ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৪ মার্চ ২০২৫, ২৯ ফাল্গুন ১৪৩১

জাকাত ॥ প্রয়োজন সবার সমন্বিত পদক্ষেপ

মো. মাসুদ চৌধুরী

প্রকাশিত: ২০:৪৪, ১৩ মার্চ ২০২৫

জাকাত ॥ প্রয়োজন সবার সমন্বিত পদক্ষেপ

ইসলাম পূর্ণাঙ্গ এক জীবন ব্যবস্থার নাম, যা মানবজীবনের প্রতিটি দিককে স্পর্শ করে। জাকাত ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটি স্তম্ভ, যার আভিধানিক অর্থ হলো বৃদ্ধি, পবিত্রতা ও পরিশুদ্ধতা। ইসলামের পরিভাষায় নিঃস্ব, দরিদ্র ও অসহায়দের অভাব ও প্রয়োজন পূরণের জন্য সম্পদশালী মুসলমানদের সম্পদ থেকে নির্ধারিত অংশ প্রদান করাকে জাকাত বলে। জাকাতের মূল উদ্দেশ্য হলো সমাজের দরিদ্র শ্রেণির মানুষের প্রয়োজন মেটানো এবং তাদের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়ন করে সমাজে অর্থনৈতিক সমতা প্রতিষ্ঠা করা। তাছাড়া ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ ও সহানুভূতি সৃষ্টি, সামাজিক ঐক্য ও শান্তি বজায় এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় জাকাতের ভূমিকা অপরিসীম। অধিকিন্তু, জাকাত প্রদান করা প্রত্যেক সম্পদশালী মুসলমানদের জন্য এক বাধ্যতামূলক ধর্মীয় ইবাদত, যার বিনিময়ে মহান আল্লাহ তাআলা দুনিয়া ও আখিরাতে অফুরন্ত নিয়ামত দান করেন।
একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে জাকাতের ভূমিকা অপরিসীম। জাকাত সম্পদের পুনঃবণ্টন, দরিদ্রতা হ্রাস ও সামাজিক স্থিতিশীলতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক উন্নয়ন করে থাকে। ২০২২ সালে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার জাকাত ও সাদাকাহ অর্থের মাধ্যমে ২১টি দেশে ১.৫ মিলিয়নের বেশি শরণার্থী ও অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের সহায়তা প্রদান করে, যা তাদের কষ্ট লাঘবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে (জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার)। ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের এক গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্বব্যাপী মুসলিমদের থেকে প্রতি বছর প্রায় ২০০ বিলিয়ন থেকে ১ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার পর্যন্ত জাকাত সংগ্রহ করা সম্ভব। এই বিপুল পরিমাণ অর্থ সঠিকভাবে ব্যবস্থাপনা করা গেলে মুসলিম বিশ্বের প্রায় ২০ শতাংশ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর দরিদ্রতা দূর হয়ে যাবে। একইভাবে বাংলাদেশের দরিদ্রতা দূরীকরণেও জাকাত অপরিসীম ভূমিকা রাখতে পারে। ২০২৩ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ২৪.৩ শতাংশ বা প্রায় ৪ কোটি ১২ লাখ মানুষ দরিদ্রতার শিকার (বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো, ২০২৩)। অর্থনীতিবিদদের মতে, বাংলাদেশের মোট জাকাতযোগ্য সম্পদের পরিমাণ প্রায় ১৩ লাখ কোটি টাকা, যার আড়াই শতাংশ হারে জাকাতের পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ২৭ হাজার কোটি টাকা। এই বিপুল পরিমাণ অর্থ সঠিকভাবে আদায় ও বণ্টন করা গেলে, অতি অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশে জাকাত গ্রহণ করার মতো কোনো ব্যক্তি আর খুঁজে পাওয়া যাবে না। কারণ, জাকাত সাধারণত দরিদ্র, এতিম, বিধবা, প্রতিবন্ধী, ঋণগ্রস্ত এবং অর্থনৈতিকভাবে অক্ষম ব্যক্তিকে প্রদান করা হয়ে থাকে।
ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে জাকাতের গুরুত্ব এতটা বেশি যে, কুরআন শরীফে মহান আল্লাহ তাআলা জাকাতের কথা ৩২ বার বলেছেন এবং প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক সম্পদশালী মুসলমানের জন্য যাকাতকে সম্পদের পবিত্রতা এবং আত্মার শুদ্ধির জন্য ফরজ করেছেন (সহিহ মুসলিম: ৯৮৪)। আর যে ব্যক্তি তার সম্পদের জাকাত দিবে না, কিয়ামতের দিন তার জন্য তার সম্পদকে আগুনের পাতায় পরিণত করা হবে এবং তা দ্বারা তার কপাল, পার্শ্বদেশ ও পৃষ্ঠদেশ দগ্ধ করা হবে। আর এই শাস্তি চলতে থাকবে, যতক্ষণ না আল্লাহ তাদের সম্পর্কে সিদ্ধান্ত দেন (সহিহ মুসলিম: ৯৮৭)। আর যে ব্যক্তি হালাল সম্পদ থেকে একটি খেজুরের সমপরিমাণ দান করেন, আল্লাহ তা বৃদ্ধি করতে থাকেন, যতক্ষণ না তা পাহাড়ের সমান হয়ে যায় (সহিহ বুখারি: ১৪১০)। আরও বলা হয়েছে, যে ব্যক্তি এক জোড়া বস্ত্র দান করেন, তাকে পরকালে জান্নাতের দরজা থেকে ডাকা হবে: ‘হে আল্লাহর বান্দা! এই দরজা দিয়ে প্রবেশ করুন (সহিহ বুখারি: ১৪৪৯)। তাই, দান সম্পদ কখনো কমায় না। মহান আল্লাহ ক্ষমাশীল বান্দাকে সম্মানিত করেন এবং বিনয়ীকে উচ্চ মর্যাদা দান করেন (সহিহ মুসলিম: ২৫৮৮)। সামাজিক সমতা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রেও জাকাতের ভূমিকা অপরিসীম। একজন ব্যক্তিকে মুমিন হতে হলে তার ভাইয়ের জন্য সেই জিনিস চাইতে হবে, যা সে নিজের জন্য চেয়ে থাকেন (সহিহ বুখারি: ১৩)। জাকাত দরিদ্র ও বঞ্চিতদের প্রতি করুণার দান নয়। আল্লাহ বলেন, তাদের সম্পদে দরিদ্র ও বঞ্চিতদের নির্দিষ্ট অধিকার রয়েছে (সুরা-৫১ জারিয়াত, আয়াত: ১৯)।
জাকাতের অর্থনৈতিক, ধর্মীয় ও সামাজিক গুরুত্ব থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশে জাকাত আদায় ও বণ্টনের পরিমাণ প্রত্যাশার থেকে অনেক কম। বাংলাদেশে মুসলিমরা সাধারণত ব্যক্তিগতভাবে ও প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে জাকাত আদায় ও বিতরণ করে থাকেন। প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, এতিমখানা ও মাদ্রাসা, অলাভজনক সংগঠন, ইসলামিক ব্যাংক ও ফাইন্যান্সিয়াল প্রতিষ্ঠান এবং ফাউন্ডেশন ও দাতব্য প্রতিষ্ঠান জাকাত আদায় ও বিতরণ করে থাকে। ইসলামিক ফাউন্ডেশন যাকাত ফান্ড বিভাগ বাংলাদেশে সরকারিভাবে জাকাত আদায় ও বিতরণ করে থাকে। তাদের হিসেব অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরে জাকাত আদায় ও বিতরনের পরিমাণ ছিল মাত্র প্রায় ১১ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। বেসরকারিভাবে জাকাত আদায় ও বিতরণের পরিমাণ সঠিকভাবে নির্ণয় করা সম্ভব না হলেও, অনুমান করা সম্ভব। তবে, জাকাত সরকারি ও বেসরকারি যেভাবেই আদায় হোক না কেন, তার মোট পরিমাণ অর্থনীতিবিদদের অনুমেয় ২৭ হাজার কোটির থেকে অনেক কম।
