজানে রাজনীতি এমন সরগরম হয়ে উঠবে, কে জানতো! সাধারণত রমজানে ইফতার পার্টির ভেতরেই রাজনীতি সীমাবদ্ধ থাকে। এবার মাঠে-সামাজিক মাধ্যমে এবং ইফতার মেহফিলেও রাজনীতি সরব হয়ে উঠেছে। সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে ফেসবুকে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলমের ভিন্ন ভিন্ন পোস্ট নিয়ে দলটির ভেতরে অস্বস্তি তৈরি হয়েছে।
আজ কালরাত
আজ ভয়াল ২৫ মার্চ, জাতীয় গণহত্যা দিবস। বাঙালি জাতির জীবনে ১৯৭১ সালের এইদিন শেষে এক বিভীষিকাময় ভয়াল কালরাত নেমে এসেছিল। ওইদিন মধ্যরাতে বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাদের পূর্ব পরিকল্পিত ‘অপারেশন সার্চ লাইট’র নীলনকশা অনুযায়ী বাঙালি জাতির কণ্ঠ চিরতরে স্তব্ধ করে দেওয়ার ঘৃণ্য লক্ষ্যে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর অত্যাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। বাঙালির স্বাধীনতার আকাক্সক্ষা মুছে দেওয়ার চেষ্টায় ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ গণহত্যা শুরু করেছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। তারপর নয় মাসের সশস্ত্র যুদ্ধের মধ্য দিয়ে এসেছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ দিবাগত রাতে ব্যাপক গণহত্যা চালিয়ে বাঙালি জাতিকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী যে সশস্ত্র অভিযান পরিচালনা করে, তারই নাম দেওয়া হয়েছিল ‘অপারেশন সার্চলাইট’।
এই অভিযানের নির্দেশনামা তৈরি করেন পাকিস্তানের দুই সামরিক কর্মকর্তা মেজর জেনারেল খাদিম হোসেন রাজা ও মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী। নির্দেশনামার লিখিত নথি রাখা হয়নি। গণহত্যার সেই পুরো নির্দেশ মুখে মুখে ফরমেশন কমান্ডার বা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জানানো হয়।
অনেক পরে, ২০১২ সালে, মেজর জেনারেল খাদিম হোসেন রাজা ‘এ স্ট্রেঞ্জার ইন মাই ওন কান্ট্রি’ শিরোনামে আত্মজীবনী প্রকাশ করেন। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস থেকে প্রকাশিত সেই আত্মজীবনীতে প্রথমবারের মতো ‘অপারেশন সার্চলাইট’ সম্পর্কে কিছু তথ্য প্রকাশিত হয়।
‘অপারেশন সার্চলাইট’ কীভাবে পরিকল্পিত হয়, ১৯৭১ সালের সেই স্মৃতিচারণ করে মেজর জেনারেল খাদিম হোসেন রাজা লিখেছেন, ‘১৭ মার্চ, সকাল প্রায় ১০টা বাজে। টিক্কা খান আমাকে ও মেজর জেনারেল ফরমানকে কমান্ড হাউসে গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করতে খবর পাঠান। খবর পেয়ে আমরা দুজন টিক্কা খানের সঙ্গে দেখা করি। গিয়ে দেখি, সেখানে জেনারেল আবদুল হামিদ খানও রয়েছেন। টিক্কা খান আমাদের বলেন, প্রেসিডেন্টের সঙ্গে শেখ মুজিবের সমঝোতা আলোচনা ইতিবাচক দিকে এগোচ্ছে না। প্রেসিডেন্ট চান আমরা যেন সামরিক অভিযানের প্রস্তুতি গ্রহণ করি এবং সে অনুযায়ী পরিকল্পনা তৈরি করি। এ ছাড়া আর কোনো মৌখিক বা লিখিত নির্দেশনা আমরা পাইনি। আমাদের বলা হয়, পরদিন ১৮ মার্চ বিকেলে আমরা দুজন যেন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে ওই পরিকল্পনা চূড়ান্ত করি।’ পরদিন সকালেই খাদিম হোসেন রাজা তার কার্যালয়ে রাও ফরমান আলীকে নিয়ে বসেন। তারাই গণহত্যার এ অভিযানের নাম দেন ‘অপারেশন সার্চলাইট’।
