ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২ ফাল্গুন ১৪৩১

ঢাকার দিনরাত

মারুফ রায়হান

প্রকাশিত: ১৯:২৯, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

ঢাকার দিনরাত

ফাগুনের এক দুপুরে বৃষ্টিতে ভিজল রাজধানী; দিনটি ছিল রবিবার। সকাল থেকেই রাজধানী ঢাকার আকাশ ছিল মেঘাচ্ছন্ন। হঠাৎ করেই দুপুর পৌনে ২টার দিকে যাত্রাবাড়ী, বাড্ডাসহ কয়েকটি এলাকায় শুরু হয় বৃষ্টি। এতে সড়কে থাকা যাত্রী ও পথচারীরা পড়েন ভোগান্তিতে। অপ্রস্তুত লোকজনকে বিভিন্ন ছাউনিতে বৃষ্টি কমার অপেক্ষায় থাকতে দেখা যায়। সেই সঙ্গে অনেককেই বৃষ্টিতে ভিজে বাসে উঠতে দেখা গেছে। গরমে ফাগুনের বৃষ্টি অবশ্য অনেকের কাছে উপভোগ্য হয়ে উঠেছিল।

মহান একুশে পেরিয়ে

আর মাত্র তিনদিন, ভাষার মাস শেষ হবে, আসবে স্বাধীনতার মাস মার্চ। বাংলা ভাষার প্রতিটি বর্ণ রক্ত দিয়ে ধোয়া, তাই বারবার ভাষার মর্যাদা রক্ষার কথা আমাদের বলে যেতে হবে। সময়টা সত্যিই সুন্দর। ভাষার মাসের অনবদ্য আয়োজন একুশের বইমেলা, যেটি আর তিনদিন পরই এ বছরের মতো সমাপ্ত হচ্ছে। বলতেই হবে বাংলাদেশের বাঙালির জন্য সুন্দর সময়। কিন্তু বাঙালি হিসেবে আমার দায় নিয়ে আমি কতটা সচেতন? ভালোবাসা দিবসে বই উপহার দেওয়ার মধ্যে নীরব বার্তা হলো : ভালোবাসি আমার মায়ের ভাষা এবং বাংলাদেশকে। সেটি কি এবার আমরা প্রত্যক্ষ করতে পেরেছি?
লেখকদের রচনা এবং গণমাধ্যমে মুদ্রিত কলাম ও সংবাদভাষ্যের ভাষার ব্যাপারে গুরুত্ব দিতে হবে এ কারণে যে সেখান থেকেই মূলত পাঠক তথা দেশের নাগরিকরা ভাষার অবয়ব ও রূপ প্রত্যক্ষ করেন। এখনো আমাদের দেশের মানুষ বই ও সংবাদপত্রের ছাপানো অক্ষরকে মান্য করেন, যথাযথ ও শুদ্ধ ধরে নেন। চোখ যা পড়ে তা মন বা মস্তিষ্ক স্মৃতি হিসেবে ধরে রাখে। আর তারই ছায়া বা প্রভাব পড়ে ওই ব্যক্তি নিজে যখন ভাষা প্রয়োগ করেন তখন। ভুল দেখলে বা ভুল শিখলে তিনিও ভুলের বাহকই হবেন। কয়জনই বা যাচাই-বাছাইয়ের পথে যান। তাই প্রথমত লেখক-সাহিত্যিক-সাংবাদিকদের মাতৃভাষায় দক্ষ হতে হবে।  

রাজশাহীগামী বাসে ডাকাতি ও যৌন নিপীড়নের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করে ‘সচেতন নাগরিক সমাজ’

