ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৩ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১

শিক্ষকরা বঞ্চিত হলে পথ হারাবে বাংলাদেশ

মুসা বিন মোহাম্মদ

প্রকাশিত: ১৮:৫৫, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

শিক্ষকরা বঞ্চিত হলে পথ হারাবে বাংলাদেশ

মোসাম্মত হাসি আক্তার থাকেন রাজধানীর মিরপুরে। শিক্ষকতা করেন গাজীপুরের এমপিওভুক্ত একটি কলেজে। বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন হয়ে যান ট্রেনযোগে। সকাল ৭টায় রওনা হয়ে কলেজ শেষে বাসায় ফিরেন সন্ধ্যা ৬টা থেকে সাড়ে ৬টায়। এতে দৈনিক সময় খরচ হয় প্রায় ১২ ঘণ্টা। বাসা থেকে হাসিমুখে বের হলেও কলেজ থেকে বাসায় ফেরেন মলিন চেহারায়। প্রভাষক পদে মাস শেষে বেতন পান সবমিলিয়ে ২২ হাজার ৪০০ টাকা। অথচ একই পদে ৩০ হাজার টাকা বেতনে রাজধানীর বিএএফ শাহিন কলেজে শিক্ষকতা করেন তার বান্ধবী চামেলি। হাসির মতো লাখ লাখ শিক্ষকের আয় ও ব্যয়ের মাঝে পাহাড়সম বৈষম্য। ফলে দীর্ঘদিন ধরে হচ্ছেন বঞ্চিত ও অবহেলিত। অথচ এই বঞ্চিত শিক্ষকদের হাতে গড়া ছাত্রদের রক্তভেজা পথ পাড়ি দিয়ে নতুন বাংলাদেশের সৃষ্টি। এখনো শিক্ষকরা বৈষম্যের যাঁতাকলে  পিষ্ট হলে পথ হারাবে  ছাত্র-জনতার দেশ। নির্মাণ অসম্ভব হয়ে পড়বে বৈষম্যমুক্ত কাক্সিক্ষত রাষ্ট্র।
কেননা, দেশ দুঃশাসনমুক্ত হলেও রাষ্ট্র নির্মিত হয়নি। এটি কেবল সক্রিয় ঐক্যবদ্ধ জাতির হাতেই সম্ভব। তারা ঐক্যবদ্ধভাবে রাষ্ট্র মেরামত করবে। মৌলিক খাতের সংস্কার করে দাঁড় করাবে রাষ্ট্রের পাটাতন। এই নতুন রাষ্ট্রের কারিগর হচ্ছেন জেন-জি বা তরুণ মেধাবী শিক্ষার্থীরা। তাদের পাওয়ার হাউস বা বাতিঘর হচ্ছেন শিক্ষক সমাজ। তাদের হাতে তৈরি হবে সংস্কারমনা ঐক্যবদ্ধ জাতি। তাই শিক্ষকদের বঞ্চনা, অবহেলা ও দারিদ্যের কবলে বন্দি রেখে রাষ্ট্র সংস্কারের পথে হঁাঁটলে পথ হারাবে নতুন বাংলাদেশ।
রাষ্ট্র সংস্কার কোন্ পথেÑ ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বে রাষ্ট্র নির্মাণের জন্য অগ্রাধিকারভিত্তিতে কিছু খাতের সংস্কারের জন্য গঠন করা হয় সংস্কার কমিশন। ভঙ্গুর শিক্ষাখাতের দৈন্যদশাকে গুরুত্ব না দিয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত সুনির্দিষ্ট গুটিকয়েক খাতের সংস্কারযজ্ঞে সময় দিয়েছে বর্তমান সরকার। এসব সংস্কার কতটা ফলপ্রসূ ও কার্যকর হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে বিশেষজ্ঞ মহলে। তারা বলছেন, এসব সংস্কার কাগজে-কলমে হলেও বাস্তবায়ন হবে না। আইন বা সংস্কার কমিশনের পরামর্শ দিয়ে দেশ নির্মাণ সম্ভব নয়। কেননা, প্রথমে ঐক্যবদ্ধ জাতি গড়ে দীর্ঘদিনের মতানৈক্য দূর করতে হবে। তবেই গৃহীত সংস্কার অর্থবহ হবে।
