
ছোটবেলা থেকেই ‘একাডেমিক ফিল্ড ট্যুর’ বা ‘শিক্ষা সফর’ বিষয়টা বরাবরই আমার অনেক পছন্দের উপলক্ষ্য। বই-খাতার গণ্ডি পাশ কাটিয়ে ইতিহাস ও সংস্কৃতির আবরণে শিক্ষক এবং বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে বাস্তব জগতটা দেখার দারুণ সুযোগ এনে দেয় প্রতিটা একাডেমিক ট্যুর।
দৃশ্যমান জাগতিক জ্ঞান আহরণের পাশাপাশি কল্পনা জগতেও তত্ত্বচিন্তার সুযোগ করে দেয় এই ভ্রমণ অভিজ্ঞতাগুলো। স্কুল-কলেজে শিক্ষা সফরের অনেক আনন্দঘন মুহূর্ত আজও মনকে দোলা দেয়। তবে সোনালী স্মৃতির সেই অধ্যায় পেরিয়ে এখন আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। স্নাতক পর্যায়ের স্টাডি ট্যুরে ইতোপূর্বে মানিকগঞ্জের বালিয়াটি ভ্রমণের সুযোগ হয়েছে। আর, স্নাতক শেষবেলায় এসে এবারের ট্যুরের গন্তব্য নির্ধারণ হলো কুমিল্লা! যাত্রার তারিখ ১৮ জানুয়ারী, ২০২৫!
কুমিল্লার প্রতি ছোট থেকেই এক রহস্যঘেরা আবেগ কাজ করতো; মাত্র ছ-সাত দশক পূর্বেই কী না একটি স্বাধীন রাজ্যের (ত্রিপুরা) রাজধানী হিসেবে সগৌরবে রাজপাট সামলাচ্ছিলো শহরটা! ইতিহাসের সমাদৃত বীর সেনানী শমসের গাজীর কুমিল্লা বাংলাদেশের চতুর্থ বৃহত্তম নগরীও বটে!
বর্তমান কুমিল্লা চট্টগ্রাম বিভাগের অধীনস্থ একটি জেলা। প্রাচীনকালে এটি সমতট জনপদের অন্তর্গত ছিল এবং পরবর্তীতে ত্রিপুরা রাজ্যের অংশ হয়। এ অঞ্চলে প্রাপ্ত প্রাচীন নিদর্শনাদি থেকে জানা যায়, খ্রিস্টীয় পঞ্চম শতাব্দী থেকে ত্রিপুরা গুপ্ত সম্রাটদের অধিকারভুক্ত ছিল। ঐতিহাসিকদের মতে, সপ্তম থেকে অষ্টম শতকের মধ্যভাগ পর্যন্ত এ অঞ্চলে বৌদ্ধ দেববংশ রাজত্ব করে। নবম শতাব্দীতে কুমিল্লা হরিকেলের রাজাগণের শাসনাধীনে আসে। প্রত্নপ্রমাণ হতে পাওয়া যায়, দশম হতে একাদশ শতাব্দীর মধ্যভাগ পর্যন্ত প্রায় দেড়শ বছর অঞ্চলটি চন্দ্র রাজবংশ দ্বারা শাসিত হয়েছে।
মধ্যবর্তী সময়ে মোঘলদের দ্বারা শাসিত হওয়ার পরে ১৭৬৫ সালে এটি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর অধীনে আসে। রাজস্ব আদায়ের সুবিধার্থে কোম্পানী ১৭৬৯ খ্রিস্টাব্দ প্রদেশে একজন তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগ করে। তখন কুমিল্লা ঢাকার অন্তর্গত ছিল। ১৭৭৬ খ্রিস্টাব্দে কুমিল্লাকে কালেক্টরের অধীন করা হয়। ১৭৯০ সালে ত্রিপুরা জেলা গঠনের মাধ্যমে ত্রিপুরা কালেক্টরেটের যাত্রা শুরু হয়।
১৭৯৩ সালে তৃতীয় রেগুলেশন অনুযায়ী ত্রিপুরা জেলার জন্য একজন দেওয়ানি জজ নিযুক্ত করা হয় এবং সে বছরই তাকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হয়। ১৮৩৭ সালে ম্যাজিস্ট্রেট ও কালেক্টরের পদগুলিকে পৃথক করা হয়। ১৮৫৯ সালে আবার এই দুটি পদকে একত্রিত করা হয়। ১৯৪৭ সালের দেশভাগ পরবর্তী সময়ে ১৯৬০ সালে ত্রিপুরা জেলার নামকরণ করা হয় কুমিল্লা এবং তখনই জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও কালেক্টর পদটির নামকরণ হয় ডেপুটি কমিশনার। ১৯৮৪ সালে কুমিল্লার দু'টি মহকুমা চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে পৃথক জেলা হিসেবে পুনর্গঠন করা হয়।
যাকগে, দেখতে দেখতে আমাদের কুমিল্লা সফরের দিন চলে এলো। নির্ধারিত দিনেই, অর্থাৎ, ১৮ জানুয়ারি (শনিবার) সকাল ৮টায় শীতের ঠাণ্ডা হাওয়ার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে কুমিল্লার পথে রওনা দিলাম আমরা। আমাদের অভিভাবক হিসেবে সঙ্গে রইলেন, বিভাগের চেয়ারম্যান শ্রদ্ধেয় ড. শেখ মনিরউদ্দীন স্যার, সাবরিনা শাহনাজ ম্যাম, নিফাত সুলতানা ম্যাম, মো. আক্তারুজ্জামান স্যার, মোছা: তাসলিমা বেগম ম্যাম, নাহিন মাহমুদ স্যার, মেরাজি আশা ঐশী ম্যাম। এছাড়া, সঙ্গী হলেন অত্র বিভাগের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থী!
