
চিত্রকর্ম : কারু তিতাস
রোজার মধ্যে বেড়ানো বা অবকাশ যাপনে লাগাম পড়ে। রোজা পড়েছে ফাগুন মাসে। ফাগুন আসে বছরে একবারই। বিপর্যস্ত বিপন্নতা ব্যস্ততার শহর ঢাকায় কোটি মানুষ হয়তো অনুভবই করতে পারেন না ফাগুন এসে চলেও যায়। সুখী মানুষেরা ফাগুনের স্বাদ পেতে চায়, তাই বলে কি জীবনের টানাপড়েনে যারা সতত পিষ্ট, তারা এ সময় প্রকৃতির দিকে তাকানোর দুদণ্ড সময়ও পাবেন না! পেতে হবে, কেননা জীবন একটাই। রোজা শুরুর আগে শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীবাসীর অনেকেই ঘরের বাইরে বেরিয়ে পড়েছিলেন। কেউ আগাম কেনাকাটা সারতে, কেউবা ফাগুন উপভোগ করতে।
ভাষার মাস থেকে
স্বাধীনতার মাস
বিশ্বে অনন্য ও একক বিষয় তো রয়েছেই আমাদের, মাসব্যাপী একুশের বইমেলা। সাংস্কৃতিক এক মহা আয়োজন। সাংস্কৃতিক নবায়নেরও বটে। ফেব্রুয়ারি শেষ হতেই নিজেদের আবিষ্কার করি মার্চের মঞ্জিলে। বাপ-দাদাদের কেউ স্বাধীনতার বিপক্ষে অবস্থান নিলেও তার উত্তর প্রজন্মের প্রতিনিধির সাধ্যি কি মার্চকে অস্বীকার করা! যে-স্বাধীন দেশে সাহিত্যচর্চার সুযোগ পাওয়া গেল; সম্মাননা ও পুরস্কারের এত আয়োজন মিলল, সেই দেশের প্রতি কুর্নিশ করবে না কলম! এমনটা কি হতে পারে? স্বাধীনতার মাসের প্রথম দিনই এমন ভাবনায় আন্দোলিত হই।
সাহিত্যের বিন্দুমাত্র দায় নেই মাটি বা আকাশের প্রতি, মানুষ বা বৃক্ষসমাজের প্রতি- এমন ভাবেন কেবল নেশাগ্রস্ত কবিরাই। ‘নেশা’ মানে মাদক বোঝাচ্ছি না। মদিরা বা কঠিন পদার্থও নয়। কবিতার নেশার কথাই বলছি। অল্প নেশা জটিল, অধিক নেশা ভয়ংকর। যথাযথ নেশাই প্রত্যাশিত; তাতে নিজের তো নয়ই, অন্যের ক্ষতির আশঙ্কা থাকে না। আপনি যদি হন বাংলাদেশের মানুষ, একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধে আপনার কাছের বা দূরের কোনো আত্মীয় বর্বর পাকিস্তানি সৈনিকদের আঘাতে মারা পড়ে থাকেন, তাহলে আপনি যাই করুন না কেন, কবিতা লিখুন বা গল্প, কৃষিকাজ করুন বা হন চর্মকার, ঠিকাদার বা জমিদার- আপনার চিন্তাজগৎ ভিন্ন হতে বাধ্য। আপনি আত্মপ্রেম ছাপিয়ে পারিপার্শ্বের প্রেমে পড়বেন, ভালোবাসবেন এবং দায়িত্ব বোধ করবেন।
আমাদের অভিজ্ঞতায় আমরা দেখছি, খুব সচেতনভাবে গোষ্ঠীবদ্ধ ক’জন কবি লেখায়-আলোচনায়-প্রচারণায় এমন একটি মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করার প্রয়াসী যে মাতৃভূমি ও সমকাল নিয়ে রচিত কবিতা কোনো কবিতাই নয়। নতুন পাঠক নিশ্চয়ই এতে বিভ্রান্ত হন। কবিতায় রাজনীতির বিষয়-আশয় উঠে এলে তাকে এককথায় স্লোগান বলে খারিজ করার প্রবণতাও দেখা যায়। নবীন পাঠক এতে প্রভাবিত হন। জীবনানন্দ দাশকে বুঝলে আগে অবশ্যই মানতে হবে কবিতা অনেক রকম। বিষয় বা প্রকাশভঙ্গি যেমনই হোক না কেন, একটি লেখা কবিতা হলো কি না, সেটাই আসল।
সাহিত্যের জন্য সাহিত্য নয়, মানুষের জন্য সাহিত্য- এই মন্ত্র যদি অস্বীকার না করি তাহলে মানুষের সার্বিক মুক্তির উদ্যোগে সাহিত্যকেও যুক্ত করতে হবে। সত্যকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরতে কলমের ভূমিকা কখনো হতে পারে মশাল, কখনো লাঙল; যে-লাঙলের ফলায় স্বদেশভূমির সুপ্ত রত্নরাজি উঠে আসবে আলোয়। কালজয়ী সব বাঙালি সাহিত্যিকই ছিলেন মানবমুক্তির পক্ষে। তাঁরা সাহিত্যের দায় সম্মন্ধে সজ্ঞান ছিলেন। তাহলে আজকের প্রজন্মের সাহিত্যনিষ্ঠদের কাছ থেকে আমরা প্রত্যাশিত সম্পদ লাভে কেন বঞ্চিত থাকব।
