
পশ্চিমা বিশ্বে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে
পশ্চিমা বিশ্বে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে। পাল্লা দিয়ে চীনের ডিপসিক-আর ওয়ান মডেলের আত্মপ্রকাশ বিশ্বমঞ্চে প্রযুক্তিগত অগ্রগতির নীতিনির্ধারণী বার্তা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বার্তাটি সুস্পষ্ট। পশ্চিমা বিশ্বের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা গবেষণার তুলনায় চীনের গবেষণা অধিক শক্তিশালী। চীনের জাতীয় পরিকল্পনা ও অবকাঠামোর ব্যবহার এআই ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করেছে।
এই সাফল্য একদিকে বিস্ময়কর, অন্যদিকে শিক্ষা নেওয়ার মতো বিষয়। চীন দীর্ঘদিন ধরেই প্রযুক্তিগত স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখে আসছে। স্বপ্ন দেখেই বসে থাকেনি। সঠিক পরিকল্পনা, শ্রম এবং ধৈর্যের সমন্বয়ে শক্তিশালী বাস্তবতায় পরিণত করেছে। চীনের এআই অগ্রগতি পশ্চিমা বিশ্বের অলসতা ও রাজনৈতিক দোদুল্যমানতার ওপর স্পষ্ট কটাক্ষ। পশ্চিমা দেশগুলো নিজেদের মধ্যে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও বাণিজ্যিক দ্বন্দ্বে ব্যস্ত।
কিন্ত চীন দ্বন্দ্ব এড়িয়ে ধীরে ধীরে স্থিরপদে এগিয়ে যাচ্ছে জ্ঞান-বিজ্ঞানের মহাজগতে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসহ পুরো ডিজিটাল খাতেই আধিপত্য প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা করেছে। তাদের লক্ষ্য হলো পূর্ণ প্রযুক্তিগত আত্মনির্ভরতা। পশ্চিমা দেশগুলো তাদের অভ্যন্তরীণ অসংগতিগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে দেখেনি। যুক্তরাষ্ট্রের নীতি-নির্ধারকরা রাজনৈতিক এবং বাণিজ্যিক প্রভাব নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে।
অপরদিকে, চীন তাদের মতো করে নিজস্ব কৌশল সাজিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন নীতির কারণে অসংখ্য প্রতিভাবান শিক্ষার্থী পড়াশোনা শেষে দেশে ফিরে যেতে বাধ্য হন। তারা সেখানে স্থায়ীভাবে থেকে গেলে হয়তো যুক্তরাষ্ট্র তাদের প্রতিভার পূর্ণ সদ্ব্যবহার করতে পারত।
বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর জন্য এ ঘটনা একটি বড় শিক্ষা হতে পারে। চীনের জাতীয় নীতির প্রতি যতœশীল মনোযোগ, সরকারি বিনিয়োগ এবং গবেষণা কেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের জন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে। আমাদেরও জাতীয় পর্যায়ে গবেষণা ও প্রযুক্তি উন্নয়নে আরও বিনিয়োগ করতে হবে। শুধু ব্যক্তি পর্যায়ের উদ্যোগ বা ক্ষুদ্র ব্যবসায়িক প্রয়াস নয়, প্রয়োজন সরকার এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে একত্রে কাজ করা।
আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রতিভার অভাব নেই। সেই প্রতিভা লালন ও পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে হারিয়ে যায়। অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে পাড়ি জমায়। আর ফিরে আসে না। এই মেধা পাচার আমাদের জাতীয় উন্নয়নের পথকে ক্রমাগত কঠিন করে তুলছে। আমাদের উচিত প্রতিভাবানদের ধরে রাখা। তাদের জন্য প্রতিযোগিতামূলক গবেষণার ক্ষেত্র তৈরি করা। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এই অভিজ্ঞতাগুলো আমাদের জন্য আরও তাৎপর্যপূর্ণ।
আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় প্রতিনিয়ত নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ আসে। সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আন্তরিকতার যথেষ্ট ঘাটতি দেখা যায়। সরকারি-বেসরকারি সমন্বয়ের অভাব, গবেষণার ক্ষেত্রে আর্থিক সংকট এবং প্রয়োজনীয় উপকরণের অপ্রাপ্যতার কারণে বাংলাদেশ প্রতিনিয়ত পিছিয়ে যাচ্ছে। চীনের ডিপসিক আর ওয়ান মডেলের অভিজ্ঞতা আরও একটি বিষয় মনে করিয়ে দেয়।
তা হলো গবেষণায় সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার গুরুত্ব। চীন তার সরকারি গবেষণা কেন্দ্রগুলোতে বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করেছে। এ কারণে তারা অল্প সময়ে এত বড় সাফল্য অর্জন করতে পেরেছে।
