
উপমহাদেশে আধুনিক বিচার ব্যবস্থার বিকাশধারা, হাজার বছরের ঐতিহাসিক পথ পরিক্রমা, বহুমাত্রিক আর্থ-সামাজিক পটপরিবর্তন ও বিবর্তনের হাত ধরে, ধীরলয়ে একুশ শতকের এ পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে। উপমহাদেশের আইনি কাঠামো বিভিন্ন ঐতিহাসিক সময়ে শাসন কাঠামোর হাত ধরে বর্তমান বিচারিক ব্যবস্থা পেয়েছে। ইতিহাসের পাঠে, এ অঞ্চলের ঐতিহাসিক বিচারিক অভিযাত্রা, স্বাগতিক জনপদের ঐতিহ্য ও ঔপনিবেশিক আধিপত্যবাদী শাসনের বর্ণিল মিশ্রণে রূপ নিয়েছে এক স্বকীয় সত্তায়। প্রাচীন ভারতীয় বিচার ব্যবস্থার উদ্ভব হয় হিন্দু আমলে, আনুমানিক ১৫০০ থেকে ১২০৬ খ্রিস্টপূর্বাব্দে। এ অঞ্চলের আইন ও বিচার ব্যবস্থা ছিল রাজতন্ত্রের অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং শ্রেণিপ্রথা দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত। প্রাচীনকালের আঞ্চলিক প্রথা, পুরাণ, ধর্মশাস্ত্রের সঙ্গে আইনি নির্দেশনার জন্য অর্থশাস্ত্র এবং মনুস্মৃতি অনুসরণ করা হতো। এ সময়ে রাজা-বাদশাদের বিশেষ আনুকূল্য কিংবা সুবিধাপ্রাপ্ত ব্যক্তি ও গোষ্ঠীগণের মধ্য থেকে আইনকর্মী ও বিচারক নিয়োগ হতেন। যাদের অধিকাংশই বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত শ্রেণি থেকে উঠে আসা।
ভারতবর্ষে আধুনিক আইনি ব্যবস্থার উন্মেষ ঘটে রাজা ১ম জর্জের আমলে। তিনি ১৭২৬ সালে একটি সনদ জারি করেন। এ সনদের মাধ্যমে কলকাতা, বোম্বে ও মাদ্রাজ প্রদেশের বিচার প্রশাসন ব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন করে দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালতসমূহের পূর্ণাঙ্গ কর্তৃত্ব অঞ্চলগুলো ক্রমান্বয়ে লাভ করে। মুঘল বাদশার অনুমোদন সাপেক্ষে কলকাতা, মাদ্রাজ ও বোম্বেÑ এই তিনটি প্রদেশের নগরায়ণের কাজ পায় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। আধুনিক শহর তৈরি এবং প্রাদেশিক শহরগুলোর প্রশাসন পরিচালনার জন্য পশ্চিমা ব্রিটিশ আইনি ব্যবস্থা চালু করে। এর মাধ্যমেই ব্রিটিশ বিচার ব্যবস্থার ভারতীয় উপমহাদেশে অভিষেক হয়। ১৭২৬ সালের সনদের মাধ্যমেই তৎকালীন ভারতবর্ষে আধুনিক বিচার ব্যবস্থার বিকাশধারা, হাজার বছরের ঐতিহাসিক পথ পরিক্রমা, বহুমাত্রিক আর্থ-সামাজিক পটপরিবর্তন ও বিবর্তনের হাত ধরে, ধীরলয়ে একুশ শতকের এ পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে।
১৭২৬ সালের সনদের মাধ্যমেই তৎকালীন ভারত থেকে ইংল্যান্ডের প্রিভি কাউন্সিলে আপিল দায়েরের বিধান প্রবর্তন করা হয়েছিল। তারপরে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন আনয়নের লক্ষ্যে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৭৭৩ প্রবর্তন করা হয়েছিল। যার মাধ্যমে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে ব্রিটিশ সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন করার এবং একটি সনদ বা লেটারস্ পেটেন্টের মাধ্যমে কলকাতার ফোর্ট উইলিয়ামে সুপ্রিম কোর্ট অব জুডিকেচার প্রতিষ্ঠার বিধান করা হয়েছিল। বাংলায় ফোর্ট উইলিয়ামে সুপ্রিম কোর্ট অব জুডিকেচার ২৬ মার্চ, ১৭৭৪ সালে জারিকৃত লেটারস্ পেটেন্টের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। রেকর্ড আদালত হিসেবে এ আদালতের বাংলা, বিহার ও ওড়িশা অঞ্চলে ব্রিটিশ রাজের প্রজাদের বিরুদ্ধে যে কোনো অপরাধ, মামলা বা পদক্ষেপের বিষয়ে উদ্ভূত সমস্ত অভিযোগ নিষ্পত্তি করার ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব ছিল।
