
বাংলাদেশে সড়ক-মহাসড়কে নৈরাজ্য নাগরিকদের জীবনে এক পুরনো ঘটনা। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর যত সমস্যা দেশের আপামর জনসাধারণকে দৈনন্দিন জীবনে কুরে কুরে খাচ্ছে, সড়কে পরিবহন নৈরাজ্য তার মধ্যে অন্যতম। যাদের দেশের বড় বড় শহর কিংবা শহরতলীতে বসবাস, তারা প্রতিনিয়তই এই বিড়ম্বনার মুখোমুখি হয়ে তিক্ত জীবনধারণ করছেন। সড়কে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় আইন রয়েছে, আইন প্রয়োগ করার সংস্থা আছে। তবে বাস্তবায়নে যথেষ্ট কার্পণ্য দৃশ্যমান। কিন্তু কেন? এর বহুবিধ জবাবের মধ্যে অন্যতম হলো আত্ম-জবাবদিহিতায় অর্পিত দায়িত্ব পালনে প্রচণ্ড রকম অনাগ্রহ। দেশপ্রেমের চেয়ে বস্তুবাদী স্বার্থের প্রতি খুব বেশি মনোনিবেশ। অর্পিত দায়িত্ব পালনে অনীহা একটি জাতির দায়িত্বশীল পর্যায়ে যদি কারও মধ্যে দৃশ্যমান হয়, তবে তা রাষ্ট্রীয় অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির পথে প্রচণ্ড অন্তরায়।
কোথাও চলছে নীরব চাঁদাবাজি, আবার. সরব চাঁদাবাজিও। মাঝখানে বলি হচ্ছে সাধারণ মানুষ, মধ্যবিত্ত কিংবা নিম্নমধ্যবিত্ত পেশাজীবীদের খরচের বহর দিনকে দিন বাড়ছে। একেক রুটে একেক ধরনের ভাড়া আদায় করা হয়Ñ যাচ্ছেতাই দশা। পরিবহন শ্রমিকরা নিজেদের ইচ্ছেমতো ভাড়া আদায় করছে। লেগুনা থেকে বাসে উঠে এক স্টপেজ থেকে আরেক স্টপেজে নামলেই ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ১০ টাকা। কিলোমিটার প্রতি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে না, যা কোনোভাবেই যৌক্তিক নয়। সরকার নির্ধারিত নির্দিষ্ট গন্তব্যের ভাড়া আদায় না করে যে যার মতো, যা ইচ্ছা তাই করছে! দেশের প্রান্তিক পর্যায়ের নানা পেশার, নানা মতের মানুষকে নিয়ে কাজ করে এমন অনেক দেশী-বিদেশী এনজিও রয়েছে। কিন্তু পরিবহন শ্রমিকদের নিয়ে কাজ করে এমন বেসরকারি সংস্থা খুব একট দেখা যায় না।
সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর যে মহামিছিল আমরা প্রতি বছর দেখতে পাই তার লাগাম টানতে হলে দেশ-বিদেশের আভিজ্ঞতা সামনে রেখে, উচ্চতর একাডেমিশিয়ান, সরকারি-বেসরকারি সংস্থার সমন্বয় সাধন করে যথাযথ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা গেলে তবেই যদি সড়কের মৃত্যুর মিছিল কিছুটা হলেও কমে আসে। সাধারণত সড়কে যে সকল কারণে নৈরাজ্য হয়ে থাকে অপ্রশস্ত রাস্তা, যেখানে সেখানে কারপার্কিং, যাত্রী ওঠা-নামা, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, আইন মেনে না চলা, যানবাহনের বেপরোয়া চলাচল, চালকদের শিক্ষার অভাবসহ নানা বিষয় রয়েছে। এসব কারণে নগরীতে দিনভর লেগে থাকে যানজট। ফলে ঘটছে দুর্ঘটনা। যানজট ঢাকা নগরবাসীর কাছে একটি মূর্তিমান আতঙ্কের নাম। এ শহরে ৭৩টি মোড়ে যানবাহন আটকে যায়।
বিশ্বব্যাংকের এক গবেষণায় দেখা গেছে, অসহনীয় যানজটে প্রতিদিন ৩২ লাখ কর্মঘণ্টা নষ্ট হয়ে ৯৮ হাজার কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে। ১১ হাজার কোটি টাকার জ্বালানি নষ্ট হচ্ছে। অনিয়ন্ত্রিত গাড়ি রাজধানীতে যানজটের সৃষ্টি করছে। প্রতিদিনের অসহ্য যানজটের কারণে স্থবির হয়ে পড়ে মানুষের জীবন-জীবিকা। হাজার কোটি টাকার প্রকল্পও নগরবাসীকে যানজটমুক্ত নগরজীবন উপহার দিতে পারেনি।
