ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৪ মাঘ ১৪৩১

সংবিধান সংস্কার

বাস্তবায়ন ও চ্যালেঞ্জ

ড. জাহাঙ্গীর আলম সরকার

প্রকাশিত: ১৯:০০, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

বাস্তবায়ন ও চ্যালেঞ্জ

সংস্কার একটি সংস্কৃত শব্দ। এর বিভিন্ন অর্থ রয়েছে, যা ব্যাপকভাবে ‘একত্র করা, ভালোভাবে সম্পন্ন করা, নিখুঁত করা, এক ধরনের গৌরবপূর্ণ স্বীকৃতি, প্রস্তুত হওয়া’ কিংবা ‘মানসিক ছাপ, স্মরণ’ ইত্যাদি বোঝায়। স্বাভাবিকভাবে সংস্কার হলো একটি মনস্তাত্ত্বিক ছাপ। আলোচ্য প্রবন্ধে সংবিধান সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন ও চ্যালেঞ্জ কতটা কঠিন, সে বিষয়টি নিয়ে পর্যালোচনা করার চেষ্টা করা হবে। ২০২৪ সালে বাংলাদেশ অন্তর্র্বর্তী সরকার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত একটি কমিশনের নাম হচ্ছে সংবিধান সংস্কার কমিশন। এই কমিশনের উদ্দেশ্য হলো অতীতের সাংবিধানিক ব্যর্থতার কারণ সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন তৈরি এবং একটি নতুন অন্তর্ভুক্তিমূলক ও গণতান্ত্রিক সংবিধান প্রণয়নের জন্য গণপরিষদ নির্বাচনের একটি রোডম্যাপ তৈরি করা। ইতোমধ্যে এই কমিশন সরকারের নিকট প্রতিবেদন পেশ করেছে।
গত ৫ আগস্টের পর বাংলাদেশকে একটি কার্যকর গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সংবিধান সংস্কার কমিশন অন্তর্র্বর্তী সরকারের কাছে কিছু প্রস্তাবনা দিয়েছে। ইতোমধ্যে কমিশন পেশকৃত প্রস্তাবনায় বাংলাদেশের সাংবিধানিক নাম ও রাষ্ট্রীয় মূলনীতিসহ গুরুত্বপূর্ণ অনেক ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনার সুপারিশ করা হয়েছে। বাংলাদেশের বর্তমান সাংবিধানিক নামে থাকা ‘প্রজাতন্ত্র’ ও ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’ শব্দগুলো বাদ দিয়ে সেখানে ‘নাগরিকতন্ত্র’ ও ‘জনগণতন্ত্রী বাংলাদেশ’ নাম ব্যবহার করার সুপারিশ করেছে কমিশন। সংবিধানে ‘বাংলাদেশের জনগণকে জাতি হিসেবে ‘বাঙালি’ উল্লেখ করে যে বিধানটি রাখা হয়েছে, সেটি বিলুপ্ত করে দেশটির নাগরিকদের ‘বাংলাদেশী’ হিসেবে পরিচয় দেওয়ার সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব করা হয়েছে। সেই সঙ্গে প্রস্তাব করা হয়েছে রাষ্ট্রীয় মূলনীতি পরিবর্তনের। বর্তমান সংবিধানে অনুচ্ছেদ ৮(১) অনুসারে রাষ্ট্রের মূলনীতি হিসেবে বলা হয়েছেÑ জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা। এগুলোর পরিবর্তে নতুন মূলনীতি হিসেবে ‘সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচার, বহুত্ববাদ এবং গণতন্ত্র’র কথা সুপারিশ করা হয়েছে। বর্তমান এক কক্ষবিশিষ্ট সংসদকে দ্বি-কক্ষবিশিষ্ট করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সুপারিশ প্রদান করে সংসদের আসন সংখ্যা বাড়াতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া সরকার ও জাতীয় সংসদের মেয়াদ এক বছর কমিয়ে চার বছর করার সুপারিশ করা হয়েছে। সুপারিশ অনুসারে রাষ্ট্রপতির মেয়াদ রাখতে বলা হয়েছে চার বছর। রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হবেন ইলেক্টোরাল কলেজ বা নির্বাচকমণ্ডলীর ভোটের মাধ্যমে। একই ব্যক্তি দু’বারের বেশি রাষ্ট্রপতি থাকতে পারবেন না বলে