
সাধারণত রাজনীতি বলতে সেসব নীতিকে বোঝায় যেসব নীতি অনুসরণের মাধ্যমে একটি জাতিরাষ্ট্র পরিচালিত হয়ে থাকে। রাজনীতি হচ্ছে এমন একটি সামাজিক প্রক্রিয়া বা কর্মযজ্ঞ যার মাধ্যমে কিছুসংখ্যক ব্যক্তির সমন্বয়ে গঠিত একটি দল যথার্থ পরামর্শের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণের আদর্শকে উন্নীত করে। রাজনীতি সামাজিক প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে পরিবার-অর্থনীতি-শিক্ষা-ধর্ম-বিনোদন ইত্যাদির মতো সমধিক গুরুত্বপূর্ণ। মূলত নাগরিক সরকার পরিচালনাকেই রাজনীতি বলা হয়। গ্রিক দার্শনিক অ্যারিস্টোটল রাজনীতিকে ‘শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞান’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। প্রখ্যাত ব্রিটিশ রাজনৈতিক তাত্ত্বিক স্যার বার্নাড ক্রিকের দাবি, ‘রাজনীতি হলো নীতিমালার একটি স্বতন্ত্র রূপ, যার দ্বারা মানুষ নিজেদের পার্থক্য মিটিয়ে ফেলার জন্য, বৈচিত্র্যময় আগ্রহ ও মূল্যবোধ উপভোগ করার এবং সাধারণ প্রয়োজনের বিষয় পরিচালনায় সরকারি নীতি তৈরির জন্য প্রাতিষ্ঠানিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মিলেমিশে কাজ করে।’ আধুনিক রাজনীতি বিজ্ঞানের বিখ্যাত লেখক অ্যান্ডু হেউড রচিত ‘রাজনীতি’ শীর্ষক গ্রন্থে বলেন, ‘বিস্তৃত অর্থে রাজনীতি সেই কার্যকলাপ যার মাধ্যমে মানুষ সাধারণ নিয়মগুলো তৈরি-সংরক্ষণ-সংশোধন করে যার অধীনে তারা বসবাস করে।’ রাজনৈতিক কার্যকলাপ শুধু রাষ্ট্র-রাজনৈতিক দল-গোষ্ঠী-সংঘ-প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় বরং পরিবার, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়, সাংস্কৃতিক-ক্রীড়া-ধর্মীয় সংগঠনসহ প্রায় সকল ক্ষেত্রেই তা অতিশয় পরিলক্ষিত।
রাজনীতির মাধ্যমে ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের জীবন অর্থবহ হয়ে ওঠে এবং প্রত্যেক ব্যক্তির স্বাতন্ত্র্য ও অনন্যসাধারণ প্রকৃতি প্রকাশিত হয়। আধুনিক পাশ্চাত্যের দার্শনিক রুশোর অভিমত, রাজনৈতিক জীবনে সকল নাগরিকের সক্রিয়-সরাসরি-অবিরাম অংশগ্রহণের মাধ্যমে রাষ্ট্রকে সর্বসাধারণের কল্যাণ সাধনে বাধ্য করা যায়। বহু রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ক্ষমতা-কর্তৃত্বের সঙ্গে রাজনীতির সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হিসেবে বিবেচনা করেছেন। রাজনীতির উদ্দেশ্যই হলো ক্ষমতার অধিকার লাভ বা প্রয়োগ। দ্বন্দ্ব-বিবাদ, সংঘাত-সংঘর্ষ-আন্দোলন প্রভৃতি কার্যকলাপও রাজনীতির অঙ্গীভূত। সমাজবিজ্ঞানী অড্রিয়ান লেফটউইচের ধারণা অনুযায়ী, আনুষ্ঠানিক-অ-আনুষ্ঠানিক এবং সর্বসাধারণ ও ব্যক্তিগত নির্বিশেষে সকল সমষ্টিগত সামাজিক কার্যকলাপের মূলে রাজনীতি বর্তমান। পক্ষান্তরে রাষ্ট্রবিজ্ঞান হচ্ছে রাজনৈতিক আচরণ শেখার, ক্ষমতা গ্রহণ-ব্যবহারের উপায় সম্পর্কিত একটি বিষয়। মানবসভ্যতার বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে রাজতান্ত্রিক চিন্তাধারার মধ্য দিয়ে রাজনীতির উদ্ভব-পরিপূর্ণতা পেয়েছে। রাজনৈতিক কলাকৌশল ও পরবর্তীকালের আধুনিক রাজনীতির শ্রেণি বিভাজন রাষ্ট্রবিজ্ঞানমূলক চিন্তাধারার উত্থান ঘটিয়েছে।