যা সংস্কার জরুরিÑ দেশ স্বাধীনতার অর্ধ শতাব্দী সময় পেরিয়ে গেলেও টেকসই উন্নয়ন ও কল্যাণকর রাষ্ট্র মেরামত সম্ভব হয়নি। সময়ে সময়ে পট পরিবর্তনের সঙ্গে তৈরি হয়েছে কিছু নতুন আইন ও সংস্কারের দলিল-দস্তাবেজ। তা কাগজে-কলমের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়ে গেছে। যত সংস্কার হয়েছে তার গ্রহণযোগ্যতা ছিল নির্দিষ্ট শাসনকাল পর্যন্ত। পট পরিবর্তনের সঙ্গে তার কার্যকারিতা হারিয়েছে। অথচ শিক্ষাখাত হচ্ছে সকল সংস্কারের উর্বরভূমি। রাষ্ট্রের বিশ্লেষকরা বলেন, প্রথমে দেশের নাগরিকদের আচার-আচরণ ও নৈতিকতায় সংস্কার জরুরি। মনোজগত সংস্কার হলে রাষ্ট্র সংস্কারগুলো সহজে প্রয়োগ হবে। এক্ষেত্রে সমাজের মানুষের আচরণ পরিবর্তন ও মনোজগের সংস্কারের প্রধান সংস্কারক হলেন শিক্ষকরা।
মনোজগতের প্রধান সংস্কারক শিক্ষকÑ দীর্ঘ জগদ্দল শাসনে রাষ্ট্রের রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রকট আকার ধারণ করেছে বিভাজন-বিভক্তি। এই ঐক্যহীন জাতি দিয়ে দেশের সংস্কার কখনো সম্ভব নয়। বিশ্ব নেতৃত্বের আসনে স্থান করে নিতে রাষ্ট্রের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক রয়েছে। এগুলো শক্তিশালী সামরিক বাহিনী, মূল্যবান খনিজ সম্পদ ও ঐক্যবদ্ধ জাতি। এরমধ্যে অন্যতম নিয়ামক হচ্ছে সক্রিয় ঐক্যবদ্ধ জাতি। এই ঐক্যবদ্ধ জাতিই হচ্ছে নতুন বাংলাদেশ নির্মাণের মূল শক্তি। এর চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা। শিক্ষার আলোয় মানবিক ও সংস্কারমনা জাতি গড়ার কারিগর শিক্ষকদের দীর্ঘদিন ধরে অবহেলায় রেখেছে সাবেক শাসক। ফলে বৈষম্যের থাবায় নিভে যাওয়ার উপক্রম জাতির বাতিঘর শিক্ষকরা।
উন্নত বিশ্বে শিক্ষকদের অবস্থানÑ আমরা উন্নত বিশ্বকে মডেল মনে করে থাকি। অথচ সেসব দেশের সবচেয়ে অগ্রাধিকার খাত হচ্ছে শিক্ষা। মর্যাদপূর্ণ পেশা হচ্ছে শিক্ষকতা। সামাজিক, আর্থিকসহ সর্বস্তরে সবচেয়ে অগ্রাধিকার হচ্ছে শিক্ষাখাত। তথ্যে দেখা যায়, ফিনল্যান্ড, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, সুইডেন, সৌদি আরবসহ বেশকিছু দেশের শিক্ষক অনেক বেশি বেতন পান। বাংলাদেশী টাকার হিসাবে তাদের মাসিক বেতন গড়ে আট লাখ থেকে ১২ লাখ টাকা, যা বাংলাদেশের একজন শিক্ষকের কয়েক বছরের বেতনের সমান।
লুক্সেমবার্গ, জার্মানি, সুইজারল্যান্ডসহ বিশ্বের উন্নত দেশগুলোয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা পেশা সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ এবং বেশি বেতনের চাকরিগুলোর একটি। ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউর তথ্য অনুযায়ী, প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতনের দিক থেকে বিশ্বে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে লুক্সেমবার্গ। ইউরোপের এ দেশটির প্রাথমিক শিক্ষকদের ন্যূনতম মাসিক বেতন ৫ হাজার ৯৮৪ ডলার ৩০ সেন্ট। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে জার্মানি। দেশটির প্রাথমিক শিক্ষকদের ন্যূনতম মাসিক বেতন ৫ হাজার ৭৯৯ ডলার ৯১ সেন্ট। তৃতীয় অবস্থানে থাকা সুইজারল্যান্ডের শিক্ষকরা ন্যূনতম ৫ হাজার ৭৯ ডলার বেতন পেয়ে থাকেন।
বাংলাদেশে শিক্ষকদের অবস্থানÑ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে শিক্ষকদের বেতন তুলনা করলে সবচেয়ে পেছনে বাংলাদেশ। এ অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি বেতন পান মালদ্বীপের শিক্ষকরা। দ্বীপরাষ্ট্রটির প্রাথমিকের শিক্ষকদের মাসিক গড় বেতন প্রায় ৯৫৩ ডলার ১৩ সেন্ট, যা বাংলাদেশের প্রায় পাঁচ গুণ। এমনকি পাকিস্তানেও শিক্ষকদের গড় বেতন ২০৬ ডলার ৭ সেন্ট এবং শ্রীলঙ্কায় ২৫০ ডলার ৪৪ সেন্ট। ভারতে রাজ্য ও বিষয়ভেদে শিক্ষকদের বেতনের ভিন্নতা রয়েছে। তবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বেতন কাঠামো নিয়ে তথ্য সংরক্ষণকারী সংস্থাগুলোর তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ভারতে শিক্ষকদের গড় মাসিক বেতন ২৮৪ ডলার ৬৪ সেন্ট। এছাড়া ভুটানে প্রাথমিকের শিক্ষকদের মাসিক গড় বেতন ৩৪১ ডলার ৭২ সেন্ট এবং নেপালে ৪৬৭ ডলার ৪৫ সেন্ট। বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারেও শিক্ষকদের গড় বেতন ১৮৯ ডলার ২২ সেন্ট। দেশের শিক্ষকদের প্রতিচ্ছবি হচ্ছে গাজীপুরের শিক্ষক হাসিদের মলিন ও বিমর্ষ চেহারা। যে দেশে মাধ্যমিক পর্যায়ের একজন সহকারী শিক্ষকের ১১তম গ্রেডে ১২ হাজার ৫০০ টাকা স্কেলে বেতন শুরু হয়।
মেধাশূন্য হচ্ছে শিক্ষাখাতÑ মেধাবী, যোগ্য ও দক্ষ শিক্ষক ছাড়া মানসম্মত শিক্ষা বিতরণ অসম্ভব। অবমূল্যায়নের কারণে শিক্ষকতা পেশায় বিমুখ হচ্ছেন মেধাবীরা। কম মেধাবীর হাতে চলে যাচ্ছে জাতি সংস্কারক শিক্ষাখাত। যে কারণে এ খাতকে অগ্রাধিকারভুক্ত খাতের তালিকায় স্থান পাচ্ছে না। শিক্ষকদের নানা সুযোগ-সুবিধাদিসহ দীর্ঘদিনের কোনো দাবি পূরণের প্রয়োজনও মনে করছে না সরকার। সর্বজনীন মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একযোগে জাতীয়করণ হচ্ছে শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের দাবি। মেধার প্রতিযোগিতামূলক চাকরির বাজারে সভাপতি পদ বিলুপ্ত করে মেধাবীদের নিয়োগ দিচ্ছে শিক্ষক নিয়োগে সরকারি প্রতিষ্ঠান এনটিআরসিএ। এসব মেধাবীদের শিক্ষাখাতে ধরে রাখতে তাদের মৌলিক দাবিগুলো দ্রুত পূরণ করতে না পারলে মেধাশূন্য হয়ে পড়বে শিক্ষাখাত। সংকটে পড়বে ঐক্যের বাংলাদেশ গড়া। তাই মেধাবী শিক্ষকদের সর্বজনীন দাবিগুলো পূরণ করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব।
শিক্ষায় এমপিও শিক্ষকদের অবদানÑ সারা দেশে বর্তমানে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে ২২ হাজার ১৭৪টি। মাধ্যমিক শিক্ষার প্রায় ৯৭ শতাংশ বেসরকারি। এখানে কর্মরত প্রায় পাঁচ লাখ শিক্ষক-কর্মচারী। সরকার সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডের সমপরিমাণ মূল বেতন দেয়। সেখানে তাদের ১২ হাজার টাকা ৫০০ টাকা স্কেলে বেতন শুরু হয়। এর বাইরে তারা বাড়িভাড়া বাবদ মাসে এক হাজার টাকা ও চিকিৎসা ভাতা বাবদ মাসে ৫০০ টাকা পান। এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা উৎসব ভাতা পান মূল বেতনের ২৫ শতাংশ। তবে স্কুলের কর্মচারীরা উৎসব ভাতা পান মূল বেতনের ৫০ শতাংশ। এ ছাড়া তারা সরকারি কর্মচারীদের মতো বৈশাখী ভাতা পান। তবে সহকারী শিক্ষক হিসেবে যারা সরকারি মাধ্যমিক স্কুলে যোগ দেন, তারা শুরুতেই দশম গ্রেডে ২৬ হাজার টাকা বেতন পান। এর বাইরে তারা সন্তানদের পড়ালেখার জন্য ভাতা পান। পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতাসহ নানা ধরনের সুবিধা পান। একই সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে থাকেন সরকারি কলেজের শিক্ষকরাও। এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থাকলেও সেখানে মাধ্যমিক সরকারি স্কুলের সংখ্যা মাত্র ৭০০-এর কাছাকাছি।
