নিত্যপণ্যের বাজার যখন মানুষের নাগালের বাইরে তখন বাজার নিয়ন্ত্রণে ভোক্তা অধিকার মাঠে নেমে শুধু জরিমানা করে দায় সারছে। অন্যদিকে সাধারণ মানুষের পিঠ ঠেকে গেছে দেওয়ালে। দিন যত যাচ্ছে একের পর এক পণ্যের দাম বেড়ই চলেছে। সাধারণ মানুষ যে কয়টি পণ্যের ওপর ভর করে বেঁচে থাকে তাহলো, ডিম, আলু, ডাল, পেঁয়াজ ও তেলÑ এক কথায় গরিব ও মধ্যে ভিত্ত মানুষের বেঁচে থাকার অবলম্বন। সত্যিকার অর্থে জরিমানা করে টাকা নিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা যায় না বলে মনে করে সাধারণ মানুষ। কারণ ভোক্তা অধিকার জরিমানা করে চলে যাওয়ার পর আবার দাম বাড়িয়ে বিক্রয় করছে বিক্রেতারা। প্রবাদ আছে, যেই লাউ সেই কদু। এমন অবস্থায় বাণিজ্যমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আলু, পিঁয়াজ, ডিম আমদানি করবে কিন্তু তাতে কার কি আসে যায়। বাণিজ্যমন্ত্রীর বক্তব্য ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করেছে। যা হাস্যকর। দেরি হলেও অবশেষে বাণিজ্যমন্ত্রী সাধারণ জনগণের কষ্টের কথা চিন্তা করে তিনটি পণ্যে আলু, ডিম, পেঁয়াজের দাম সরকারিভাবে বেঁধে দিয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় যে, প্রবাদ থেকেই যায়, যে যায় লঙ্কায়, সে হয় রাবন। আবার কেউ বলে যার জন্যে করি চুরি সে বলে চোর। রমজান মাসে ইফতারি ও সেহেরি কিনে খাওয়া গরিব ও মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে। কারণ এক হালি লেবু ৫০ টাকা। শশা ৬০ টাকা কেজি। খেজুর নিম্নমানের ২৪০-৩০০ টাকা কেজি। এক ডজন কলার দাম ডজন ১৫০ টাকা। এমন অবস্থায় সাধারণ জনগণের মনে প্রশ্ন, নিত্যপণ্যের দাম বেঁধে দিয়ে আর জরিমানা করে কি বাজার নিয়ন্ত্রণ করা যাবে? জনগণের মতে, নিত্যপণ্যের বাজারে সিন্ডিকেট ভাঙতে কিংবা বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে দাম বেঁধে দেওয়া আর জরিমানার পাশাপাশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সিলগালা ও মজুতকৃত পণ্য বাজেয়াপ্ত করতে হবে। করতে হবে আইনের কঠোর প্রয়োগ।
কাজী আবুল কাশেম রতন
রসুলপুর, কুমিল্লা