ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ০১ মার্চ ২০২৫, ১৭ ফাল্গুন ১৪৩১

প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সম্পর্ক ॥ প্রেক্ষিত জন আকাঙ্ক্ষা

ফনিন্দ্র সরকার

প্রকাশিত: ১৯:৫০, ১ মার্চ ২০২৫

প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সম্পর্ক ॥ প্রেক্ষিত জন আকাঙ্ক্ষা

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের গতি-প্রকৃতি নিয়ে নানারকম আলোচনা-সমালোচনা চলছে। দেশ দুটোর কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রসঙ্গে ইতোপূর্বে অনেক লিখেছি। দুই দেশেরই বিভিন্ন পন্ডিতগণ তথা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা নানা ধরণের মতামত তুলে ধরে পত্র-পত্রিকায় প্রবন্ধ নিবন্ধ লিখেছেন। দুই দেশের সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিৎ এবং পারস্পরিক স্বার্থ সংরক্ষণে সম্পর্কের ভিত্তি নিয়ে অনেক কথাবার্তা হয়েছে। ঐতিহাসিকভাবেই এ কথা সত্য যে, দেশ দুটো এক সময় অভিন্ন মানচিত্রে আবদ্ধ ছিল। আজকের পাকিস্তানসহ বৃহৎ ভারতবর্ষ নামের দেশটির শাসনকর্তা ছিল ইংরেজরা। ১৯৪৭ সালে সামাজিক-রাজনৈতিক বাস্তবতায় বিভক্ত হয় ভারতবর্ষ। পাকিস্তান-ভারত নামের দুটো দেশের অভ্যুদয় ঘটে প্রায় বিনা রক্তপাতে। তবে ব্রিটিশ শাসনবিরোধী দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামে কিছু রক্ত ঝড়েছে, যার ঐতিহাসিক স্বীকৃতি নেই। পাকিস্তানের একটি অংশ পূর্ব-পাকিস্তানের বেশিরভাগ নাগরিক বাংলাভাষি বা বাঙালি। বাঙালি অধ্যুষিত অঞ্চলের শাসন ভার ছিল অবাঙালিদের হাতে। ফলে নানা বঞ্চনার শিকার হতে থাকে পূর্ব পাকিস্তানের সাধারণ মানুষ। শোষণ বঞ্চনার হাত থেকে মুক্তির লক্ষ্যে এ অঞ্চলে স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রেক্ষাপট গড়ে ওঠে। অবাঙালি শাসকগোষ্ঠী বাংলা ভাষাকেও অবজ্ঞা করেছিল। মাতৃভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা লাভের প্রত্যাশায় যে আন্দোলনের সূচনা হয়, সেটি খ্যাতি লাভ করে ভাষা আন্দোলন নামে। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে রাজপথে রক্ত ঝরার ইতিহাস কারও অজানা নয়। সেই ভাষা আন্দোলনের পথ ধরেই স্বাধীনতা আন্দোলন তীব্রতা লাভ করে এবং পূর্ব-পাকিস্তান বাংলাদেশ নামে বিশ^ মানচিত্রে স্বাধীন সার্বভৌম দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায়। সে এক ভিন্ন ইতিহাস। সে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি করতে চাই না। স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশটির পাশর্^বর্তী একটি বৃহৎ প্রতিবেশী দেশ ভারত। তিন দিকেই ভারত সীমান্ত, দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর। দক্ষিণ পূর্বকোণে অবস্থিত মিয়ানমার। মিয়ানমারের সঙ্গে সীমানার দৈর্ঘ্য ২৭১ কিলোমিটার অন্যদিকে ভারতের সঙ্গে সীমানার দৈর্ঘ্য হচ্ছে ৪,১৫২ কিলোমিটার।