এ ছাড়া উচ্চ মাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষকরা শুরুতে নবম গ্রেডে ২২ হাজার টাকা স্কেলে বেতন পান। এমপিওভুক্ত কলেজ পর্যায়ের শিক্ষকরা এই বেতন স্কেলের বাইরে মাত্র ১ হাজার বাড়িভাড়া ও ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা পেয়ে থাকেন। অন্যদিকে, সরকারি কলেজ ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের একই গ্রেডের শিক্ষকরা বাড়িভাড়া, যাতায়াত, চিকিৎসাসহ আরও নানা সুযোগ-সুবিধা পান। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাব্যবস্থায় এই সকল এমপিও প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা অপরিসীম। কেননা বাংলাদেশের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রদানের ক্ষেত্রে প্রায় ৮৫ শতাংশ কভারেজ দিচ্ছে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো।
অগ্রাধিকারভিত্তিতে শিক্ষায় যেসব সংস্কার দরকারÑ সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চেয়ে এমপিও প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা প্রদানের ভূমিকা অনেক গুণ বেশি। এই বিশাল অংশকে আমলে না নেওয়ার অর্থ হচ্ছে সক্রিয় ঐক্যবদ্ধ জাতি তৈরির বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) অধ্যাপক এম তারিক আহসান বলেন, এমপিওভুক্ত ও সরকারি শিক্ষকদের মধ্যে বেতনবৈষম্য রয়েছে। আবার যারা নন-এমপিও, তারা প্রায় বেতনই পান না। নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষকদের দায়িত্ব বাড়ানো হচ্ছে। সেখানে তাদের বেতন-ভাতা বাড়ানো দরকার।
অধ্যাপক এম তারিক আহসান বলেন, ‘শিক্ষার অবকাঠামোতে বরাদ্দ বাড়লেই কিন্তু গুণগতমানের উন্নয়ন হবে না। শিক্ষকদের ক্ষমতায়ন, মান-মর্যাদা ও বেতন তিনটিই সম্মিলিতভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। আমরা যদি ভুটানের দিকে তাকাই, তারা চিকিৎসক ও শিক্ষকদের সবচেয়ে বেশি বেতন দেয়। কোরিয়া, হংকং, জাপানে শিক্ষকদের আলাদা বেতন কাঠামো। এর ফল কিন্তু তারা পাচ্ছে। আমাদেরও স্মার্ট বাংলাদেশ হতে হলে শিক্ষকদের মর্যাদা আরও বাড়াতে হবে।’  
জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন কমিটি ২০১০-এর সদস্য অধ্যক্ষ কাজী ফারুক আহমেদ বলেন, শিক্ষার উন্নয়নে আগে শিক্ষকদের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটাতে হবে। শিক্ষকদের দক্ষতা বাড়াতে যেমন উদ্যোগ নিতে হবে, তেমনি তাদের বেতন-ভাতাও সম্মানজনক হতে হবে। শিক্ষকদের জন্য আমরা স্বতন্ত্র বেতন কাঠামোর কথা বলেছিলাম, সেটার কোনো উদ্যোগই নেওয়া হয়নি। এখন দক্ষতার ভিত্তিতে বেতন কাঠামোর সংশোধন করা প্রয়োজন। নয়তো মেধাবীরা আগামীতে শিক্ষকতায় আসবেন না। এতে শিক্ষাখাত মেধাশূন্য হয়ে পড়তে পারে।
লেখক : গবেষক

×