ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫, ৩ চৈত্র ১৪৩১

ঈদযাত্রায় ভোগান্তি ও জনদুর্ভোগ

খালিদ ইবনে আমিন

প্রকাশিত: ১৯:২৯, ১৭ মার্চ ২০২৫

ঈদযাত্রায় ভোগান্তি ও জনদুর্ভোগ

আবহমানকাল থেকে বাংলাদেশী মুসলমানদের ঈদ সংস্কৃতি হলো, রুটি-রোজগারের জন্য দেশের যে প্রান্তেই থাকুক না কেন, বেতন-বোনাস যাই পাক বা না পাক, ধার-কর্য করে হলেও বাবা-মা ভাই-বোন, আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে উৎসব পালন করা। বিশেষ করে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার প্রাক্কালে ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ দেশের বড় বড় শহরগুলো থেকে মানুষ ‘দেশে যাই কিংবা যাব’ এই শব্দগুলো হরহামেশাই আমরা শুনতে পাই। মানুষ পড়াশোনা ও জীবিকার প্রয়োজনে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ জেলা শহরগুলোতে বসবাস করে জীবিকার জন্য। সারা বছর গ্রামের বাড়ি যেতে না পারলেও ঈদে মানুষ ঘরমুখো হয় নাড়ির টানে, শেকড়ের সন্ধানে, যা এক অনির্বাণ আবেদন। এ দেশের প্রায় প্রতিটি উৎসবই ধর্মপ্রাণ মানুষ সবাইকে নিয়ে উদযাপন করে, অসাম্প্রদায়িক মনোভাব নিয়ে। কিন্তু বিধিবাম হয়ে যায়, সড়কে বেহালদশার কারণে, ম্লান হয় আনন্দ ঊৎসব।
বাংলাদেশে সাধারণত, দুই ঈদের সপ্তাহখানেক আগে সংবাদপত্র,  টেলিভিশন, অনলাইন নিউজ পোর্টালের সংবাদ শিরোনাম এমন হয়ে থাকে, ঢাকা-গাজীপুর এক্সিট পয়েন্টে ২৩ কিলোমিটার যানজট। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ১২ কিলোমিটার, ঢাকা-সিলেট রোডে ১৩ কিলোমিটার, ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের শুধু টোল প্লাজাতেই ২ কিলোমিটার যানজট, গাবতলী এক্সিট পয়েন্টে উত্তরবঙ্গগামী গাড়ি চলছে শামুকের গতিতে।
গত দুই দশকে বাংলাদেশে সড়ক উন্নয়নে বিপ্লব ঘটেছে। তবে এটা অস্বীকার কার সুযোগ নেই, সড়কের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা গড়ে ওঠেনি অদৃশ্য কারণে। দেশের সড়ক পরিবহন খাতের নেতৃত্ব ছিল বরাবরই রাজনৈতিক দুর্বৃত্তদের হাতে। ফলে ক্ষমতাসীনরা যখনই কোনো পদক্ষেপ নিয়েছে, তখনই তাদের স্বার্থ সংরক্ষণ করেছে। যার দরুন সড়কে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা কখনোই গড়ে ওঠেনি। প্রতি মাসে হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য হয় এ খাতে। বিনা পরিশ্রমে কাঁচা টাকার লোভ সামলাতে পারেনি বিগত রাজনৈতিক সরকারগুলো। অবকাঠামোর আমূল পরিবর্তন হয়েছে, নিঃসন্দেহে আমাদের সক্ষমতা বেড়েছে বহুগুণ, ঢাকা শহরে ঢোকা এবং বের হওয়ার পথগুলো চার লেন, আট লেন, আবার কোথাও ১২ লেন হয়েছে, কিন্তু ঈদযাত্রায় আমাদের ভোগান্তি কমেনি। বিশেষ করে সড়কে এ ভোগান্তির ক্রমহ্রাসমান না হয়ে হয়েছে ক্রমবর্ধমান।
আমাদের সড়ক অবকাঠামোর ব্যাপক উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ হওয়া সত্ত্বেও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার অভাবের কারণে মানুষের ঈদযাত্রায় ভোগান্তি’ আদৌ কমাতে পারেনি। ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে প্রয়োজন সঠিক পরিকল্পনা প্রণয়ন ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন। সড়ক সংশ্লিষ্ট সব বিভাগ  একসঙ্গে কাজ করতে হবে। তবেই নির্বিঘ্ন যাত্রা সম্ভব। আমাদের দেশে কারও সঙ্গে কারও সমন্বয় নেই। মহাসড়কে নির্বিঘ্ন যাতায়াত সারা বছরের জন্যই প্রয়োজন,  কিন্তু এ দেশে, ঈদ এলেই শুরু হয় তোড়জোড়। ঈদকে কেন্দ্র করে তড়িঘড়ি সড়ক উন্নয়নের ফলে মান সুরক্ষিত থাকে না বিধায় কিছুদিন পরই আবার ভাঙাচোরা অবস্থা।