রাজধানীতে গত ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মাধ্যমে চালু করা হয় ই-টিকিটিং পদ্ধতি এবং কাউন্টারভিত্তিক বাস সার্ভিস। রাজধানীর সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে আব্দুল্লাহপুর থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে টিকিট কাউন্টার সার্ভিস উদ্বোধনও করা হয়। ২১টি কোম্পানির প্রায় ২ হাজার ৬১০টি বাস চলার কথা। যত্রতত্র বাসে ওঠা-নামা করা যাবে না। এসব বাসে টিকিট ছাড়া কেউ ওঠা যাবে না। রাজধানী ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে পরিবেশদূষণকারী বেবিট্যাক্সি ও মিশুক উঠিয়ে দিয়ে ২০০৩ সালে গণপরিবহনে যুক্ত হয় সিএনজি চালিত অটোরিক্সা। শর্ত ছিল, মিটারে নির্ধারিত ভাড়ায় চলবে অটোরিক্সা। কিন্তু কিছুদিন পর মিটার থাকলেও চালকরা চুক্তিতে চলাচল করতে যাত্রীদের বাধ্য করে। গত দুই দশক ধরে রাজধানী ঢাকা ও বাণিজ্যিক শহর চট্টগ্রামে অটোরিক্সা সেবায় চলছে নৈরাজ্য।
স্বাধীনতার পর নতুন দেশে ১৯৮৩ সালে সড়ক ও পরিবহন ব্যবস্থাকে ঝুঁকিমুক্ত, নিরাপদ, ও দুর্ঘটনামুক্ত রাখতে মোটরযান অধ্যাদেশ আইনের পরিবর্ধন, পরিমার্জন ও সংশোধনীর মাধ্যমে ১৯ সেপ্টেম্বর ‘সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮’ নামে জাতীয় সংসদে আইন পাস হয়। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন আইন একই সঙ্গে প্রায়োগিক এবং বিতর্কিত আইনগুলোর মধ্যে অন্যতম। সড়কে দুর্ঘটনা, যানজট ও নৈরাজ্য বাংলাদেশে নতুন কিছু নয়, যা আমাদের নাগরিক জীবনে নিত্যদিনের সঙ্গী। দেশের সড়ক মহাসড়কে সমস্যা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা-পর্যালোচনা ও গবেষণা কম হয়নি। কিন্তু কোনো সমাধান পাওয়া যায়নি। আমাদের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ২০১৮ সালে নিরাপদ সড়কের দাবিতে বড় একটি আন্দোলন করে। এ আন্দোলনে দেশের জনগণ ব্যাপক সাড়া দিলেও সরকারের নীতিনির্ধারকরা নিরাপদ সড়ক বাস্তবায়ন করতে পারেনি। গত সাড়ে ১৫ বছরে আওয়ামী শাসনামলে সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে না পারার কারণ, সে সময় পরিবহন ইউনিয়নের নেতা ছিলেন স্বয়ং মন্ত্রী। যিনি সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে সরকারকে কঠিন পদক্ষেপ নিতে বাধা দিয়েছেন। তিনি সব সময়ই পরিবহন শ্রমিক ও মালিকদের স্বার্থ দেখেছেন। যখন তখন সারা দেশে পরিবহন-যোগাযোগ বন্ধের নামানোর হুমকি দিতেন। গণপরিবহনের মালিক বা শ্রমিকরা চাইলে জনদুর্ভোগ তৈরি করতে পারে। হঠাৎ বাস ধর্মঘট ডাক দিলেই হয়। বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছে যায়। সড়ক-মহাসড়ক পরিবহন আইনে বলা আছে, ১০ মিটারের মধ্যে কোনো স্থাপনা থাকা যাবে না। কিন্তু যখনই একটি মহাসড়ক তৈরি হচ্ছে, তখনই দুই পাশে অবৈধ হাট-বাজার থেকে শুরু করে স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসা গড়ে উঠছে। সড়কে নৈরাজ্য ও অরাজকতা সৃষ্টিতে এ সকল প্রতিঠানও যথেষ্ট ভূমিকা রাখছে।