মার্কিন সাংবাদিক রবার্ট পেইন ২৫ মার্চ রাত সম্পর্কে লিখেছেন, ‘সেই রাতে সাত হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়, গ্রেপ্তার করা হয় আরও তিন হাজার। ঢাকায় ঘটনার শুরু মাত্র হয়েছিল। এরপর সমস্ত পূর্ব পাকিস্তানজুড়ে সৈন্যরা বাড়িয়ে চললো মৃতের সংখ্যা। জ্বালাতে শুরু করলো ঘর-বাড়ি, দোকান-পাট। লুট আর ধ্বংস যেন তাদের নেশায় পরিণত হল। রাস্তায় রাস্তায় পড়ে থাকা মৃতদেহগুলো কাক-শেয়ালের খাবারে পরিণত হল। সমস্ত বাংলাদেশ হয়ে উঠলো শকুনতাড়িত শ্মশান ভূমি।’
এই গণহত্যার স্বীকৃতি খোদ পাকিস্তান সরকার প্রকাশিত দলিলেও আছে। পূর্ব পাকিস্তানের সংকট সম্পর্কে যে শ্বেতপত্র পাকিস্তান সরকার মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে প্রকাশ করেছিল তাতে বলা হয়, ‘১৯৭১ সালের পয়লা মার্চ থেকে ২৫ মার্চ রাত পর্যন্ত এক লাখেরও বেশি মানুষের জীবননাশ হয়েছিল।
সাংবাদিকতা পেশা ও
পেশাজীবীর উন্নয়নে
সাংবাদিকতা পেশায় যারা নিয়োজিত তাদের জন্য ইতিবাচক সংবাদ বলা যায়। গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন শনিবার প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় কমিশনের প্রধান জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক কামাল আহমেদসহ কমিশনের সদস্যরা প্রতিবেদনটি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দেন। স্বাধীন ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার ওপর গুরুত্বারোপ করেছে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন। স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য কমিশন সংবিধান ও আইন সংস্কারের পাশাপাশি কোনো কোনো আইনের বিভিন্ন ধারা বাদ দেওয়ার সুপারিশ করেছে। একই সঙ্গে সাংবাদিকতার সুরক্ষায় আলাদা আইন করতে বলেছে কমিশন।
সাংবাদিকতার স্বাধীনতার পাশাপাশি গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের মালিকানা, সাংবাদিকদের বেতন ও শিক্ষাগত যোগ্যতা, বিটিভি, বেতার ও বাসসকে একীভূত করে একটি সংস্থার অধীনে আনা, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল এবং প্রস্তাবিত সম্প্রচার কমিশনের পরিবর্তে ‘বাংলাদেশ গণমাধ্যম কমিশন’ করা, সাংবাদিকতা সুরক্ষায় আইন করাসহ ২১ ধরনের সুপারিশ করেছে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবগুলোর মধ্যে যেগুলো এখনই বাস্তবায়নযোগ্য, সেগুলো অনতিবিলম্বে কার্যকরের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
সাংবাদিকদের আর্থিক নিরাপত্তার বিষয়েও সুপারিশ করেছে কমিশন। এ বিষয়ে কামাল আহমেদ বলেন, বিসিএস ক্যাডার সার্ভিসে শুরুর পদ, অর্থাৎ নবম গ্রেডের বেতন স্কেলের সঙ্গে সংগতি রেখে সাংবাদিকদের শুরুর পদের বেতন হতে পারে। সারা দেশের সাংবাদিকদের জন্য এটি হতে পারে। তবে ঢাকায় যেহেতু জীবনযাত্রার ব্যয় বেশি, সে ক্ষেত্রে এখানকার সাংবাদিকদের ক্ষেত্রে ‘ঢাকা ভাতা’ যোগ করা যেতে পারে। এই ভাতা ঠিক করবে সরকার ও সংবাদমাধ্যমের বিভিন্ন পক্ষ মিলে।
প্রসঙ্গত, জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী নবম গ্রেডের কর্মকর্তাদের মূল বেতন শুরু হয় ২২ হাজার টাকা দিয়ে। এর সঙ্গে বাড়িভাড়াসহ অন্যান্য ভাতা যোগ হয়। সব মিলিয়ে এই বেতন হয় ৩৫ হাজার টাকার বেশি।
সাংবাদিকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা কী হবে, তা জানতে চাইলে কামাল আহমেদ বলেন, শুধু সাংবাদিক নন, সম্পাদক ও প্রকাশকের যোগ্যতা কী হবে, সেগুলোও কমিশন বলেছে। কমিশন বলেছে, সাংবাদিকদের ন্যূনতম যোগ্যতা স্নাতক থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে তাঁরা একটি শর্তও যুক্ত করেছেন। সেটি হলো এক বছর শিক্ষানবিস থাকার পর পূর্ণ সাংবাদিকের মর্যাদা পাবেন।
মূল বেতনের বাইরে সাংবাদিকরা বাড়িভাড়া, যাতায়াত ভাতা, চিকিৎসা ভাতা, মূল বেতনের সমপরিমাণ উৎসব ভাতা, ঝুঁকি ভাতা (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে), ফোন বিল, ইন্টারনেট বিল, প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং অবসর ভাতা কিংবা গ্র্যাচুইটি পাবেন। আর প্রতি বছরের শুরুতে আগের বছরের গড় মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সাংবাদিকদের বেতন বৃদ্ধি পাবে। অন্যান্য ভাতার ক্ষেত্রে অন্তত দুই বছর পরপর মূল্যস্ফীতি সামঞ্জস্য করে পুনর্বিবেচনা করতে হবে।
অবাক প্রতারণা!
মামলা ও গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের বরাতে ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার ইবনে মিজান বলেন, আট মাস আগে ইফতেখারের সঙ্গে পরিচয় হয় মিজানুরের। তাকে কথিত অ্যান্টিক মেটাল কয়েনের ব্যবসা সম্পর্কে ধারণা দেন ইফতেখার। তিনি মিজানুরকে প্রলোভন দেখান, কয়েন কিনতে বলেন। মিজানুরকে ইফতেখার বলেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে এ ব্যবসায় আছেন। জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এ কয়েন কেনে। তিনি অতি উচ্চ মূল্যে বিদেশী প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে এ কয়েন বিক্রয় করে দিতে পারবেন। গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর গুলশানের একটি হোটেলে মিজানুরকে ডেকে নেন ইফতেখার। তিনি মিজানুরের সঙ্গে দুই ব্যক্তির পরিচয় করিয়ে দেন। নাঈমের পরিচয়ে বলেন, তিনি বিদেশী কোম্পানির প্রতিনিধি। আর হালিমের পরিচয়ে বলেন, তিনি ধাতব মুদ্রার শুদ্ধতা নির্ণয় করেন। ইফতেখার ও তার সহযোগীরা মিজানুরকে বলেন, বিদেশে প্রতিটি ধাতব মুদ্রার বাজারমূল্য আনুমানিক ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হবে। ধাতব মুদ্রাগুলো নিখাদ বলে মিজানুরকে প্রতিবেদন দেন হালিম। ধাতব মুদ্রা কেনার জন্য গত বছরের ৭ অক্টোবর চক্রের কাছে অগ্রিম ৪৫ লাখ টাকা দেন মিজানুর। পরে আরও নগদ ৭৫ লাখ টাকা ও ৫০ লাখ টাকার একটি ব্যাংক চেক দেন। একপর্যায়ে মিজানুর জানতে পারেন, ধাতব মুদ্রাগুলো ভুয়া। তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন। এরপর তিনি মামলা করেন।
কথিত ‘অ্যান্টিক মেটাল কয়েন’ (প্রাচীন ধাতব মুদ্রা) নিয়ে অভিনব কৌশলে প্রতারণা করে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেওয়া একটি চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে চার ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাজধানীর মিন্টো রোডে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়। দেশে বছরভর নানা অভিনব প্রতারণার কথা শোনা যায়। এবার জানা গেল ‘অ্যান্টিক মেটাল কয়েন’ বিকিকিনির কথা।
টানা ৯ দিন ঈদের ছুটি!