নির্দিষ্ট অর্থে, আমাদের গন্তব্য ছিল কুমিল্লার ঐতিহাসিক ময়নামতি জাদুঘর, শালবন বিহার, বিজয়পুর মৃৎশিল্প কারখানা এবং ব্লু ওয়াটার পার্ক। সর্বোপরি, প্রথমবারের কুমিল্লা যাত্রা আমার কাছে ইতিহাস, সংস্কৃতি, আর্ট ও প্রকৃতি সবকিছুর সংমিশ্রণ প্রতীক হিসেবেই প্রতীয়মান হচ্ছিলো।
সকালের নাশতা আমরা বাসেই সেরে নিলাম; যাতে ছিল রুটি-সবজি, ডিম সিদ্ধ এবং কমলা। ঘড়ির কাটায় ৩ ঘন্টা পেরিয়ে আমরা পৌঁছালাম আমাদের প্রথম গন্তব্য ময়নামতি জাদুঘর। জাদুঘরে প্রবেশ করার প্রারম্ভেই শতাব্দী প্রাচীন বৌদ্ধ সভ্যতার নিদর্শনগুলো আমাদের সামনে উন্মোচিত হতে থাকে। খ্রিস্টীয় অষ্টম থেকে দ্বাদশ শতকের অসাধারণ নিদর্শনগুলো আমাদেরকে ইতিহাসের এক গভীর অধ্যায়ের দিকে নিয়ে চললো। আমাদের শ্রদ্ধেয় শিক্ষকদের সৌজন্যে প্রতিটি মূর্তি, ফলক ও স্থাপনা সম্পর্কে জানলাম এবং আবিস্কার করলাম কুমিল্লা তথা গোটা বাংলার গৌরবময় অতীত।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় (১৯৩৯-১৯৪৫), ময়নামতি পাহাড়ি অঞ্চলে সেনা শিবির স্থাপনকালে কয়েকটি বিহার ও মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ দৃষ্টিগোচর হয়। ব্রিটিশ তত্ত্বাবধানে ১৯৫৫ সালে ময়নামতির প্রত্নতাত্ত্বিক খনন শুরু হলে শতাধিক বৌদ্ধ-হিন্দু স্থাপনাসহ তৎকালীন বহু প্রত্ননিদর্শন উদ্ঘাটিত হয়।
ময়নামতিতে অসাধারণ কিছু মুহূর্ত কাটিয়ে পরক্ষণেই আমরা পৌঁছালাম বিপরীতেই অবস্থিত শালবন বিহারে। খ্রিস্টীয় ৭ম শতাব্দীর শেষ থেকে ৮ম শতাব্দীর প্রথম ভাগে ভবদেব নির্মিত এই বিহার একসময় ছিল বৌদ্ধ ধর্মের এক বিশাল ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। এখানকার বৌদ্ধ স্তূপ, ভাস্কর্য ও অন্যান্য প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন দেখে মনে হলো যেন সময়ের পাতায় হারানো সভ্যতা আজও জীবন্ত। বিহারটির প্রতিটা স্থাপনা যেনো আমাকে কল্পরাজ্যে নিয়ে যাচ্ছিলো!