সড়ক পরিবহন আইন অনুযায়ী, অটোরিক্সার মতো কোনো কন্ট্রাক্ট ক্যারিজের চালকরা যেকোনো গন্তব্যে যেতে রাজি না হলে, বেশি ভাড়া চাইলে ছয় মাসের কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন এবং চালকের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত হিসেবে দোষসূচক ১ পয়েন্ট কর্তন করা হবে। এভাবে ১২ পয়েন্ট কাটা গেলে লাইসেন্স বাতিল হয়ে যাবে। সড়ক পরিবহন আইনে আরও বলা হয়েছে, মালিক নির্ধারিত দৈনিক জমার বেশি টাকা দাবি করলে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা ৬ মাসের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। চট্টগ্রাম কিংবা ঢাকা শহরের সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল, রেলস্টেশন অথবা বাসটার্মিনালের মতো জায়গায় ভোর বেলায় চালকরা যাত্রীদের কাছে ইচ্ছা মতো ভাড়া চেয়ে থাকে। এক কথায় ঝোপ বুঝে কোপ মারে। সিএনজিচালিত অটোরিক্সার নীতিমালায় চালক ও মালিকের শাস্তির বিধান রয়েছে। ২০১৮ সালে করা সড়ক পরিবহন আইনেও কঠোর শাস্তির বিধান যুক্ত করা হয়েছে। এতো কঠিন আইন থাকার পরও কেউই আইন মানছে না।
দেশে নিবন্ধিত মোটরসাইকেল প্রায় ৩৫ লাখ। চালকদের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশেরই ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই। এদের বয়স ১৫ থেকে ২০ বছরের মধ্যে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই কিশোররা সড়কের নিয়ম-কানুন মানে না এবং প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা সরঞ্জাম পরিধান করে না। তাদের মধ্যে সড়ককে ‘রেসিং ট্র্যাক’ বানানোর ভয়াবহ প্রবণতা দেখা যায়। মোটরসাইকেলের বেপরায়া চলাচল যাতায়াত ব্যবস্থাকে আরও ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে। সারা দেশের সড়কে তরুণদের বেপরোয়া রেসিং দুর্ঘটনার পুরনো কারণগুলোর সঙ্গে নতুন অনুষঙ্গ হিসেবে যুক্ত হয়ে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ করে তুলছে প্রতিনিয়ত।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে সড়কে দুর্ঘটনা বেড়েছে ১ দশমিক ৫৪ শতাংশ, মৃত্যু বেড়েছে ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ, আর আহতের সংখ্যা বেড়েছে ১৭ দশমিক ৭৩ শতাংশ। সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে বাংলাদেশ হেলথ ইনজুরি সার্ভে-২০১৬তে উল্লেখ করা হয়েছিল, দেশে প্রতিদিন গড়ে ৬৪ জন মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারায়। আমাদের দেশে প্রতিবছর সড়ক দুর্ঘটনায় প্রায় ৪০-৪৫ হাজার কোটি টাকার অর্থনৈতিক ক্ষতি হচ্ছে, যা জিডিপির প্রায় আড়াই থেকে তিন শতাংশ। অধিকাংশ সড়ক দুর্ঘটনায় কর্মক্ষম এবং উপার্জনশীল ব্যক্তিরাই নিহত হন। যারা আহত হচ্ছেন, তাদের চিকিৎসার জন্য মোটা অঙ্কের অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে।