আমাদের দেশের বেসরকারি উদ্যোগগুলো এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগ বাড়ানো, নতুন নতুন স্টার্টআপকে উৎসাহিত করা এবং গবেষণা ও উদ্ভাবনে আর্থিক সহায়তা দেওয়া একান্ত প্রয়োজন। প্রযুক্তি খাতে সফল হতে হলে শুধু বিদেশী বিনিয়োগের ওপর নির্ভর করলে চলবে না, আমাদের নিজেদেরও উদ্যোক্তা হতে হবে। বাংলাদেশ ঘোষণা দিয়ে ইতোমধ্যে ডিজিটালাইজেশনের ছোঁয়া পেয়েছে। স্বপ্ন দেখেছে।
এই স্বপ্ন সফল করার জন্য গবেষণা খাতকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে আমাদের তরুণ প্রজন্মের যে বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে, তা কাজে লাগাতে হবে। এখনই উদ্যোগ গ্রহণ করার উপযুক্ত সময়। আমরা যদি এখনই উদ্যোগ না নিই, তাহলে ভবিষ্যতে হয়তো আমাদেরও একই সংকটের মুখোমুখি হতে হবে। চীনের ডিপসিক আর ওয়ান আমাদের অনেক কিছু শিখিয়েছে। শিখিয়েছে সংকট থেকে উত্তরণের জন্য প্রয়োজন সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা। প্রয়োজন সাহসী পদক্ষেপ।
সেই শিক্ষা নিতে পারলে বাংলাদেশের প্রযুক্তি খাতেও একদিন বিপ্লব ঘটবে। আমাদের সামনে সম্ভাবনার দুয়ার খোলা। শুধু প্রয়োজন সঠিক পথে এগিয়ে যাওয়া। কেননা, প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগ কখনোই ব্যর্থ হয় না। সঠিক পরিকল্পনা আর প্রয়াস থাকলে বাংলাদেশও একদিন প্রযুক্তি দুনিয়ার শীর্ষে পৌঁছাবে।
অবচেতন মনের গহীনে আগামীর পৃথিবী গড়ে তোলার স্বপ্ন সবার জাগে। সেই স্বপ্নে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নিঃশব্দ পদচারণা পরিবর্তনের নতুন সুর শোনায়। যে সুর একদিন শুধু কল্পবিজ্ঞান ছিল। আজ তা বাস্তবতার শেকড় গেঁড়ে নিয়েছে। বিশ্বরাজনীতির জটিল প্রেক্ষাপটে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স) এখন বিশ্বনেতৃত্বের পালাবদল ও ক্ষমতার ভারসাম্যে বিপ্লবের ঢেউ সৃষ্টি করছে।
এ বিপ্লবের ঢেউ এশিয়া থেকে ইউরোপ, ইউরোপ থেকে আমেরিকা, আমেরিকা থেকে আফ্রিকা সর্বত্র আছড়ে পড়েছে। এমনকি এআই বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশকেও ঠেলে দিয়েছে ভবিষ্যতের এক অজানা দিগন্তে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার আবির্ভাব নতুন সামরিক এবং কূটনৈতিক বাস্তবতা সৃষ্টি করেছে।
আধিপত্য বিস্তারের নতুন পদ্ধতিতে শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলো আগ্নেয়াস্ত্রের বদলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্ভর সাইবার হামলা, ড্রোন প্রযুক্তি, স্বচালিত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং তথ্য বিশ্লেষণমূলক সিদ্ধান্ত গ্রহণে মনোযোগী হয়ে উঠেছে। স্টিফেন হকিং যেমন বলেছিলেন, ‘এআই মানবজাতির জন্য আশীর্বাদ হতে পারে, আবার হতে পারে মহাবিপর্যয়ের পূর্বাভাস।’
বিশ্বশক্তির ভারসাম্য রক্ষার ক্ষেত্রে এ ধারণাই সত্য হয়ে উঠেছে। যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন যেন প্রতিযোগিতায় মহাসড়কে নেমেছে। জয়-পরাজয় নির্ধারিত হবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দক্ষ ব্যবহারে।
চীনের ‘মেড ইন চায়না ২০২৫’ পরিকল্পনা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে জাতীয় উন্নয়নের মূল কৌশল হিসেবে গ্রহণ করেছে। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রও পিছিয়ে নেই। সামরিক-বেসামরিক উভয় খাতেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারে বিপুল অর্থ ব্যয় করে যাচ্ছে। রাশিয়া রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা থেকে শুরু করে ভুয়া সংবাদ এবং প্রোপাগা-া ছড়ানোর জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করছে।
এসব পদক্ষেপের মাঝে কোথাও যেন ঐতিহ্যগত কূটনীতির মূল রূপটি পাল্টে যাচ্ছে। বৈঠকের টেবিলে মানুষের পরিবর্তে রোবটিক সিদ্ধান্ত এবং ডেটা বিশ্লেষণই হয়ে উঠছে নীতিনির্ধারণের মূল হাতিয়ার। এখন প্রশ্ন হলো, এই পরিবর্তনের মুখে বাংলাদেশ কোথায় দাঁড়িয়ে আছে? আমাদের কূটনীতি, অর্থনীতি এবং জাতীয় উন্নয়নের ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভূমিকা কী হতে পারে?
বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে প্রযুক্তিগত অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি অবস্থান করছে। তারপরও অপার সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত বাংলাদেশের জন্য। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে টিকে থাকতে হলে আমাদের নেতৃবৃন্দকে বুঝতে হবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার গুরুত্ব এবং এর সঠিক প্রয়োগ।
প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশও কিছু ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারে সফলতা দেখিয়েছে। কৃষি খাতে ড্রোন প্রযুক্তি ব্যবহার, স্বাস্থ্যসেবায় এআই নির্ভর রোগ নির্ণয় ব্যবস্থা, এবং ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ এই পরিবর্তনের কিছু উদাহরণ। তবে এখনো আমাদের পথ অনেক দীর্ঘ। আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটের পালাবদলে আমাদেরও তৈরি হতে হবে।
যেমন- চীন যখন এআই গবেষণায় বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করছে, তখন আমাদের উচিত সরকারি এবং বেসরকারি খাতের সম্মিলিত প্রয়াসে প্রযুক্তিগত দক্ষতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া। জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভূমিকা দিন দিন আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। বাংলাদেশের ভৌগোলিক এবং ভূরাজনৈতিক অবস্থান অত্যন্ত কৌশলগত। বঙ্গোপসাগরীয় অঞ্চলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্ভর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা অপরিহার্য।
সামরিক খাতের আধুনিকীকরণে আমাদেরও চাই ড্রোন এবং সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সাইবার হামলা মোকাবিলায় দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে হবে। বিশ্বের বড় বড় সংস্থাগুলো এখন তথ্যকে শক্তি হিসেবে ব্যবহার করছে। যাকে বলে, ‘ডেটাই নতুন তেল’। বাংলাদেশের জনসংখ্যা বিশাল। এই বিপুল জনসংখ্যার তথ্যের সঠিক বিশ্লেষণ জাতীয় পরিকল্পনার অন্যতম সহায়ক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে। জনসংখ্যা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং কর্মসংস্থান- সবক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে আমরা গ্রহণ করতে পারি সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো এর নিয়ন্ত্রণ এবং এর নৈতিক ব্যবহার। বিশ্ব রাজনীতির পালাবদলে এর সঠিক নীতিমালা প্রণয়নে ব্যর্থ হলে বাংলাদেশ মূল ট্র্যাক থেকে পিছিয়ে পড়বে। প্রযুক্তির অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে সামাজিক মূল্যবোধ এবং নৈতিকতার বিষয়েও আমাদের সচেতন থাকতে হবে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইতোমধ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের জন্য বেশ কিছু নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। বাংলাদেশেও এ ধরনের নীতিমালা জরুরি। বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি।
এই প্রজন্মই পারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উন্নয়নে নেতৃত্ব দিতে। আমাদের স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে এআই শিক্ষার প্রসার ঘটাতে হবে। প্রাথমিক পর্যায় থেকেই প্রোগ্রামিং এবং ডেটা অ্যানালাইটিকসের শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। তাহলে অবশ্যই একদিন বাংলাদেশও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নেতৃত্ব দিতে পারবে। স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমকে আরও সমৃদ্ধ করতে হবে। তাহলেই তরুণরা নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনে উৎসাহিত হবে।
বিশ্ব রাজনীতির পালাবদলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ক্ষমতার নতুন সংজ্ঞা নির্ধারণ করছে। মানবসভ্যতার ভবিষ্যৎ নিয়েও প্রশ্ন তুলছে। কোথাও কোথাও এর উত্থান আমাদের জন্য শুভবার্তা দিচ্ছে। আবার কোথাও তা নতুন সংকটের জন্ম দিচ্ছে। বাংলাদেশকে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হলে চাই একটি সুসংগঠিত ও আধুনিক পরিকল্পনা। উন্নত বিশ্বের অভিজ্ঞতা থেকে শিখে আমাদেরও তৈরি করতে হবে এক দীর্ঘমেয়াদি কৌশল।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাই হতে হবে জাতীয় উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি। বিশ্বরাজনীতির মঞ্চে নতুন নতুন অধ্যায় লেখা হচ্ছে। প্রস্তুত থাকতে হবে আমাদেরও। মনে রাখতে হবে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যেন কেবল উন্নত বিশ্বের খেলোয়াড়দের হাতিয়ার না হয়। আমরাও যেন বাংলাদেশের জন্য সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারি। আজকের সিদ্ধান্তই আমাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার আলোয় আলোকিত হোক বাংলাদেশ। নতুন বিশ্বে আমাদের আত্মপ্রকাশ হোক নেতৃত্বের আসনে।
লেখক : শিক্ষক