
ফুলের মতো ফুটফুটে এক শিশুর তীব্র যন্ত্রণা ভোগের পর মৃত্যুর কাছে পরাজয় অত্যন্ত মর্মান্তিক ও ক্ষোভের। মাগুরার শিশু আছিয়ার ওপর বর্বর নিপীড়নের ঘটনা সমাজকে আবারও প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। আমরা কতটুকু মানুষ হয়েছি, সভ্য হয়েছি, তার মাপকাঠি মাগুরার শিশুটির ওপর বর্বর নির্যাতন। চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা, দেশবাসীর প্রার্থনা- সবকিছুকে ব্যর্থ করে দিয়ে মাগুরার আট বছরের কন্যাশিশুটি চলে গেল। ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে বৃহস্পতিবার বেলা ১টায় শিশুটির মৃত্যু হয়। জীবন ও জগৎকে দেখার আগেই ছোট্ট নিষ্পাপ শিশুটিকে যে অবর্ণনীয় নির্মমতার মুখোমুখি হতে হয়েছে, সেটা এককথায় নারী ও শিশুর নিরাপত্তা ও সুরক্ষা দিতে আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্র যে চূড়ান্ত রকম ব্যর্থ, তারই রূঢ় প্রতিচ্ছবি।
অবাক মানতে হয় এই ভেবে যে, শিশু নিপীড়ন একটুও থামেনি। মাগুরার শিশুটির চলে যেতে না যেতেই আরেক শিশুর ওপর হামলে পড়ে পশুরূপী পুরুষ। জনকণ্ঠ অনলাইনের সংবাদ অনুযায়ী নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ৭ বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে শিশুটিকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে। বাংলাদেশে ধর্ষণের জন্য মৃত্যুদণ্ড ও কমিউনিটি পুলিশিং রয়েছে। ২০২০ সালে দেশে ধর্ষণের ঘটনা বাড়তে থাকায় সরকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সংশোধন এনে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করে। কমিউনিটি পুলিশিং চালু করা হয়, যাতে স্থানীয় মানুষ সহজেই অভিযোগ করতে পারে। কঠোর শাস্তির কারণে কিছুটা ভীতি তৈরি হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শাস্তির চেয়ে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা বেশি দরকার। নারীবাদী সংগঠনগুলো বলছে, শুধু কঠোর শাস্তি দিলেই হবে না, বরং পুলিশের প্রশিক্ষণ ও ভুক্তভোগীদের সহায়তা ব্যবস্থাও উন্নত করতে হবে। আমাদের এ বিষয়ে কঠোর আইন ও দ্রুত বিচারের মাধ্যমে ধর্ষণের শাস্তি দ্রুত কার্যকর করতে হবে। পরিবার থেকে স্কুল, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান- সর্বত্র সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে।
নারী নিপীড়ন
ও ধর্ষণের বিরুদ্ধে
দেশের বিভিন্ন স্থানে নারী নির্যাতন, নিপীড়ন, ধর্ষণ, সাইবার বুলিং, মোরাল পুলিশিং (নীতি পুলিশিং) ও বিচারহীনতার সংস্কৃতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ-সমাবেশ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি না হলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে পদত্যাগ করার আহ্বানও জানান তাঁরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে এ সমাবেশ হয়। গত ৫ আগস্টের পর সাত মাসেও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি উল্লেখ করে হতাশা প্রকাশ করেন বক্তারা। এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘অনিরাপদ আমার বোন, জবাব দাও প্রশাসন’, ‘আমার সোনার বাংলায়, ধর্ষকদের ঠাঁই নাই’, ‘ধর্ষকদের কালো হাত, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