একাত্তরে দেশপ্রেমের প্রমাণ দিতে হয়েছিল স্বাধীনতাযুদ্ধের সপক্ষে অবস্থান নিয়ে। অস্ত্র হাতে লড়া মুক্তিসেনার তুলনায় বহুগুণ মানুষ হাতে অস্ত্র বিনা অন্তরে ধারণ করেছিলেন সেই চিরকালীন সম্পদ, যা যুদ্ধকালে হয়ে উঠেছিল পরম অস্ত্র, যার বিশুদ্ধ নাম দেশপ্রেম। তাঁদের প্রতিটি পদক্ষেপ ছিল শত্রুমুক্ত করে দেশকে স্বমহিমায় প্রতিষ্ঠিত করা। আরেকটি মার্চ এসে আমাদের সেসব গৌরবদীপ্ত অধ্যায় স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে। সেইসঙ্গে প্রত্যাশা করছে সাহিত্যসৃজনেও সঞ্চারিত হোক দেশপ্রেমের সাহস, শক্তি, সৌন্দর্য এবং মহিমা।
তরুণদের রাজনৈতিক দল
ঢাকায় নতুন দলের আত্মপ্রকাশ ঘটল শুক্রবার। জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রনেতৃত্বের নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আত্মপ্রকাশ ঘটল। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দলের নেতারা বিভাজনের রাজনীতির বদলে ঐক্যের রাজনীতি, ‘সেকেন্ড রিপাবলিক’ (দ্বিতীয় প্রজাতন্ত্র) প্রতিষ্ঠার জন্য গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে একটি নতুন সংবিধান প্রণয়ন, ভেঙে পড়া রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানগুলো গড়ে তোলার অঙ্গীকার ঘোষণা করেছেন। ঘোষণাপত্রে নতুন ‘রাজনৈতিক বন্দোবস্তের’ মাধ্যমে গণতন্ত্র, সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়েছে।
তাঁদের বক্তব্য হলো, হাজারো শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত এই নতুন স্বাধীনতা কেবল একটি সরকার পতন করে আরেকটি সরকার বসানোর জন্য ঘটেনি। ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বিলোপের মাধ্যমে জনগণের অধিকারভিত্তিক রাষ্ট্র পুনর্গঠন করতে হবে। রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্রের বদলে মেধা ও যোগ্যতার মানদণ্ডে নেতৃত্ব নির্বাচনের পাশাপাশি সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে মূলধারায় তুলে আনার কথাও বলা হয়েছে এতে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের সমন্বয়ে গঠিত নতুন রাজনৈতিক দলটিকে ঘিরে মানুষের রয়েছে বিপুল কৌতূহল। এই দল সংগঠিত করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টার পদ ছেড়ে জনতার কাতারে এসেছেন নাহিদ ইসলাম। তাকে নিয়েও রয়েছে দেশবাসীর কৌতূহল। তরুণরা দেশবাসীর সামনে কী রাজনৈতিক দর্শন ও সংস্কার ও সমাজ বদলের রূপরেখা নিয়ে এগিয়ে যান, সেটিই দেখার বিষয়। এটা ঠিক যে, সুপরিচিত রাজনৈতিক দলগুলো সম্পর্কে মানুষের সম্যক ধারণা রয়েছে। অন্যদিকে তরুণদের নতুন দল সবে যাত্রা শুরু করল। তাই তাদের ভাবনাচিন্তা মানুষের জন্য একেবারে নতুন হবে। মানুষ সব সময় নতুনের জন্য মনের জানালা খুলে রাখে। তাই সবারই প্রত্যাশা ভালো কিছুর।
হতে হবে সাবধান