বিলম্বে হলেও সাধুবাদ

১১ বছর আগের কথা বলছি। বলছি শুভ কল্যাণময় উদ্যোগ গ্রহণের কথা। একজন মানুষ যদি মরণোত্তর চক্ষুদানের মতো স্বেচ্ছায় শরীরের চামড়া বা ত্বক দান করেন, তাহলে তা অন্য একজন এসিডদগ্ধ বা যে কোনো পোড়া রোগীর জীবন বাঁচাবে। এতে আইনি জটিলতাও নেই। শুধু প্রয়োজন সামাজিক সচেতনতা, মৃত্যুর আগেই চামড়া দানে ব্যক্তিগত সদিচ্ছা ও পরিবারের সহায়তা। এ ধরনের পরিবেশ তৈরি হলে দেশেই একটি ‘স্কিন ব্যাংক’ বা ‘ত্বক ব্যাংক’ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।
জাতীয় দৈনিক প্রথম আলো আয়োজিত ‘এসিড ও অন্যান্য পোড়া রোগীর চিকিৎসায় স্কিন ব্যাংক প্রতিষ্ঠার সুযোগ ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকের আলোচকরা এভাবেই সবার প্রতি আহ্বান জানান এবং স্কিন ব্যাংক তৈরিতে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য আলোচনার সূত্রপাত করেন।
বলা দরকার, চামড়া প্রতিস্থাপনের ইতিহাস প্রায় দেড়শ’ বছরের। ১৯৩৯ সালে প্রথম চামড়া ফ্রিজিং করা শুরু হয়। পাশের দেশ ভারতেই প্রায় এক দশকের বেশি সময় ধরে স্কিন ব্যাংক কাজ করছে। তবে বাংলাদেশে সামাজিক বা রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকে গুরুত্ব পায়নি বিষয়টি। এ ধরনের একটি ব্যাংক তৈরি করতে হলে সরকারকে সঙ্গে নিয়েই তা করতে হবে। সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সর্বস্তরে সচেতনতা তৈরি করা।
চলতি ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয়ার্ধে দেশে প্রথমবারের মতো জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চালু হয়েছে ‘স্কিন ব্যাংক’। উদ্বোধন করেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান। ইতোমধ্যে চিকিৎসাকেন্দ্রটিতে চারজন দাতার চামড়া নিয়ে দুজন গুরুতর দগ্ধ রোগীর শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। তাদের শারীরিক পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, স্কিন ব্যাংকটি গুরুতর দগ্ধদের চিকিৎসায় আশা জাগাচ্ছে। তবে চ্যালেঞ্জ হচ্ছে রক্ত ও চক্ষুদানের মতো ত্বক দান বিষয়ে সামাজিক সচেতনতা গড়ে তোলা।
দুই বছরের দগ্ধ শিশু হামিদার মা রাবেয়া বেগম গণমাধ্যমে বলেন, ২২ ডিসেম্বর গোসলের জন্য ফোটানো গরম পানিতে অসাবধানতাবশত মেয়ের বুক-পিঠসহ ঊরুর ৪২ শতাংশ ঝলসে যায়। এখানে ভর্তির পর চিকিৎসকরা জানান, শরীরে সেপ্টিসেমিয়া (ব্যাক্টেরিয়ার দ্বারা রক্তদূষণ) হয়েছে। পোঁড়া ক্ষত থেকে রক্ত-পুঁজ ঝরা বন্ধ হচ্ছিল না। পরে চিকিৎসকরা স্কিন ব্যাংকে একজনের দান করা চামড়া নিয়ে ১৪ জানুয়ারি মেয়ের শরীরে প্রতিস্থাপন করেন। এখন আগের চেয়ে অনেকটাই সুস্থ। ইনফেকশনও ভালো হচ্ছে।
স্কিন ব্যাংকের প্রশিক্ষিত সদস্য ও বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান জানান, কারও মেজর বার্ন (গুরুতর দগ্ধ) হলে সেই স্থান থেকে শরীরের পানি, লবণ, প্রোটিন ও তাপ দ্রুত বের হয়ে যায়। চিকিৎসার অংশ হিসাবে অনেক সময় রোগীর অক্ষত জায়গা থেকে চামড়া তুলে ক্ষতস্থানে লাগিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু অনেকের শরীরে এত বেশি পরিমাণ পুড়ে যায় যে, চামড়া নেওয়া সম্ভব হয় না। তখন স্কিন ব্যাংকে সংরক্ষিত চামড়া নিয়ে পোড়া অংশে লাগিয়ে দিলে ওই জায়গা থেকে রক্ত, রস, ইলেকট্রোলাইটস বের হতে পারে না। অল্প সময়ের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত অংশ চামড়া দিয়ে ঢেকে দিতে পারলে রোগীর মৃত্যুঝুঁকি কমে আসে। দ্রুত নতুন চামড়া তৈরিতে ভূমিকা রাখে। স্কিন ব্যাংক সেবাটি সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চালু আছে। তিনি আরও বলেন, একজন সুস্থ ব্যক্তি জীবনে একাধিকবার শরীরের স্কিন ডোনেট বা চামড়া দান করতে পারেন। এক্ষেত্রে দাতাকে অস্ত্রোপচার কক্ষে নেওয়ার পর প্রথমে একজন অ্যানেস্থিওলজিস্ট (অবেদনবিদ) স্পাইনে ইনজেকশন দিয়ে শরীরের নির্দিষ্ট অংশ অবশ করে নেন। এরপর প্রশিক্ষিত সার্জনরা (শল্যবিদ) ডার্মাটম যন্ত্রের সাহায্যে সুবিধামতো অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ থেকে চামড়া সংগ্রহ করে থাকেন। চামড়া দানের পর হাসপাতালে ভর্তি থাকার প্রয়োজন হয় না। এমনকি ১৪ দিনের মধ্যে দাতার শরীরে নতুন চামড়া তৈরি হয়ে যায়।
উল্লেখ্য, কোনো ব্যক্তি চাইলেই মৃত্যুর আগে স্কিন ব্যাংকে তার চামড়া দান করে যেতে পারবেন। সাধারণত মৃত্যুর ৬-১০ ঘণ্টার মধ্যে এবং সঠিক তাপমাত্রায় মরদেহ সংরক্ষণ করলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চামড়া সংগ্রহ করা যায়। মৃত ব্যক্তির পিঠ ও পা থেকে চামড়া নেওয়া হয়। কারও চামড়া দানে কোনো আইনি বাধা নেই। দাতাদের কাছ থেকে সংগৃহীত চামড়া সংরক্ষণে বার্ন ইনস্টিটিউটের ১২৩৯নং কক্ষে স্থাপিত স্কিন ব্যাংকটিতে উন্নত প্রযুক্তির ৮টি বিশেষ ফ্রিজ রয়েছে।