এক সময়ে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের যাতায়াতের প্রধান বাহন ছিল লঞ্চÑস্টিমার। ২০২২ সালের ২৫ জুন পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় গত কয়েক বছরের মতো এবারও ঈদযাত্রায় দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মতো দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে সড়কপথে চাপ বাড়বে। তবে ভিড় কম থাকবে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে। অন্যদিকে সড়ক ও রেলপথের তুলনায় নৌপথে ঈদযাত্রা হবে স্বস্তিদায়ক। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর সড়কপথে যাত্রীদের চাপ কয়েকগুণ বেড়ে যাওয়ায়, বিগত কয়েকটি ঈদে নদীপথের বিলাসবহুল লঞ্চগুলোর অগ্রিম টিকেট বিক্রিও হয়েছে ঢিমেতালে। এবারও পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন হবে না। পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন রুটে যাত্রী অর্ধেকের নিচে নেমেছে। এর ফলে গত কয়েকটি ঈদে লঞ্চে ভিড় তুলনামূলক কম হচ্ছে। শুধু দক্ষিণাঞ্চল নয়, চাঁদপুরসহ অন্যান্য রুটেও যাত্রীদের চাপ কম থাকবে। সদরঘাটে গত ঈদে যাত্রীদের অতিরিক্ত চাপ তেমন একটা ছিল না। লঞ্চের অগ্রিম টিকিট ক্রয়েও যাত্রীদের তেমন কোনো আগ্রহ নেই।
বিআইডব্লিউটিসি সূত্রে জানা যায়, এবারও ঈদে ঢাকা-বরিশাল রুটে ৪০টি নিয়মিত লঞ্চসহ ঈদের বিশেষ লঞ্চ চলাচল করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। তবে সবকিছুই যাত্রীর চাহিদার ওপর নির্ভর করবে। ঢাকা শহর থেকে বের হয়ে পদ্মা সেতুর দিকে যেতে মাত্র একটি পথ হানিফ ফ্লাইওভার। অন্যদিকে বাবুবাজার ব্রিজ হয়ে কিছু যানবাহন চলাচল করলেও পুরান ঢাকার অত্যধিক মাত্রায় যানজট থাকায় হানিফ ফ্লাইওভারের ওপর নির্ভরশীল চালকরা। ফলে একমুখী যানজটের চাপে সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী ও আশপাশের এলাকায় যানজটের আশঙ্কা রয়েছে। ঢাকা থেকে বের হতে চট্টগ্রাম, সিলেট ও উত্তরাঞ্চলমুখী সড়কগুলোর অধিকাংশই চার লেনে উত্তীর্ণ হওয়ার পথে।
এ ছাড়া ঈদের আগে চলতি মাসের শেষ দিকে ঢাকা-রংপুর পথে, যমুনা সেতুর আগে ও পরে চার লেন সড়ক খুলে দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। তবে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা থেকে রংপুর পর্যন্ত চার লেন সড়ক প্রকল্পে ইন্টারচেঞ্জ নির্মাণকাজ চলায় এ রুটে কিছুটা দুর্ভোগের আশঙ্কা রয়েছে। চার লেনের কাজের কারণে বগুড়া এবং গাইবান্ধা এলাকায়ও কিছুটা যানজট হতে পারে। অন্যদিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে চার লেনের কাজ চলমান থাকায় যানজটের ফলে এ পথের যাত্রীদের অসন্ন ঈদযাত্রায় কিছুটা অস্বস্তি লাগতে পারে। গাজীপুরের জয়দেবপুর চৌরাস্তায় অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ ও বিআরটির করিডোর নির্মাণকাজের কারণে গাজীপুর-ময়মনসিংহ মহাসড়কেও প্রতিনিয়ত যানজট লেগে থাকে।