সমাবেশে বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রাহী নায়েব বলেন, ‘আমরা নতুন বাংলাদেশের প্রত্যাশায় অভ্যুত্থান করেছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত তার কোনো সুফল পাইনি। ধর্ষণ, নিপীড়ন, সাইবার বুলিং-সংক্রান্ত আইনগুলো সংস্কার করতে হবে। ধর্ষকদের আশকারা দেওয়ার সংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে। আন্দোলন ছাড়াই নিজ উদ্যোগে প্রশাসনকে বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে।’
দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্ষণ ও নারী নিপীড়নের প্রতিবাদে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে ‘ঢাকাস্থ আদিবাসী ছাত্রসমাজ’। বুধবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে এ কর্মসূচি পালন করে তারা। সমাবেশ থেকে নারী ও শিশুর ওপর সহিংসতা, ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা বন্ধে অন্তর্বর্তী সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানানো হয়। সমাবেশে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) কেন্দ্রীয় সদস্য দীপায়ন খীসা বলেন, ‘আজ সারা দেশে কী হয়েছে? ধর্ষণ বেড়েছে। আদিবাসীদের ওপর হামলা বেড়েছে। আমরা প্রতিবার প্রতিটি সমাবেশ থেকে নিপীড়নের কথা বলেছি। প্রতিবার হামলা নিপীড়নের প্রতিবাদ করতে হয়েছে। এই জন্যই কি গণঅভ্যুত্থান হয়েছে?’ সমাবেশে বাংলাদেশ মারমা স্টুডেন্টস কাউন্সিলের ঢাকা মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক নুমংপ্রু মারমা বলেন, গণঅভ্যুত্থানের স্বপ্ন ব্যর্থ হয়েছে। এক সেটেলার কর্তৃক এক জুম্ম প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণ করা হয়েছে। এর চেয়ে বড় কষ্টের বিষয় হলো সরকার বা দেশের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা তাঁদের নীরব ভূমিকা পালন করেছেন, যা এই ধর্ষকদের সাহস বাড়িয়ে দিচ্ছে এসব অপকর্মে লিপ্ত হওয়ার জন্য।
মশা যানজট জনচাপ
রাতে মশা, দিনে মাছি/এই নিয়ে ঢাকায় আছি- ছড়া কেটে মহানগরবাসীর দুর্দশার কথা বলা হতো আগে। এখন মশা-মাছি, নোংরা আবর্জনার সঙ্গে আরও এমন কিছু অনুষঙ্গ যুক্ত হয়েছে যে বেহাল দশা বোঝাতে দুই লাইনের ছড়ায় কুলোবে না; আস্ত মহাকাব্যই রচনা করতে হবে। ঢাকা হলো রাজধানী শহর, যেখানে প্রায় দুই কোটি মানুষের বাস। দেশের আর কোনো মহানগর দূরে থাক, আর কোনো জেলাতেও এত বেশি সংখ্যক মানুষ বসবাস করে না। সঙ্গত কারণেই রাস্তায় যানবাহনের চলাচলও বেশি। কালো ধোঁয়া এবং যানজটও বেশি। ভারাক্রান্ত এই মহানগরী বারবারই বিশ্বের নানা মান সূচকে এমন অবস্থানে চলে আসে যে রীতিমতো লজ্জার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। দেখা যায় বিশ্বের সবচেয়ে নিকৃষ্ট বায়ুমানের দৃষ্টান্ত হয় আমাদের প্রিয়নগরী ঢাকা। ঢাকার দূষিত বাতাস নিয়ে বিস্তর গবেষণা হয়। নীরব ঘাতক হিসেবেই শঙ্কাটি নিশ্বাস ফেলে বারবার আমাদের ঘাড়ের ওপর। জল ছাড়া মাছ যেমন বাঁচে না, তেমনি বাতাস ছাড়া মানুষ বাঁচে না। বাতাস থেকেই শ্বাসের অক্সিজেন গ্রহণ করতে হয় আমাদের। এই গ্রহণ প্রক্রিয়ায় অক্সিজেনের সঙ্গে আমরা কত কিছুই না টেনে ফুসফুসে নিচ্ছি। ফুসফুস থেকে সেটি আমাদের রক্তে মিশে যাচ্ছে। এভাবেই নিঃশব্দে আমরা ব্যাধিগ্রস্ত হয়ে পড়ছি।