সুপারিশ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী পদে দুই বারের বেশি না থাকা, সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ন্যূনতম বয়স ২১ বছর করা এবং সংসদের বিরোধী দল থেকে ডেপুটি স্পিকার বানানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। একজন সংসদ সদস্য প্রধানমন্ত্রী পদে থাকলে দলীয় প্রধান ও সংসদ নেতা হিসেবে থাকতে পারবেন নাÑ এমন প্রস্তাব করেছে কমিশন। একই সঙ্গে, সংবিধান সংশোধনের ক্ষেত্রে গণভোট পুনর্প্রতিষ্ঠা এবং সংবিধানের বিতর্কিত ৭০ অনুচ্ছেদ পরিবর্তন করার পরামর্শ দিয়েছে কমিশন।
উল্লেখ্য,  সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৭০-এ রাজনৈতিক দল থেকে পদত্যাগ বা দলের বিপক্ষে ভোটদানের কারণে আসন শূন্য হওয়া প্রসঙ্গে বলা হয়েছে। সংবিধান সংস্কার কমিশনের সুপারিশ প্রস্তুত করতে গিয়ে প্রায় এক লাখ মানুষের মতামত নেওয়া হয়েছে বলে কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। কমিশনের সদস্যদের পাশাপাশি ৩২ জন গবেষক এতে কাজ করেছেন।
দেশের প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার ভারসাম্য বিধানে ‘জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল’ নামে একটি সাংবিধানিক সংস্থা প্রবর্তনের সুপারিশ করেছে কমিশন। বর্তমান সংবিধানে দেশের প্রধানমন্ত্রীকে ‘একচ্ছত্র আধিপত্য ও ক্ষমতা’ দেওয়া হয়েছে, যা ‘স্বৈরতন্ত্রের পথ’ তৈরি করে দিয়েছে। সেই কারণে যাতে কোনো এক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছে রাষ্ট্রক্ষমতা কেন্দ্রীভূত হতে না পারে, সেজন্য রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গ এবং নির্বাহী বিভাগের দুটি পদ, অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতির মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠার জন্য সংবিধান সংস্কার কমিশন একটি ‘চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স’Ñএর বিষয় হিসাবে জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল নামে একটি সাংবিধানিক সংস্থা প্রবর্তনের সুপারিশ করেছে। রাষ্ট্রপতি, প্রধান বিচারপতি, প্রধানমন্ত্রী ও সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা এবং সংসদের স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারদের পাশাপাশি অন্যান্য দলের প্রতিনিধিত্বকারী একজনকে এই কাউন্সিলে রাখার সুপারিশ করা হয়েছে। অন্যদিকে সংসদ সদস্যরা যেন স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশ করতে পারেন, সেজন্য নিজ দলের বিপক্ষে ভোট দিতে পারবে বলেও সুপারিশ করেছে সংস্কার কমিশন। সংবিধান সংস্কার কমিশন মনে করে, প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় সংসদে অনাস্থা ভোটের মুখোমুখি হওয়া দরকার। সে লক্ষ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করার সময় এসেছে। সে কারণে সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ দ্বারা যাতে প্রধানমন্ত্রী শুধু সুরক্ষিত না হন, সেজন্য সংবিধান সংস্কার কমিশন কিছু সংস্কারের প্রস্তাব করেছে। তবে অর্থবিলের ক্ষেত্রে সংসদ সদস্যরা বিরোধিতা করতে পারবেন না বলে সুপারিশে পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
