
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশ আত্মপ্রকাশ করলেও গণতান্ত্রিক শাসনের চর্চা এখনো শুরু হয়নি বললেই চলে। এ সময় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা কার্যত ব্যক্তিকেন্দ্রিক হয়ে পড়ে এবং গণতান্ত্রিক চর্চা হয়ে যায় নিয়ন্ত্রিত। শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুর পর ১৯৭৫ থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত ছিল সামরিক-বেসামরিক আমলাতান্ত্রিক শাসনের সময়কাল। এর মধ্যে ১৯৭৫ থেকে ১৯৮২ সাল ছিল সামরিক শাসনের প্রস্তুতিপর্ব। এরপর ১৯৮২-৯০ সময়কাল পুরোপুরি সামরিক শাসনের অধীনে চলে যায়। তীব্র গণআন্দোলনের ফলে ১৯৯০ সালে স্বৈরাচার এরশাদের পতন ঘটলে, ১৯৯১ সালের নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়। তবে গণতন্ত্রের ভিত্তি মজবুত করার চেয়ে, ক্ষমতায় টিকে থাকা এবং বিরোধী দলকে উৎখাত করার প্রতিযোগিতা অনেক সময়ই অগ্রাধিকার পায়। এর ফলে, গণতন্ত্রের প্রতি জনগণের আস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং রাজনীতিতে সুবিধাবাদী ধারা প্রবল হতে থাকে। ক্ষমতাসীন দলের প্রধান লক্ষ্য হয়ে দাঁড়ায় ক্ষমতায় টিকে থাকা, আর বিরোধী দলের লক্ষ্য হয় যে কোনো মূল্যে সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতাকে করায়ত্ত করা। এই প্রবণতা গণতন্ত্রের চারটি স্তম্ভÑ জনগণের আস্থা, সৎ নেতৃত্ব, স্বচ্ছ নির্বাচন এবং জবাবদিহিতা দুর্বল করে দেয়। ফলে বারবার বাংলাদেশকে গ্রাস করে স্বৈরতন্ত্র।
স্বৈরাচারী সরকার এবং একনায়কের প্রাথমিক লক্ষ্য হচ্ছে দীর্ঘকাল ক্ষমতায় থাকার জন্য একটি সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি করা। একজন একনায়ক একদিকে তাঁর ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন, অন্যদিকে তিনি তাঁর শাসনব্যবস্থা টিকিয়ে রাখার জন্য নানা কায়দা-কৌশলের আশ্রয় নেন। তবে সব সতর্কতা সত্ত্বেও এক সময় একনায়কের নিরাপত্তা বলয় ভেঙে পড়তে পারে এবং স্বৈরশাসনের জন্য প্রতিষ্ঠিত সরকার কাঠামো তীব্র প্রতিরোধের মুখে পড়তে পারে। ইতিহাসে দেখা যায়, স্বৈরশাসনের পতন হয়েছে কখনো ধীর গতিতে, আবার কখনো দ্রুত গতিতে, কখনোবা তা হয়েছে আকস্মিকভাবে। কখনো জনগণের বিক্ষোভ ও বিপ্লব হয়েছে, কখনো সামরিক বাহিনী অভ্যুত্থান করেছে। বিংশ শতাব্দীর ইতিহাসের দিকে তাকালে প্রথমেই কয়েকজন স্বৈরশাসকের নাম আমাদের মনে আসে। যেমনÑ চীনের চিয়াং কাইশেক, স্পেনের ফ্রাঙ্কো, জার্মানির হিটলার, ইতালির মুসোলিনি, কিউবার জেরারদো মাচাদো এবং উত্তর কোরিয়ার কিম জং (২য়) ইত্যাদি। কোনো স্বৈরশাসকই ক্ষমতা ছেড়ে দিতে চান না। কারণ, তাঁর দুঃশাসনের সময় এমন সব কার্যকলাপ তিনি করেন, যেগুলো আইনের চোখে অপরাধ হিসেবে বিবেচ্য এবং শাস্তিযোগ্য। ক্ষমতার আসনটি নিশ্চিত রাখতে হলে বিরোধীদের দমন করতে হয়; সহযোগীদের বিশেষ সুযোগ-সুবিধা ও লুটের বখরা দিতে হয় এবং শত্রুদের নিশ্চিহ্ন করে ফেলতে হয়। ক্ষমতাচ্যুত হলে এসব অপরাধের কারণে তাঁকে বিচারের সম্মুখীন হয়। সুতরাং একনায়ক বলা হোক বা স্বৈরশাসক বলা হোক, তাঁর প্রাথমিক লক্ষ্য থাকে যে কোনো প্রকারে হোক ক্ষমতার আসনটি আঁকড়ে থাকা। আমৃত্যু ক্ষমতায় থাকা সৌভাগ্যের বিষয়। কিন্তু তা খুব কমই হয়। বরং পৃথিবীর ইতিহাসে পরাক্রমশালী শাসকের আকস্মিক পতনের ঘটনা অনেক। ইতিহাসের পাতা থেকে আমরা কয়েক রকম স্বৈরশাসকের উদাহরণ পাই। তাদের মধ্যে প্রথমেই রয়েছেন গণতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচিত রাষ্ট্রনায়ক যিনি ক্রমে একনায়ক এবং স্বৈরাচারে পরিণত হন। দ্বিতীয় শ্রেণিতে রয়েছেন সেনাবাহিনীর প্রধান বা অন্য কোনো পদবির উচ্চাকাক্সক্ষী কর্মকর্তা, যে বা যারা সমরাস্ত্রের জোরে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত এবং দেশের রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেন।
তবে সেনাবাহিনী থেকে উদ্ভূত শাসক এবং সাধারণ রাজনীতি থেকে উদ্ভূত স্বৈরশাসকের মধ্যে পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। ক্ষমতার গদিতে টিকে থাকার জন্য তাদের করণকৌশলও বিভিন্ন। সামরিক নেতাকে কেবল তাঁর সামরিক বাহিনীর আনুগত্যের প্রতি দৃষ্টি রাখলেই চলে। জেনারেলরা ঠিক থাকলে সব ঠিক। কিন্তু রাজনৈতিক স্বৈরশাসককে একদিকে যেমন সামরিক বাহিনীকে পদানত রাখতে পারতে হয়, অন্যদিকে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হতে হয়।