আধুনিকতার সঙ্গে তাল মেলাতে এবং বসবাসযোগ্যতা বাড়াতে উন্নয়নমূলক নানা পদক্ষেপই গ্রহণ করতে হয়েছে। একেকটি স্থাপনার জন্য মাটি-বায়ুর ওপর চাপ পড়েছে। ফলে দূষণের মাত্রাও বেড়েছে। ধূলিধূসর হয়ে ওঠে কখনো কখনো এই নগরী। সহনীয় করে তোলার জন্য যে পদ্ধতি ও প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে আমাদের যাওয়া সমীচীন, তা গ্রহণে ও বাস্তবায়নে আমরা থাকি অনেকটাই নিষ্ক্রিয়। আবার বর্ষাকালে জলাবদ্ধতা আমাদের নিত্যসঙ্গী। ফাঁকা জায়গা আমাদের যেন কিছুতেই সহ্য হয় না। খাল-ঝিল-জলাশয় আমাদের চক্ষুশূল। আমাদের মানসপটে উঁচু উঁচু দালান ভেসে ওঠে। তাই আমরা সব খালি জায়গাকে অনুবাদ করে ফেলেছি টাকায় অর্থাৎ অট্টালিকায়। আকাশের দিকে উঠে গেছে আমাদের সব অট্টালিকা। তাতে স্কয়ার ফিটের মাপে খোপ খোপ কামরা। কিন্তু সেখান থেকে নেমে যে আমাদের মাটিতেই পা রাখতে হবে। হেঁটে বা যানবাহনে চেপে আমাদের যেতে হবে কর্মস্থলে, হাটেবাজারে- এই চিন্তা এই পরিকল্পনা আমাদের মাথাতেই নেই। ফলে গিজগিজ নগরীতে আমাদের জীবনযাপন হয়ে উঠেছে সংকটাপন্ন। একটা শহর কিভাবে বসবাসযোগ্যতা হারাতে পারে তার বিশ্বরেকর্ডের মতো দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছি আমরা। রমজান মাসে এবার মশার আধিক্য ও যানজটের নতুন ফাঁদ মানুষকে হাঁসফাঁস দশায় ফেলেছে।
ইফতারির আগে
টানা প্র্যাকটিস
শিল্প-সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তির বেশিরভাগই নিজের শিল্পচর্চার ক্ষেত্রকে উপার্জনের উৎসস্থল করে নিতে পারেন না। তারা কোনো না কোনো পেশায় যুক্ত থাকেন। তাই দলবদ্ধ বা একক চর্চার জন্য ছুটির দিনগুলোকে কাজে লাগান। যাদের ছুটি একদিন, মানে শুধু শুক্রবার, তাদের জন্য সময় বের করা কঠিনই বটে। যাহোক, রোজার মধ্যেও থেমে নেই শিল্প পরিবেশনার জন্য মহড়া বা প্র্যাকটিস। ঈদ উপলক্ষে নতুন সিনেমার মতো নতুন গান রিলিজ দেওয়ার একটা চল রয়েছে। টেলিভিশনও ঈদ উপলক্ষে প্রচুর বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান নির্মাণ করে থাকে রমজানে। যারা ইউটিউব চ্যানেলে নতুন গান উপহার দেন ঈদ উপলক্ষে, তাদের ব্যস্ততা থাকে বেশি। আর যারা ভাবেন সুবিধামতো সময়ে গানের প্রোডাকশনে যাবেন, তারাও রোজার আপাত শান্ত ধীরস্থির সময়টা কাজে লাগান দলবদ্ধ চর্চার মাধ্যমে। গত শুক্রবার এরকমই একটি ব্যান্ড দলের প্র্যাকটিস বা মহড়ায় থাকার সুযোগ হয়েছিল। বনানীর একটি প্র্যাকটিস স্টুডিওতে ব্লু মুন নামের এই দলের ভোকাল আর্টিস্টসহ প্রতিটি বাদ্যযন্ত্রের যন্ত্রী, মানে যন্ত্রসঙ্গীত শিল্পী তথা ব্যান্ড দলের প্রতিটি সদস্য রোজা রেখেই দীর্ঘ তিন ঘণ্টা টানা প্র্যাকটিস করেন। জানি না তারা এত শক্তি পান কোথা থেকে? হতে পারে নিজ কাজের প্রতি কমিটমেন্ট কিংবা রোজায় নিয়মিত অফিস করার মতোই হয়তো বিষয়টা। রোজার দিনে অসুস্থতার কারণ ছাড়া প্রাপ্তবয়স্করা রোজা রেখে থাকেন, এ কথা বলাই বাহুল্য। বাংলাদেশের পারিবারিক সংস্কৃতিতে বিষয়টি অবধারিত। যার যে কাজই থাকুক না কেন, যত ব্যস্তই তিনি থাকুন না কেন, রোজা ভাংতে চান না কেউ। কোনো পরিসংখ্যান নেই, তবে বাংলাদেশে যারা রোজা রাখেন সংখ্যায় তারা বিপুল এতে কোনো সন্দেহ নেই। ব্লু মুনের বয়োজ্যেষ্ঠ সদস্য চাইছিলেন ইফতারির অন্তত আধঘণ্টা আগে প্র্যাকটিস শেষ করতে। দিনের শেষভাগে অনেকেরই রোজা একটু ধরে আসে, একটু ক্লান্তি লাগে। এটি অস্বাভাবিক কিছু নয়। কিন্তু ভোকাল আর্টিস্ট বললেন, ইফতার এবং পরবর্তী নামাজের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে যেটুকু সময় লাগে, সেটুকু সময় আমরা নেব, সে পর্যন্ত প্রাকটিস চলুক না। সবাই একবাক্যে সম্মতি জানালেন এবং নিরবচ্ছিন্নভাবে গানের প্র্যাকটিস চলতে থাকলো।
এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, রোজা রেখে কণ্ঠচর্চায় বেশি কষ্ট হয়। দলের একমাত্র ভোকালিস্ট দলপ্রধান সাব্বির নাসির নিজে সক্রিয় থেকে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করার ব্রত পালন করছিলেন বলেই টানা প্র্যাকটিস চালানোর পক্ষে ছিলেন। খেয়াল করলাম, এই ব্যান্ড দল গানের লিরিকের পাশাপাশি কবিতা থেকে গান করার ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছেন। সুর সংযোজনায়ও দেশি মেলোডির পাশাপাশি বিদেশী বিশ^খ্যাত সুরভঙ্গি, যেমন জ্যাজ, ব্লুজ এসবও যুক্ত করছেন। ফলে একটা নতুনত্ব বা অভিনবত্ব যে আসছে গানে, তাতে কোনো দ্বিমত নেই। আরো খেয়াল করলাম, প্রতিটি গানের সুর ধাপে ধাপে কিছুটা পরিমার্জিত পরিবর্ধিত হচ্ছে, যা ইতিবাচকই। যন্ত্রসঙ্গীত শিল্পীরাও তাদের নব নব কারিশমা দেখাতে থাকলেন। সব মিলিয়ে প্র্যাকটিসের শেষে প্রতিটি গান প্রায় চূড়ান্ত একটা অবস্থান ধরে রাখলো, যা হয়তো পরবর্তী অধিবেশনে সম্পূর্ণ চূড়ান্ত রূপ নেবে। এভাবেই মঞ্চ পরিবেশনা কিংবা মিউজিক ভিডিওর জন্য অডিও রেকর্ড সুসম্পন্ন হবে। ‘তুমি বইমেলায় আসছো না’ কবিতা থেকে গানের রিহার্সাল শুনে মনে হলো ব্যতিক্রমী সুর যোজনার ফলে তরুণ প্রজন্ম গানটি বিশেষ পছন্দ করতে পারে।
রমজানে ঈদের কেনাকাটা
রমজানে ইফতারির পরেই বাজারে-শপিং মলে বেশি লোকসমাগম হয়। তবে ক্রেতারা দিনভরই ভিড় জমান কেনাকাটার জায়গাগুলোতে। ঢাকায় ঈদের কেনাকাটায় মধ্যবিত্তদের নির্ভরযোগ্য বাজার হচ্ছে নিউমার্কেট। ঈদুল ফিতর সামনে রেখে জমে উঠছে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকার বেচাকেনা? একসঙ্গে অনেক মার্কেট আর সব ধরনের পণ্য পাওয়ার সুবিধা থাকায় ঢাকা ও আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে অনেকে সেখানে যান কেনাকাটা করতে। প্রতি বছর ঈদের আগে দেখা যায় অভিন্ন চিত্র। ঈদ ঘিরে ভিড় বাড়ে সেখানকার মার্কেটগুলোতে? এবারও এর ব্যতিক্রম নয়। বলা চলে, এবার রমজানের শুরু থেকেই এসব মার্কেটে ঈদের কেনাকাটা শুরু হয়েছে। গাউছিয়া, চাঁদনি চক ও নিউমার্কেট ঘুরে দেখা গেছে এলাকায় একসঙ্গে অনেকগুলো মার্কেট আর সব ধরনের পণ্য পাওয়ার সুবিধা থাকায় ঢাকা ও আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে অনেকে এখানে আসেন কেনাকাটা করতে। বিশেষত, ঈদ ঘিরে ভিড় বাড়ে সেখানকার মার্কেটগুলোতে? এবারও এর ব্যতিক্রম নয়।
গুলশান-বনানীর ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, হালের ফ্যাশনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তাদের প্রতিটি শোরুমে পোশাকের পসরা সাজানো হয়েছে। যা দেশ-বিদেশের বিখ্যাত সব ফ্যাশন ডিজাইনাররা তৈরি করেছেন। শুক্রবার ছুটির দিনে গুলশান এলাকার কয়েকটি মলে গিয়েছিলাম। বাহারি আলোকসজ্জা, ভেতরের ডেকোরেশন সব কিছুর ভেতরেই উৎসবের আমেজ। শাড়ি, পাঞ্জাবি, মেয়েদের পোশাকের দোকান, নতুন কাপড়ের সঙ্গে মিলিয়ে জুতা, কসমেটিক্সের দোকানগুলোতে তুলনামূলক ভিড় বেশি। এ ধরনের পণ্যের চাহিদাও বেশি। তবে রমজানের মাঝামাঝি অন্যান্য বছর গুলশান-বনানীর অভিজাত শপিং মলগুলোয় যতোটা ভিড় হয় এবার তার চেয়ে বেশ কমই মনে হলো। যদিও এবারও গুলশান-বনানীর শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত প্রতিটি শপিংমল সাজানো হয়েছে হরেক রঙের বাতি দিয়ে। এবার বনানীর চেয়ে গুলশানের শপিংমলগুলো বেশি সাজানো গোছানো।
১৬ মার্চ ২০২৫
[email protected]