ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ১০ মার্চ ২০২৫, ২৫ ফাল্গুন ১৪৩১

অভিবাসী কর্মীদের সুরক্ষা ও কল্যাণ নিশ্চিত হোক

ড. আলা উদ্দিন

প্রকাশিত: ২০:১৪, ৯ মার্চ ২০২৫

অভিবাসী কর্মীদের সুরক্ষা ও কল্যাণ নিশ্চিত হোক

প্রবাসী শ্রমিকরা বাংলাদেশের অর্থনীতির একটি অন্যতম ভিত্তি। বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ প্রবাসী শ্রমশক্তির উৎস হিসেবে পরিচিত। যেখানে লাখ লাখ (আট মিলিয়নের কাছাকাছি) বাংলাদেশী মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, ইউরোপ এবং আমেরিকাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে কাজ করছেন, যা বিশ্বে ১৭৬টি দেশের মধ্যে চতুর্থ। শ্রমিকদের পাঠানো রেমিট্যান্স দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকে সমৃদ্ধ করে এবং অসংখ্য পরিবারের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ জীবিকা প্রদান করে, যা তাদের দারিদ্র্য থেকে মুক্তি পেতে সহায়ক। তবে, তাদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান সত্ত্বেও, এই শ্রমিকরা প্রায়ই শোষণ ও প্রাতিষ্ঠানিক অবহেলার শিকার হন, যা দেশের নীতিমালা এবং ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে বিশাল দুর্বলতা প্রকাশ করে। তাদের অপরিহার্য অর্থনৈতিক ভূমিকা এবং দুর্বলতার এই দ্বৈত বাস্তবতা অবশ্যই জরুরি মনোযোগের দাবি রাখে।
বাংলাদেশী প্রবাসী শ্রমিকরা জাতীয় অর্থনীতিতে ব্যাপক অবদান রাখেন। দেশের জিডিপিতে  রেমিট্যান্সের অবদান প্রায় ৬ শতাংশ। তাদের পাঠানো রেমিট্যান্স, যা প্রতি বছর বিলিয়ন ডলারে পৌঁছায়, শুধু বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্থিতিশীল রাখে না, বরং লাখ লাখ পরিবারের জীবিকা সরাসরি সমর্থন করে। ২০২৪ সালে বিদেশ থেকে প্রবাসীরা ২৭ মিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স প্রেরণ করেছে, যা ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এই তহবিল শিক্ষার উন্নত সুযোগ, স্বাস্থ্যসেবা এবং উন্নত জীবনযাত্রার অভিগম্যতা প্রদান করে, যা অনেক পরিবারের দারিদ্র্যের চক্র ভাঙতে সহায়ক। তবে, এই অর্থনৈতিক সুবিধাগুলোর মানবিক খরচ প্রায়ই অদৃশ্য থেকে যায়। প্রবাসী শ্রমিকরা প্রায়ই দুর্বল নীতিমালার কাঠামো, অপর্যাপ্ত সুরক্ষা এবং দেশে ও বিদেশে প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তার অভাবের কারণে কঠোর পরিস্থিতির মুখোমুখি হন।
বাংলাদেশী অভিবাসী কর্মীদের অধিকাংশই ‘অদক্ষ’ অথবা কম দক্ষ, যা তাদের শোষণের প্রতি আরও বেশি সংবেদনশীল করে তোলে। শিক্ষা ও ভাষাগত প্রতিবন্ধকতা, সংখ্যালঘু অবস্থান এবং স্থানীয় আইন সম্পর্কে অজ্ঞতা তাদের অশোভন আচরণের শিকার হতে সাহায্য করে। বিশাল ভিসা এবং নিয়োগ খরচ থেকে শুরু করে কর্মস্থলের নিরাপত্তাহীনতা এবং অবিশ্বস্ত মজুরি- এই চ্যালেঞ্জগুলো একাধিক। অনেক কর্মী দীর্ঘ কাজের ঘণ্টা, নিরাপত্তাহীন পরিস্থিতি এবং অপর্যাপ্ত মজুরিসহ শোষণ ও নির্যাতনের শিকার হন। বিদেশে গমনের পূর্ব প্রস্তুতির অভাব আরও এই সমস্যাগুলোকে বৃদ্ধি করে, যা কর্মীদের বিদেশে জীবন ও শ্রমের জটিলতা পরিচালনা করার জন্য অপ্রস্তুত করে তোলে।
