ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ০৭ মার্চ ২০২৫, ২২ ফাল্গুন ১৪৩১

কেতাবি অর্থনীতি ও জনজীবনের গতি-প্রকৃতি

ফনিন্দ্র সরকার

প্রকাশিত: ১৯:১৮, ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

কেতাবি অর্থনীতি ও জনজীবনের গতি-প্রকৃতি

১৭২৩ সালে স্কটল্যান্ডে জন্ম নেওয়া অ্যাডাম স্মিথকে (Adam Smith) অর্থনীতির জনক বলা হয়। তিনিই প্রথম রাষ্ট্রনীতি থেকে অর্থনীতিকে পৃথক করে স্বতন্ত্র বিষয় হিসেবে আখ্যায়িত করেন যুক্তিসংগতভাবে। এর আগে অর্থনীতি কেবল রাজনীতির মধ্যে আটকে রাখা হয়েছিল। সে জন্যেই সেটাকে ‘রাজনীতির অর্থনীতি বলা হতো। সম্পদ উৎপাদন ও ভোগের নতুন ধারণা তৈরি করে অ্যাডাম স্মিথ অর্থনীতির জনক হলেও এ নিয়ে দ্বিমত রয়েছে। ১৯৫৪ সালে যোসেপ স্কাপপিটার তার গ্রন্থে ভিন্ন মতের কথা তুলে ধরেন। অর্থনীতির ইতিহাসে বেশ বড়সর ফাঁক-ফোকর রয়েছে বলে যোসেপ মন্তব্য করেন। মূলধারার বইগুলোতে অর্থনীতির কিছু ইতিহাস এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে বলেও যোসেপ অভিমত ব্যক্ত করেন। অর্থনীতির ইতিহাসে আরবীয় এক পণ্ডিত ইবনে খালদুনের কথা তুলে ধরা হয়েছে। আরবীয় এই পণ্ডিত অ্যাডাম স্মিথেরও ৬০০ বছর আগে অর্থাৎ ১৪০০ শতকে যে রূপরেখা তৈরি করেছিলেন, সেটার আলোকেই অ্যাডাম স্মিথ আধুনিক অর্থনীতির সংজ্ঞা নির্মাণ করেন বলে পণ্ডিতগণ অভিমত ব্যক্ত করেন। ১৪০০ শতকে খালদুন অর্থনীতি নিয়ে যে চিন্তাভাবনা করেছিলেন, তা বর্তমান অর্থনীতিবিদদের অনেকটা বিব্রত করলেও আধুনিক অর্থনীতিতে তার প্রভাব বিদ্যমান রয়েছে। ইবনে খালদুনের সময়টা আরবদের জ্ঞানচর্চার স্বর্ণযুগ ছিল। খালদুনের প্রথাগত গন্ডির বাইরে নতুন কিছু চিন্তা করার ক্ষমতা ছিল। ৬০০ বছর পরে সে চিন্তার প্রভাবে প্রভাবান্বিত হয়ে স্মিথ অর্থনীতিতে নতুন তত্ত্ব হাজির করেছিলেনÑ সেটি হচ্ছে শ্রম বিভাগ। উৎপাদনের কাজে গতি লাভ করে স্মিথের নতুন তত্ত্বে। যেমনÑ একটি শার্ট একা তৈরি না করে কাজটিকে ছোট ছোট ভাগ করে নেওয়া। কেউ শুধু কাপড় কাটবে আবার কারও কাজ শুধু সেলাই করা। যে কোনো সভ্য সমাজ বিনির্মাণের ভিত্তি হবে শ্রম বিভাগ। অ্যাডাম স্মিথ অর্থনীতিতে শ্রম ও শ্রমিক কল্যাণের ওপর বেশি গুরুত্ব দিয়েছিলেন। এ জন্যেই তাকে অর্থনীতির জনক হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। কিন্তু কালের প্রভাবে অর্থনীতির ধরন পাল্টে গিয়েছে। সভ্যতা বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে অর্থনীতি কিতাব সর্বস্ব হয়ে উঠেছে। আধুনিক অর্থনীতিবিদগণ অর্থনীতিকে কেবলই কেতাবে সীমাবদ্ধ রেখে নতুন নতুন ফাঁদ তৈরি করে আয়বৈষম্য সৃষ্টিতে মনোযোগী হয়েছেন। আর বৈষম্যের ব্যাপকতায় সামাজিক ন্যায় বিচার হুমকির মুখে পড়েছে। আয়বৈষম্য শ্রেণি বৈষম্যকে উস্কে দেয়। আধুনিক এই সভ্য সমাজে অশিষ্টতার এক নতুন জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। কেতাব পড়ে যারা অর্থনীতিবিদ হয়েছেন, তাদের চোখে তা ধরা পড়ার কথা নয়। পাণ্ডিত্যের ভাষা ব্যবহার করে নতুন নতুন অর্থনীতির সংজ্ঞা নির্মাণ করছেন। যে অর্থনীতি মানুষের বাস্তব জীবনের সঙ্গে তেমন মিলছে না।