এটি সর্বজনবিদিত; যে কোনো জাতিরাষ্ট্রের উন্মেষ ও চলমান প্রক্রিয়ায় ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান-সমাজের সার্বিক উন্নয়ন-জনকল্যাণের গতি-প্রকৃতির নানা জটিল মিথস্ক্রিয়ায় নির্মিত হয় রাজনৈতিক রীতি-নীতির প্রেক্ষাপট। একনায়ক-সামরিক-স্বৈর-গণতান্ত্রিক পরিক্রমায় গ্রহণ-বর্জনের নানাবিধ পন্থায় পরিচালিত হয় স্বকীয় সত্তার রাষ্ট্র ব্যবস্থা। আদর্শের ঘাত-প্রতিঘাতে তৈরি হয় দল-উপদল-দলীয় নেতৃত্ব ও কর্মীর আচার-আচরণ। দল গঠনের প্রণিধানযোগ্য উদ্দেশ্য হচ্ছেÑ ধর্ম-বর্ণ-দলমত-অঞ্চল নির্বিশেষে সমগ্র জনগোষ্ঠীর সার্বিক মঙ্গল চরিতার্থে মাটি ও মানুষের প্রতি মমত্ববোধের প্রতিফলন। আদর্শিক ভিন্নতায় বিরোধ-বিচ্ছেদ, প্রতিযোগিতা-প্রতিহিংসা-পরশ্রীকাতরতা নিধন করে সংগত-সংযত সমাজস্বীকৃত আচরণবিধির অনুশীলন-পরিচর্যা ও জনমনজয়ী চরিত্র গঠনের মাধ্যমে দেশ ও দেশবাসীকে উপকৃত করার ইস্পাতকঠিন ব্রত গ্রহণের মধ্যেই নেতৃত্বের পরিশীলিত গ্রহণযোগ্য বিকাশ। উল্লেখিত বিষয়সমূহ বা ঐতিহ্য-শিক্ষা-অভিজ্ঞতা-সততা-ন্যায়পরায়নতা-মনন ও সৃজনশীলতার দৃশ্যমান অবগাহনে রাজনৈতিক নেতৃত্বের দৃঢ়তা নির্ভর করে।
বিজ্ঞজনের মতে, যে কোনো রাজনৈতিক দলের মুখ্য উদ্দেশ্য হওয়া উচিত জনগণের কল্যাণে তথা দেশের উন্নয়নের জন্য উপযোগী কর্মসূচি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন। বাংলাদেশের রাজনীতিতে দুই ধরনের কাঠামোর উপস্থিতি বিরাজমান। একটি পক্ষ সংখ্যায় কম হলেও দলের রাজনৈতিক আদর্শিক চেতনায় অটুট থেকে রাজনীতির চর্চাকারী আর অন্যপক্ষ রয়েছে এর সম্পূর্ণ বিপরীত। এরা দলীয় আদর্শের ধারে-কাছে না থেকে শুধু দলে নাম লেখাতে পারলেই নিজেদের ধন্য মনে করে। দলের বিভিন্ন স্তরে নতুন নেতৃত্ব আসা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হলেও দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে যারা আসীন হবে তাদের সেসব পদে নেতৃত্বদানের যোগ্যতা-ক্ষমতা-দক্ষতা থাকাও আবশ্যক। একটি রাজনৈতিক দলের আদর্শ বা কর্মকাণ্ডে বিন্দুমাত্র সম্পৃক্ত না থাকা সত্ত্বেও অনেকেই ঐ দলের নীতিনির্ধারণীসহ গুরুত্বপূর্ণ পদ পেয়ে যান। প্রকৃত অর্থে জ্ঞানী-নীতি নৈতিকতায়-সততায়-দেশপ্রেমের অনন্য প্রতীক হিসেবে যারা পরীক্ষিত; তাদের মূল্যায়ন অধিকাংশ ক্ষেত্রে চরমভাবে উপেক্ষিত। ব্যক্তিস্বার্থে নিয়োজিত কদর্য চরিত্রের বর্ণচোরা-অনুপ্রবেশকারী বা আপোসকামীতায় পারদর্শী কথিত রাজনীতিকের ছত্রছায়ায় এই প্রকৃতির ব্যক্তিগুলো রাজনীতি করার পরিবর্তে দল করার রাজনীতিতে অন্তর্ভুক্ত হয়। এরা অনৈতিক রাজনৈতিক শক্তিকে ব্যবহার করে দ্রুততার সঙ্গে অবৈধ ব্যবসা ও সম্পদ অর্জনের জন্য পেশি-তদবির-নানামুখী লোপাপত্তির মাধ্যমে দারুণভাবে রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে কলুষিত করে থাকে।