অভিবাসী কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য কিছু নীতি থাকলেও, সেগুলোর বাস্তবায়ন অত্যন্ত অপ্রতুল। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় একটি গুরুতর ঘাটতি বিদ্যমান, যেখানে অনিয়ন্ত্রিত দালাল ও মধ্যস্বত্বভোগীরা কর্মীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি আদায় করে। এটি প্রায়ই কর্মীদের অসহনীয় ঋণে পরিণত করে। যা তাদের ঋণ পরিশোধের জন্য শোষণমূলক পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে বাধ্য করে।
সৌদি আরবের মতো দেশে, কর্মীরা প্রায়ই অভিযোগ জানানো বা প্রতিকার পাওয়ার জন্য কোনো আইনগত সহায়তা থেকে যথাযথ অ্যাক্সেস পান না। বাংলাদেশ এবং গন্তব্য দেশের মধ্যে শক্তিশালী দ্বিপাক্ষিক চুক্তির অভাব এই সমস্যাটি আরও বাড়িয়ে তোলে। এই ধরনের চুক্তি কর্মীদের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যেমন- মজুরি সুরক্ষা, নিরাপদ কাজের পরিবেশ এবং আইনগত সহায়তা ও স্বাস্থ্যসেবার অ্যাক্সেস।
বাংলাদেশী দূতাবাস এবং কনস্যুলেটগুলোও একটি দুর্বল দিক। এই মিশনগুলো প্রায়ই পর্যাপ্ত মানবসম্পদ, প্রশিক্ষণ এবং অভিবাসী কর্মীরা যে জটিল সমস্যাগুলোর মুখোমুখি হন, তা মোকাবেলা করার জন্য ক্ষমতার অভাব অনুভব করে। মানসিকতার অভাবও বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। অনেক শ্রমিকের মতে, বিদেশে বাংলাদেশের মিশনগুলো প্রবাসী কর্মীবান্ধব নয়। এই অবহেলা প্রবাসী কর্মীদের আইনগত বা ব্যক্তিগত সংকটের সময় সমর্থনহীন অবস্থায় ফেলে দেয়।
অভিবাসী কর্মীদের দুর্দশা বাংলাদেশের প্রতি তাদের প্রত্যাবর্তনের পরও শেষ হয় না। প্রত্যাবর্তিত কর্মীরা প্রায়ই পুনঃসামঞ্জস্য প্রতিষ্ঠায় সংগ্রাম করেন। কারণ তারা বিদেশে অর্জিত দক্ষতার স্বীকৃতি পান না। এর ফলে প্রত্যাবর্তনকারীদের মধ্যে বেকারত্বের হার অনেক বেশি থাকে, যা তাদের আর্থিক সমস্যাকে আরও বৃদ্ধি করে। সুশৃঙ্খল পুনর্বাসন কর্মসূচির অভাব, যার মধ্যে চাকরি সৃষ্টির উদ্যোগ এবং মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা অন্তর্ভুক্ত। অনেক প্রত্যাবর্তনকারীকে আত্মনির্ভরশীলতার জন্য একটি স্পষ্ট পথ প্রদানে ব্যর্থ হয়।
অভিবাসী কর্মীদের সম্মুখীন বহুমুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য একটি মানবিক ও সামগ্রিক পদ্ধতির প্রয়োজন। সরকারকে নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণে অগ্রাধিকার দিতে হবে, যাতে শোষণমূলক কর্মকাণ্ড দূর করা যায়। নিয়োগ সংস্থাগুলোর কার্যক্রম তদারকি করার জন্য কঠোর আইন প্রণয়ন করা উচিত এবং অপ্রত্যাশিত দালালদের প্রভাব সমূলে দূর করা উচিত। এই গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহি নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বিকল্প অভিগমন পূর্ব প্রশিক্ষণ কর্মসূচি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এই কর্মসূচির মাধ্যমে কর্মীদের প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করা উচিত। যার মধ্যে ভাষার দক্ষতা, শ্রম আইন সম্পর্কে জ্ঞান, সাংস্কৃতিক পরিচিতি এবং তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা অন্তর্ভুক্ত। এই ধরনের প্রস্তুতি কর্মীদের চ্যালেঞ্জগুলো আরও কার্যকরভাবে মোকাবেলা করতে সক্ষম করবে এবং শোষণের প্রতি তাদের সংবেদনশীলতা কমিয়ে দেবে।