বিশে^ অনেক বাঘা বাঘা অর্থনীতিবিদ রয়েছেন। বাংলাদেশেও অনেক খ্যাতিমান অর্থনীতিবিদ আছেন যারা ক্রমাগত অর্থনীতি নিয়ে গবেষণা করছেন, ঘাম ঝড়াচ্ছেন অর্থনীতির কাজে। পৃথিবীর একেক দেশের অর্থনীতি একেক রকম। অর্থনীতির ভিন্নতা নিয়ে কোনো গবেষণা নেই, কেবল প্রথাগত অর্থনীতিকেই গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। অর্থনীতির সঙ্গে সামাজিক বিজ্ঞানের একটা নিবিড় সম্পর্ক থাকে। একটি অপরটির পরিপূরক। অর্থনীতি সেবার জন্য সম্পদের উৎপাদন, সরবরাহ, বিনিময়, বিতরণ এবং ভোগ ও ভোক্তার আচরণ নিয়ে আলোচনা করে। সম্পদ সীমিত কিন্তু চাহিদা অফুরন্ত, এই মৌলিক তত্ত্বের পরিপ্রেক্ষিতে সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা অর্থনীতির প্রধান উদ্দেশ্য বলে অর্থনীতিবিদগণ ব্যাখ্যা করে থাকেন। তারা প্রধানত দুটি ভাগে অর্থনীতিকে বিশ্লেষণ করেন। একটি হচ্ছে ‘ব্যাষ্টিক অর্থনীতি অপরটি ‘সামষ্টিক অর্থনীতি। ব্যাষ্টিক অর্থনীতি মূলত ব্যক্তি মানুষ অথবা ব্যবসায়ের চাহিদা ও যোগান নিয়ে আলোচনা করে। অন্যদিকে, ‘সামষ্টিক অর্থনীতি হচ্ছে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির জাতীয় আয়, কর্মসংস্থান, মুদ্রানীতি ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করে। ব্যাষ্টিক অর্থনীতির লক্ষ্য হচ্ছে অর্থনীতির বিশেষ একটি অংশ বা একককে ব্যক্তিগত দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্লেষণ করা। এ্যাডাম স্মিথ অর্থনীতিকে সম্পদের বিজ্ঞান হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। এর মূল বিষয় হচ্ছে সম্পদ উৎপাদন ও ভোগ। আজকের আলোচনা অর্থনীতির সংজ্ঞা নিয়ে নয়। অর্থনীতিবিদগণ নানাভাবে অর্থনীতিকে সংজ্ঞায়িত করেছেন। সেই সংজ্ঞার ভিত্তিতে কখনো সাধারণ মানুষের অর্থনীতি গড়ে ওঠেনি। সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষগুলোর অর্থনীতি হচ্ছে তাদের আয়-রোজগার এবং তা কিভাবে ব্যয় করবেন। জীবন ধারণের জন্যে আয়-ব্যায়ের  হিসেবটা তাদের কাছে মুখ্য। যেভাবে সমাজ বিকশিত হচ্ছে, এই বিকাশমান সমাজব্যবস্থায় অর্থনীতির চেহারা কেমন হওয়া উচিত অর্থনীতিবিদদের কাছে তার কোনো ব্যাখ্যা পাওয়া যায় না। বিভিন্নভাবে মানুষ ধনবান হয়েছে। একদিকে একশ্রেণি ব্যাপকভাবে ধন সম্পদের মালিক হচ্ছে, অন্যদিকে আরেকটি শ্রেণি দরিদ্র হচ্ছে বা তার সম্পদ হারাচ্ছে, হারাতে হারাতে নিঃস্ব হচ্ছে। এই নিঃস্ব শ্রেণির অর্থনীতি কিভাবে ঘুরে দাঁড়াবে তার সঠিক দিকনির্দেশনা কোনো সরকারই দিতে পারেনি। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে যে শ্রেণিটি শোষণ করে সম্পদের মালিক হচ্ছেন, তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি। উপরন্তু রাষ্ট্রের শাসক হিসেবে লুটেরারাই প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে।