বর্তমানে রাজনৈতিক দলের অভ্যন্তরে গণতন্ত্রের চর্চার অনুশীলন প্রায় নিম্নতর পর্যায়ে। রাজনীতিতে নীতি-নৈতিকতা ও ঐতিহ্যিক ধারা সংকুচিত হয়ে আদর্শহীন লুম্পেন ভাবাদর্শ শক্তিশালী হয়ে ওঠার দৃশ্যাদৃশ্য প্রকট। রাজনৈতিক দলের মনোনয়ন পাওয়া-না পাওয়ার দোলাচলে অর্থ-পেশি-পারিবারিক সম্পর্ক অত্যন্ত জোরালো অবস্থানে রয়েছে। উল্লেখ্য, অপশক্তির অবিরত চর্চা তরুণ-তরুণীর বৃহৎ অংশকে রাজনীতি বিমুখ করে তুলেছে। ফলে রাজনীতিতে দেশপ্রেমিক মনমানসিকতাসম্পন্ন মেধাবী তারুণ্যের বিকাশের সমীকরণে যোগ্য নেতৃত্ব সৃষ্টি দৃশ্যমান নয়। এর শতভাগ সুবিধা নিচ্ছেন ব্যবসায়ী ও অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তারা। জনশ্রুতি মতে, বর্তমান রাজনীতি ও ভোটের প্রার্থী হওয়া লাভজনক পেশায় পরিণত হয়েছে। রাজনীতি মানেই অর্থ-ক্ষমতা-ব্যবসা-বাণিজ্যের অবারিত সুযোগ। বাংলাদেশের রাজনীতি বহুকাল ধরেই প্রকৃত রাজনীতিবিদদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। রাজনীতিতে ব্যবসায়ী ও সাবেক আমলাদের আধিক্য অতি সুস্পষ্ট। ধারাবাহিকভাবে মূলত সেনা ও স্বৈরশাসনামলে প্রচলিত রাজনীতিকে জনকল্যাণে নিবেদিত রাজনীতিবিদদের জন্য কঠিন অবস্থা তৈরি করেছে। ২০২৩ সালে গণমাধ্যমে প্রকাশিত জরিপের সূত্রমতে, জাতীয় সংসদে নিজেদের পেশা রাজনীতি- এমন সদস্য সংখ্যা মাত্র ৭ শতাংশ। ৬১ দশমিক ৭ শতাংশ ব্যবসায়ী, ৮ শতাংশ শিক্ষক-চিকিৎসক, ১৩ শতাংশ আইনজীবী, কৃষিতে জড়িত এমন প্রতিনিধি মাত্র ৪ শতাংশ এবং অন্যান্য পেশার প্রতিনিধিত্ব ৭ শতাংশ।
পরিশীলিত রাজনীতি রাজনৈতিক দল ও নেতৃত্বের সঙ্গে জনগণের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা-নির্ভরশীলতা-বিশ্বাস-ভালোবাসার বন্ধনকে সুদৃঢ় করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। জনবিচ্ছিন্ন ব্যক্তি দলের রাজনীতিতে যথার্থ অবদান রাখতে পারে না বলে ক্ষেত্রবিশেষে দলও নানামুখী বিড়ম্বনায় নিপতিত হয়। ন্যূনতম জনপ্রিয়তা না থাকা বা সংশ্লিষ্ট এলাকায় উল্লেখযোগ্য কোনো উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে অবদান না রাখা নামসর্বস্ব বেশিরভাগ প্রার্থীর নির্বাচনে জামানত হারানোর দৃষ্টান্তও অনেক। রাজনীতিতে এ ধরনের অপসংস্কৃতির মনোভাব একান্তই পরিত্যাজ্য। অন্যথায় রাজনীতি ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের প্রতি সাধারণ মানুষের অনাস্থা-অনাগ্রহে সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব গড়ে ওঠার পথ রুদ্ধ হবে। রাজনীতি তখন আর রাজনৈতিক নেতাদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে না, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। মেধা-যোগ্যতা বিচ্যুত রাজনৈতিক বদান্যতায় সাময়িক বিভিন্ন পদ-পদবি দখল করা যায়, তবে তা সততা-সত্যবাদিতা-আদর্শের বিপরীত স্রোতে প্রবাহমান- এটিই ইতিহাস স্বীকৃত।