২০০৬ সালে বিএনপি সরকারের মেয়াদ শেষে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের রাজনীতিতে তীব্র অচলাবস্থা তৈরি হয়। রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহমেদ নিজেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান নিয়োগ করলে তৎকালীন বিরোধী দল আওয়ামী লীগ এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে। এ সময় সারা দেশে রাজনৈতিক সংঘাত, হরতাল এবং সহিংসতার পরিবেশ সৃষ্টি হয়। ২০০৭ সালের ২২ জানুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে চরম বিরোধ দেখা দেয়। বিরোধী দলগুলো নির্বাচনে অংশ নিতে অস্বীকৃতি জানায় এবং পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হয়ে ওঠে। ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহমেদ জরুরি অবস্থা জারি করেন এবং সামরিক বাহিনীর সহায়তায় কার্যত ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। ড. ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হয়, যা সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ সমর্থন নিয়ে কাজ শুরু করে। এই সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে শুদ্ধি অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, ব্যবসায়ী, এবং কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করে। বিএনপি ও আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা, বেগম খালেদা জিয়া এবং শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেপ্তারের মুখোমুখি করা হয়। ১/১১-এর সামরিক-সমর্থিত সরকারের কার্যক্রম বাংলাদেশের রাজনীতিতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। দুর্নীতি দমন অভিযান ও রাজনৈতিক সংস্কারের প্রচেষ্টা অনেকের কাছে প্রশংসিত হলেও, এটি গণতন্ত্রে সামরিক হস্তক্ষেপ হিসেবে সমালোচিত হয়। শেষ পর্যন্ত ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে এবং শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হন। মানুষ প্রত্যাশা করেছিল, এবার হয়তো বাংলাদেশ প্রকৃত গণতন্ত্রের পথে অগ্রসর হবে।
কিন্তু ২০০৯ সালে ক্ষমতায় ফেরার পর তিনি কর্তৃত্ববাদের দিকে ঝুঁকে পড়তে থাকেন। ক্ষমতায় ফিরে শেখ হাসিনা সংবিধান সংশোধন করেন। অবসান ঘটান তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার। অথচ বিরোধী দলে থাকাকালে তিনিই এ ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছিলেন। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনি ব্যবস্থার অনুপস্থিতি দেশে ক্ষমতার শান্তিপূর্ণ হস্তান্তরে বাধা হয়ে দাঁড়ায় এবং তাঁর কর্তৃত্ববাদী আচরণ বাধাহীনভাবে অব্যাহত রাখার সুযোগ করে দেয়। একপর্যায়ে শেখ হাসিনা বিরোধী দলের নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে দুর্নীতির মামলায় বিচারের মুখোমুখি করেন। কারাদণ্ড দেওয়া হয় তাঁকে। দুর্বল হয় বিএনপি। হাসিনার কর্তৃত্ববাদী আচরণ বিরোধীদের দমন করা থেকে এতটুকু দমায়নি তাঁকে। তিনি তাঁর বাবাকে ‘দেবতাতুল্য’ করে তোলার চেষ্টা ত্বরান্বিত করেন এবং এমন এক পরিবেশ তৈরি করেন, যেখানে সরকারের সমালোচনা সহ্য করা হয় না।গণমাধ্যম ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর খড়্গহস্ত হন হাসিনা। আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নিয়ন্ত্রণ নেয়। প্রশাসনের সমালোচকদের হয়রানি করা হয়। চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে বিক্ষোভ ছিল হাসিনার স্বৈরাচারী শাসনের প্রাথমিক সুবিধাভোগী আওয়ামী লীগকে সমর্থনকারী ছাত্রদের (ছাত্রলীগ) বিরুদ্ধে ক্ষোভের বহির্প্রকাশ।