পবিত্র ঈদুল ফিতরে এবার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ঘোষিত লম্বা ছুটি আরও লম্বা হলো। ঈদ উপলক্ষে আগেই পাঁচ দিন টানা ছুটি ঘোষণা করেছিল সরকার। সেখানে এখন নির্বাহী আদেশে আরও একদিন ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ৩১ মার্চ পবিত্র ঈদুল ফিতর হতে পারে। সম্ভাব্য এ তারিখ ধরে আগেই পাঁচ দিনের ছুটির তারিখ নির্ধারণ করেছিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এই হিসাবে কাগজপত্রে ২৯ মার্চ শুরু হচ্ছে ঈদুল ফিতরের ছুটি। কিন্তু নির্ধারিত ছুটি শুরুর আগের দিন ২৮ মার্চ সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার। একই সঙ্গে একই দিন পবিত্র শবে কদরেরও ছুটি। ফলে বাস্তবে ছুটি শুরু হচ্ছে ২৮ মার্চ থেকে।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, ছুটি শেষে অফিস খোলার কথা ছিল ৩ এপ্রিল বৃহস্পতিবার। তার পরের দুই দিন আবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্র ও শনিবার। এখন ৩ এপ্রিলও নির্বাহী আদেশে ছুটি হওয়ায় ২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত টানা নয় দিন ছুটি ভোগ করবেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
অবশ্য এই ছুটি শুরুর দুই দিন আগে আছে ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের ছুটি। পরদিন বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ এক দিন অফিস খোলা থাকবে। সত্যি বলতে কি আগামীকাল ২৬ মার্চ বুধবার থেকেই বহু পরিবার ঈদের ছুটির উদ্বোধন ঘটাচ্ছে। কেননা বৃহস্পতিবার অফিস করতে না হলে ঈদের ছুটি ইতিহাসের দীর্ঘতম (১১ দিন) ছুটিতে পরিণত হওয়ার সুযোগ থাকছে। তাই অনেকেই এ সুযোগ হারাচ্ছেন না।
ঢাকা ফাঁকা হচ্ছে
এক রিপোর্টে দেখলাম বলা হচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আনুমানিক পৌনে দুই কোটি (এক কোটি ৭২ লাখ ৭০ হাজার) মানুষ বৃহত্তর ঢাকা ছাড়বেন। তারা ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ মহানগরসহ ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন জেলার স্থায়ী-অস্থায়ী বাসিন্দা। এই বিপুলসংখ্যক মানুষের ৬০ শতাংশ যাবেন সড়কপথে। বাকি ৪০ শতাংশ নৌ ও রেলপথে যাবেন। এই হিসেবে, এবার সড়কপথে ঈদ যাত্রীসংখ্যা মোট এক কোটি তিন লাখ ৬২ হাজার।
ভাড়া প্রায় দ্বিগুণ হওয়ায় আকাশপথে অভ্যন্তরীণ রুটে যাত্রী কমছে। তবে ঈদকে কেন্দ্র করে বিমানের টিকেটের চাহিদা বেড়েছে। সাধারণত ঈদে সড়কপথে ভোগান্তির শেষ থাকে না। সে জন্য অনেকেই ভোগান্তি এড়াতে আকাশপথ বেছে নেন। চাহিদা বাড়ায় দেশীয় একাধিক এয়ারলাইন ফ্লাইট সংখ্যা বাড়িয়েছে। ঈদের ছুটি সামনে রেখে টিকেট চাহিদার শীর্ষে রয়েছে সৈয়দপুর, যশোর ও রাজশাহী। ঈদের পর কক্সবাজারের টিকেটের চাপ বেশি। বাড়তি চাপ সামাল দিতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ১৩টি অতিরিক্ত ফ্লাইট চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ঢাকা প্রকৃতপক্ষে ঢাকার বাইরে থেকে আসা, মানে সারা দেশ থেকে আসা মানুষের শহরে পরিণত হয়েছে। কিন্তু ঈদের ছুটিতে দেশের বাড়িতে যাওয়া দেশিয় সংস্কৃতির অংশ হয়ে উঠেছে। যত ধকলই যাক, যাত্রাপথের বাহনের টিকেটের ব্যবস্থা হোক না হোক, মানুষ নাড়ির টানে ঈদে নিজের ভিটেবাড়ি বা শৈশবের স্মৃতিবিজড়িত নগরে বা গ্রামে যাবেনই। ফলে ঈদের সময়টায় ঢাকা অনেকটাই ফাঁকা হয়ে ওঠে।
২৩ মার্চ ২০২৫
[email protected]