যাহোক, স্বভাবতই ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বের সম্পর্কের বিষয়টি অতীব গুরুত্বপূর্ণ। স্বাধীনতার উষালগ্ন থেকেই বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নিয়ে নানা রকম আলোচনা চলে আসছে। আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামে ভারতের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগিতার কথা সর্বজন বিদিত। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারত কেন সাহায্য-সহযোগিতা করেছে তা নিয়ে বিভিন্ন মতপার্থক্য থাকতেই পারে। কিন্তু সাহায্য করেছে এ সত্যকে অস্বীকার করার উপায় নেই। দীর্ঘ সীমানার দেশ ভারতের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি হয়েছে শুরু থেকেই। সেগুলোর অনেকটাই সমাধান হয়েছে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে। যেমন- কড়িডোর সমস্যা, সমুদ্র সমস্যা, গঙ্গাচুক্তি, পার্বত্য শান্তিচুক্তি ইত্যাদি। কিন্তু তিস্তা সমস্যা এখনো অমীমাংসিত রয়েছে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত অর্থাৎ চুয়ান্ন বছরে দুই দেশেই সরকার পরিবর্তন হয়েছে অনেকবার। ক্ষমতার পালাবদল একটি স্বাভাবিক রাজনৈতিক প্রক্রিয়া। সরকার পরিবর্তন হলেও বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে ব্যাপক কোনো সমস্যা তৈরি হয়নি। তবে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ছন্দপতন ঘটেছে কিছুটা। শেখ হাসিনার টানা প্রায় ষোলো বছরের শাসনকালে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক নিয়ে উভয় দেশের কূটনৈতিকগণ উচ্চাশা ব্যক্ত করে বক্তব্য রেখেছেন। ভারতীয় কোনো কূটনৈতিক ঢাকায় যোগদান করেই বলতেন, ‘বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক অন্য এক উচ্চতায় পৌঁছে গেছে’। কখনো বলা হতো, ‘দুই দেশের সম্পর্ক অনন্য উচ্চতার নিদর্শন। এও বলা হতো। ‘সম্পর্কের সোনালি অধ্যায় শুরু হয়েছে’। দুই দেশের সম্পর্ক খুবই চমৎকার বলে প্রচার করা হতো। সেগুলো যে ফাঁপা বেলুনের মতো ছিল, তা প্রমাণিত হলো ৫ আগস্টের পর। বিগত ১৫ বছরে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে অনেক লেখা লিখেছি যা প্রথমেই উল্লেখ করেছি। ভেতরে ভেতরে দুই দেশের সম্পর্কে যে-টানাপোড়েন তৈরি হয়েছিল, তা অনেকবার উল্লেখ করেছি। সেই ক্ষত মোছার কোনো চেষ্টাই করা হয়নি। সম্পর্ক যদি মধুরই হবে, সে বিষয়ে এত কথা বলতে হবে কেন? পারস্পরিক ভালোবাসার কথা বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রচার করার প্রয়োজন হয় না। দেশে দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তন ঘটবে, কখনো স্বাভাবিকভাবে কখনো অস্বাভাবিকভাবে, এটা বাস্তবতা। কিন্তু রাজনৈতিক পটপরিবর্তন ঘটার সঙ্গে সঙ্গে কোনো একটা দেশের বিদেশ নীতি ভেঙে পড়বে, তা কাম্য হতে পারে না। এর মানে হচ্ছে বিদেশ নীতিতে কাঠামোগত দুর্বলতার বহির্প্রকাশ। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক বর্তমানে প্রায় তলানীতে ঠেকেছে বলে দৃশ্যমান হচ্ছে। হুমকি পাল্টা হুমকি কখনো সম্পর্ক উন্নয়নে সহায়ক নয়। আধুনিক বিশ^সভ্যতায় কোনো দেশই এককভাবে চলতে পারে না। বর্তমান পৃথিবীকে বলা হয় গ্লোবাল ভিলেজ। তাই কেউ কাউকে উপেক্ষা করে কিংবা বাদ দিয়ে এগিয়ে যেতে পারবে না। প্রতিবেশীর বিষয়টি আরও গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিবেশী কখনো বদলানো যায় না। ভারত আমাদের প্রতিবেশী দেশ। তার সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রেখেই এগিয়ে যেতে হবে। ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে বাংলাদেশের মতো ছোট দেশটির প্রতি গোটা বিশে^রই আগ্রহ থাকবে। ভূরাজনীতির প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ পৃথিবীর মানচিত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি রাষ্ট্র। এই গুরুত্বকে বিবেচনা করে কৌশলগত সুবিধার কথা মাথায় রেখে চলতে হবে। কথাটি বলা প্রয়োজন যে, বাংলাদেশে এখন অনির্বাচিত অন্তর্বর্তী সরকার দেশ পরিচালনা করছে। এই সরকার নীতিগতভাবে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবে না। যে সকল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে সেগুলো পরবর্তী নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকার কর্তৃক স্বীকৃত হতে হবে পার্লামেন্টে। তা না হলে গৃহীত সব পদক্ষেপই ভেস্তে যেতে। যা-হোক, সেটি পরের বিষয়।
বাংলাদেশ ভারত সম্পর্কে সাম্প্রতিক টানপোড়েনে দু’দেশের সাধারণ নাগরিক বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে রয়েছে। ৫ আগস্টের পর বাংলাদেশ-ভারতের সাধারণ নাগরিকদের যোগাযোগ বা যাতায়াত এক প্রকার বন্ধ। ভারত-বাংলাদেশের মানুষের জন্য ভিসা সেবা বন্ধ করে দিয়েছে। খুবই সীমিত পরিসরে কিছু চিকিৎসা ভিসা দিচ্ছে। কিন্তু কেন এমন অবস্থা হলো? সরকার পতনের সঙ্গে তো ভিসা ব্যবস্থার কোনো সম্পর্ক থাকার কথা নয়! আসলে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ফাটল একদিনে তৈরি হয়নি। এ যাবৎ যে সম্পর্ক বিদ্যমান ছিল, সেটি কেবল কাগজে কলমে ভালো ছিল। কার্যত সাধারণ মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরিতে কোনো পদক্ষেপই গ্রহণ করা হয়নি। দু-দেশের সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে একটা ভুল বুঝাবুঝির জায়গা তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশের অনেক মানুষ ভারতবিদ্বেষী হয়ে উঠেছে। এর প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করার কোনো চেষ্টাই করেনি ভারত। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ভারত সম্পর্ক তৈরি করেছিল একটি দলের সঙ্গে। কূটনৈতিক সম্পর্ক যদি বিশেষ কোনো দলের সঙ্গে তৈরি হয়, তাহলে গোটা দেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে বাধ্য। ভারত-বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে পারস্পরিক কোনো বৈরীভাব নেই। শুধু রাষ্ট্রীয় নীতিগত কারণেই সম্পর্কের  টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে। যেটি হওয়ার কথা ছিল না। এ ক্ষেত্রে দু-দেশই কূটনৈতিক সাফল্যের পরিচয় দিতে পারেন। কূটনৈতিক সম্পর্কের ভিত্তি তৈরি করতে হয় দু-দেশের জনগণের আকাক্সক্ষার ওপর। বাংলাদেশ ও ভারতের জনগণ পরস্পর সৌহার্দ্যপূর্ণ সহঅবস্থানে বিশ^াসী। দুই দেশের শিক্ষা-সংস্কৃতির একটা অন্তঃমিল রয়েছে ঐতিহাসিক কারণেই। বিশেষত পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরার সঙ্গে বাংলাদেশের তেমন পার্থক্য নেই। গোটা ভারতের বিভিন্ন প্রদেশের ভাষাগত কিছু ভিন্নতা থাকলেও সংস্কৃতিতেও তেমন কোনো তফাৎ নেই। বৈদেশিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি তত্ত্ব কাজ করে। ধরা যাক, আমার একটা মত আছে। আমি সেটিকে ধরে থাকতে পারি; কিন্তু তা সত্যের ওপর প্রতিষ্ঠিত হতে