গরমকাল আসার আগেই এসি বিস্ফোরণ এবং আগুন লাগার ঘটনা ঘটতে শুরু করেছে। রাজধানী ঢাকার নিউ ইস্কাটনে একটি ভবনে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র (এসি) বিস্ফোরিত হয়ে আবদুল মালেক খান (৪০) নামের এক ব্যক্তি মারা গেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস। বৃহস্পতিবার রাত তিনটার দিকে বিয়াম কার্যালয়ের ভবনের পঞ্চম তলায় এ ঘটনা ঘটে। আবদুল মালেক খান ওই কার্যালয়ের অফিস সহকারী ছিলেন। এ ঘটনায় সামান্য আহত হয়েছেন মো. ফারুক (৪০) নামের এক গাড়িচালক। আবদুল মালেকের বাড়ি বাউফলে।
বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে শেওড়াপাড়া কাঁচাবাজারে আগুন লাগে, ৪৫ মিনিট পর নিয়ন্ত্রণে আসে। সামনে গরম বাড়বে। এ ধরনের দুর্ঘটনা যাতে এড়ানো যায় সে ব্যাপারে সাবধান হতে হবে। প্রস্তুতি নিতে হবে। এসি সার্ভিসিং করা চাই। বাসাবাড়ি বা অফিস, সব স্থানেই আগুন নেভানোর জরুরি ব্যবস্থা থাকতে হবে।
শিল্পকলায় অশিল্প
শিল্পকলার কাজে সংস্কৃতি উপদেষ্টা ও মন্ত্রণালয়ের ‘অযাচিত হস্তক্ষেপের’ অভিযোগ এনে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালকের (ডিজি) পদ থেকে নাটকীয়ভাবে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন সৈয়দ জামিল আহমেদ। শুক্রবার সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির প্রশিক্ষণ বিভাগের আয়োজনে ‘মুনীর চৌধুরী প্রথম জাতীয় নাট্যোৎসব’-এর সমাপনী অনুষ্ঠানের মঞ্চে বক্তৃতা দেওয়ার এক পর্যায়ে একাডেমির সচিব মোহাম্মদ ওয়ারেছ হোসেনের কাছে পদত্যাগপত্র তুলে দেন তিনি। ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সৈয়দ জামিল আহমেদ। জনসম্মুখে পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার আগে ও পরে দেওয়া বক্তব্যে তিনি জানান, ‘স্বাধীনভাবে কাজ না করতে পারায়’ এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পরে এ নিয়ে তিনি একটি লিখিত বক্তব্যও দেন। পদত্যাগ করার এই ঘটনা নিয়ে এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আলোচনা চলছে। সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী এ নিয়ে একটি ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার পর থেকে আলোচনা আরও ডালপালা মেলেছে। সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলেন, ‘ভালো শিল্পী হওয়া আর আমলাতন্ত্রকে কনফিডেন্সে নিয়ে প্রতিষ্ঠান চালানো দুইটা দুইরকম আর্ট। দ্বিতীয় কাজটা করবার জন্য লাগে ধৈর্য এবং ম্যানেজারিয়াল ক্যাপাসিটি।’
শিল্পকলায় শিল্পচর্চা হবে, মতভেদ থাকবে, থাকবে সৃষ্টির বৈচিত্র্য; শিল্পীরা সৃজনময় থাকবেন, এটাই প্রত্যাশিত। কর্তাব্যক্তিদের কথায় ও আচরণে এমন কিছু থাকবে না যাতে শিল্পচর্চার পরিবেশ সংকুচিত হয়ে আসে। সব ধরনের অশিল্প থেকে মুক্ত হোক শিল্পকলা।
রমজানে ইফতার সামগ্রীর দাম
প্রথম রোজায় লিখছি এ কলাম। পবিত্র রমজান মাসে সারা দিন রোজা রাখার পর অনেকেই লেবুর শরবতে চুমুক দিয়ে গলা ভেজাতে চান। বাজারে তাই লেবুর চাহিদা বেড়েছে। এই সুযোগে দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন বিক্রেতারা। সপ্তাহ দুয়েক আগে ঢাকার বাজার থেকে এক হালি লেবু আকারভেদে ২০ থেকে ৪০ টাকায় কেনা যেত। শনিবার লেবু বিক্রি হয়েছে হালিপ্রতি ৫০-৮০ টাকা দরে। লেবুর মতো দাম বেড়েছে শসা, লম্বা বেগুন এবং দেশী-বিদেশী বিভিন্ন ধরনের ফলের। সব মিলিয়ে দেখা যাচ্ছে, ইফতারসামগ্রীর দাম চড়া, যা সাধারণ মানুষের খরচ বাড়িয়েছে।