১৮৩৩ সালে প্রণীত আইনের মাধ্যমে প্রিভি কাউন্সিলকে অভিশংসন প্রতিরোধ্য কর্তৃত্বসম্পন্ন একটি রাজকীয় আদালতে পরিণত করা হয়। যা ভারতীয় উপমহাদেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ শক্তি হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। ভারতীয় হাইকোর্ট আইন, ১৮৬১ প্রণয়নের মাধ্যমে তৎকালীন ভারতের বিচার ব্যবস্থা পুনর্গঠন করা হয়েছিল। যার মাধ্যমে ফোর্ট উইলিয়াম (কলকাতা), মাদ্রাজ এবং বোম্বেতে সুপ্রিম কোর্টগুলোকে বাতিল করে হাইকোর্ট প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। হাইকোর্টগুলোকে মূল এবং আপিলের এখতিয়ারের পাশাপাশি দেওয়ানি, ফৌজদারি, নৌ-সংক্রান্ত, উইল এবং বিবাহ সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির এখতিয়ারও প্রদান করা হয়েছিল।
তৎকালীন ভারত বিভাগের ফলে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট হতে জনগণের নিকট ক্ষমতা হস্তান্তরের সঙ্গে সঙ্গে ভারত স্বাধীনতা আইন, ১৯৪৭-এর অধীনে হাইকোর্ট অব বেঙ্গল (অর্ডার), ১৯৪৭ জারি করা হয়েছিল। ঢাকায় তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের জন্য একটি পৃথক হাইকোর্ট হিসেবে হাইকোর্ট অব জুডিকেচার ফর ইস্ট বেঙ্গল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। উক্ত হাইকোর্টটি সাধারণভাবে ঢাকা হাইকোর্ট নামে পরিচিত ছিল এবং এর ওপর সমস্ত আপিল, দেওয়ানি এবং মূল এখতিয়ার ন্যস্ত ছিল। ১৯৫৬ সালে পাকিস্তান ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের সংবিধান কার্যকর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পূর্ব এবং পশ্চিম পাকিস্তানের সমন্বয়ে গঠিত দেশটির সর্বোচ্চ আদালত হিসেবে ফেডারেল কোর্টের পরিবর্তে সুপ্রিম কোর্ট অব পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। যার পাকিস্তানের বিভিন্ন প্রদেশে অবস্থিত হাইকোর্টসমূহের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল শোনার এখতিয়ার ছিল। (সূত্র : বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইট)
ভারতবর্ষে মুসলিম শাসনামলে মানুষের পারিবারিক, সামজিক ও স্থানীয় রাজনৈতিক বিরোধপূর্ণ বিষয়াবলি ইসলামি শরিয়তের নীতি অনুসরণ করে সমাধান করা হতো। সে কালের বিচারিক ব্যবস্থার ঐতিহাসিক সূত্র অনুসন্ধানে জানা যায়, ইসলামি আইনে বিজ্ঞ পণ্ডিত, মুফতি ও কাজীদের সমন্বয়ে গঠিত একটি শক্তিশালী, জবাবদিহিপূর্ণ আদালত কাঠামোর খোঁজ পাওয়া যায়। নাগরিকদের প্রতি বিচারকার্য পরিচালনায় অসাম্প্রদায়িক চেতনা ধারণ করতেন দায়িত্বপ্রাপ্ত কাজীগণ। তদারকির জন্য থাকতেন বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি। পর্যায়ক্রমে সুলতানী ও মুঘল শাসনের অধীনে নতুন আইনি ব্যবস্থার সূচনা হয়। আনুমানিক ১১০০ খ্রিস্টাব্দে মুসলিম শাসনামলে ভারতবর্ষের বিচার ব্যবস্থায় আইনি কাঠামোর উদ্ভব হয়। মুসলিম শাসনামলের আইনি ও বিচারিক ব্যবস্থাকে ‘ফতোয়া-ই-আলমগিরি’ এবং ‘ফিকহ-ই-ফিরোজ শাহী’ সমৃদ্ধ করেছিল।