নির্বাচনি ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করার মাধ্যমে শেখ হাসিনার সরকার প্রকৃত গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করেছে। ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ আন্তর্জাতিক মহল এবং দেশীয় পর্যবেক্ষকদের পক্ষ থেকে উঠেছে। ভোটারদের ওপর হুমকি, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে প্রভাবিত করে নির্বাচনের ফল নিশ্চিত করার অভিযোগ শেখ হাসিনার স্বৈরতান্ত্রিক শাসনের আরেকটি চিত্র। তদুপরি, গণমাধ্যম এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা সংকুচিত করা তার শাসনের আরও একটি বৈশিষ্ট্য। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ নানা কঠোর আইনের মাধ্যমে সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধ করা হয়। বিরোধী মত প্রকাশের জন্য মানুষকে গ্রেপ্তার করা এবং সামাজিক মাধ্যমে সমালোচনা করলে কারাদণ্ড, গুমের মতো ঘটনা তার শাসনামলকে স্বৈরতান্ত্রিক করে তুলেছে। অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অবকাঠামোগত অগ্রগতির পর্দার আড়ালে শেখ হাসিনা যেভাবে জনগণের স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করছেন, তা স্পষ্টতই আধুনিক স্বৈরতন্ত্রের স্বরূপ। একজন শাসক যখন ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার জন্য সমস্ত রাষ্ট্রযন্ত্রকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন, তখন তিনি গণতান্ত্রিক কাঠামোর মধ্যে থেকেও স্বৈরশাসকে পরিণত হন। শেখ হাসিনা তার শাসনামলে সেই চরিত্রই ধারণ করেছেন। অবশেষে দীর্ঘ পনেরো বছরের দোর্দণ্ড প্রতাপে শাসনের পর ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে অনেকটা হুট করেই দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হোন শেখ হাসিনা।
গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা উন্নয়নে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি জনগণের প্রত্যাশা হলোÑ সুশাসন ও অংশগ্রহণমূলক প্রশাসন নিশ্চিত করা। এর জন্য প্রথমে স্বচ্ছ নির্বাচনি ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা এবং আইন ও বিচার ব্যবস্থার স্বাধীনতা নিশ্চিত করা জরুরি। নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করা এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। পাশাপাশি, প্রশাসনের জবাবদিহি বৃদ্ধি, ই-গভর্নেন্স চালু এবং মানবাধিকার সুরক্ষায় কার্যকর ভূমিকা পালন করা দরকার। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা এবং নাগরিক সমাজের অংশগ্রহণ বাড়ানোর মাধ্যমে গণতান্ত্রিক চর্চা বিস্তৃত করা সম্ভব। অন্যদিকে, রাজনৈতিক সংস্কারের মাধ্যমে দলীয় গণতন্ত্র চর্চা ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সহনশীলতার পরিবেশ তৈরি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সামাজিক বৈষম্য দূর করতে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি বাড়ানো, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং মাইক্রোক্রেডিট প্রসারের উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে। শিক্ষা খাতে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ অন্তর্ভুক্ত করে নাগরিকদের সচেতন করা এবং গণতান্ত্রিক চেতনা গড়ে তোলা প্রয়োজন। এসব পদক্ষেপ কার্যকর হলে গণতন্ত্রের ভিত্তি শক্তিশালী হবে এবং দেশের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা সম্ভব।
ভবিষ্যতে বাংলাদেশে গণতন্ত্রের মোড়কে স্বৈরতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা রোধে প্রয়োজন একটি ঐক্যবদ্ধ, সচেতন এবং দায়িত্বশীল জাতি। আমাদের অঙ্গীকার হতে হবে এমন এক সমাজ গড়ে তোলা, যেখানে প্রতিটি নাগরিক তার মত প্রকাশে স্বাধীন, ভোটাধিকার সুরক্ষিত এবং রাষ্ট্র পরিচালনায় জবাবদিহি নিশ্চিত হবে। গণতন্ত্র যেন আর কখনো ক্ষমতার অপব্যবহারের হাতিয়ার না হয়, সেজন্য গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করা, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং নৈতিক শিক্ষার প্রসার অপরিহার্য।স্বাধীনতার চেতনায় অনুপ্রাণিত হয়ে আমাদের জাতি একটি এমন ভবিষ্যৎ নির্মাণ করবে, যেখানে ক্ষমতা নয়, সেবা হবে নেতৃত্বের মূল লক্ষ্য। গণতন্ত্র হবে জনগণের অধিকার ও মর্যাদার প্রকৃত প্রতিফলন। এভাবেই আমরা আমাদের স্বপ্নের বাংলাদেশকে এমন এক উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারব, যেখানে গণতন্ত্রের আলো চিরদিন জ্বলবে। স্বৈরতন্ত্রের অন্ধকার চিরতরে বিলীন হবে।
লেখক : গবেষক