বাংলাদেশকে গন্তব্য দেশগুলোর সঙ্গে শক্তিশালী দ্বিপাক্ষিক চুক্তি করতে হবে, যাতে কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা যায়। এই চুক্তিগুলোতে মজুরি সুরক্ষা, কর্মস্থলের নিরাপত্তা, আইনগত সহায়তা এবং স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলো অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। গন্তব্য দেশগুলোর সঙ্গে যৌথ প্রচেষ্টা অভিবাসী কর্মীদের জন্য আরও সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি করতে এবং অধিকার লঙ্ঘনের প্রাদুর্ভাব কমাতে সহায়ক হতে পারে।
বাংলাদেশী মিশনের সক্ষমতা বিদেশে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করা উচিত, যাতে অভিবাসী কর্মীরা প্রয়োজনীয় ও কার্যকর সহায়তা পেতে পারে। এর মধ্যে মানবসম্পদ বৃদ্ধি, বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ প্রদান এবং অভিবাসী সম্পর্কিত সমস্যাগুলোর মোকাবিলায় দক্ষতার উন্নতি অন্তর্ভুক্ত। কর্মীদের জন্য বিশেষ সাহায্য ডেস্ক স্থাপন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যাতে তারা নির্যাতন, শোষণ বা অন্য যেকোনো সমস্যায় দ্রুত সহায়তা পেতে পারে। এই ধরনের সেবাগুলোর মাধ্যমে কর্মীদের অভিযোগ দ্রুত সমাধান করা সম্ভব হবে। শোষণ বা নির্যাতন পরিস্থিতিতে সময়মতো হস্তক্ষেপ নিশ্চিত করা যাবে। এমনকি, কর্মীদের মিশনে যাওয়ার আগে একটি পরিষ্কার সুরক্ষা নেটওয়ার্ক নিশ্চিত করা তাদের জন্য বিদেশে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহায়ক হতে পারে। সুলভ ও কার্যকর সেবা কর্মীদের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করবে। তারা যদি কোনো সমস্যায় পড়ে, তাহলে যথাযথ সাহায্য পাবে। এর মাধ্যমে কর্মীদের জীবনমান উন্নত হবে এবং বিদেশে তাদের অভিজ্ঞতা আরও নিরাপদ ও সহজ হবে।
বিদেশ ফেরত কর্মীদের একটি সুশৃঙ্খল এবং সহায়ক পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় আনা খুব প্রয়োজন। এই কর্মসূচির মধ্যে তাদের দক্ষতার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ চাকরি সৃষ্টির উদ্যোগ, ছোট ব্যবসা শুরু করার জন্য ঋণ সুবিধা এবং মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তার অ্যাক্সেস অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। প্রত্যাবর্তিত কর্মীরা যখন বিদেশে অর্জিত দক্ষতাগুলোর স্বীকৃতি এবং সেগুলো ব্যবহার করার সুযোগ পান, তখন তারা আত্মনির্ভরশীল হতে সক্ষম হন এবং দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখতে পারেন। চাকরি বা ব্যবসা শুরু করার জন্য ঋণ সুবিধা তাদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করবে এবং দীর্ঘমেয়াদি উন্নতির জন্য একটি সুদৃঢ় ভিত্তি তৈরি করবে। এছাড়া, মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা প্রদান তাদের মানসিক দুশ্চিন্তা এবং দেশে ফিরে আসার পরবর্তী চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় সহায়ক হবে। এই ধরনের একটি সুষম পুনর্বাসন প্রোগ্রাম তাদের নতুন জীবন শুরু করতে সাহায্য করবে। তাদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি সাধন করবে।