হবে। মতটিকে সত্য হতে হবে। বৈজ্ঞানিক সত্যগুলোর মধ্যে কোন দ্বন্দ্ব নেই। মতবাদে দ্বন্দ্ব থাকতেই পারে। আমরা জানি, মতগুলো একই সত্যের ভিন্ন ভিন্ন রূপ। এ দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করলে আর দ্বন্দ্ব থাকে না। কেবল সমন্বয় ও শান্তিই বিরাজিত থাকে। কী রাষ্ট্রীয় কী ব্যক্তিগত পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মানবোধ থাকলেই দ্বন্দ্ব থাকে না বা তৈরি হয় না। পরিবর্তনশীল এ জগতে সকল দেশেরই কূটনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিতেও পরিবর্তন আনতে হবে।
যা-হোক, বাংলাদেশ-ভারত কূটনৈতিক সম্পর্ক এখন বিশ^াস-অবিশ^াসের দোলাচলে ঝুলছে। এ অবস্থা থেকে বেড়িয়ে আসতে হবে। এ জন্যে দরকার পারস্পরিক দৃঢ়তা। সম্প্রতি ওমানের মাস্কাটে  অনুষ্ঠিত ভারত মহাসাগর অষ্টম সম্মেলনে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয় শংকরের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে সম্পর্কোন্নয়নের নানা দিক নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা জানিয়েছেন। ভারতীয় গণমাধ্যমে দ্য হিন্দু-কে সাক্ষাতকারে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নির্দিষ্ট সরকার কেন্দ্রিক হওয়া উচিৎ নয়’। সাক্ষাৎকারে তিনি দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে পরীক্ষার মুখে ফেলা একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ভারত গত ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে একটি নির্দিষ্ট ধরণের সম্পর্কে অভ্যস্ত ছিল এবং হঠাৎ করেই এতে একটা ছন্দপতন আসে। নতুন বাস্তবতার সঙ্গে মানিয়ে নিতে হয়তো কিছুটা সময় লেগেছে। যার ফলে সম্পর্কের ওপর নেতিবাচক মনোভাব ও অস্বস্তি তৈরি হয়েছিল। এই অস্বস্তি অনেকটাই দূর হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। আসন্ন বিমসটেক সম্মেলন থাইল্যান্ডে হতে যাচ্ছে। সেখানে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী অংশগ্রহণ করবেন। সম্ভাবনা রয়েছে শীর্ষ দুই নেতার বৈঠকের। সম্পর্কের ক্ষেত্রে যে সকল সমস্যাগুলো দৃশ্যমান বলে মনে হয়, তা সমাধান হবে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে। তবে এ বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে যে, ভারত অনেক বড় দেশ। অর্থনৈতিক ও সামরিক শক্তিতেও শীর্ষ চারটি দেশের অন্যতম একটি ভারত। বাংলাদেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে হলে ভারতের সঙ্গে সু-সম্পর্ক অপরিহার্য। ভারত তার নিরাপত্তার স্বার্থে বাংলাদেশের প্রতি সজাগ দৃষ্টি রেখে সম্পর্কোন্নয়ন করবে, এটাই স্বাভাবিক। গোটা পৃথিবীতে মানুষের সামগ্রিক জীবন যাত্রা ও কর্মপদ্ধতিতে একটা বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। এই পরিবর্তন হয়েছে কঠোর পরিশ্রম থেকে, সেবা বুদ্ধিতে এবং কাজের মাধ্যমে। এখন আমাদের মানবীয় তাগিদে মনুষ্যত্ব বিকাশে আত্মনিয়োগ করতে হবে। মনুষ্যত্ববোধ যদি আমাদের মধ্যে জেগে ওঠে, তবে পৃথিবীর সকল দেশ বাংলাদেশকে সমীহ করে চলবে। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক মানবিক বিবেচনায় এগিয়ে যাক- এই প্রত্যাশা সবার।


লেখক : রাজনৈতিক বিশ্লেষক
[email protected]

×