প্রথম দুটো স্থাপনার মুগ্ধতার রেশ কাটতে না কাটতেই তৃতীয় গন্তব্যের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়তে হলো আমাদেরকে। এবারের যাত্রা কোটবাড়ির ব্লু ওয়াটার পার্ক। এখানে যাবার জন্য যখন বাসে উঠলাম আমরা, তখন ভর দুপুর! সকালে যে শীতের তীব্রতা নিয়ে আমরা বেরিয়েছিলাম, কুমিল্লা পৌঁছে অবশ্য তা উবে গেলো তাপমাত্রার রুদ্রকঠিন মূর্তিতে! তাই ব্লু ওয়াটার পার্ক পৌঁছে সবাই যেনো একটু রিল্যাক্স করতে চাইল। যদিও আমার মন তখনো শালবন বিহারের গায়ে থাকা অসাধারণ কারুকার্যে পড়ে আছে! দুপুরের খাবারটা আমরা কোটবাড়িতেই খেলাম। আইটেম ছিলো ভাত, সবজি, চিকেন রোস্ট, ডাল এবং সালাদ।
শেষবেলায় আমাদের যাত্রা বিজয়পুর মৃৎশিল্প কারখানায়। এখানকার মাটির তৈরি শিল্পকর্ম কুমিল্লার গর্ব। প্রতিটি শিল্পের নিখুঁত নকশা এবং শৈল্পিক সুষমা দেখে আমরা অবিভূত না হয়ে পারলাম না! এখানে কাজ করা শিল্পীদের দক্ষতা ও পরিশ্রম সত্যিই প্রশংসনীয়।
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার বিজয়পুর হলো মৃৎশিল্পের গ্রাম। দীর্ঘ সময় ধরে মাটির জিনিসপত্র তৈরি করে বাজারজাতের মাধ্যমে আয়-উপার্জন করছেন এই গ্রামের অনেকেই। বংশপরম্পরায় মাটির জিনিসপত্র তৈরির কাজটা পরম মমতায় করে যাচ্ছেন তারা। প্লাস্টিকের সহজলভ্যতার কারণে মাটির জিনিসের প্রতি তেমন আর আগ্রহ নেই অনেকেরই। তবে নান্দনিক কারুকাজ তৈরি মাটির ক্রোকারিজ, শো-পিস সামগ্রী দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিদেশের মাটিতে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
নানাবিধ সমস্যা ও সংকটের মধ্যেও বাঙালির ইতিহাস-ঐতিহ্যকে ধরে রেখেছে কুমিল্লার বিজয়পুরের মৃৎশিল্পীদের একমাত্র প্রতিনিধিমূলক সংগঠন ‘রুদ্রপাল সমবায় সমিতি’। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্প প্রায় ধ্বংস হয়ে যাওয়ার হাত থেকে উদ্ধারের জন্য ষাটের দশকে এ দেশের সমবায় আন্দোলনের পথিকৃৎ ড. আখতার হামিদ খানের অনুপ্রেরণা ও প্রত্যক্ষ সহযোগিতা ছিল অনন্য। ১৯৬১ সালে বিজয়পুর গ্রামের প্রগতি যুব সংগঠনটিকে রূপান্তর করে বিজয়পুর রুদ্রপাল সমবায় সমিতি লিমিটেড গঠন করা হয়। শুরুতে ১৫ জন সদস্য নিয়ে সমিতিটি বিজয়পুর এলাকার সাতটি গ্রাম নিয়ে গঠন করা হয়।
প্রায় ৮২ শতক নিজস্ব জায়গায় অবস্থিত এই কারখানা। মৃৎশিল্প উৎপাদনকেন্দ্রে সমিতির সদস্য এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের মৃৎশিল্পের ওপর নিয়মিত প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ ও অভিজ্ঞ মৃৎশিল্পী সৃষ্টি করে যাচ্ছে। বর্তমানে সমিতির সদস্যসংখ্যা বেড়ে ২৫০ জন হয়েছে।
আমরা মাটির তৈরি বিভিন্ন পণ্য কিনতেও কিছু সময় ব্যয় করলাম। বিজয়পুরের মৃৎশিল্প কারখানার সফর আমার সামনে কুমিল্লার শিল্প ঐতিহ্য দিকটিও নতুনরূপে উন্মোচন করলো।
বিজয়পুরের আচ্ছন্নতা কাটাতেই প্রায় সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলো! ঢাকা ফেরার পথ ধরলাম। বাসে বসেই রসমালাই এবং বিস্কিট সমন্বয়ে আমরা সান্ধ্যকালীন নাস্তা পর্ব সেরে নিলাম। ক্লান্ত রোমাঞ্চের দিন শেষে ঢাকায় ফিরতে গিয়ে অবশ্য যানজটের রেশে আমাদের বেশ দেরিই হয়ে গিয়েছিলো! প্রায় রাত ১১টার দিকে আমরা ক্যাম্পাসে ফিরে আসি। মোহিত একদিনের সুন্দর পরিসমাপ্তি ঘটে আরও আধঘন্টা পর বাসায় ফেরার মধ্য দিয়ে!
