
ছবি:সংগৃহীত
বাংলাদেশের বিশিষ্ট সমাজকর্মী ও একটিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্য তাঁর ফেসবুক স্ট্যাটাসে নিজের রাজনৈতিক একটিভিজম এবং তার ব্যক্তিগত জীবনের ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতি নিয়ে মন্তব্য করেছেন। তিনি জানান, তাঁর মতো কাউকে দেশে বা বিদেশে এতো গভীরভাবে রাজনৈতিক সংঘাতের মধ্যে যুক্ত হতে দেখা যাবে না, যিনি এই ধরনের বিপদজনক একটিভিজমে এমনভাবে সম্পৃক্ত হন।
পিনাকী ভট্টাচার্য নিজের একটিভিজমের গভীরতা এবং টাইম কমিটমেন্টের প্রতি আলোকপাত করে বলেন, "কোনও মাল্টিন্যাশনালের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ এই স্তরের সংঘাতে জড়াবে না, কারণ এর জন্য যে স্ট্রেস এবং বিপুল পরিমাণ সময় ও শক্তি প্রয়োজন, তা একজন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারই নিতে হয়।" তিনি আরও বলেন, "কোনো ব্যক্তি, বিশেষ করে রাজনীতির বাইরের কেউ, এরকম ভয়াবহ শত্রুতা সহ্য করার কোন কারণ খুঁজে পাবেন না।"
তিনি তাঁর ফেসবুক স্ট্যাটাসে আরও উল্লেখ করেন যে, "এই ধরনের একটিভিজমে এমনকি দিনের তিন থেকে চার ঘণ্টা ঘুম দিয়ে জীবন কাটানোও বিপজ্জনক হতে পারে।" তাঁর মতে, এই ধরনের একটিভিজমে যুক্ত হওয়া মানে বিপুল সময় এবং মানসিক শক্তি বিনিয়োগ করা, যা সহজে কেউ করতে চাইবেন না।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, "এই ধরনের বৈচিত্র্যময় রাজনৈতিক জীবনের কেউ পেশায় এই জায়গায় আসতে পারে কি না?" পিনাকী মনে করেন, অনেকেই এভাবে একটিভিজমের মধ্যে থাকলেও, তাঁর মতো রাজনৈতিক বিপ্লবী হিসেবে কর্পোরেট লেভেলে সিনিয়র পর্যায়ে আসা বেশ কঠিন।
এছাড়া, নিজের সঠিক অবস্থান তুলে ধরে পিনাকী আরও বলেন, "আমার মতো ঘাড়ত্যাড়া, একরোখা, গোয়াড় লোক এরকম জায়গায় থাকার মত নয়।" তিনি তাঁর একটিভিজমের মাধ্যমে দেশে এবং রাজনৈতিক সিস্টেমে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার জন্য নিজেদের একটিভিজমের গভীরতা এবং অবদান তুলে ধরেন।
তিনি শেষে লিখেছেন,
"আমার নিজের এই ইউনিক অবস্থাই আমাকে বিপদজনকভাবে ভালনারেবল করে তুলেছে। একটা জিনিস ভেবে দেখেন তো, বাংলাদেশ মাইনাস পিনাকী ঠিক কেমন হবে? আমি নাই একেবারেই নাই। এই এক্টিভিজমে নাই। এটা বুঝার জন্য একটা এক্সারসাইজ। হ্যা অনেকেই খুব খুশী হবে। আনন্দ করবে। কিন্তু বাংলাদেশের রাজনৈতিক ল্যান্ডস্কেপে কোন ছাপ পড়বে না?
যদি না পড়ে তাহলে আমি বেচে গেলাম। কিন্তু সত্যিই যদি কোন ইম্প্যাক্ট পড়ে তাহলে আমি বিরাট বিপদের মুখে আছি। ঠিক কিনা? আমি ভীত নই, কিন্তু আপনাদের মত জানতে চাই।"
তথ্যসূত্র :https://www.facebook.com/share/p/1FAzNNh99g/?mibextid=oFDknk
আঁখি