ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০৬ মার্চ ২০২৫, ২২ ফাল্গুন ১৪৩১

দ্রব্যমূল্য নিয়ে জনজীবনে শঙ্কা

তাসমিয়া আক্তার

প্রকাশিত: ১৯:২৬, ৬ মার্চ ২০২৫

দ্রব্যমূল্য নিয়ে জনজীবনে শঙ্কা

চলে এসেছে মুসলমানদের পবিত্র মাহে রমজান। প্রতি বছর মুসলমানদের অপেক্ষা থাকে মাসের জন্য। এটি মুসলমানদের ধৈর্য একইসঙ্গে আনন্দের মাস। ইবাদত, ইফতার, আসন্ন ঈদ নিয়ে আনন্দ-অনুভতি কাজ করে শিশু থেকে শুরু করে সকল বয়সী মানুষের মনে।

বাংলাদেশের এক বিরাট অংশের মানুষ এই আনন্দ বাস্তবে রূপদান করতে অসমর্থ। কেননা, রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যায় অসহনীয় মাত্রায়। ফলে নি¤œআয়ের মানুষের দিন কাটে কষ্টে, অর্ধাহারে। সাহরি ইফতারে পুষ্টিকর খাবার তো দূরের কথা, পেটপুরে খেতে পারে না অনেক মানুষ। মধ্যবিত্ত শ্রেণির দিন কাটে ব্যাপক টানাপোড়েনে। রমজানের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসগুলোর মধ্যে রয়েছে ছোলা, চিনি, ভোজ্য তেল, ডাল, বেসন, খেজুর, লেবু ইত্যাদি। এসব ছাড়াও মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, শাকসবজি তো রয়েছেই। আর দ্রব্যগুলোর মূল্য যখন বাড়তে বাড়তে সাধারণের নাগালের বাইরে চলে যায় তখন আর দুঃখ-কষ্টের সীমা থাকে না। নি¤œ আয়ের ইমানদার মুসলিমরা নামমাত্র খাবার খেয়ে, আধাপেটা থেকে রোজা রাখে। আর এটাই বাংলাদেশের জনমানুষের প্রকৃত চিত্র। একটা উদাহরণ হিসেবে বর্তমান বাজারের লেবুর কথাই বলা যায়। বাজারে লেবু বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা হালি। যা সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। তাছাড়াও বাজার থেকে উঠে যাচ্ছে হাফ লিটার সয়াবিন তেলের বোতল। ক্ষেত্রবিশেষে লিটার সয়াবিনের বোতল মিলে না। যা নি¤œ আয়ের মানুষ ছাত্রছাত্রীদের জন্য বাড়তি উৎপাত হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এরূপ ব্যবস্থা দ্রব্যমূল্যের এই ঊর্ধ্বগতির পেছনে রয়েছে বিভিন্ন কারণ। একশ্রেণির মুনাফালোভী ব্যবসায়ীর সিন্ডিকেট এর জন্য দায়ী। এরা প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রীর মজুদ করে রাখে, যাতে রমজান এলে বেশি দামে বিক্রি করতে পারে। আর ধনী বা অপেক্ষাকৃত অধিক আয়ের মানুষ এই চড়া দামেই এসব জিনিস ক্রয় করে। কেউ কেউ বাধ্য হয়েই ক্রয় করে। যার দরুন জিনিসপত্রের দাম কমে না। ফলে নি¤œবিত্ত মধ্যবিত্তদের ভোগান্তির সীমা থাকে না।

বিগত কয়েক বছর ধরে ধরনের অবস্থার তেমন কোনো পরিবর্তন লক্ষ করা যায় না। তাই চলতি বছরের রমজানে এই ধরনের লাগামছাড়া দ্রব্যমূল্য, ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট অধিক মুনাফা লাভের পরিকল্পনা উৎখাত করা না হলে জনজীবনে দুর্ভোগ থেকেই যাবে। যা কারোরই কাম্য নয়।

 

শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

×