
ছবিঃ সংগৃহীত
বিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত, যা পারস্পরিক বোঝাপড়া, ভালোবাসা এবং সম্মানের ভিত্তিতে হওয়া উচিত। অনেকেই ভাবেন, সমবয়সী স্ত্রী নাকি কয়েক বছরের ছোট স্ত্রী বেশি উপযোগী? এ বিষয়ে সমাজে নানা মত রয়েছে।
সমবয়সী স্ত্রী কেন উত্তম?
সমবয়সী বা কাছাকাছি বয়সের মেয়েকে বিয়ে করলে সাধারণত পারস্পরিক বোঝাপড়া ভালো হয়। দুজনের মানসিকতা, চিন্তাধারা, জীবনযাত্রার অভ্যাস প্রায় কাছাকাছি থাকে, যা একটি সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতে সহায়ক।
হাদিস থেকে জানা যায়, নবী কারীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এক সাহাবীকে বলেছিলেন, “তুমি কেন একজন কুমারী নারীকে বিয়ে করোনি? তাহলে তোমাদের পারস্পরিক বোঝাপড়া ভালো হতো।”
এর থেকে বোঝা যায়, নবীজি সাধারণভাবে সমবয়সী বা কাছাকাছি বয়সের কুমারী মেয়েকে বিয়ের প্রতি উৎসাহিত করেছেন।
বয়সে বড় বা তালাকপ্রাপ্ত নারীকে বিয়ে করা কি ভুল?
নবীজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নিজেই বয়সে বড়, বিধবা ও তালাকপ্রাপ্ত নারীকে বিয়ে করেছেন। তাই এই বিষয়ে ভুল ধারণা রাখা উচিত নয়।
বয়সে বড়, বিধবা বা তালাকপ্রাপ্ত নারীকে বিয়ে করা যদি সহমর্মিতা ও আন্তরিকতার কারণে হয়, তাহলে এটি অবশ্যই নেক কাজ এবং উত্তম সিদ্ধান্ত হতে পারে।
তাহলে কোনটি ভালো?
সাধারণভাবে সমবয়সী বা কাছাকাছি বয়সের মেয়েকে বিয়ে করাই উত্তম, কারণ এতে সম্পর্কের পারস্পরিক বোঝাপড়া সহজ হয়। তবে বিশেষ পরিস্থিতিতে বয়সে বড় বা বিধবা নারীকে বিয়ে করাও প্রশংসনীয় হতে পারে, যদি তা আন্তরিকতা ও সহমর্মিতার কারণে হয়।
সর্বোপরি, সুখী দাম্পত্য জীবন নির্ভর করে পারস্পরিক বোঝাপড়া, ভালোবাসা ও সম্মানের ওপর, বয়সের ব্যবধানের ওপর নয়। তাই বিয়ের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত পছন্দ ও পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়াই শ্রেয়।
ইমরান