নিত্যপণ্যের মধ্যে চিনি, ছোলা, পেঁয়াজ, আলু, আটা ইত্যাদির দাম স্থিতিশীল আছে। বিশেষ করে মৌসুমের কারণে পেঁয়াজ ও আলুর দাম অনেকটাই কম। চিনির সরবরাহ ভালো, দাম বাড়েনি। বরং গত বছরের তুলনায় দাম এবার কম। তবে সংকট চলছে বোতলজাত সয়াবিন তেলের। এই সুযোগে খোলা তেলের দাম নির্ধারিত দরের চেয়ে লিটারে ২৮-৩৩ টাকা বেশি দিতে হচ্ছে ক্রেতাদের।
একটি সংবাদপত্র থেকে তুলে দিচ্ছি : ‘চাল ও ডালের দাম আগে থেকেই চড়া। মাছ-মাংসের বাজারেও স্বস্তি নেই। ইফতারে বেগুনি, পেঁয়াজুর মতো ভাজাপোড়া খেতে পছন্দ করেন অনেকে। প্রতিবছরই রোজায় বেগুনের দাম বাড়ে। এবারও বেড়েছে। মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট, টাউন হল মার্কেট, আগারগাঁওয়ের তালতলা বাজার এবং কারওয়ান বাজারে খুচরা পর্যায়ে লম্বা বেগুনের দাম কেজিতে ১০-১৫ টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে মানভেদে ৬০ থেকে ৭০ টাকা। এবার অবশ্য বেগুন ‘শতক’ হাঁকায়নি। শসার দামও কেজিতে ২০-৩০ টাকা বেড়েছে। গতকাল এক কেজি দেশি শসা ৮০ থেকে ১০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। আর হাইব্রিড শসা কেনা গেছে ৫০-৬০ টাকা দরে। তবে কাঁচা মরিচের দাম কম। কেজি ৬০-৮০ টাকা। বিক্রেতারা বলছেন, কয়েক দিন পরই বেগুন ও শসার দাম কমে যাবে। প্রতিবছরই রোজার প্রথম কয়েক দিন দাম বেশি থাকে, পরে কমে যায়।’
সরকারি প্রতিষ্ঠান রমজানে দ্রব্যমূল্য কমানোয় কি ইতবাচক ভূমিকা রাখতে পারবে? প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের প্রেস উইং থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের দামের একটি তুলনামূলক মূল্যতালিকা দেওয়া হয়। তাতে দেখা যায়, গত বছরের রমজানের সময়ের তুলনায় এবার সব ধরনের চালের দাম ৬ থেকে ১০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। ভোজ্যতেলের দামও ১১-২০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। তবে গত রমজানের তুলনায় এবার আটা, ময়দা, চিনি, আলু, টমেটো, আদা ও পেঁয়াজের দাম কমেছে। ইফতারে মুড়ি লাগেই। মুড়ির দাম এবার বাড়েনি। সাধারণ মানের মুড়ি ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর হাতে ভাজা মুড়ির দাম রাখা হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা।
সরকার এবার ভোজ্যতেল, চিনি, খেজুরসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্যে শুল্ক ছাড় দেয়। এর সুফল পাওয়া যায় চিনি ও খেজুরের বাজারে। তবে সয়াবিন তেলে সুফল পাওয়া যায়নি। রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, গত রমজানের চেয়ে এবার বেশিরভাগ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে এসেছে, কমেছে। দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে পুরো রমজানে অন্তর্বর্তী সরকারের নজর থাকবে। ভোক্তারা চান, শুধু নজর নয়, সরকার দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।
০২ মার্চ ২০২৫
[email protected]