ইতিহাস অনুসন্ধানে জানা যায়, সুলতানী ও মুঘল আমলে বিচার ব্যবস্থায় গ্রামীণ বিচারিক ব্যবস্থা থেকে পরগনা, জেলা, প্রাদেশিক ও কেন্দ্রীয় আদালত ব্যবস্থাপনার অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়। মুসলিম আমলে ফৌজদারি বিচারিক ব্যবস্থার অনুকূলে সৃষ্ট ‘কতোয়াল’ পদবি নামের ঐতিহাসিক উপস্থিতি এখনো বাংলাদেশের পুরনো জেলাগুলোয় ‘কোতোয়ালি থানা’ নামে রয়েছে। শের শাহ সুরির শাসনামলে ‘কাজি-উল-কুজ্জাত’ (প্রধান বিচারপতি) মুসলিম আইন অনুসারে মুসলমানদের দেওয়ানি মামলার বিচার করতেন এবং রাজস্ব বিষয়ক মামলার বিচারকের পদবি ছিল ‘মুনসেফ’। মুসলিম আমলে প্রতিষ্ঠিত এই ‘মুনসেফ’ পদটি ব্রিটিশ ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ আমলে বিচার ব্যবস্থায় সুদীর্ঘকাল প্রচলিত ছিল। কিন্তু ১৯৮৭ সালে সামরিক শাসক এরশাদ সরকার বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের কিছু ক্যাডারের নাম পরিবর্তন করে সিভিল কোর্টস (সংশোধন) আইন-১৯৮৭-এর মাধ্যমে। ‘মুনসেফ’ পদের নামকরণ করা হয় ‘সহকারী জজ’, যা এখনো চলমান রয়েছে। যদিও এ পদবি পরিবর্তন করে ‘সিভিল জজ’ এবং ‘সিনিয়র সিভিল জজ’ নামকরণের দাবি তুলেছে বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। তাদের দাবি, এ নামকরণ করা হলে সময়ের নিরিখে টেকসই হবে এবং ভবিষ্যতেও তা পরিবর্তনের প্রয়োজন হবে না। কেবল একটি অধ্যাদেশ জারি করলেই ১৯৮৭ সালের সিভিল কোর্টস অ্যাক্টের সংশ্লিষ্ট বিধান সংশোধন করে প্রচলিত সব আইনে তার প্রয়োগ ও কার্যকারিতা নিশ্চিত করা যাবে।
আধুনিক বাংলাদেশের বর্তমান আইনি-বিচারিক ব্যবস্থাপনার উৎসমূলকে নিম্নোক্ত ধারায় শ্রেণিকরণ করা যায়Ñ হিন্দ, মুসলিম, ব্রিটিশ (ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ও ব্রিটিশ শাসনামল), পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ আমল। মূলত ভারতবর্ষের প্রতিটি রাষ্ট্রেরই বর্তমান আইনি ব্যবস্থা এ ধারায় নিষিক্ত। প্রাচীনকাল থেকে পৃথিবীর প্রতিটি জনপদেই স্থানীয় কৃষ্টি-কালচার, প্রথার নির্যাস থেকে উৎসারিত কিছু বিধিবিধান পশ্চিমা আধুনিক আইনকানুনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। কখনো পূর্ণাঙ্গতা পেয়েছে আবার কখনো বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। সময়ের হাত ধরে যুগের চাহিদার নিরিখে নতুন অবয়বে বারবার ফিরে এসেছে মানবজাতিকে সুরক্ষা দিতে নতুন আইন। ভারতবর্ষে সুদীর্ঘ সময় মুসলিম শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত থাকার পরও হাজার বছর ধরে চলমান এ অঞ্চলের ঐতিহ্যের ধারায় সৃষ্ট স্থানীয় কৃষ্টি-কালচার কিংবা রীতিনীতির এক বর্ণিল মিশেলে ইসলামি আইনশাস্ত্র এক নতুন অনুষঙ্গ হিসেবে যুক্ত হয়। সময়ের হাত ধরে প্রাতিষ্ঠানিক আইনি ও বিচারিক ব্যবস্থার ভিত্তিমূল গড়ে ওঠে। ১৯৪৭ সালে ভারতবর্ষে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের পতনের পর সদ্য স্বাধীন দেশ দুটি পরবর্তী সময়ে তাদের নিজ নিজ প্রয়োজনে কিছু আইনের সংস্করণ, পরিমার্জন এবং নতুন আইন তৈরি করেছে।