এত কম জাকাত আদায়ের জন্য অপর্যাপ্ত ধর্মীয় জ্ঞান, আর্থিক অসচেতনতা, অবহেলা বা উদাসীনতা, ও আত্মস্বার্থপরতা বা সম্পদ সঞ্চয়ের প্রবনতাই দায়ী। জাকাত দেওয়া যে সালাতের মতো একটি ফরজ বা অবশ্য পালনীয় ইবাদত, এটা অনেকে জানেন না, বা জানলেও তার গুরুত্ব বোঝেন না। এছাড়া অনেক মুসলিম জাকাতের এবং সম্পদের সঠিক ও প্রকৃত মূল্যায়ন করতে পারেন না, অথবা নিজেদের স্বার্থের জন্য জাকাত কমিয়ে দেন। বাংলাদেশে ট্যাক্স পরিশোধও জাকাত প্রদান করার একটি অন্তরায় হিসেবে কাজ করে। অন্যদিকে, অনেক জাকাত প্রদানকারী ব্যক্তিপর্যায়ে জাকাত গ্রহণকারী সম্পর্কে কোনো তথ্য না নিয়ে, ভুল তথ্য নিয়ে, এবং আবেগ ও স্নেহের কারণে ভুল ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে জাকাত প্রদান করে থাকেন। যার ফলে জাকাত পাওয়ার যোগ্যরা জাকাত থেকে বঞ্ছিত হন। অপরদিকে, সরকারিভাবে জাকাত কম আদায়ের মূল কারণ হলো প্রচার ও বিশ্বাসের অভাব। কোরআন মজিদে জাকাতের ব্যয়ের যে নির্দিষ্ট আটটি খাতের (ফকির, মিসকিন, যাকাত আদায় ও বিতরণের কাজে নিয়োজিত ব্যক্তি, নব মুসলিম, দাস মুক্তির জন্য, ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি, আল্লাহর পথে এবং মুসাফির) উল্লেখ রয়েছে, তার মধ্যে সময়ের প্রয়োজন ও ফল বিবেচনায় নিকটাত্মীয়, প্রতিবেশী ও অন্যদের অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। যার ফলে অনেক মুসলিম ব্যক্তিগতভাবে তাদের জাকাত দিয়ে থাকেন। এছাড়া স্থানীয় মসজিদ, মাদ্রাসা এবং অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি মানুষের আস্থা থাকায়, সেখানে জাকাত প্রদান করেন।
জাকাত সঠিকভাবে আদায় ও বণ্টনের জন্য প্রয়োজন সকলের সমন্বিত পদেক্ষেপ। বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশন সরকারিভাবে জাকাত আদায় ও বণ্টনের পরিমাণ বৃদ্ধির জন্য ইতোমধ্যে উল্লেখযোগ্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এগুলোর মধ্যে অনলাইন ও ডিজিটাল পদ্ধতির ব্যবহার, আয়কর সুবিধা নিশ্চিতকরণ, জাকাত প্রদানের নির্ভুল হিসাব প্রণয়ন, স্থানীয় স্তরে জাকাত সংগ্রহ কেন্দ্র, স্থানীয় সমাজকর্মীদের সম্পৃক্ত করা, জাকাত বোর্ড প্রতিষ্ঠা, এবং প্রশিক্ষণ প্রদান অন্যতম। তবে আরও প্রচার ও বিশ্বাসযোগ্যতা সৃষ্টিতে কাজ করার সুযোগ  রয়েছে। তাই, সরকারীভাবে বিভিন্ন গনমাধ্যমে যেমনÑ টেলিভিশন, রেডিও, ও পত্রিকায় জাকাতের সচেতনতামূলক বিজ্ঞাপন ও আলোচনা প্রচার করা যেতে পারে। একইসাথে, বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ছোট ভিডিও, ইনফোগ্রাফিক ও ব্লগ পোস্টের মাধ্যমে জাকাতের বাধ্যবাধকতা আরও ব্যাপক পরিসরে তুলে ধরার উদ্যোগ নিতে হবে। এছাড়া, মুঠোফোনে বা মেইলে সংক্ষিপ্ত ম্যাসেজের মাধ্যমে মুসলিমদের জাকাত দিতে উৎসাহিত ও স্মরণ করিয়ে দেওয়া যেতে পারে। জাকাতের ট্যাক্স সুবিধা আরও বাড়ানো যেতে পারে, যাতে মুসলিমরা সহজেই, ট্যাক্স ও জাকাত উভয়ই সঠিকভাবে পরিশোধ করতে পারেন। তবে বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ানোর জন্য জাকাত আদায় ও বণ্টনের অডিটেড আর্থিক প্রতিবেদন নিয়মিতভাবে প্রকাশ করতে হবে।