দেশের সড়ক-মহাসড়কে নৈরাজ্যের প্রধান কারণগুলোর মধ্যে, সড়কে আগের ঝুঁকিপূর্ণ ব্ল্যাক স্পটগুলোর সঙ্গে নতুন ব্ল্যাক স্পট যুক্ত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। সড়ক দুর্ঘটনার আরেকটি বড় কারণ, আনফিট ভেহিক্যাল। সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে ২০২১ সালের প্রথম থেকে আনফিট ভেহিক্যাল নিয়ন্ত্রণের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সে বছরের শেষ নাগাদ আরও ৬০ হাজার আনফিট ভেহিক্যাল যুক্ত হয় বিদ্যমান বহরের সঙ্গে। অবৈধ যানবাহন ও অবৈধ চালকদের বাড়াবাড়িও উচ্চ ঝুঁকি তৈরি করছে।
ঢাকার পরিবহন ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা আনতে পশ্চিমাঞ্চলের বেড়িবাঁধ ঘিরে আব্দুল্লাহপুর থেকে ডেমরা পর্যন্ত এবং পূর্বাঞ্চলে আব্দুল্লাহপুর থেকে পূর্বাচল হয়ে ডেমরা পর্যন্ত প্রায় ৮৮ কিলোমিটারের একটি ইনার রিং রোড তৈরির প্রস্তাবনা ছিল। দুঃখজনক হলেও সত্যি, এই প্রকল্পের কাজ এখনো শুরুই হয়নি। পদ্মা সেতু দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানীসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলের সার্বিক যোগাযোগ ব্যবস্থাকে সমৃদ্ধ করেছে। দক্ষিণাঞ্চলের হৃৎপিণ্ড পদ্মা সেতুর এক্সপ্রেসওয়ের মাধ্যমে উভয় তীরে দ্রুতগতির যানবাহনগুলো রাজধানীর দিকে কিংবা ভাঙ্গার দিকে খুব অনায়াসে যেতে পারছে। সেতুর কারণে এ অঞ্চলের ট্রাফিক ম্যানেজমেন্টের চাপ আরও বাড়বে। পদ্মা সেতুর ফলে, দক্ষিণাঞ্চল থেকে উত্তরাঞ্চল বা উত্তরাঞ্চল থেকে দক্ষিণাঞ্চলে যাতায়াত ঢাকার ওপর দিয়ে হওয়ায় রাজধানীর অর্থনীতি মন্থর হতে পারে। সড়ক বিশেষজ্ঞগণ মনে করেন, ঢাকা শহরে যানবাহনের গ্রোথ অনুযায়ী, আগামী ৫ বছরে দক্ষিণাঞ্চল থেকে ঢাকায় ২০ হাজার গ্রোথ আসবে। এটা আগামীতে বেড়ে ৩০-৩৫ হাজার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এটা পদ্মা সেতুর ট্রাফিকের গ্রোথ বা চাপ সামলানোর জন্য পরিকল্পনায় ছিল। কিন্তু সেখানে সড়ক নির্মাণের দীর্ঘসূত্রতা রাজধানীর ট্রাফিক জ্যাম ও নৈরাজ্য সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখতে পারে।
সড়ক দুর্ঘটনা রোধে শুধু সচেতনতা বাড়ালেই চলবে না, উন্নত দেশগুলোর মতো আইনের কঠোর প্রয়োগ করতে হবে, যাতে কেউ আইন লঙ্ঘনের সাহস না পায়। সড়ক দুর্ঘটনায় জীবন যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হাত-পা, চোখ হারানোসহ বিভিন্ন অঙ্গহানি নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। যিনি প্রাণ হারালেন তার তো একরকম গতি হলো। কিন্তু যে ব্যক্তির অঙ্গহানি ঘটলো তার দুর্বিষহ জীবন কেবল তিনি ও তার পরিবারই বহন করেন। প্রায় প্রতিদিনই সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, সড়ক দুর্ঘটনায় পরিবারের একমাত্র সন্তানের নিহতের খবর। দাম্পত্য জীবনে পরিবারের একমাত্র সন্তান হারিয়ে বাবা-মা বাকরুদ্ধ, নির্বিকার। প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ায় তাদের আর কোনো বিকল্প পথও নেই। এই শূন্যতা পূরণ হওয়ার নয় কোনো দিন।
লেখক : সাংবাদিক