বর্তমান এক কক্ষবিশিষ্ট সংসদকে দ্বি-কক্ষবিশিষ্ট করার প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাব করা হয়েছে সংসদের আসন সংখ্যার। এক্ষেত্রে সংসদের নিম্নকক্ষে ৪০০ আসন রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে, যার মধ্যে ১০০টি আসন নারীদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। তবে সংরক্ষিত হলেও আসনগুলোতে নারী প্রতিনিধিরা আসবেন প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে। অন্যদিকে সংসদের উচ্চকক্ষে আসন রাখার কথা বলা হয়েছে ১০৫টি। এক্ষেত্রে উচ্চকক্ষের সদস্য নির্ধারত হবে আনুপাতিক পদ্ধতিতে। অর্থাৎ সাধারণ নির্বাচনে একটি রাজনৈতিক দলের প্রাপ্ত ভোটের হার অনুসারে তারা উচ্চকক্ষে আসন পাবেন। সংসদে দু’কক্ষ মিলে যাতে সকলের প্রতিনিধিত্ব থাকে, তার জন্য একইসঙ্গে সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে নিম্নকক্ষ, কিন্তু সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বে উচ্চকক্ষ তৈরি করার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।
বাংলাদেশে অন্তর্র্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের গঠিত সংবিধান সংস্কার কমিশনসহ কয়েকটি সংস্কার কমিশন সুপারিশসহ রিপোর্ট দিলেও এসব সুপারিশ কতটা বাস্তবায়ন সম্ভব হবে কিংবা আদৌ হবে কি না অথবা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কোন্্ বিষয়গুলো চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারেÑ তা নিয়ে নানা ধরনের আলোচনা শুরু হয়েছে। কমিশনের কিছু সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হলে সংবিধান সংশোধন করতে হবে। আর কিছু সুপারিশ বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাহী আদেশে বাস্তবায়ন করতে পারলেও গত ৫ আগস্টের পর থেকে বাংলাদেশে যা কিছুই হচ্ছে, সবই আগামী সংসদে অনুমোদন করাতে হবে। ফলে, অনেকের মধ্যে এই সংশয়ও আছে, সংস্কারবিষয়ক সকল সুপারিশ পরবর্তী সংসদ নাও গ্রহণ করতে পারে। রাজনৈতিক দল, বিশ্লেষক ও সংস্কার কমিশনের সঙ্গে যারা জড়িত ছিলেন তাদের কেউ কেউ বলছেন, সুপারিশগুলো সব দলের কাছে গ্রহণযোগ্য না হলে কিংবা তাদের মধ্যে যদি ন্যূনতম ঐকমত্য না হয়, তাহলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার সুপারিশ শেষ পর্যন্ত কাগজেই থেকে যেতে পারে। সামগ্রিক সংস্কার ইস্যুর ভবিষ্যৎটা শেষ পর্যন্ত জনগণের ম্যান্ডেটের ওপর নির্ভর করবে। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে রাজনৈতিক সহিংসতার জের ধরে ২০০৭ সালে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় আসার পর সংস্কার ইস্যুটি ব্যাপকভাবে আলোচনায় এলেও শেষ পর্যন্ত দলগুলোর মধ্যকার গণতন্ত্রের ক্ষেত্রে তা বাস্তবায়ন হয়নি। তখন রিপ্রেজেন্টেটিভ পিপলস অর্ডার ১৯৭২-এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা হলেও নির্বাচনী কার্যক্রমে তার যথাযথ প্রয়োগ কখনোই হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে। ৫ আগস্ট ২০২৪ শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সামনে উঠে এসেছে রাষ্ট্র সংস্কারের বিষয়টি। অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর সংস্কারের রূপরেখা নির্ধারণের জন্য সুপারিশ প্রণয়নের লক্ষ্যে এখন পর্যন্ত মোট ১১টি কমিশন গঠন করা হয়েছে। এরই মধ্যে ব্যাপকভাবে আলোচনায় এসেছে সংবিধান সংস্কার কমিশনের রিপোর্ট। বিশেষ করে সংবিধান সংস্কারে গঠিত কমিশনের সুপারিশগুলোর মধ্যে বাহাত্তরের সংবিধানের মূলনীতি পরিবর্তনের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, এই কমিশন সংবিধানে পরিবর্তন এনে বর্তমান এক কক্ষবিশিষ্ট সংসদকে দ্বি-কক্ষবিশিষ্ট করা, সরকার ও জাতীয় সংসদের মেয়াদ এক বছর কমিয়ে চার বছর করা, প্রধানমন্ত্রী পদে দুইবারের বেশি না থাকা, সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ন্যূনতম বয়স ২১ বছর করা এবং সংসদের বিরোধী দল থেকে ডেপুটি স্পিকার বানানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া একজন সংসদ সদস্য প্রধানমন্ত্রী পদে থাকলে দলীয় প্রধান ও সংসদ নেতা হিসেবে থাকতে পারবেন নাÑ এমন প্রস্তাব করেছে কমিশন। এটা শুধু চ্যালেঞ্জের বিষয় নয়, বরং এখানে বাস্তব বিষয়টাই হলোÑ কি সংস্কার হবে আর কি হবে নাÑ সেটা ঠিক করবে জনগণের ভোটে নির্বাচিত সংসদ ও জনপ্রতিনিধিরা। দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে সংসদ হলে সবার সব প্রস্তাব সংসদে যাবে। সেখানে এগুলো নিয়ে আলোচনা হবে। তারপর দেশ ও জাতির জন্য যেটা যেমন করা দরকার সংসদ তাই করবে। সংসদে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা দরকার হবে সংবিধান সংশোধন করে কোনো কিছু গ্রহণের জন্য। সংসদ ছাড়া এসব আলোচনার গুরুত্ব কতটা সেই প্রশ্নও তুলেছেন অনেকেই। সুপারিশগুলো বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকাই অগ্রগণ্য। সকল পক্ষের মধ্যে কৌশলগত বিষয়ে ঐকমত্য হতে হবে। কারণ, নির্বাচনের পর যে সরকার হবে তাকে ৫ আগস্ট থেকে হওয়া সব বিষয়ের বৈধতা দিতে হবে।
২০২৫ সালে সংবিধান সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলো নিয়ে বিস্তর আলোচনা হতে পারে। তবে দেখার বিষয়, বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক দল সংবিধান সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলো নিয়ে একমত হতে পারে কি-না! সংস্কার বিষয়ে সকল রাজনৈতিক দল একটি অভিন্ন প্ল্যাটফর্মে আসতে পারাটাই বিশাল একটি চ্যালেঞ্জ বৈকি। সে যাই হোক, শেষ অবধি সংবিধান সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন নির্ভর করবে বাংলাদেশের সাধারণ জনগণের মতামতের ওপর। সংবিধানের মূলনীতি সংশোধনের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে কিনা, সেটিও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। একই সঙ্গে সংবিধান সংস্কার কমিশন সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে নিম্নকক্ষ এবং সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বে উচ্চকক্ষ তৈরি করার জন্য সুপারিশ করেছে। এখানেও রাজনৈতিক দলগুলো কতটা একমত সেটিও বিবেচনার বিষয়। আমাদের বিবেচনায় সব সংস্কার কর্মসূচির জন্যই রাজনৈতিক ও আমলাতান্ত্রিক সংস্কৃতির পরিবর্তন জরুরি। এটি দৃঢ়তার সঙ্গেই বলা যেতে পারে যে, নতুন বাংলাদেশের যে ভিশন তা নিয়ে অঙ্গীকারটাও জরুরি। না হলে এসব সংস্কার কাগজে-কলমে থেকে গেলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
লেখক : আইনজীবী ও গবেষক

×