
খুন, ধর্ষণ এগুলো তো বেড়েই চলছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কী করছে। এই তো গত সপ্তাহে ফেসবুকে দেখলাম ভিডিও, যেটাকে আমরা ভাইরাল বলে থাকি। ভিডিওতে প্রকাশ্যে এক ছেলে এক ভিক্ষুক মহিলাকে ধর্ষণ করেছে। সেটাও আবার দিনের বেলাতে এবং রাজধানীর কোনো এক এলাকাতে। জানি না কতটুকু সত্যি, তবে যা রটে তার কিছু হলেও ঘটে। এখন কথা হলো, বলতে পারি ধর্ষক জানোয়ার আর যিনি ভিডিও করে এসব ভাইরাল করেছেন তিনি বড় জানোয়ার। কারণ দাঁড়িয়ে ভিডিও করতে পারে অথচ প্রতিবাদ করতে পারে না। আর ভিক্ষুক সে হবে হয়তো অসহায়। তো প্রশ্ন জাগে কোথায় আইন আর কোথায় মনুষ্যত্ব। আসলে আমরা যারা আইন আইন বলি তারা হয়তো জানি না আইন কেবল বইয়ে থাকে। কেননা এমন একটা আইন নেইÑ যেটা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে। এই তো যদি বলি, ধূমপান প্রকাশ্যে করা নিষেধ এবং করলে জরিমানা। কিন্তু কোথায়, বরং বড় বড় লোকেরা বা আইনের মানুষের মাঝেই দেখা যায় প্রকাশ্যে ধূমপান করছে ধুমধাম। আসলে শুধু গল্প, সিনেমাতেই বলে থাকে আইন সবার জন্য সমান। কিন্তু তাই যদি বাস্তবে হতো তাহলে হয়তো অনেকে বিচার পেত। কিন্তু না সেই আইন নেই, যদি থাকত, তবে হয়নি কেন তনু হত্যার বিচার, হয়নি কেন ত্বকি হত্যার বিচার, হয়নি সাগর-রুনীসহ আরও অনেকের ওপর অন্যায়ের বিচার। এগুলোর বিচার না হওয়ার পেছনে কারণ একটাই, মাথাওয়ালা যারা আছে তারা বের হয়ে আসবে। তাই টাকা দিয়ে বন্ধ কিংবা আইনের চোখ বেঁধে রাখা হচ্ছে। মজার বিষয় কি জানেন, বই-পুস্তকের আইন বাস্তবায়ন না হলে কি হবে, কিছু মানুষের মনগড়া আইন ঠিকই বাস্তবায়ন হচ্ছে। কিছু ল’ইয়ার দেখেছি যারা নিজেকে বড় মনে করে থাকে। যার জন্য তার পাশের চেয়ারে কিংবা পাশাপাশি চেয়ারে আইনজীবী ছাড়া কাউকে বসতে দেয় না। তিনি হোক ডাক্তার, লেখক, শিক্ষক, মেম্বার যাই বলি না কেন। আইনের মানুষের কাছে মানুষ অনেক কিছু আশা করে। কিন্তু কিছুই পায় না। মানুষ আজকাল ভালোর কোনো কিছু ভিডিও করে না, পোস্ট করে না, শেয়ারও করে না। চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি, ধর্ষণ, খুন এগুলো ভিডিও করে পোস্ট করাতে পারদর্শী। হয়তো এটা একটা ভালো দিক। কিন্তু যতসময়ে ভিডিও করবে তত সময়ে প্রতিবাদ করতে পারে। পুলিশে খবর দিতে পারে। কিংবা লোকজন জড় করে কিছু একটা করতে পারে। কথাটি এজন্য বললাম, গতকাল রাতে একটা ভিডিও দেখি, নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ার পপুলারের সামনে রিক্সা থামিয়ে ছিনতাই করছে। তো যিনি ভিডিও করে পোস্ট করেছেন তিনি কি পারতেন না, প্রতিবাদ করতে কিংবা পুলিশকে খবর দিতে। তাছাড়া প্রশ্ন জাগে চাষাঢ়ার মতো এমন শহরের কেন্দ্রীয় পয়েন্টেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নেই কেন? এসব কেন্দ্রীয় এলাকাগুলোতে পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হোক।
নারায়ণগঞ্জ থেকে