ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫, ৩ চৈত্র ১৪৩১

অবৈধ পথে ইউরোপ যাত্রা

প্রকাশিত: ১৯:১৮, ১৭ মার্চ ২০২৫

অবৈধ পথে ইউরোপ যাত্রা

একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ ও জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে মানুষ ইউরোপে পাড়ি জমিয়ে থাকে। উত্তর-পূর্ব গোলার্ধের মহাদেশটি লাখো মানুষের স্বপ্নকে লালন করতে শেখায়। আধুনিক, উন্নত জীবনযাত্রা এবং স্থায়ী বসবাসের সুযোগ থাকায় ইউরোপ মানুষের আগ্রহের শীর্ষে। অর্থনীতি, রাজনীতি এবং সুশৃঙ্খল সমাজ ব্যবস্থার অনন্য এক ভূমি। ৪৪টি দেশ নিয়ে গঠিত মহাদেশটি প্রাচীন যুগ থেকেই সমৃদ্ধশালী। বিশ্বের প্রাচীন শহরগুলোর মধ্যে অন্যতম লন্ডন, রোম, প্যারিস, বার্লিন, আমস্টারডাম, মস্কো ইউরোপেই অবস্থিত। যার ফলে স্থান, অর্থনীতি, সামাজিক স্থিতিশীলতা, আবহাওয়া ও পরিবেশ বিবেচনায় ইউরোপ পছন্দের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে।
বাংলাদেশ থেকে প্রত্যেক বছর বৈধ-অবৈধ পথে হাজারো লোক ইউরোপে পাড়ি জমায়। বৈধ পথ তুলনামূলক জটিল ও সময়সাপেক্ষ হওয়ায় মানুষ অবৈধ পথে যাত্রা করে। মৃত্যুকে সঙ্গে নিয়ে ভবিষ্যতের খোঁজে এগিয়ে যায়। ভূমধ্যসাগরের মতো মৃত্যুকূপ, ট্রাক-কন্টেনারের মতো যানে করে ইউরোপে পথের যাত্রী হয়। যার ফলে প্রতি বছর হাজারো যুবক, মধ্য বয়স্ক মানুষকে তাজা প্রাণ সাগরের তলে বিলিয়ে দিতে হয়। স্বল্প জ্ঞান থাকায় বৈধ পথের চেয়েও অবৈধ পথকে সুবিবেচনায় নিয়ে যাত্রা করে থাকে তারা। এ ছাড়া বিভিন্ন এজেন্সি এবং দালালদের খপ্পরে পড়ে সর্বস্ব খুইয়ে ফেলে। বেশিরভাগ সময় দালালদের চাহিদামতো টাকা না দিতে পারলে জীবন বিসর্জন দিতে হয়। বর্তমানে অবৈধ পথের ব্যবহারের ফলে প্রায়ই নৌকা, বোট ডুবিতে মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। যারা ইউরোপ যাত্রায় আগ্রহী, তাদের অবশ্যই বৈধ পথ ব্যবহার করতে হবে। অবৈধ পথে নিজের জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলে ইউরোপ যাত্রার ইতি টানুন। বৈধতা অবলম্বন করুন। বাংলাদেশ সরকার ইউরোপে দেশগুলোর যাত্রা পথ সহজ করে দিলে মৃত্যুর ঝুঁকি কিছুটা হলেও কমবে। আমাদের সতর্কতা ও সচেতনতা অবলম্বন করার পাশাপাশি অন্যকে সচেতনও করতে হবে।

সাজ্জাদুল ইসলাম ইয়ামিন
ঢাকা কলেজ

×