সড়ক পথের পাশাপাশি রেলপথেও দেশের যাত্রীদের বড় একটি অংশ যাতায়াত করে নিরাপত্তার কারণে। প্রতি বছর ঈদযাত্রায় অন্য সময়ের চেয়ে ট্রেনের টিকিটের চাহিদা থাকে কয়েকগুণ বেশি। ফলে বিশেষ ট্রেন চালু করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু গতবারের তুলনায় এবার ঈদে বিশেষ ট্রেনের সংখ্যা অর্ধেক করায় ঈদের ঘরমুখো যাত্রীরা ভোগান্তির শিকার হবেন। রেলওয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর পবিত্র ঈদুল ফিতরে ১০ জোড়া বিশেষ ট্রেন দিয়েছিল তবে এবার চলবে মাত্র পাঁচ জোড়া। গত বছর চট্টগ্রাম-চাঁদপুর রুটে দুই জোড়া বিশেষ ট্রেন চলাচল করলেও এবার চলবে এক জোড়া। গত ঈদে বিশেষ ট্রেন চললেও এবার পার্বতীপুর-দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও-দিনাজপুর, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার এবং চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহ রুটে কোনো বিশেষ ট্রেন চলবে না। রেলওয়ের কর্মকর্তাদের দাবি, ইঞ্জিন ও কোচের সংকটের বিশেষ ট্রেনের সংখ্যা কমানো হয়েছে। তাদের দাবি, ট্রেন কমলেও যাত্রীদের সমস্যা হবে না।
ঈদযাত্রায় ভোগান্তির অন্যতম অনুষঙ্গ, দূরপাল্লার বাসগুলো স্বেচ্ছাচারী প্রবণতায় যত্রতত্র গাড়ি থামিয়ে যাত্রী ওঠানামা করানো। বিভিন্ন জায়গায় অস্থায়ী টিকিট কাউন্টার বসানো এবং হকারদের রাস্তা দখল। ফিটনেসবিহীন বাসগুলো মহাসড়কে হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং মানুষের ট্রাফিক রুল না-মানার ক্রমর্বমান নেতিবাচক প্রবণতা। মহাসড়কে দূরপাল্লার বাসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলে রিকশাÑভ্যান, টেম্পো, সিএনজি স্কুটার, অটোরিক্সা। ঈদের এই আনন্দ যাত্রায় সবচেয়ে আশঙ্কার বিষয়, বেপরোয়া বাইকারদের যত্রতত্র উ™£ান্ত অসম গতি। সাম্প্রতিক কালে প্রতি বছর  ঈদ যাত্রায় প্রায় শতাধিক তরুণ বাইকার ও তাদের সহযাত্রী সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন। ফলে শেকড়ের টানে বাড়ি ফেরার ঈদ আনন্দ স্বজন হারিয়ে পরিণত হয় নিরানন্দে।
রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার পরিপ্রেক্ষিতে বিগত বছরগুলোর তুলনায় এবারের ঈদ উৎসবের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। প্রান্তিক মানুষের কর্মহীনতার কারণে ঢাকা শহরে এবার ভাসমান লোকের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। যাদের অধিকাংশই ঈদে আপনজনের কাছে বাড়ি যাবেন। ফলে যাত্রীর চাপ বাড়বে। বাংলাদেশে সড়ক ও রেলপথে যে বিদ্যমান পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে, তা এক বিশৃঙ্খল বাস্তবতা। যানবাহনের স্বল্পতায় ঢাকা থেকে দূরপাল্লাগামী যাত্রীদের পোহাতে হয় এই অন্তহীন ভোগান্তি। ঈদ এলেই বাসে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, নেই কোনো প্রতিকার। ট্রেনের টিকিট যেন সোনার হরিণ। বহাল তবিয়তে টিকিট কালোবাজারি, দেখার কেউ নেই। ফলে সড়ক ও রেলÑউভয়পথেই যাত্রীদের অতিরিক্ত ভাড়া গোনা, পথে যানজট, ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় ও দুর্ঘটনার আশঙ্কা মাথায় নিয়েই যাত্রীরা যাবেন স্বজনদের কাছে। বিশেষ ট্রেন কমানোর ফলেও যাত্রীদের দুর্ভোগ বাড়বে।