স্বাধীনতা যুদ্ধের পর বাংলাদেশের স্বাধীন বিচার বিভাগ ও তার আইনি কাঠামো নতুন রূপ পায়। সময়ের প্রয়োজনে ল’কনটিনিউয়েন্স অর্ডার-১৯৭১ জারি করা হয়েছিল। যার উদ্দেশ্য ছিল মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন পাকিস্তান আমলে প্রণীত আইনের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা। ১৯৭২ সালে প্রণীত হয় নতুন দেশে নতুন সংবিধান। বাংলাদেশের এই নতুন সংবিধানে দেশে একটি স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সুপ্রিম কোর্ট ও অধস্তন আদালতের কথা বলা হয়।
বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগ নিয়ে গঠিত হয়েছে ১৯৭২ সালে গৃহীত সংবিধানের ষষ্ঠ অধ্যায়ের ৯৪ অনুচ্ছেদ দ্বারা। এখানে রয়েছে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি, আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিগণের এজলাস এবং খাস কামরা। সুপ্রিম কোর্টের দুটি বিভাগের একই সঙ্গে রয়েছে সাধারণ এবং সাংবিধানিক এখতিয়ার। ফৌজদারি আদালতগুলো নির্দিষ্ট এখতিয়ারযুক্ত জেলা ও মহানগর পর্যায়ে বিভিন্ন ধরনের দায়রা এবং ম্যাজিস্ট্রেট (জেলায় চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের এবং মহানগরের জন্য চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের) আদালতে বিভক্ত। এছাড়া অধস্তন আদালত বা জেলা আদালতগুলোর রয়েছে দেওয়ানি ও ফৌজদারি ক্ষমতা। জেলা পর্যায়ে রয়েছে ৫ ধরনের আদালত। জেলা জজ, অতিরিক্ত জেলা জজ, যুগ্ম জেলা জজ, সিনিয়র সহকারী জজ এবং সহকারী জজের আদালতে দেওয়ানি বিচার ব্যবস্থা পরিচালিত হয়। অন্যদিকে, বিশেষ আইনের অধীনে গঠিত বিশেষ আদালত ও ট্রাইব্যুনালসমূহ দায়িত্ব পালন করে থাকে। ১৯৯৪ সালে বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ থেকে পৃথক করতে একটি রিট মামলা করেন তৎকালীন জেলা জজ ও জুডিসিয়াল অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মাসদার হোসেন। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ১২ দফা নির্দেশনাসহ চূড়ান্ত রায় দেন ১৯৯৯ সালে। রায়ের আট বছর পর ২০০৭ সালে মূল নির্দেশনাটি বাস্তবায়ন করে বিচার বিভাগকে আলাদা করা হয়েছিল। কিন্তু অর্থনৈতিক স্বাধীনতা ও আনুষঙ্গিক বিষয়গুলোর নির্দেশনা এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। তবু অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বিচার বিভাগ অনেকটা স্বাধীন। মাসদার হোসেন মামলার রায়ের পর হাঁটি হাঁটি পা পা করে বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তনে কিছুটা হলেও সমীরণ বইছে।
লেখক : সাংবাদিক