বাসে ডাকাতি-শ্লীলতাহানি
ঢাকায় প্রতিবাদ

ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী যাত্রীবাহী চলন্ত বাসে ডাকাতির পাশাপাশি দুই নারী যাত্রীকে শ্লীলতাহানির ঘটনায় বিক্ষোভ করেছে ‘সচেতন  নাগরিক সমাজ’। গত ২১ ফেব্রুয়ারি জাতীয় জাদুঘরের সামনে এ বিক্ষোভের আয়োজন করেন তারা। এ সময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নারী সংস্কারের কমিশনের সদস্য সুমাইয়া আক্তার। তিনি বলেন, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী একটি যাত্রীবাহী বাসে দুই নারী যাত্রী শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অন্তত একজন নারী যাত্রী ধর্ষণের অভিযোগ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেছে। বাসটি প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা ডাকাতদের দখলে ছিল, যা নিঃসন্দেহে নিরাপত্তা ব্যবস্থার চরম ব্যর্থতার পরিচায়ক।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ভুক্তভোগীরা থানায় অভিযোগ করতে গেলে, ঘটনাস্থল নির্ধারণ নিয়ে দুই থানার মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। বাসের চালক, সুপারভাইজার এবং সহকারীকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করা হলেও তারা জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। বড়াইগ্রামের ওসি সিরাজুল ইসলামের ভাষ্যমতে ধর্ষণের ব্যাপারে তিনি একেবারেই অবগত নন এবং এরকম কোনো ঘটনা তার কর্ণগোচর হয়নি। আর অপরদিকে মির্জাপুরের ওসির ভাষ্য, ‘ধর্ষণের বিষয়ে অনেকে বলছেন কিন্তু এ বিষয়ে কিছু জানা নেই আমার।’
‘এই সম্পূর্ণ ঘটনায় নাটোর জেলা পুলিশের ভূমিকা যথেষ্ট প্রশ্নবিদ্ধ। পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, তারা ধর্ষণের বিষয়ে কোনো তথ্য জানেন না এবং এখনো পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। অথচ বাসের যাত্রীরা জানিয়েছেন, তারা থানায় অভিযোগ করতে গেলে দুই থানা-নাটোরের বড়াইগ্রাম এবং টাঙ্গাইলের মির্জাপুর-একে অপরের ওপর দায়িত্ব চাপিয়ে দেয়। ফলে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণে বিলম্ব হয়েছে।’
তদন্তের জন্য আলাদা টাস্কফোর্স গঠনের দাবি জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আমরা সাধারণ নাগরিক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এমন গাফিলতির চরম নিন্দা জানাচ্ছি। একই সঙ্গে, রাতে যাত্রীবাহী বাসগুলোর নিরাপত্তা বাড়াতে বাসগুলোর মধ্যে সিসিটিভি ক্যামেরা, জিপিএস ট্র্যাকিং ও পুলিশের নিয়মিত চেকপোস্ট নিশ্চিত করাসহ যৌন সহিংসতার অভিযোগে দ্রুত ও কার্যকর তদন্তের জন্য আলাদা টাস্কফোর্স গঠনের দাবি প্রকাশ করছি। সর্বোপরি, আমরা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে দ্রুত ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করার আহ্বান করছি, যাতে সাধারণ মানুষ নিরাপদে চলাচল করতে পারে।