সভ্যতার বাস্তবতা এই যে; সচেতন আপামর জনগণের আস্থা-বিশ্বাস-সমর্থন ব্যতীত অশুভ নেতৃত্বের বিকাশ দেশকে অনগ্রসরতার পথেই এগিয়ে নিয়ে যায়। কখনো তা আধুনিক-মানবিক-প্রাগ্রসর পথে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার পথকে সুগম করে না। এ ধরনের রাজনৈতিক অপসংস্কৃতির বিকাশ-বিস্তার ব্যক্তি ও গোষ্ঠী স্বার্থকেই প্রাধান্য দেয় এবং জনগণের সম্পদ লুণ্ঠনে অসম লুটেরা প্রতিযোগিতার সৃষ্টি করে। রাজনৈতিক সংস্কৃতির প্রবক্তা গ্যাব্রিয়েল এ আলমন্ডের ধারণায়, এটি একটি পরিপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যবস্থা যা সুনির্দিষ্ট কর্মযজ্ঞের অনুশীলন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জনগণকে আচরণগত শিক্ষায় মার্জিত করে। সংস্কৃতির অনন্য উপাদান-মূল্যবোধ, দৃষ্টিভঙ্গি, শিক্ষা, নৈতিকতা, আদর্শ ইত্যাদিকে ধারণ করেই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ আত্মশুদ্ধি ও আত্মমর্যাদায় বলীয়ান ব্যক্তিত্বের সমন্বয় রাজনৈতিক সং¯ৃ‹তির বিকাশমানতাকে ঋদ্ধ করে।
সকল স্তরের নির্মোহ ও ত্যাগী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে অবমূল্যায়নের মোড়কে অপাঙক্তেয়-বিতর্কিত-অযাচিত-দোষী সাব্যস্ত করার সকল পাপিষ্ঠ উদ্দেশ্য পরিহার করে প্রান্তিক ও ন্যায়পরায়নতায় অবিচল ব্যক্তিবর্গকে যথাযোগ্য মূল্যায়নে যথাস্থানে প্রতিষ্ঠিত করা না হলে জাতি শুধু ক্ষতিগ্রস্ত হবে না; ভবিষ্যৎকে আলোকময় করার সকল সৎ উদ্যোগও বিফলে যাবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম জাতির কোনো আদর্শকে পাথেয় হিসেবে গ্রহণ করে পরিশুদ্ধ জীবনের অনুসন্ধান চালাবে; এ নিয়ে তাদের বিভ্রান্তির কোনো চৌহদ্দী সুস্পষ্ট নয়। প্রকৃত দলীয় আদর্শের অবিনাশী চেতনার ন্যূনতম বিচ্যুতি না ঘটিয়ে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার পরম ব্রত নিয়ে প্রতিনিয়ত জীবনযুদ্ধে লিপ্ত থাকে; বস্তু-সত্যনিষ্ঠ তদন্তে তাদের আবিষ্কার ও ক্ষমতায়ন অনিবার্য। স্বল্প পরিসরে যে বিষয়টি সুস্পষ্ট করা প্রয়োজন সেটি হলো ব্যক্তি-পরিবারভিত্তিক নেতৃত্ব নয় বরং তৃণমূল পর্যায় থেকে জনকল্যাণে ব্যতিব্যস্ত ব্যক্তিত্বদের সঠিক মূল্যায়ন তাৎপর্যপূর্ণ। যারা ক্রমাগত দলের আদর্শকে ধারণ করে একজন দেশপ্রেমিক হিসেবে দেশের সামগ্রিক উন্নয়নকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়ে থাকে তাদেরই যথাযোগ্য স্বীকৃতি এবং নেতৃত্ব শূন্যতায় প্রতিস্থাপন করা শীর্ষ নেতৃত্ব-নীতিনির্ধারক-আঞ্চলিক নেতৃত্বের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হওয়া উচিত। অহংকার-দাম্ভিকতায় ভরপুর ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করে লুটপাটের মাধ্যমে দেশ ধ্বংসের অশুভ উদ্যোগ চরম স্বৈরাচারী-ফ্যাসিস্ট চরিত্রের প্রকাশ ঘটায়। চরম বেপরোয়া দেশ শাসন-দমন-পীড়ন-নিপীড়ন-নির্যাতন-গুম-খুন করেও এরা কখনো টিকে থাকতে পারে না। ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে কদর্য সব রাজনৈতিক অপসংস্কৃতিকে পরিপূর্ণ পরিহার করে জনকল্যাণে পরিশীলিত রাজনৈতিক ধারাই কাম্য।
লেখক : শিক্ষাবিদ