
পৃথিবীর অন্যতম প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ অঞ্চল বাংলাদেশ। ১ লাখ ৫৬ হাজার বর্গমাইলে (সমুদ্রসীমা ব্যতীত) প্রায় ১৮ কোটি মানুষের বসবাস, যা দুনিয়ার জনবহুল দেশগুলোর একটি। এ দেশের সাগর তীরবর্তী ৭২০ কিমি উপকূল রয়েছে। প্রশাসনিক ৬৪ জেলার ২১টিতে ৩ কোটি মানুষের বসবাস ১০০ কিলোমিটার মধ্যে। যাদের প্রায় সবাই প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঝুঁকিজনিত বাস্তবতায় জীবনযাপন করছেন আদিকাল থেকে। প্রায় প্রতি বছরই সম্মুখ ও অভ্যন্তরীণ উপকূলীয় জনগোষ্ঠী ছোট বড় একাধিক প্রাকৃতিক দুর্যোগে জানমাল হারাচ্ছে। এসব মানুষের জীবনমান উন্নতি, সংরক্ষণ ও দুর্যোগ সহনশীল করার জন্য এ বিষয়ে উচ্চতর একাডেমিক গবেষণা প্রয়োজন। বাংলাদেশের বর্তমান আর্থ-সামাজিক এবং রাজনৈতিক বাস্তবতায় দুর্যোগ ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা এবং জলবায়ু শরণার্থী বিষয়টি কোনোক্রমেই উপেক্ষার নয়। দীর্ঘদিন ধরে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে দেশের উপকূলীয় মানুষ নিঃস্ব হয়ে উদ্বাস্তু হিসেবে ঢাকাসহ বড় শহরগুলোতে আসছে প্রায় প্রতিদিন।
স্থানান্তরের ফলে বাংলাদেশের স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে নগরজীবনে আর্থ-সামাজিক ও পরিবেশের ওপর উদ্বাস্তু সমস্যার নেতিবাচক প্রভাব নিরূপণে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। দেশের উপকূলবাসীর উদ্বাস্তু হওয়ার প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণের জন্য এবং অভ্যন্তরীণ বাস্তবতার নিরিখে সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কিনা তাও মূল্যায়ন করা প্রয়োজন। বাংলাদেশের ন্যায় একটি উন্নয়নশীল দেশের জাতীয় জীবনে, অর্থনীতি ও পরিবেশের ওপর দুর্যোগের নেতিবাচক প্রভাবকে সামনে রেখে উদ্বাস্তু সমস্যার চিরস্থায়ী সমাধানে প্রয়োজন টেকসই কর্মকৌশল প্রণয়ন।
পৃথিবীর সর্ববৃহৎ ব-দ্বীপ বাংলাদেশ। এদেশের মৃত্তিকা উৎপন্ন হয়েছে টারশিয়ারি যুগে এবং প্রাকৃতিক কালের পললভূমি থেকে। ইতিহাস পর্যালোচনায় জানা যায়, হাজার বছর ধরে এ অঞ্চলের প্রধান কয়েকটি নদী (পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, ব্রহ্মপুত্র) শতসহস্র মাইল উজান থেকে বয়ে আনা পলি দিয়ে গঠিত হয়েছে এ দেশের ভূখণ্ড। পৃথিবীর বহু জাতিগোষ্ঠীর আগমনে সমৃদ্ধ হয়েছে এ জনপদ। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে নির্মিত হয়েছে আজকের বিকাশমান বাংলাদেশী বাঙালি জাতির পথচলা। বাংলাদেশের রয়েছে সমৃদ্ধ এক উপকূলীয় অঞ্চল। কালে কালে এ অঞ্চলে ঘটেছে নানাবিধ পরিবর্তন। একদিকে উপকূলীয় ভাঙন, অন্যদিকে সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাসের সঙ্গে উত্থিত প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় কেড়ে নেয় মানুষের জানমাল ও জীবনের অস্তিত্ব। ১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর জলোচ্ছ্বাসে উপকূলীয় অঞ্চলে প্রাণহানি ঘটে ৩ লাখ মানুষের (বেসরকারি হিসেবে ১০ লাখ)। ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিলের প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ে প্রাণ হারায় ১ লাখ ৩৮ হাজার মানুষ।
বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের গতিশীলতা, পলল সঞ্চায়ন, ভূমি অবনমন, টেকটোনিক প্রভাব ও সমুদ্রপৃষ্ঠের পরিবর্তনের মাঝে একটি ভারসাম্য লক্ষণীয়। নদ-নদী বিধৌত পলল দ্বারা গঠিত বিশ্বের সর্ববৃহৎ নিম্নাঞ্চলীয় ব-দ্বীপ বাংলাদেশ। এর উত্তরে রয়েছে হিমালিয়ান অঞ্চল, খাসিয়া-জৈন্তিয়া পাহাড়ের সারি, আর দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর। ৩টি প্রধান নদীর জলপ্রবাহে উর্বর হয়েছে এ জনপদ। হিমালয় থেকে উৎসারিত পদ্মা, ব্রহ্মপুত্র এবং খাসিয়া-জৈন্তিয়া থেকে নেমে আসা মেঘনা নদী। পদ্মা, মেঘনা, ব্রহ্মপুত্রÑ এ ৩টি নদীর পানি অপসারণ অঞ্চল ১৫.৫ কোটি বর্গমিটার, যার ৭.৫ বর্গমিটার বাংলাদেশের মাঝে। ৩টি প্রধান নদী ও এদের শাখা নদীগুলো মিলে বছরে ২৪০ কোটি টন পলিমাটি বহন করে। নদীর জোয়ার ভাটা ও বায়ুপ্রবাহ দ্বারা সৃষ্ট উপকূলীয় গতি প্রকৃতির ওপর নির্ভরশীল। এর ফলে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে পলি জমে উন্নিত হয় নতুন ভূমি। আবার কোথাও নদী ভাঙনে বিলীন হয় জনপদ। বিশ্বের অন্যতম দুর্যোগপূর্ণ এ অঞ্চলে, ঘূর্ণিঝড়, সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস, ঢেউ ও স্রোতের তোরে নদী ভাঙন নিত্যদিনের ঘটনা। ব-দ্বীপ অঞ্চল হিসেবে বাংলাদেশের উপকূলীয় ভূমিক্ষয় অত্যন্ত বেশি। এ সংক্রান্ত কোনো নির্ভরযোগ্য গবেষণা না থাকলেও পলল সংকোচনজনিত অবনমনের মাত্রা বছরে ২-১০ মিলিমিটার।
বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এ দেশের উপকূলে যদি সমুদ্র স্তর ১ মিটার বৃদ্ধি পায়, তবে গবেষকদের ধারণা, খুব বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, বরগুনা, লক্ষ্মীপুর ও ফেনী জেলা। বৃহত্তর খুলনার ৬৫ শতাংশ, বরিশালের ৯৯ শতাংশ, নোয়াখালীর ৪৪ শতাংশ, পটুয়াখালী, ভোলা, হাতিয়া, সন্দ্বীপসহ ছোট-বড় দ্বীপগুলো চিরতরে পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সম্প্রতি বিশ্বজুড়ে আওয়াজ উঠেছে, সমুদ্র স্তর বৃদ্ধিজনিত প্রাকৃতিক দুর্যোগে আক্রান্ত উদ্বাস্তু জনগোষ্ঠীর মৌলিক অধিকার সংরক্ষণ করতে হবে। হুমকির মুখে রয়েছে সুন্দরবন। জাতিসংঘ ৬ ডিসেম্বর ১৯৯৭ সালে সুন্দরবনকে বিশ্বের ৫২২তম সম্পদ হিসাবে ঘোষণা করেছে। বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন ইউনেস্কোর নিজস্ব সম্পদ। সমুদ্রস্তর বৃদ্ধির ফলে সুন্দরবনের ৪ লাখ ১৬ হাজার হেক্টর ভূমিসহ উপকূলীয় বনাঞ্চল পর্যায়ক্রমে ধ্বংস হয়ে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে সমুদ্র স্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত সুন্দরবনের অনেক এলাকায় ধীর লয়ে পানি বাড়ছে। মারাত্মকহারে বৃদ্ধি পাচ্ছে পানির লবণাক্ততা। লোনাপানির আধিক্যে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশ বিপন্ন হওয়ার পথে। এ বিপর্যয়ের ফলে বিশ্ববিখ্যাত রয়েল বেঙ্গল টাইগার দিন দিন কমে যাচ্ছে।