সমাজকে অভিবাসী কর্মীদের অবদানের গুরুত্ব এবং মূল্য উপলব্ধি করতে হবে। রেমিট্যান্সের মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়নে তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তুলে ধরার জন্য জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা যেতে পারে, যা অভিবাসী কর্মীদের প্রতি সম্মানজনক ও ইতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি করবে। এই প্রচারণা তাদের অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়ার পাশাপাশি, সমাজে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা এবং কৃতজ্ঞতা জাগাতে সহায়ক হবে। তাদের ত্যাগ এবং কঠোর পরিশ্রমের জন্য সম্মান এবং প্রশংসা করলে, এটি তাদের কল্যাণমূলক উদ্যোগের জন্য বৃহত্তর সামাজিক সমর্থন তৈরি করতে সহায়ক হবে। এছাড়া, সামাজিক মাধ্যম ও অন্যান্য প্রচারমূলক কর্মসূচির মাধ্যমে অভিবাসী কর্মীদের জীবনমান উন্নয়ন এবং দেশের উন্নতিতে তাদের অবদানের গুরুত্ব জনগণের কাছে আরও স্পষ্টভাবে তুলে ধরা যেতে পারে। এর মাধ্যমে অভিবাসী কর্মীদের সম্মান ও স্বীকৃতি বৃদ্ধি পাবে এবং সমাজে তাদের ভূমিকা আরও দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত হবে।
অভিবাসী কর্মীদের সুরক্ষা এবং কল্যাণ নিশ্চিত করা শুধু একটি নীতিগত প্রয়োজনীয়তা নয়, এটি একটি নৈতিক এবং মানবিক দায়িত্বও বটে। তাদের প্রতি এই দায়িত্ব পালন করতে সরকার, নাগরিক সংগঠনগুলো এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা অপরিহার্য। একটি সামগ্রিক পদ্ধতি, যা অভিগমন পূর্ব প্রস্তুতি, শক্তিশালী দ্বিপাক্ষিক চুক্তি, উন্নত প্রতিষ্ঠানগত সমর্থন এবং সমন্বিত পুনর্বাসন প্রোগ্রাম অন্তর্ভুক্ত করে, তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে অভিবাসী কর্মীদের জন্য একটি সুরক্ষিত এবং সহায়ক পরিবেশ তৈরি করা সম্ভব হবে। যা তাদের শোষণ থেকে মুক্তি এবং জীবনমানের উন্নতি সাধন করবে। এ ধরনের একটি পদ্ধতি মানবাধিকার রক্ষা এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদার করার ক্ষেত্রে এক সুদৃঢ় ভিত্তি তৈরি করবে।
অভিবাসী কর্মীরা বাংলাদেশের সম্পদ। যারা দেশের সমৃদ্ধিতে বড় ব্যক্তিগত ঝুঁকি এবং ত্যাগের মাধ্যমে অবদান রাখছেন। তাদের সুরক্ষা এবং কল্যাণ শুধু একটি নীতিগত প্রতিশ্রুতি নয়, বরং এটি একটি জাতীয় অগ্রাধিকার হতে হবে। ব্যবস্থাগত ঘাটতির সমাধান এবং সহায়ক ব্যবস্থা শক্তিশালী করে, বাংলাদেশ তার অভিবাসী শ্রমশক্তি এবং এর মাধ্যমে দেশের অর্থনীতির জন্য একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে পারবে। এই রেমিট্যান্স নায়কদের প্রতি সম্মান এবং দায়িত্বের একটি সম্মিলিত অনুভূতি জাতীয় সমৃদ্ধি এবং সামাজিক অগ্রগতির পথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তাদের অবদানকে যথাযথ স্বীকৃতি দিলে, একটি শক্তিশালী এবং সহায়ক পরিবেশ তৈরি হবে। যা শুধু দেশের সমৃদ্ধি নয়, অভিবাসী কর্মীদের জীবনমানও উন্নত করবে।

লেখক : অধ্যাপক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
[email protected]

×