
ঈদকে সামনে রেখে জমে উঠছে রাজধানীর কাপড়ের মার্কেট এবং বড় বড় শপিংমল। রমজান কিংবা ঈদ উৎসবকে সামনে রেখে প্রতিবারের মতো এবারও মার্কেটে পোশাকের দাম চড়া। মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তের সমাজ বাস্তবতার যুদ্ধ চলে ন্যায্য দামে পছন্দের পোশাক ক্রয় নিয়ে। বাংলাদেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ছাড়া আর কোনো পণ্যের দাম নির্ধারণের স্বীকৃত কোনো পদ্ধতি নেই। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে উৎপাদন প্রতিষ্ঠান কিংবা পাইকারি ব্যবসায়ী কিংবা খুচরা বিক্রেতারা ইচ্ছামতো নাম নির্ধারণ করেন। ঈদ, পূজা কিংবা অন্যান্য উৎসবকেন্দ্রিক সময়ে এসব অসাধু প্রতিষ্ঠান কিংবা ব্যবসায়ীরা তৎপর হয়ে উঠে অধিক মুনাফা লাভের আশায়। দাম নির্ধারণ পদ্ধতি ও পোশাকের প্রকৃত দাম কত ক্রেতার জানার পরিধির বাইরে থাকায় ইচ্ছামতো দাম নির্ধারণ ট্যাগ ব্যবহার করা হয়।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের নানা সময়ে অভিযানে বড় বড় শপিংমল এবং কাপড়ের মার্কেটে মিলেছে দাম নিয়ে অনিয়ম। বিদেশী পোশাক কিংবা ব্র্যান্ডের পোশাক বেশি দামে বিক্রি করলেও আমদানি সংক্রান্ত নথিপত্রে গরবড় কিংবা যে দাম ক্রয়ের কথা বলা হয় তাতে থাকে নানা অসঙ্গতি। তাছাড়াও ডিসকাউন্ট ইস্যুতে দাম বৃদ্ধি করে ছাড়, চড়া দামে বিক্রির নানা নমুনা উঠে এসেছে গণমাধ্যমে। চড়া দামে পোশাক কেনার সামর্থ্য না থাকায় মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষ ঝুঁকছে ফুটপাতের দিকে। দেখা যাচ্ছে অল্প টাকায় দরদাম করে নিম্নবিত্তদের পোশাক কেনার পরিবর্তে একদামে মধ্যবিত্তরাই কিনছেন ফুটপাতের অধিকাংশ দোকান থেকে। আর ঈদের কেনাকাটা নিম্নবিত্তদের নাগালের বাইরে চলে গেছে। রাষ্ট্রের অন্যান্য সংস্কারের মতো পোশাক শিল্পের ন্যায্য দাম নির্ধারণও প্রয়োজন। পোশাকের গুণগত মানের সঙ্গে দাম সাধারণ মানুষের নাগালের ভেতরে আনা জরুরি। সরকারের নিকট আবেদন পোশাকের সঠিক নাম নির্ধারণের করে বাজার সিন্ডিকেট মুক্ত করার।
আহাম্মদ উল্লাহ
ঢাকা কলেজ