তবে কুমিল্লা নিয়ে কিছু মূল্যায়ন না করলেই নয়। একদিনের অভিজ্ঞতায় যা বুঝলাম, ঐতিহাসিকভাবে অন্যতম প্রাচীন এ জনপদ বর্তমান উন্নয়নের ধারেভারেও কোনো অংশে কম যায়না! জেলা সদরের অনেক রাস্তাঘাটই দেশের যেকোনো অঞ্চলের জন্য ঈর্ষার কারণ হতে পারে! বলতে গেলে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে অবস্থিত হওয়ার যতটা ফসল ঘরে তোলা যায়, কুমিল্লা সদরকে একদিন দেখে মনে হলো তার সিংহভাগই হয়তো শহরটা নেয়ার চেষ্টা করেছে!
কুমিল্লার সবচেয়ে ভালো যে ব্যাপারটা চোখে পড়লো, তা হচ্ছে, ঐতিহ্যকে আঁকড়ে ধরে বর্তমানকে সঙ্গে নিয়ে এগোচ্ছে! উদাহরণস্বরূপ, রাস্তায় যেতে যেতে হয়তো দেখলাম একটা একশ বছর পুরোনো বাড়ী, তার পাশেই দাঁড়িয়ে আছে জমকালো পাঁচতলা ভবন! মিষ্টির দোকানের ব্যাপক আধিক্য দেখতে পেলাম কুমিল্লায়। মূল শহরস্থ হওয়ার সুযোগ না পেলেও যতটা দেখলাম, তাতে কিঞ্চিৎ অনুমান করতে পারি মিষ্টান্নভান্ডারের ব্যাপকতার বিষয়ে।
কুমিল্লা নিয়ে ভাবতে ভাবতে স্বভাবতই আমার নিজ শহর ময়মনসিংহের সঙ্গে তুলনা চলে এলো মনে। এক নজরে যতটা দেখলাম, কুমিল্লার রাস্তাঘাট আমাদের ময়মনসিংহের চেয়ে অন্তত বেশ ভালো। আবিস্কার করলাম কুমিল্লা শহরে ফ্লাইওভারও রয়েছে!
আবার, একটা বিষয়ে ময়মনসিংহ হয়তো এগিয়ে থাকবে! সেটা হচ্ছে, ময়মনসিংহ শহরের ভেতর হাটতে গেলে দু মিনিট পরপর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা কোচিং এর দেখা পাওয়া যায়! কিন্তু কুমিল্লায় আবার তেমনটা দেখলাম না মোটেও! শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেশ কম মনে হলো এবং বেশ দূরে দূরেই অবস্থিত একটি আরেকটি থেকে! যদিও প্রতিবছরই দেশের সকল উচ্চ শিক্ষার বিদ্যাপীঠে কুমিল্লার উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রতিনিধিত্ব দৃশ্যমান!
খাবার দাবারের বেলায় আবার দুই শহরের তুলনা খানিকটা সাম্যাবস্থা মনে হলো। কুমিল্লার রসমালাই যদিওবা দেশখ্যাত, তেমন ত আমাদের মুক্তাগাছার মন্ডাও রয়েছে! কিন্তু কুমিল্লার মত অত বেশী মিষ্টির দোকানের আধিক্য দেখিনি ময়মনসিংহে! আবার কুমিল্লায় কোনো মিষ্টির দোকানেই ভেতরে বসে খাবার ব্যবস্থা দেখলাম না, যা ময়মনসিংহে সিংহভাগ মিষ্টির দোকানের ক্ষেত্রে অপরিহার্য।
ময়মনসিংহে ইদানীংকালে হাটতে বেরুলে কিংবা শহর ঘুরলে রেস্টুরেন্টের ছড়াছড়ি দেখা যাবে! কুমিল্লায় এটাও তুলনামূলকভাবে অনেক কম মনে হয়েছে! গোমতী এবং ব্রহ্মপুত্র দুটোই এখন প্রায় মরে যেতে বসলেও ব্রহ্মপুত্রের মাঝে আমরা বেশ পানি দেখতে পাই এখনও! কিন্তু গোমতী দেখে মনে হলো ঘুমিয়েই গিয়েছে!
একদিনের যাত্রায় অনেক কিছু দেখার সৌভাগ্য হলেও ত্রিপুরা সীমান্তসহ মূল শহরের অনেকটাই এবারের যাত্রায় অধরা থাকলো! তথাপি আজীবন মনে থাকবে, প্রথমবার কুমিল্লা ভ্রমণ; কুমিল্লার শিল্প-ইতিহাস ও সমাজদর্শন।
লেখক: শিক্ষার্থী, শিল্পকলার ইতিহাস বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
এম.কে.