মানুষের একটা সহজাত প্রবৃত্তি হচ্ছে অপ্রয়োজনীয় ধন সম্পদ আহরণ করা। সম্পদ অর্জনের অশুভ প্রতিযোগিতা সমাজকে অসুন্দর করে তোলে। বলা হয়ে থাকে অমুক ব্যক্তি বুদ্ধি খাটিয়ে স্বল্প পূঁজি বিনিয়োগ করে প্রচুর ধন সম্পদের মালিক হয়েছেন। ২০টি বাড়ি, ৫০ খানা গাড়ি, চাকর-বাকর নানা রকমের সম্পদ অর্জন করে বিলাসী জীবন যাপন করছেন। খুব পরিশ্রম করে সম্পদ আহরণকারী ব্যক্তিটি সমাজে অতীব সম্মানের অধিকারী হয়েছেন। রাষ্ট্রকে কর দিয়ে রাজস্ব সমৃদ্ধ করণে ভূমিকা রাখছেন। এও বলা হয়ে থাকে, লোকটি অর্থনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন। তাকে নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ হচ্ছে। রাষ্ট্রীয় পুরস্কারেও ভূষিত হচ্ছেন। অথচ সমাজ, রাষ্ট্র কেউ তাকিয়ে দেখছি না যে, ঐ লোকটির জন্যে অসংখ্য মানুষ দরিদ্র হয়ে গেছে কিংবা দারিদ্রসীমার নিচে চলে গেছে। অর্থনীতির কিতাবে ঐ লোকটির ধনত্বকে গুরুত্ব দিয়ে অর্থনীতির সংজ্ঞা বদলে দেওয়া হচ্ছে। ব্যবসায়ী শিল্পপতি অসংখ্য শ্রমিকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে আনন্দের ঢেকুর তুলছেন, সমাজ বাহবা দিচ্ছে। শ্রমিকের ঘামে শিল্পপতি তার সম্পদের পাহাড় গড়ছেন। অথচ শ্রমিকের ঠিকমতো দুবেলা খাবারও জুটছে না। শ্রমিকরা রাজপথে আন্দোলন করলে পুলিশের পিটুনি খায় অথবা শিল্প মালিকের পোষা সন্ত্রাসী দ্বারা আক্রান্ত হয়। কত শ্রমিকের প্রাণ গিয়েছে রাজপথেÑ অর্থনীতিবিদগণ কয়জনের খবর রেখেছেন? ধনী হওয়া বা সম্পদ অর্জন করা অপরাধ নয়, কিন্তু তার একটা সীমা পরিসীমা থাকা দরকার। অর্থনীতিতে সম্পদ অর্জনের সীমারেখার কোনো ব্যাখ্যা নেই।
কয়েকদিন আগে গণমাধ্যমের এক খবরে দেখলাম, ইলন মাস্ক যে সম্পদের মালিক প্রতিদিন তিন কোটি টাকা খরচ করলেও তার অর্জিত সমস্ত টাকা খরচ করতে তিনশত বছর লাগবে। ইলন মাস্কের কোম্পানি স্পেস এক্স পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী কোম্পানি। এই কোম্পানি মহাকাশযান তৈরি করে, সেই সঙ্গে বৈদ্যুতিক গাড়িও নির্মাণ করে। এই কোম্পানির মাধ্যমে তিনি হাজার হাজার কোটি ডলার আয় করেন। আয় থেকে ব্যয় মিটিয়ে প্রচুর পরিমাণ লাভ করেন বলেই তিনি হাজার হাজার মিলিয়ন ডলারের মালিক হতে পেরেছেন। ইলন মাস্ক যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ী। বিশে^র শ্রেষ্ঠ ধনীর তালিকায় তাঁর নাম। আরেক ধনকুবের বিল গেটস্। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বেশ কিছু ধনকুবের রয়েছেন, পৃথিবীর মোট সম্পদের চার ভাগের একভাগই তাদের দখলে। তারা ব্যবসা করেই এগুলো অর্জন করেছেন। তবে সম্পদ অর্জনেরও একটা সীমারেখা থাকা দরকার। ভারতের বিখ্যাত ধনী ব্যক্তির নাম মুকেশ আম্বানি। তিনি রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের কর্ণধার। তেল শোধনাগার থেকে শুরু করে বহুজাতিক ব্যবসার কোম্পানি রিলায়েন্স গ্রুপ। মুকেশ আম্বানীর স্ত্রী যে পানি পান করেন, তা বিশে^র সেরা ব্র্যান্ড। ৭৫০ মিলিমিটার এক বোতল পানির দাম ৬০ হাজার ডলার। বাংলাদেশী টাকায় ৫১ লাখ ৪৬ হাজার টাকা। অথচ ভারতে এখনো প্রায় ৩৮ শতাংশ মানুষ দারিদ্রসীমার নিচে বসবাস করেন। ধরে নেই মুকেশ আম্বানির বৈধ আয় দিয়ে পরিবারের সদস্যরা বিলাসী জীবন যাপন করছেন। যে বিলাসী জীবনধারায় তাদের চলাচল, এর চেয়ে অনেক কম খরচেও বিলাসী জীবনের কোনো ছেদ ঘটার কথা নয়। এসব ধনবান যেভাবে জীবন যাপন করেন, তা কোনো ক্রমেই সমাজ সভ্যতার সৌন্দর্যকে নির্দেশ করে না। পরিবর্তে তারা জীবন ধারণের বিপুল ব্যয় কমিয়ে দারিদ্র্য বিমোচনে অবদান রাখতে পারেন।
অর্থনীতিতে ‘প্রবৃদ্ধি’ নামক একটি কথা আছে। অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধি বলতে মোট দেশজ উৎপাদনের বর্ধিত অংশের শতকরা মানকে বোঝায়। বার্ষিক প্রবৃদ্ধি হিসাবের সময় বছরের শেষে পণ্য ও সেবার মূল্যমান চালিত মূল্যে নিরুপিত হয়। একটি দেশের অভ্যন্তরে এক বছর চূড়ান্তভাবে উৎপাদিত দ্রব্য ও সেবার বাজারে সামষ্টিক মূল্য মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ইংরেজিতে গ্রস ডমেস্টিক প্রডাক্ট। আগের বছরের তুলনায় পরের বছরে এ উৎপাদন যে হারে বাড়ে, সেটি হচ্ছে জিডিপি। জিডিপি হচ্ছে অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রধান সূচক। আবার একটি দেশের মানুষের মাথাপিছু আয়ের কথাও অর্থনীতিতে বর্ণনা করা হয়। মাথাপিছু আয় হলো কোনো নির্দিষ্ট সময়ে কোনো দেশের নাগরিকদের গড় আয়। মোট জাতীয় আয়কে মোট জনসংখ্যা দ্বারা ভাগ করলে যে আয় পাওয়া যায়, তা হচ্ছে গড় আয়। একজনের আয় কোটি টাকা, আরেক জনের দশ টাকা। এ দুটোকে যোগ করে দুই দিয়ে ভাগ করে ২ জনের গড় আয় নির্ণয় করা হয়। অর্থনীতির এই তত্ত্বটি একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। কোনো দেশের মানুষের জীবনের সামগ্রিক চিত্রটি যদি সুন্দর না হয়, তবে সে দেশটিকে কখনো কল্যাণ রাষ্ট্র বলা যায় না। মানুষ চায় সুন্দর জীবন। অর্থনৈতিক ও সামাজিক নিরাপত্তা। রাষ্ট্র ব্যবস্থা যদি মানুষের কল্যাণে ভূমিকা রাখতে না পারে, তবে সেটি নিঃসন্দেহে ব্যর্থ। মানুষ সবসময় সংগ্রামী। জীবন সংগ্রামে অবতীর্ণ হয়ে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে চায়। যখন সে বুঝতে পারে যে, আয় এবং ব্যয়ের সংগতি স্থাপনে কোনো বাধা সৃষ্টি হচ্ছে না, তখন স্বস্তির নিঃশ্বাস ছাড়ে। জীবনের প্রয়োজনীয় বস্তু বা সম্পদ নিতান্তই জীবন ধারণের জন্য অপরিহার্য। তা থেকে মানুষ যাতে বঞ্চিত না হয়, রাষ্ট্রকে তা নিশ্চিত করতে হবে। কেতাবি অর্থনীতি মানুষের কাছে অর্থহীন। জীবন ধারণের জন্য প্রয়োজনীয় বস্তু এই পৃথিবীতে আছে। অসীম চাহিদা থেকে মানুষকে সরে আসার অর্থনীতি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। অসীম চাহিদাই সমাজে অস্থিরতা তৈরি করে। থমকে যায় জীবনের গতি। জীবনের গতিপ্রবাহকে স্বাভাবিক রাখতে হলে ভারসাম্যের অর্থনৈতিক বিকাশ ঘটাতে হবে।    

লেখক : রাজনৈতিক বিশ্লেষক
phani.sarker@gmail.com

×