মানুষ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঢাকা কিংবা বড় শহরগুলো থেকে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ঈদ করতে যায়। পরিবহনে ভোগান্তি কমাতে অনেক সামর্থ্যবান প্রাইভেটকারে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে যাত্রা করেন। হাজার হাজার প্রাইভেটকারের বাড়তি চাপ, এর সঙ্গে রয়েছে মোটরবাইকের বিড়ম্বনা। এগুলো সামাল দিতে হয় ট্রাফিক পুলিশকে। তাদের বিরুদ্ধে বছরের বিভিন্ন সময় বহু ধরনের অভিযোগ থাকলেও ঈদযাত্রায় সড়কে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ রোদে পোড়েন, রোজা রেখে অমানবিক পরিশ্রম করেন।
এখানে আরও একটা বিষয় বলে রাখা প্রয়োজন, আমরা নিজেরা আইন মেনে চলি না, অথচ সবকিছুর জন্য সরকারকে দায়ী করি। সড়কে যেন যানজট সৃষ্টি না হয়, সেজন্য আমরা রাস্তায় নিজেরা কতটা বিবেচনাপ্রসূত আচরণ করি? দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছানোর তাড়াহুড়োয় আইন-কানুনের তোয়াক্কা করি না। ট্রাফিক আইনের কোনো তোয়াক্কা করি না এবং সড়কে-মহাসড়কে যা ইচ্ছে তাই ব্যবহার করে যানজট সৃষ্টির জন্য নিজেরাও একটা অন্যতম কারণ হয়ে উঠেছি। সেটাও আমাদের স্বীকার করতে হবে।
বাংলাদেশের সড়ক পরিবহন ব্যবস্থাপনায় সুষ্ঠু পরিকল্পনা প্রণয়ন, প্রায়োগিক এবং বাস্তবিক মূল্যায়ন দেশের জনবহুল বাস্তবতায় খুব একটা নেওয়া হয়নি। ঈদে মানুষের ঘরমুখো যাত্রা সুন্দর, স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ ও আনন্দময় করার জন্য মাঠ পর্যায়ে গবেষণা হওয়া প্রয়োজন। একই দিন তারিখে যদি সকল সরকরি-বেসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, স্বশাসিত প্রতিষ্ঠান ও গার্মেন্টস, শিল্প-কলকারখানা ছুটি হয়, তবে এর নেতিবাচক প্রভাব সড়কে পড়বেই। ঈদ ছুটির বিকেন্দ্রীকরণ করা যায় কিনা ভাবতে হবে আমাদের নীতি নির্ধারকদের। শিল্প অঞ্চল ও পেশা ভিত্তিক ছুটি কার্যকর করা গেলে  এর একটা ইতিবাচক প্রভাব সড়কে পড়বে।
সম্প্রতি, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির হওয়ায়, মহাসড়কে কয়েকটি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে ঈদযাত্রায় যাত্রীদের মধ্যে উদ্বেগ রয়েছে। এছাড়া রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্য সংস্থাগুলোর মতো হাইওয়ে পুলিশের মধ্যে ভীতি কাজ করায় তারা ভালোভাবে দায়িত্ব পালন করছেন না। সার্বিক বাস্তবতায়, এবারের ঈদযাত্রায় হাইওয়ে পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের দৃশ্যমান তৎপরতা প্রয়োজন। নিঃসন্দেহে আমাদের সক্ষমতা বেড়েছে, অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছে, কারিগরি দক্ষতাও বৃদ্ধি পেয়েছে, কিন্তু সুষ্ঠু পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে বড় ধরনের ঘাটতি রয়েছে। দেশের নীতি নির্ধারকদের সেই জায়গায় মনোযোগ দিতে হবে। অন্যথায় ঈদের সর্বজনীন আনন্দ নিরানন্দে পরিণত হবে, যা আমাদের কাম্য নয়। এবারের ঈদযাত্রা হোক সড়ক দুর্ঘটনামুক্ত। একটি প্রাণও যেন অকালে ঝরে  না যায়Ñ এমনটিই প্রত্যাশা আমাদের।

লেখক : সাংবাদিক

×