সরকারের পাশাপাশি সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষকে জাকাত আদায় ও বিতরণের জন্য অবদান রাখতে হবে। প্রত্যেক ব্যক্তি নিজের সম্পত্তি ও আয়ের সঠিক হিসাব করে সঠিক প্রাপকের কাছে জাকাত পৌঁছাতে পারলে দরিদ্র নিকটাত্মীয়, প্রতিবেশী ও অন্যদের দরিদ্রতা অনেকাংশে কমে যাবে। এক্ষেত্রে প্রতিবছর অনেক ব্যক্তিকে অল্প পরিমানে জাকাত দেওয়ার থেকে কিছুসংখ্যক ব্যক্তিকে (যদি সম্ভব হয়) একেবারে স্বাবলম্বী করার ব্যবস্থাকে শ্রেয় বলে মনে করি। এছাড়া ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে পরিবারের সদস্যদের শিক্ষা দিতে হবে। যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম জাকাত আদায় ও বিতরনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে। একইভাবে ব্যবসায়ীরা জাকাতের আদায় ও বণ্টনের মাধ্যমে দরিদ্রতা দূরীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন। তারা যাকাতের অর্থ দান করার পাশাপাশি টেকসই প্রকল্প, বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ ও ক্ষুদ্র ব্যবসা সহায়তায় বিনিয়োগ করলে, দরিদ্রদের দ্রুতগতিতে স্বাবলম্বী করা সম্ভব বলে বিশ্বাস করি।
তাছাড়া বাংলাদেশে জাকাত বিতরণের সময় জনসমাগম ও অব্যবস্থাপনার কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে যা জাকাতের মূল উদ্দেশ্যকে ব্যাহত করে। এটি শুধু দরিদ্র মানুষের জন্য বিপজ্জনক নয়, বরং ইসলামের মানবিক ও কল্যাণমূলক দিক সম্পর্কেও ভুল ধারণার জন্ম দিতে পারে। তাই ব্যবসায়ী, শিল্পপতি ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে সঠিক পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে জাকাত বিতরণ করতে হবে। এর জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার, জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও প্রযুক্তির ব্যবহার করা যেতে পারে। তাছাড়া বাংলাদেশের অধিকাংশ মুসলিম জনগণের মধ্যে মসজিদের ইমাম, খতিব, ইসলামিক বক্তা ও অন্যান্য ধর্মীয় ব্যক্তিত্বের ওপর রয়েছে গভীর বিশ্বাস ও শ্রদ্ধা। ফলে তারা খুতবা, ওয়াজ, সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনা এবং স্থানীয় জাকাত তহবিল গঠনের মাধ্যমে জাকাত আদায় ও বিতরণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন। একইসঙ্গে স্থানীয় সমাজসেবী সংগঠন এবং অন্য পেশার জনপ্রিয় ব্যক্তিত্বরা জাকাতের গুরুত্ব তুলে ধরে জনসাধারণকে জাকাত প্রদানে উৎসাহিত করতে পারেন।
জাকাত মুসলিমদের জন্য ফরজ একটি ইবাদত, যার বদলে মহান আল্লাহ ইহকাল ও পরকালে অফুরন্ত নিয়ামত দান করবেন। এটি ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে সম্পদের সুষম বণ্টন নিশ্চিত করে এবং সমাজ থেকে দারিদ্র্য দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই, প্রতিটি সামর্থ্যবান মুসলিমের উচিত যথাযথভাবে ও নিয়মিত জাকাত প্রদান করা, যাতে সমাজে ন্যায়বিচার ও অর্থনৈতিক ভারসাম্য প্রতিষ্ঠিত হয়।


লেখক : সহযোগী অধ্যাপক, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়
[email protected]

×