
রমজান মুসলিম জাতির জন্য বিশেষ এক মাস। যেখানে রোজা রাখা, ইবাদত করা এবং আত্মশুদ্ধির উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। তবে, এই পবিত্র মাসের সময় দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধি একটি উদ্বেগজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। সার্বিক অবস্থা পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে রমজান মাসে সাধারণত খাদ্যপণ্যের চাহিদা বেড়ে যায়, যার ফলে বাজারে সংকট তৈরি হয়। বিভিন্ন প্রকারের পণ্যের মূল্য আগের বছরের তুলনায় অনেক বেশি বেড়ে গেছে, যা নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য একাধিক সমস্যার সৃষ্টি করেছে। অনেক ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা সুযোগ নেয় এবং ন্যায্যতার নীতি লঙ্ঘন করে দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে দেয়। তাৎক্ষণিক লাভের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন পণ্যের দাম বাড়ানো একটি অনৈতিক আচরণ।
সরকার অনেক সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য মূল্য নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম গ্রহণ করে। তবে, তা কার্যকর হতে পারে কি না, তা প্রশ্নবিদ্ধ। সরকারের কঠোর নজরদারি এবং কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন। এছাড়া ভোক্তাদেরও সচেতনতার দিকে নজর দিতে হবে। সঠিক বাজারমূল্য জানার মাধ্যমে তারা দাম বৃদ্ধির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে পারেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে তথ্য শেয়ার করা যেতে পারে।
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের জন্য বাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাগুলোর তৎপরতা বাড়ানো প্রয়োজন। এছাড়া, ব্যবসায়ীদের নৈতিকতার প্রতি আহ্বান জানিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি দরকার। জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে নিয়মিত বাজার মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করা যেতে পারে। রমজান আত্মসংশোধনের মাস। তাই আমাদের উচিত ভোগী মানসিকতার পরিবর্তে সহানুভূতি ও সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে কাজ করা।
রমজানে দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধি একটি জটিল সমস্যা, যা আমাদের সমাজের নানান স্তরের মানুষকে প্রভাবিত করছে। আমাদের উচিত যৌথভাবে এই সমস্যার সমাধান খোঁজা এবং একটি সমতাভিত্তিক বাজার প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করা, যাতে সবাই এই পবিত্র মাসের সুফল গ্রহণ করতে পারে।
সরকারি ব্রজমোহন কলেজ, বরিশাল থেকে