ভয়াবহ হুমকির মুখে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চল। বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ছে, যার প্রভাব বাংলাদেশেও লক্ষণীয়। বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে পৃথিবীর অন্যান্য অঞ্চলের মতো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ও হবে বাংলাদেশ। ফলে দেশের এক-দশমাংশ এলাকা তলিয়ে যাবে। বিজ্ঞানীরা মনে করেন চলতি শতাব্দী নাগাদ সমুদ্র স্তর ১ মিটার বাড়লে ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল সুন্দরবনের ৭০ শতাংশ এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বৃদ্ধি পাবে রোগব্যাধি, কলেরা, ম্যালেরিয়াসহ অন্যান্য অসুখ-বিসুখ।
বিশ্বায়ন ও শিল্পায়নের যাঁতাকলে সমকালীন বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তন, ওজন স্তর ক্ষয়, গ্রিন হাউস এফেক্ট, তাপমাত্রা বৃদ্ধি, ধরিত্রীর মরুময়তা, জীববৈচিত্র্য ধ্বংস ও সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির নেতিবাচক প্রভাব বাংলাদেশে বিদ্যমান। সাম্প্রতিককালে বন্যা, খরা, ঘূর্ণিঝড় ও সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাসের বর্ধিত আনাগোনা ও প্রচণ্ডতায় এ দেশের জনজীবন ও ভৌত অবকাঠামো প্রতিনিয়ত পড়েছে ক্ষতির মুখে। ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বাংলাদেশের নিত্যসঙ্গী। সমুদ্র স্তর বৃদ্ধির ইতিহাস পর্যালোচনা করলে জানা যায়, আজ থেকে ১৫০০০ বছর আগে বরফ গলে পৃথিবীর সমুদ্র স্তর বেড়েছে ১০০ মিটার। সমুদ্রপৃষ্ঠ বর্তমান স্তরে এসেছে ৫০০০ বছর আগে। এরপর থেকে প্রতি বছর এই স্তর মাত্র ১ মিলিমিটারের এক ভাগ করে বেড়েছে। পৃথিবীর মোট জনগোষ্ঠীর অন্তত ৩০০ কোটির বসবাস সমুদ্র উপকূলবর্তী ১৫০ কিমির মধ্যে। কমপক্ষে ১০ কোটি মানুষ জীবনের চরম ঝুঁকি নিয়ে মালদ্বীপের মতো নিম্ন উপকূলে বাস করছে বেঁচে থাকার তাগিদে। যার উচ্চতা সমুদ্রপৃষ্ঠ হতে মাত্র ১ মিটার ওপরে। অভ্যন্তরীণ স্থানান্তরে ক্ষতিগ্রস্ত হবে দেশের ভৌত অবকাঠামো। প্রাকৃতিক দুর্যোগে উপকূলবাসীর এক বিরাট অংশ আশ্রয়হীন হয়ে ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল ও রাজশাহীসহ দেশের অন্যান্য বড় শহরগুলোতে আশ্রয় নেবে। ফলে আর্থ-সামাজিক প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বাংলাদেশের অর্থনীতি এবং দেশের প্রকৃতি। কৃষি, মৎস্য, বন ও শিল্পসহ অন্যান্য খাতকে বিপন্ন করে তুলবে। কৃষিজাত পণ্যের উৎপাদন হ্রাস, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হবে। হারিয়ে যাবে এ দেশের ঐতিহ্যবাহী মিঠাপানির মাছ। ভূতাত্ত্বিক পরিবর্তনের পাশাপাশি সমুদ্র স্তর বৃদ্ধি এ দেশে সংঘটিত অন্যান্য সাধারণ দুর্যোগের ওপরও প্রভাব বিস্তার করবে ব্যাপক।