লিটল ম্যাগাজিন চত্বরে

এবার বইমেলায় লিটল ম্যাগাজিন চত্বরে বহু স্টল বন্ধ ছিল, এটি অপ্রত্যাশিত। চত্বরটিতে খুব বেশি প্রাণবন্ত আড্ডা হতেও দেখা যায়নি। তবে মাঝেমধ্যে পত্রিকা বা গ্রন্থ প্রকাশনা উপলক্ষে কিছুটা আড্ডার ব্যবস্থা হয়েছে। যেমন ভ্রমণসাহিত্য বিষয়ক পত্রিকা ‘ভ্রমণগদ্য’-এর বইমেলা সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছে এবং এ উপলক্ষে লেখক-ভ্রমণপিপাসুরা আড্ডায় মেতেছেন। কবি কামরুল হাসান সম্প্রতি ওমরাহ পালন শেষ করে এসে ওই আড্ডায় মিলিত হন এবং এ নিয়ে লেখেন। তিনি লিখেছেন: ‘ কানে কানে সম্পাদক মাহমুদ হাফিজ বলেছেন, নতুন সংখ্যার উন্মোচন হয়ে গেছে, মোড়কহীন ভ্রমণগদ্য হাতে নিয়ে দলবদ্ধ ছবিও তোলা হয়ে গেছে। মাহমুদ হাফিজ বসে আছেন বেলা পাঁচটার ঘরে। এটা সেই সময় যে সময়ে তিনি সকলকে আসতে বলেছিলেন। সকলে যে আসতে পেরেছে তা নয়, যেমন আমি, আমারও পরে এলেন কৃতী সাংবাদিক, প্রথম আলোর বিশেষ প্রতিনিধি আশীষ উর রহমান শুভ। তিনি এসে বসলেন সাড়ে ছয়টার ঘরে। আর কথাসাহিত্যিক ও ‘এবং মানুষ’ পত্রিকার সম্পাদক আনোয়ার কামাল এসে বসলেন সাড়ে পাঁচটার ঘরে।

বইমেলায় লিটল ম্যাগাজিন চত্বরে ভ্রমণগদ্য-র প্রকাশনা-আড্ডা
আশীষ উর রহমান শুভর ভূয়সী প্রশংসা করলেন সতীর্থ মাহমুদ হাফিজ, একসময়ে দেশের শীর্ষ দৈনিকটিতে তারা ছিলেন সহকর্মী। দৈনিক জনকণ্ঠের পেছনের পৃষ্ঠায় তার লেখা কলামটি ছিল ভীষণ জনপ্রিয়। মাসরুর-উর-রহমান আবীর তার আনন্দ প্রকাশ করল এই বলে যে তার একটি প্রিয় কলাম ছিল ঐটি, তিনি মুগ্ধ হয়ে পড়তেন। আশীষ উর রহমান শুভ কিন্তু খুব বিনয়ী মানুষ, নিজেকে অভিহিত করতে চাইলেন ‘হংসমধ্যে বকযথা’। পাদপ্রদীপের আলো নিজের থেকে সরিয়ে দিলেন মাহমুদ হাফিজের দিকে। বললেন, মাহমুদ হাফিজের মধ্যে এক ধরনের পাগলামি আছে। তিনি অসম্ভব মেধাবী, কিন্তু সুস্থির নন। কবিতা লেখা চালিয়ে গেলে হতে পারতেন শীর্ষস্থানীয় কবি, গল্প লিখলে হতে পারতেন সুপরিচিত গল্পকার। কিন্তু তিনি সেসব ধরে রাখেননি। এখন ভ্রমণসাহিত্যের মতো একটি নিরস ও অবাণিজ্যিক বিষয় নিয়ে মগ্ন হয়ে আছেন। তবে এও তো সত্যি অভ্যন্তরীণ পর্যটন শিল্প বিকশিত হচ্ছে, সঙ্গে ভ্রমণসাহিত্য বিকশিত হবে।
আমার বলার পালা এলে আমি এবছর বইমেলায় প্রকাশিত ভ্রামণিকদের আড্ডার বই ‘ব্রেকফাস্ট আড্ডা’ সম্পর্কে বলি। বলি এই ব্রেকফাস্ট আড্ডা থেকেই আমি মাহমুদ হাফিজকে চিনি। ব্রেকফাস্ট আড্ডা শুরু হয়েছিল ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে, শুরু করেছিলাম সৈয়দ আবু জাফর, মাহমুদ হাফিজ ও আমি। সেই প্রথম আড্ডা থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ব্রেকফাস্ট আড্ডা হয়েছে অনেকগুলো, আমি যে সব আড্ডার বিবরণ লিখতে পেরেছি তা নয়, কিছু লেখা আছে অসমাপ্ত। যে লেখাগুলো পরিপূর্ণ তেমন ২৮টি আড্ডার বিবরণ রয়েছে এ গ্রন্থে।’

২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
[email protected]

×