মানুষ সাধারণত জীবন-জীবিকার প্রয়োজনে অভাবগ্রস্ত এবং স্থবির এলাকা থেকে সুযোগ-সুবিধা বেশি আছে এমন এলাকায় স্থানান্তর করে থাকে। ১৯৯১-০১ এই দুই আদমশুমারির মধ্যবর্তী সময়ে দেশের মোট জনসংখ্যার উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর শতকরা হার কমেছে। এই ১০ বছরে অ-উপকূলীয় অঞ্চলে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল ১.৫৬ ভাগ। সেখানে উপকূলীয় অঞ্চলে এই হার ছিল ১.২৯ ভাগ। এখানে মানুষের মাইগ্রেশন বা স্থানান্তর একটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে। আমাদের দেশে মোট চিরস্থায়ী অভিবাসন বা লাইফ টাইম নেট মাইগ্রেশন ক্রমশ বাড়ছে। ১৯৫১ সালে ছিল ২ শতাংশ, যা ১৯৯১ সালে দাঁড়ায় ১০ শতাংশ। অভ্যন্তরীণ মাইগ্রেশনের হার দেশের অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে উপকূলীয় অঞ্চলে বেশি। ১৯৯১ সালের আদমশুমারি থেকে জানা যায় দেশের ১০.৫ শতাংশ লোক এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় স্থানান্তর করেছে। এর মধ্যে অ-উপকূলীয় এলাকার ১০.৩ শতাংশ লোক এবং উপকূলীয় অঞ্চলের ১১.১ শতাংশ লোক। দেশের উপকূলীয় জেলাগুলোর মধ্যে খুলনায় অভিবাসী মানুষের সংখ্যা সবচেয়ে বেশিÑ ৩৩ শতাংশ। এরপরই চট্টগ্রামÑ ২৭ শতাংশ। যেসব এলাকায় অভিবাসী মানুষের হার বেশি সেখানে নগরায়ণের হারও বেশি। চিরস্থায়ী স্থানত্যাগের পাশাপাশি মানুষ কর্মসংস্থানের জন্য সাময়িক স্থানান্তরও করে থাকে। উপকূলীয় জেলাগুলোর মধ্যে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার বেশি, বছরে ২ শতাংশ। সম্ভবত ২টি জেলায় অর্থনৈতিক সুযোগ সুবিধা বেশি থাকায় দেশের অন্য জেলাগুলো থেকে বেশি সংখ্যক মানুষ এ দুটি জেলায় স্থানান্তরে আকৃষ্ট হয়েছে। (সূত্র : এম রফিকুল ইসলাম-সম্পাদিত ‘উপকূলীয় অঞ্চল-একটি তথ্য আলেখ্য পৃ-৮৫ ও ৮৬)
এ ছাড়াও বাংলাদেশে গ্রাম থেকে শহরে স্থানান্তরের একটা গুরুত্বপূর্ণ কারণ হিসেবে নদীভাঙনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। নদী ভাঙনের ফলে অতি অল্প সময়েই অনেক মানুষ বাস্তুহারা হয়ে পড়ে। একাধিক গবেষণা থেকে দেখা যায় যে, এসব বাস্তুহারা মানুষ শহরের দিকে পাড়ি জমায়। এ ছাড়াও বন্যা, খরা, ঘূর্ণিঝড় ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণেও মানুষকে গ্রাম থেকে শহরে স্থানান্তরকে উৎসাহিত করে। উপকূলীয় অঞ্চল ও বঙ্গোপসাগর তীরবর্তী ভূভাগের জলবায়ু ও দুর্যোগজনিত ক্ষয়ক্ষতির কারণে, উদ্বাস্তুরা দীর্ঘদিন ঢাকাসহ বড় শহরগুলোতে বসবাস করে আসছেন। এর ফলে দেশের আর্থ-সামাজিক ও পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
ভৌগোলিক আয়তনের তুলনায় বিপুল জনসংখ্যার এ দেশে রয়েছে বহুবিধ সমস্যা। বাংলাদেশের সামগ্রিক পরিবেশ ও আর্থ-সামাজিক জীবনে এর নেতিবাচক প্রভাব দৃশ্যমান। অভ্যন্তরীণ স্থানান্তর রোধে, যে কোনো জটিল সমস্যা গবেষণার মাধ্যমে চিহ্নিত করে সমাধানের পথ বাতলে দেওয়া সংশ্লিষ্টজনের বিজ্ঞচিত কাজ। আগামী প্রজন্মকে বাঁচাতে, জলবায়ু পরিবর্তনে দুর্যোগজনিত উদ্বাস্তু সমস্যার মাত্রা কখন, কোথায়, কতটুকু সংঘটিত হচ্ছে, তা অনুসন্ধানে সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে আমাদের।
লেখক : সাংবাদিক